Taman Dreams

Taman Dreams "Multiple Videos, Endless Fun!"

19/07/2025

#হাবজিগাবজি
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে দিশেহারা শিক্ষাব্যবস্থা,একদিকে চাকরিপ্রার্থীর লড়াই।অন্যদিকে অনলাইন অফলাইন নম্বরের লড়াই।
আমরা ছুটে চলেছি মরুভূমিতে তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো মরীচিকার পিছনে তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না কোনদিকে যাবো?কী করবো? সব বুঝে ওঠার আগেই কেমন যেন দায়িত্ব মাথায় এসে পড়ে।মাথায় পাহাড় হয়ে যায় চিন্তার, সব সময়ই মাথায় ঘোরে কোনদিকে গেলে আগে চাকরি পাওয়া যাবে ? কিংবা কোন ভালো কাজ? তাহলে অত্যন্ত পরিবারের চাপটা কমবে আমাকে নিয়ে।
ছোটবেলায় যে সহজেই বলে দিতাম ডাক্তার হবো কিংবা পুলিশ কিংবা মাস্টারমশাই। বড়ো হয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি বাস্তবে তা কত কঠিন।
একটা বয়সের পর যাদের সাথে দেখা হয় কম-বেশী প্রত্যেকের প্রশ্ন একই থাকে কীরে কী করছিস?অথচ প্রত্যেকেই জানেন কিছু করি না। তাই বাধ্য হয়ে বলতে হয় এই হাঁটছি সাইকেল চালাচ্ছি নয়তো এড়িয়ে যায়। সেভাবে আর বন্ধুও নেই করতেও ইচ্ছে নেই,আমি অত্যন্ত বুঝেছি বন্ধু বলে কিছু হয় না শুধুমাত্র নিজেই নিজের বন্ধু।
জীবন থেকে সময় চলে যাচ্ছে কিছুই করা হয়ে উঠছে না সামান্য টিউশনের বেতনে অথবা কোন কাজের সামান্য বেতনে মাস চালাতে গিয়ে টের পেতে হয় পকেটের টানাপোড়েন। মাঝেমাঝে সেই বেতনে গন্ডগোল হলে খরচের হিসেব গুলিয়ে যায় বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা কিংবা বই এর খরচ,আটকে যায় কারেন্টে বিলের টাকা কিংবা কেনা হয় না ভালোবাসার মানুষের জন্য দেখা আসা জামাটা। চা খেতে গিয়েও তখন হিসেব কষতে হয় টিউশনের বেতন বাকি আছে,আগের মাসে যে দুটো বই কেনার কথা ছিলো কেনা হয়নি এখনো।বন্ধুর থেকে ধার নেওয়া ছিল কিছু টাকা আজ দেবো কাল দেবো করছি কারন বেতন টা আটকে গেছে।
নাহ! এভাবে আর হয়না একটা কাজ খুঁজতে হবে ভীষন দরকার কাজের,বাবা -মা এর বয়স বাড়ছে আর কতদিন কষ্ট করবে ওরা? এসব পড়াশোনা এখন বিলাসিতা। সংগ্রাম করতে করতে ক্লান্ত আমরা।আন্দোলন করতে করতে হ্যাজ নামাতে নামাতেও ক্লান্ত।কিছুই তো বদলাতে পারছি না।
এই ওরাই হল আমরা শিক্ষিত যুবসমাজ যারা ক্লান্ত কারন কোন কিছু নিশ্চত নয়।একটার পর একটা ফর্ম বেরোয় কয়েকবছর পর, তারপর কবে পরীক্ষা কবে নিয়োগ কিছুই ঠিক নেই। নাহ চাকরীর নাহ অন্য কোন কর্মসংস্থান তারপর স্বজন পোষন দুর্নীতি,জাতিভেদ প্রথা সব কিছু তো আছেই। বাড়ছে এ ডিগ্রি সে ডিগ্রি করার প্রবনতা কিন্ত কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না উপরন্তু সঞ্চয়ের টাকার তহবিল টা নিঃস্ব হয়ে গেলো।নিজেদের যোগ্যতা প্রমান হলো না।
এই ওরাই নিজেদের সমস্ত স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে খুলে বসলো m.a Pasa Chawla,b Ed Chawla,ph.d Chawla বা মিষ্টি ,ফুচকা ওয়ালা কিংবা শ্রমিক শ্রেনীর কোন পেশার সাথে জুড়ে গেলো। শহর যখন খুশিতে মাতে তখন ওরা ছুটে চলে দুটো পয়সার আশায় এ প্রান্তের উৎসব থেকে সে প্রান্তের উৎসব। ওদের ঠাকুর দেখা বন্ধ,ওদের আড্ডা দেওয়া বন্ধ, শখ-আহ্লাদ বন্ধ,স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেরোনো বন্ধ। ওরা খুশি হয় ওদের বানানো খাবার খেয়ে যখন কাস্টমার প্রশংসা করে,ওদের বানানো খাটের ডিজাইন দেখে আরো একটা অর্ডার আসে। ভালো থাকে ওরা যখন দেখে ওদের ইনকাম পরিশ্রম দেখে খুশি হচ্ছে পরিবার। কিন্ত সত্যিই ওদের ভালো থাকা হয় না,হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর আর বই নিয়ে বসা হয়না,তখন মনে পড়ে যায় পাড়ার শ্যামল ওর থেকে 10 নম্বর কম পেয়ে চাকরি করছে, বিমল যে টেনেটুনে পাশ করতো সেও আজ একটা মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরি করে কিন্ত আমি ?তারা আজ সফল আমাকে দেখে মুচকি হাসে যে এত পড়েও কিছু হলো না।সেই এক ই থাকল তোর অবস্থা। যারা কাঠমিস্ত্রী তারা আজ আমার চেয়ে বেশি সফল,গাড়ি-বাড়ি সবই আছে কিন্ত আমার কাছে!
একদিন কাজ না করলে আর পেট চালানোর মতো উপায় নেই।
এমন একটা বয়সে এসে পৌঁছেছি যেখানে না পারি সহজে যে কোন কাজ করতে কারন সেখানে হাজার একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আর না পারি আর পড়াশোনার খরচ টানতে পরিবারে মুখের দিকে তাকিয়ে একটা কাপড়ের দোকানে কাজ করি সেখানে হাজারো একটা কাপড়ের ভিড়ে নিজের ডিগ্রি আর মুখটা অত্যন্ত লোকাতে পারি ।
জীবন টা বয়ে চলে নীরবে যে কষ্ট টা ব্যর্থতা টা কাউকে বোঝানো গেলো না।

11/07/2025

"যদি তুমি থেকো…"

ভালোবাসা মানে আমি ভেবেছিলাম—
একটা সম্পর্ক, যেখানে দুইটা মানুষ শুধু ভালোবাসে না,
একটা জীবন গড়ে তোলে একসাথে।
আমি স্বপ্ন দেখতাম, আমার প্রেমিক হবে এমন একজন—
যে আমাকে সব দিক থেকে বুঝবে,
হাসিখুশি হবে, মিশুকে হবে,
আমার চোখের চাহনি দেখেই বুঝে যাবে,
আজকে আমি হাসছি নাকি কষ্ট চেপে বসে আছি।

আমি ভেবেছিলাম, ভালোবাসা মানেই নিরাপত্তা,
ভরসা, আর একটা নিঃশর্ত বন্ধুত্ব।
কখনও না বলা কথা,
না বলা অভিমান,
না বলা ভালোলাগাগুলো—
সবই সে বুঝে নেবে আপন ইচ্ছেতে।

কিন্তু হঠাৎ একদিন বুঝলাম,
যে আমি যাকে এতোটা বিশ্বাস করেছি,
সে দিনের পর দিন আমায় ঠকিয়ে গেছে।
ভালোবাসার মুখোশ পরে,
সে বেছে নিয়েছে অন্য একটা জীবন,
অন্য একটা সম্পর্ক—
যার আভাস পর্যন্ত আমায় বুঝতে দেয়নি।

আমি যতটা নিঃস্বার্থ ছিলাম,
সে ততটাই ছলনাময় ছিল।
আমি যখন তার খুশিতে নিজের খুশি খুঁজে পেতাম,
তখন সে অন্য কারোর সাথে ভবিষ্যতের গল্প লিখছিল।

সবকিছু হঠাৎ করে জেনে যাওয়ার সেই মুহূর্তটা…
তা যেন বুকের মধ্যে এক বিশাল বিস্ফোরণ।
কোন শব্দ নেই,
কিন্তু মনটা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।

আমি ভেবেছিলাম—তুমি থাকলে জীবনটা আরও সুন্দর হবে,
তোমার হাসি আমার ঘুম এনে দেবে,
তোমার কণ্ঠ আমার দুঃখকে শান্ত করবে।
কিন্তু তুমি তো ছিলে শুধু আমার কল্পনায়।
বাস্তবে তুমি ছিলে এক ছায়া,
যার ছায়া আমি ভালোবেসেছিলাম,
আলো নয়।

তুমি যদি সত্যিই থাকতে…
তাহলে আজকে এই অপূর্ণতা নিয়ে লিখতে হতো না।
এই ব্যথা, এই আঘাত, এই বিশ্বাসভঙ্গ—
সবটাই এড়ানো যেত।

তবে হ্যাঁ, এখন বুঝি—
ভালোবাসা শুধু পাওয়ার নাম নয়,
ভালোবাসা বুঝতে শেখায়, কে আসল আর কে মুখোশ পরে বাঁচে।
এখন আমি জানি, আমি হারাইনি…
তুমি হারিয়েছো, কারণ কেউ যখন সত্যিকারের ভালোবাসে,
তাকে ঠকানো যায়, কিন্তু ভুলে যাওয়া যায় না।

-

08/07/2025

অধরা স্বপ্নের খোঁজে

ছোটবেলা থেকেই তার জীবনে চাপ, দুঃখ, অভাব আর অনটন যেন এক অনিবার্য ছায়ার মতো লেগে আছে। প্রতিটি সকাল শুরু হয় নতুন এক লড়াই নিয়ে, আর প্রতিটি রাত শেষ হয় হাজারটা না-পাওয়ার গ্লানিতে। সে ভেবেছিল একদিন‌ হয়তো জীবনের মোড় ঘুরবে, একটু শান্তি আসবে, অভাবের দিন পেছনে পড়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা আরও কঠিন, আরও ভারী হয়ে নামে তার উপর।

তবুও সে স্বপ্ন দেখে। জানে না স্বপ্নগুলো কোনোদিন পূরণ হবে কিনা, তবুও সে স্বপ্ন আঁকড়ে ধরে। কারণ সেই স্বপ্নই তো তাকে বাঁচিয়ে রাখে, সেই অধরাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা। হার মানতে চায় না সে। শত বাধা, কষ্ট আর অভাবের মধ্যেও সে লড়ে যায়। ভিতরে ভিতরে সে জানে—যদি তার স্বপ্ন পূরণ না হয়, তাহলে হয়তো তার জীবনের এত বছরের সংগ্রামটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।

তবে স্বপ্ন পূরণ করতে শুধু ইচ্ছে নয়, দরকার সময়, মানসিক শান্তি, আর অবিরাম পরিশ্রম। কিন্তু জীবনের ঘূর্ণিপাকে পড়ে সে যেন কিছুই ঠিকভাবে দিতে পারে না। তার লড়াইটা শুধু বাহ্যিক জগতের সঙ্গে নয়, নিজের ভেতরের দ্বন্দ্বের সঙ্গেও।

সে ভালোবেসেছে, অথচ ভালোবাসার বিনিময়ে ফিরে পায়নি কিছুই। যাদেরকে আঁকড়ে ধরেছে, তারা একে একে ছেড়ে গেছে। অভাবের সংসারে সুখ যেন কেবলই এক ধোঁয়াশা, দুঃখই তার একমাত্র চিরসঙ্গী। জীবনে যা কিছু পেয়েছে, তার অনেকটাই কষ্টের, অনেকটাই একাকিত্বের। সুখ তার কাছে চাতক পাখির মতো—দেখা যায়, কিন্তু ধরা দেয় না।

তবুও, সে জানে না অন্তিম পরিণতি কোথায়, জানে না লড়াইয়ের শেষ কোথায়, তবুও সে থামে না। কারণ তার হৃদয়ের গভীরে আজও একটি আশা পুঞ্জীভূত—

সে একদিন জিততে চায়।
জীবনের প্রতিটি পাতায় হেরে গেলেও, সে চায় অন্তত একবার, একদিন—পুরোটা জিতে যেতে।

06/07/2025

"শখ, সময় আর পরিস্থিতি"

সবাই বলে,
"সময় থাকতে সব শখ পূরণ করে ফেলো, নইলে আর পারবে না। জীবন একটাই!"

এই কথাটা যেন প্রতিদিন চারপাশে শুনি।
এমনভাবে বলা হয় যেন কেউ ইচ্ছে করেই তার স্বপ্নগুলো ফেলে রাখে!
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—
শুধু সময় থাকলেই কি সব শখ পূরণ সম্ভব?

না, কখনওই না।

কারণ শখ তো সবার থাকে, স্বপ্নও থাকে।
কিন্তু সবার জীবন একরকম হয় না।
কারও হাতে টাকা থাকে, কিন্তু সময় নেই।
কারও সময় আছে, কিন্তু মন বা পরিস্থিতি নেই।
কারও ইচ্ছে আছে, কিন্তু দায়িত্বের চাপ তাকে থামিয়ে দেয়।

শুধু সময় থাকলেই কেউ তার শখ পূরণ করে না—
যদি না পরিস্থিতি তার অনুকূলে থাকে।

আজ আমার মন চায় কিছু একটা খেতে,
আমার হাতে যদি টাকা থাকে, সময় থাকে,
সবকিছু ঠিকঠাক থাকে—
তাহলে কি আমি সেটা করে ফেলবো না? নিশ্চয়ই করবো।

কিন্তু যদি সেই মুহূর্তে আমি অসুস্থ থাকি,
বা কোনো দায়িত্বে আটকে থাকি,
তাহলে তো সেই ইচ্ছেটা অপূর্ণই থেকে যাবে।

তাই যাদের পরিস্থিতি ভালো,
যাদের হাতে সময়, টাকা, স্বাধীনতা সব কিছু আছে—
তাদের তো কাউকে বলে দিতে হয় না,
“সময় থাকতে সব করে ফেলো”—
তারা এমনিতেই করে ফেলে।
কারণ তারা জানে, জীবন একটাই।

কিন্তু যাদের জীবন দায়িত্বে মোড়া,
সংসারে বাঁধা, কাজের ভিড়ে হারা—
তাদের শখ পূরণ করতে হয় ভেবে, সামলে, অপেক্ষা করে।
তাদের জন্যই অপূর্ণতা শব্দটা বড্ড পরিচিত।

কেউই তার স্বপ্নকে অপূর্ণ রাখতে চায় না।
সবাই চায় বাঁচতে, ভালোবাসতে, ঘুরতে, হাসতে।
কিন্তু সবই তখনই সম্ভব,
যখন সময়, পরিস্থিতি, টাকা—সব একসাথে হয়।

তাই ‘সময় থাকতে সব করে ফেলো’—
এই কথাটা অর্ধসত্য।
সম্পূর্ণ সত্যটা হলো—
“যদি পরিস্থিতি সহায় হয়, মানুষ নিজেই তার শখ পূরণ করে ফেলে।”
কারণ কেউ তো চায় না তার জীবন অপূর্ণতায় ভরে উঠুক।

---

🌿

"একজন মানুষের অসমাপ্ত সংসার"একজন মানুষ—না, আমি এখানে কোনও নির্দিষ্ট লিঙ্গের কথা বলছি না।না সে শুধু পুরুষ, না সে শুধু নার...
05/07/2025

"একজন মানুষের অসমাপ্ত সংসার"

একজন মানুষ—না, আমি এখানে কোনও নির্দিষ্ট লিঙ্গের কথা বলছি না।
না সে শুধু পুরুষ, না সে শুধু নারী।
সে কেবল একজন মানুষ—যে স্বপ্ন দেখে, ভালোবাসে, সংসার গড়তে চায়।

সে ভাবে, একদিন একটা ঘর হবে,
হয়তো ছোট, কিন্তু ভালোবাসায় ভরা।
সেই ঘরে থাকবে হাসি, থাকবে দু'জনের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গল্প।
সেখানে থাকবে ত্যাগ, থাকবে বোঝাপড়া—আর থাকবে একটুখানি শান্তি।

কিন্তু ভাগ্য তো সবার একরকম হয় না।
কারও ঘর হয়, কারও কেবলই দেয়াল তোলা হয়।
আর সেই দেয়ালের ভেতরে বন্দি হয়ে যায় একজন মানুষ—তার স্বপ্ন, তার ইচ্ছা, তার সত্য।

প্রতিদিন সে ঘুম থেকে ওঠে, মনকে বোঝায়—
“আজ হয়তো দিনটা একটু ভালো যাবে।”
কিন্তু দিন শেষে ফিরে আসে সেই চেনা একঘেয়েমি, সেই না বলা কষ্ট।
সে বোঝে, সংসার চলছে—কিন্তু তাতে হৃদয় নেই, সম্মান নেই, ভালোবাসা নেই।

তবু সে মুখ বুজে সহ্য করে।
হাজারো অন্যায়, অপমান, অবহেলা—সব কিছু মেনে নিতে নিতে একদিন সে ভুলেই যায়,
সে নিজে কে ছিল! কী চেয়েছিল! কেমন মানুষ হতে চেয়েছিল!

একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে সে।
একটুখানি মুক্তির খোঁজে হয়তো অন্য এক সম্পর্কে জড়ায়,
একটু ভালোবাসা, একটু বুঝে নেওয়া চাইতে গিয়েই…
কিন্তু সেখানেও ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা জয়ী হয়।
নতুন সম্পর্কেও জন্ম নেয় ভুল বোঝাবুঝি, অবিশ্বাস, দুঃখ।

তখন সমাজ তকমা লাগায়—"চরিত্রহীন!"
তারা ভাবে—সে কি না, এক সংসার রেখে আরেক সম্পর্ক গড়েছে?
কিন্তু সমাজ বোঝে না—এই সম্পর্কটা ছিল আত্মার জন্য একটু আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা,
একটা শান্তির আশায়, একটা বুক জুড়ে ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।

তারা কেউ বোঝে না—
সে চেয়েছিল শুধু মানুষ হয়ে বাঁচতে,
যেমন করে আর পাঁচজন মানুষ ঘর বাঁধে, ভালোবাসে, সম্মান পায়, সে-ও তাই চেয়েছিল।
কিন্তু ভাগ্য তার সঙ্গে কেবল পরিহাস করেছে।
একজন-দু’জন নয়, একের পর এক মানুষ এসেছে তার জীবনে—কিন্তু কেউই তাকে ভালোবাসতে শেখেনি,
উল্টো দিয়ে গেছে দুঃখ, অপমান, কলঙ্কের বোঝা।

সে চেয়েছিল বাঁচতে,
কিন্তু সমাজ তাকে মেরে ফেলেছে প্রতিদিন একটু একটু করে,
তার ভাষা কেড়ে নিয়ে, তার অস্তিত্ব মুছে দিয়ে।

আচ্ছা, বলো তো—
যারা মুখ বুজে সংসার করে, দিনরাত মানিয়ে নেয়, স্বপ্ন গিলে ফেলে—
তারা কি আদৌ সংসার করে?
নাকি কেবল এক জীবন্ত কাঠের পুতুল হয়ে যায়,
যাদের মুখে হাসি, কিন্তু চোখে জল জমে থাকে?

আর যারা সংসার করতে চেয়েছিল, ভালোবাসতে চেয়েছিল,
তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো স্বামী বা স্ত্রীর হাতে খুন হয়ে যায়—
তাদের জন্য কেউ বিচার চায় না, কেউ তাদের স্বপ্ন ফেরত দেয় না।

জীবন বড় অদ্ভুত।
এটা আমাদের আশার ছবি আঁকতে শেখায়,
কিন্তু কখন যে সেই ছবির রঙ মুছে যায়, আমরা বুঝতেই পারি না।
যদি পারতাম, যদি আগে থেকেই বুঝতে পারতাম কার হাত ধরে চলা উচিত,
কার ভালোবাসায় নিরাপদ—তবে হয়তো জীবনটা সত্যিই একটু অন্যরকম হতো।

এই মানুষটার মতো হাজারো মানুষ আছে আমাদের চারপাশে, যাদের হৃদয় ভাঙে, মুখে আওয়াজ নেই, কিন্তু চোখে বোঝা যায়—তারা আর ঠিক মতো বাঁচে না।

01/07/2025

Mayapur roth...

 :2যার পরিবার কষ্ট করে, অশেষ ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানকে পড়িয়েছেন, তার একটাই স্বপ্ন ছিল — সন্তান যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, নিজের...
26/06/2025

:2

যার পরিবার কষ্ট করে, অশেষ ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানকে পড়িয়েছেন, তার একটাই স্বপ্ন ছিল — সন্তান যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, নিজের পায়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু যদি সেই সন্তান কিছু না হতে পারে?
যদি শত চেষ্টা করেও সে বারবার ব্যর্থ হয়?

তখন সমাজ শুধু বলে — "সে পারল না",
কিন্তু কেউ ভাবে না কেন পারল না।
সে চেষ্টা করেছে, হয়তো অনেক বেশি করেছে, কিন্তু তার পথের বাঁধাগুলো কেউ দেখেনি।
তার স্বপ্নগুলো হয়তো বারবার ভেঙেছে — অর্থের অভাবে, সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে, অথবা সমাজ ও পরিবারের অব্যক্ত চাপের তলায়।

এমন মানুষদের সমাজ সহজেই দাগিয়ে দেয় —
"পড়ালেখা করেও কিছুই হলো না",
"আর পাঁচজন পারছে, সে কেন পারছে না?"
এই প্রশ্নগুলোর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে হাজারটা উপেক্ষা, ব্যঙ্গ, এবং অবমাননা।

সময় গড়াতে গড়াতে এমন মানুষরা নিজের ডিগ্রি বলতেও লজ্জা পায়।
কারণ তখন কেউ না কেউ টিপ্পনি কাটে —
"এই পড়াশোনার জন্য এই সামান্য কাজ?"
আর তখন সেই সন্তান ভাবে —
"আমার তো জীবনটাই ব্যর্থ, এত পড়েও কিছুই করতে পারলাম না…"

এভাবেই সে হারিয়ে যায়।
নিজেকে আর খুঁজে পায় না।

এখানেই বোঝা যায় —
স্কুল, শিক্ষক, সমাজ, পরিবার, এমনকি পাড়ার পরিবেশ — সব মিলেই একটি সন্তানের ভবিষ্যৎ তৈরি করে।
শুধু পড়াশোনা নয়, সঠিক দিশা, মানসিক সহায়তা, একটা ভালো পরিবেশ — এই জিনিসগুলো ছাড়া কেউ ভিতরে ভিতরে গড়ে উঠতে পারে না।

হ্যাঁ, কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, যারা সব প্রতিকূলতা ঠেলে সামনে এগিয়ে যায়।
কিন্তু সংখ্যাটা খুবই কম।
বেশিরভাগই হারিয়ে যায় কষ্টের ভিড়ে, ভুল বোঝাবুঝির অন্ধকারে।

আর যখন বয়স বাড়ে, উপলব্ধি হয় —
তখন আর কিছুই করার থাকে না।
শুধু একটা প্রশ্ন সারাজীবন তাড়া করে ফেরে —
"আমি কি সত্যিই ব্যর্থ, নাকি আমার স্বপ্নগুলোকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছিল?"

💔 পরিবার, সমাজ, বন্ধুবান্ধব — সবাই প্রশ্ন তোলে,
“তুই কি এই কাজের জন্যই এত পড়েছিস?”
আর এই কথাগুলো তাকে আরও গুটিয়ে দেয়।
একসময় সে নিজেও ভাবতে শুরু করে —
"আমি বোধহয় সত্যিই ব্যর্থ।"

সে আর নিজের ডিগ্রি নিয়েও গর্ব করতে পারে না।
কারণ তাচ্ছিল্যের সুরে কেউ না কেউ বলে দেয় —
"এই পড়াশোনার দামই বা কী হলো!"

🌱

একজন ভালো শিক্ষকের একটা কথা একটা শিশুকে জীবনভর পথ দেখাতে পারে।
একটা উৎসাহ, একটা প্রশংসা তার বিশ্বাস গড়ে দিতে পারে।
আর সেই জায়গাতেই যাদের পরিবারে সঠিক দিশা, পরামর্শ বা মানসিক সমর্থন নেই — তারা অনেকসময় হেরে যায়।

তাই আমরা অনেক সময় বলি, "ওমুক স্কুলে পড়ে কি কেউ ডাক্তার হতে পারে না?"
হ্যাঁ, হতে পারে, কিন্তু সেটা কঠিন, কারণ স্কুল, শিক্ষক, পরিবেশ — সবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সবসময় ব্যতিক্রম মানুষ থাকবে, যারা প্রতিকূলতা জয় করে সাফল্য পায়, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুব কম।
বেশিরভাগ মানুষ যখন উপলব্ধি করে, তখন হয়তো সময়টা হাতছাড়া হয়ে গেছে।
তখন আর কিছুই করার থাকে না — শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস থেকে যায়,
“যদি একটু ভালো পরিবেশ পেতাম… যদি কেউ পাশে থাকত…”

স্বপ্ন, চেষ্টা, সমাজ এবং বাস্তবতা।
আমরা অনেকেই চেষ্টা করি, কিন্তু সবাই পৌঁছাতে পারি না।
কারণ সবার শুরু এক জায়গা থেকে হয় না।
তাই যারা পিছিয়ে পড়েছে, তারা ব্যর্থ নয় — বরং তারা লড়াকু।
তাদের দরকার সমর্থন, বোঝাপড়া আর একটু মানবিকতা।

Address

Krishnagar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Taman Dreams posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share