Santhal Voice

  • Home
  • Santhal Voice

Santhal Voice Youtube Channel - Santhal Voice Official

মালতি মুর্মুর বিনা পয়সার স্কুল ভাইরালের পর সরকারের নজর পড়লো। ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলো জিলিংসেরেঞ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যা...
21/07/2025

মালতি মুর্মুর বিনা পয়সার স্কুল ভাইরালের পর সরকারের নজর পড়লো। ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলো জিলিংসেরেঞ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য।
এরকম হাজার হাজার মালতীর জন্ম হোক 🙏

বাবা পেশায় কৃষক। তবে তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা সংসার চ‍‍লে না। তাই কৃষিকাজের বাইরে রোজগারের জন্য চালাতে হয় টোট...
21/07/2025

বাবা পেশায় কৃষক। তবে তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা সংসার চ‍‍লে না। তাই কৃষিকাজের বাইরে রোজগারের জন্য চালাতে হয় টোটো। দারিদ্র অবশ্য থম‍কে দিতে পারেনি ফুটবল প্রতিভা, এবার সেই দারিদ্র্যকে কে জয় করেই ভারতীয় জাতীয় মহিলা অনূর্ধ্ব ১৭ ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলে জায়গা করে নিলেন রায়গঞ্জের হাতিয়া হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী প্রীতিকা বর্মন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল 💐

অযোধ্যা পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল জিলিংসেরেঞে বিনা মুল্যে শিক্ষা দিয়ে গোটা ভারতের গর্ব হয়ে উঠেছেন মালতী মুর্মু । এই প্র...
21/07/2025

অযোধ্যা পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল জিলিংসেরেঞে বিনা মুল্যে শিক্ষা দিয়ে গোটা ভারতের গর্ব হয়ে উঠেছেন মালতী মুর্মু ।

এই প্রত্যন্ত আদিবাসী অঞ্চলে, যেখানে অনেকেই এখনও শিক্ষার গুরুত্ব বুঝে উঠতে পারেননি, সেখানেই বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষা দিচ্ছেন মালতী । তার পাঠশালায় প্রতিদিন ৪০ জনের মতো ছেলে মেয়ে প্রতিদিন শিক্ষা দান করে চলেছেন তিনি।
নিজের প্রচেষ্টায় মাটির স্কুল বানিয়ে, কোলে ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে ৪০ জন গরিব ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ও ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছেন অযোধ্যা পাহাড়ের জিলিং সেরেঞ গ্ৰামের মালতি মুর্মু ।
এই সময় সবাই যখন টাকার পিছনে ব্যস্ত, তখন মালতি মুর্মু নিজের ইচ্ছায় একদম বিনামুল্যে শিক্ষাদান করেন ।
এমন মহৎ কর্ম উৎসাহ দিয়ে চলছেন তার স্বামী বাঙ্কা মুর্মু ও পাশে রয়েছে গ্ৰামবাসীগন । সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়া তে যেভাবে ভাইরাল হয় সে ভাবে দু একজন সমালোচনা করলেও মালতি নিজের কাজ করেই চলেছেন আপন মনে। তার কথায় যাই হোক এই পাঠশালা বন্ধ হবে না।

রাইফেল শুটিং চ্যাম্পিয়ন হলেন জঙ্গলমহলের মেয়ে শকুন্তলা হাঁসদা । শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল 💐💐
20/07/2025

রাইফেল শুটিং চ্যাম্পিয়ন হলেন জঙ্গলমহলের মেয়ে শকুন্তলা হাঁসদা ।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল 💐💐

আদিবাসী কন্যার গর্বিত জয়! 🎉💐MRS. WORLD INTERNATIONAL 2025 - Season 3 এর ফাইনালিস্ট! ডা: মৌসুমী মুর্মুঝাড়গ্ৰাম জেলার স্থা...
19/07/2025

আদিবাসী কন্যার গর্বিত জয়! 🎉💐
MRS. WORLD INTERNATIONAL 2025 - Season 3 এর ফাইনালিস্ট! ডা: মৌসুমী মুর্মু

ঝাড়গ্ৰাম জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। চিকিৎসা ক্ষেত্রে যথেষ্ট পারদর্শী। মানবসেবার জন্য তিনি বিভিন্ন গ্ৰামে চিকিৎসা পরিসেবা প্রদান করেন। মানবকল্যাণে নিজেকে ব্রতী রাখার চেষ্টা করেন। শুধুমাত্র চিকিৎসক নন তিনি একাধারে চিত্রশিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী, সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা প্রদান ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত রয়েছেন ডাঃ মৌসুমী মুর্মু।
দিল্লির গুড়গাঁওয়ে 'মিসেস ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল' প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন মৌসুমি। সেখানে মোট ১৫০ জন ফাইনালে যোগ দিয়েছিলেন। আমেরিকা, কাজাখাস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের মহিলারা এসেছিলেন। সেখানে তিনি তৃতীয় FINALIST পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তার এই সাফল্য আরও হাজারো মেয়েকে স্বপ্ন দেখতে ও এগিয়ে চলার সাহস জোগাবে।

একদিকে ফুটবল মাঠের ঘাম ঝরানো লড়াই, আর অন্যদিকে সাদা অ্যাপ্রোন পরে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর অদম্য ইচ্ছা। এই দুই বিপরীত স্ব...
19/07/2025

একদিকে ফুটবল মাঠের ঘাম ঝরানো লড়াই, আর অন্যদিকে সাদা অ্যাপ্রোন পরে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর অদম্য ইচ্ছা। এই দুই বিপরীত স্বপ্নকে একসাথে বুকে লালন করে চলেছেন রেলওয়ে এফসি-র তরুণ ফুটবলার হরেরাম মুর্মু। আদিবাসী সমাজের প্রত্যন্ত প্রান্ত থেকে উঠে আসা হরেরামের জীবন শুধু ফুটবল নয়, এটি এক সংগ্রামী আত্মার প্রতিচ্ছবি।

একদিকে প্রাণাধিক প্রিয় ফুটবল। অন্যদিকে ডাক্তারি ও প্যারা মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রস্তুতি। দুটোই একই সঙ্গে সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন হরেরাম। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের নীচে অবস্থিত গিতিংলহর গ্রামে হরেরামের বাড়ি। তাঁর নতুন ঠিকানা এখন রেলওয়ে এফসি। ট্রায়াল দিয়ে তিনি রেলওয়ে এফসি-তে সুযোগ পেয়েছেন।
পুরুলিয়ার বারী গ্রামে বিবেকানন্দ অ্যাকাডেমি। সেখান থেকেই হরেরামের কলকাতায় আসা। এখন জনাইয়ে প্রীতম কোটাল অ্যাকাডেমিতে থেকেই কলকাতা লিগ খেলছেন হরেরাম। সর্বভারতীয় স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বেশ ভাল প্রস্তুতি নিতে হয়। কোনও কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত থেকে বা শিক্ষক রেখে পড়াশোনা করে থাকেন অনেকে। কিন্তু সেই আর্থিক সুবিধা নেই হরেরামের। তিনি যে নিজেই নিজের শিক্ষক। চোখে ভিড় জমায় স্বপ্ন।
রেলওয়ে এফসি-র তরুণ ফুটবলার হরেরাম মুর্মু আজ শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি তরুনদের এক অনুপ্রেরণা।


সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কার্য্যালয় গড়বেতা সাঁওতালি ভাষার মান্যতা দিয়ে অলচিকি তে লেখা হলো এর জন্য গড়বেতার প্রশাসন কে ...
14/07/2025

সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কার্য্যালয় গড়বেতা সাঁওতালি ভাষার মান্যতা দিয়ে অলচিকি তে লেখা হলো এর জন্য গড়বেতার প্রশাসন কে অনেক ধন্যবাদ।

কিন্তু বাংলা ইংরেজির পাশাপাশি না লিখে এক পাশে লেখায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আদিবাসী সম্প্রদায়।


এক ব্যতিক্রমী আদিবাসী যুবকের লড়াই--  অযোধ্যা পাহাড়ের বুকে  সামান্য কিছু সামর্থ্য  নিয়ে এক লড়াইয়ে নেমেছেন।কতো না পাও...
10/07/2025

এক ব্যতিক্রমী আদিবাসী যুবকের লড়াই--
অযোধ্যা পাহাড়ের বুকে সামান্য কিছু সামর্থ্য নিয়ে এক লড়াইয়ে নেমেছেন।কতো না পাওয়ার মাঝেও লড়াই থামেনি। একসময় খড়ের ছাউনি ছিল আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে তা তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু দমাতে পারেনি তাকে, সেখান থেকেই আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করলেন।

তিনি মদন হাঁসদা।সুর্জনডি,সাহারজুড়ি,অযোধ্যা পাহাড়ে বাড়ি। পিছিয়ে থাকা পরিবাররর শিশুদের পড়াশোনার আঙিনায় নিয়ে আসার জন্য শুরু করলেন-- সিধু কানু শিক্ষা নিকেতন। যাত্রা শুরু হয়েছিল 2022 সালের শেষের দিকে মাঝে একবার কালবৈশাখীর ঝড়ে সম্পূর্ণ ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই মনের জেদ যেন তাকে আরও চেপে বসে। কোনোমতে চালের ব্যবস্থা করে দুটো বালকবাস এবং শ্রেণিকক্ষ তৈরি করেছেন।

আবাসিকের সংখ্যাও কম নয় ১২০ জন । শিক্ষক আছেন 6 জন, রান্নার জন্য রয়েছেন একজন। সকালে প্রাতরাশের পর আটটা থেকে শুরু হয়ে যায় বিদ্যালয়। দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলে এদের পঠন পাঠন। মধ্যাহ্ন ভোজের পর আড়াইটার থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত আবার পড়াশোনা হয়। তারপর খেলার ছুটি ,সন্ধ্যা বেলা হালকা টিফিন করে আবার পড়াশুনা। রাতে 9 টায় খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রাম। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করানো হয়। পড়াশোনার সাথে চলে সাংস্কৃতিক চর্চা ।সাঁওতালি ঐতিহ্য মেনে তাদের সাঁওতালি নাচ, গান, বাদ্যযন্ত্রের সাথে পরিচয় করানো হয়।

এদের শ্রেণিকক্ষ চোখে পড়ার মতো ,বড়ো বড়ো জানালা, কোথাও কোনো গ্রিল বা পাল্লা নেই, দুপাশ খোলা, যেদিকে তাকাবেন গাছপালা এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য। মাটির দেওয়াল ,মাটির মেঝে এবং সেখানে একেবারে স্থানীয় লাল মাটি দিয়ে রং করা।

আমার চোখ টেনে ছিল, এদের পড়ার ব্যবস্থা দেখে। দুপুর বেলা মানুষ যখন ফ্যানের তলায়, এসি চালিয়ে নানাভাবে বিশ্রাম করছেন ।এরা গাছ তলাতে বসে নিখাদ প্রকৃতির কোলে পড়াশোনায় নিজেরদের ব্যস্ত রেখেছে। আর মদন বাবুকে দেখলাম সেই গাছতলাতেই একটা সবুজ বোর্ড করে, সেখানে অপেক্ষা করে আছেন ।শিশুরা নিজেদের প্রয়োজন মতো তার কাছে যাচ্ছেন এবং তিনি কখনো বোর্ডে কখনো খাতায় নানাভাবে তাদের সাহায্য করে যাচ্ছেন। পাশে একটা খাটিয়াতে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী ,কথাসূত্রে জানা গেল তিনি এই বিদ্যালয়ের রান্নাবান্নার বিভাগটি দেখেন ।নিজের ছোট ছেলে মেয়েদের সামলান এবং সেই সঙ্গে এই শিশুদের জন্য রান্না করে দেন।

কোথাও গাছে দোলনা বাঁধা। পাশেই খেলার মাঠ। একটু দূরে ছোট নদী ।গাছপালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে, সবুজের প্রভাব এদের প্রাঙ্গনে যথেষ্ট। সবুজ প্রাঙ্গণের বুকে এই কচিকাঁচাদের উপস্থিতি জায়গাটিকে এক ঝলকে দেখে মনে হবে যেন শান্তিনিকেতনের কোন দৃশ্য আমরা দেখছি।

মদন বাবুর মুখ থেকেই শুনছিলাম বিদ্যালয় পরিচালনাতে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। শিশুদের কাছ থেকে মাত্র এক হাজার টাকা নেন। তার মধ্য থেকেই চার বেলা খাওয়া ,তারপরে যেটুকু থাকে সেটা নিজেদের(6 জন) মধ্যে ভাগ করেন ।সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের চালানোর জন্য কিছু খরচ রাখতে হয়।

এদের বালকাবাসে গিয়ে মন ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। একটা বড়ো হলঘর, চারদিকে সারি দিয়ে বাক্স রাখা ।তক্তা বা খাটিয়ার কোন ব্যবস্থা নেই ।শিশুরা মেঝেতে শুয়ে থাকে। দারিদ্র্যের সাথে লড়াই, এখনো কোনো শয্যার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। ভাবতেই খুবই কষ্ট হয়েছিল। শীতের দিন বা বর্ষার দিন পোকামাকড় বা সাপ খোপের উপদ্রব হতেই পারে ।মদন বাবু শুধু এটুকুই জানালেন বর্ষাকালে চারিদিকে কার্বলিক এসিড দেন কিন্তু তাতেও এই শিশুরা কতটা নিরাপদ থাকবে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

প্রতিবন্ধকতা যতই থাকুক ,মদন বাবু তার প্রয়াসে তার মিশনে অটল থেকেছেন।

অযোধ্যা পাহাড়, সেখানকার শিশুরা পড়াশুনার আঙিনায় আরো বেশি করে আসুক ।অন্ধকার মুছে তারা জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠুক।মদন বাবুর প্রয়াস,উদ্যোগ,স্বপ্ন ডানা মেলে শিশুদের ভবিষ্যতের দিশারী হয়ে উঠুক।

আপনাদের এই প্রতিবেদন এবং মদনবাবুর এই প্রয়াস ভালো লেগে থাকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন তার যোগাযোগ নাম্বার দিলাম আপনারা সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ করে এই কর্মকান্ডের সহযোগী হতে পারেন।

***লেখাটি যতটা সম্ভব শেয়ার করবেন যাতে আরো বেশি শিক্ষা অনুরাগী ,সমাজ সচেতন মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে এবং অনেকেই এগিয়ে এসে এই প্রয়াসকে সাফল্যের পথে পৌঁছে দিতে পারে।

সিধু কানু শিক্ষা নিকেতন
মদন হাঁসদা
6297607940

✍️ছবি ও লেখা-জনার্দন মাহাত

ভিডিও দেখুন---
https://www.facebook.com/share/v/18yubvadpd/

https://youtu.be/fYBtb2v0WoM?feature=shared

🚶‍♂️🌿যাবেন কি ভাবে-- Ajodhya Hill Top to Murguma road 7 kms.সাহারজুড়ি গ্রাম পার হয়ে বাঁ দিকে রাস্তা ঘুরে গেছে।সোজা গেলেই পৌঁছে যাবেন।
আবার রাঙা মোড়-- মার্বেল লেক-- টাঁড়পানিয়া-- ভুঁইঘোরা গ্রাম। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রাস্তা দুদিকে ভাগ হয়েছে বাঁদিকে রাস্তা গেছে তেলিয়াভাসার দিকে, সেদিকে না গিয়ে গ্রামের মধ্য দিয়ে সোজা রাস্তা নিতে হবে। সেটা সোজা সূর্যনন্ডি গ্রামে যাবে।

মোহনবাগান বনাম রেলওয়ে এফসি ম্যাচে গুরুতর চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেলওয়ের তারকা খেলোয়াড় তারক হেমব্রম।এই কঠিন সময়ে আমরা ...
07/07/2025

মোহনবাগান বনাম রেলওয়ে এফসি ম্যাচে গুরুতর চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেলওয়ের তারকা খেলোয়াড় তারক হেমব্রম।
এই কঠিন সময়ে আমরা তার পাশে আছি। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি ।


 #পাহাড়_পুজো (বুরু বঙ্গা) 🌿পাহাড়কে সত্যিই পুজো করা হয় নাকি? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দেবে আর যারা পাহাড় প্রেমী তাদে...
06/07/2025

#পাহাড়_পুজো (বুরু বঙ্গা) 🌿
পাহাড়কে সত্যিই পুজো করা হয় নাকি? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দেবে আর যারা পাহাড় প্রেমী তাদের কাছে এই পূজো কথা শুনলে একবার নিশ্চয়ই যেতে ইচ্ছা করবে।সত্যিই পাহাড় পুজো হয়। আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত জেলা ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এবং ঝাড়খন্ডের চাকুলিয়ার মাঝামাঝি অঞ্চলে অবস্থিত ছোটনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত কানাইসোর পাহাড়ে।

এই পাহাড় পুজো করেন ছোট নাগপুরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা, এই পুজোর কারণ হিসেবে জানা যায় বর্ষাকে আহ্বান করা এবং কৃষি কাজের উন্নতি সাধন।বর্ষার মরসুমে অনাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয় এই সময় আমন ধানের চাষ হয় তাকে রক্ষা করবার জন্য এই প্রকৃতি পুজো।বহু শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোর পুরোহিত(দেহারি) হলেন এখানে বসবাসকারী নায়েকরা। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই পাহাড় পূজো তাদের নয় পুরুষ আগে থেকে তাই বহু শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো আসলে কানাইসোর বাবার পুজো যা থেকে এই পাহাড়ের নাম হয়েছে কানাইসোর, পাহাড়ের উপরে কানাইসোর বাবার পুজো হয়,
। নিচে একটা জাম গাছের নীচে মায়ের পূজো হয়। একটা কালো পাথরকে দেবতা রূপে পুজো করা হয়। স্থানীয় মানুষেরা তাদের পোষা ছাগল, মুরগি, পায়রা, বলি দেয়। আর পোড়ামাটির তৈরি ঘোড়া দান করেন।

ঝাড়খন্ড,পশ্চিমবঙ্গ,ওড়িশার আদিবাসীদের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষেরাও এই মেলায় জমায়েত হন। কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়।আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার এই পুজো হলেও রবিবারও ভক্ত সমাবেশ হয়। আষাঢ়ের বৃষ্টি ভেজা ধানক্ষেত সবুজ জঙ্গল সবুজ পাহাড় হাতছানি দিয়ে ডাকে। আলপথ ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেলার দিকে এগিয়ে যায় সারারাত ধরে সাঁওতাল নাচ হয় এবং বিভিন্ন গান হয়। মেলায় পাওয়া যায় তেলে ভাজা বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি জঙ্গল মহলের ফল কেন্দ, আঁশফল, কাঁঠাল, আম প্রভৃতি।তির ধনুক,লোহার অস্ত্র,আর পাওয়া যায় চিরহল পাতার বড় টুপি যা বর্ষায় ছাতার কাজ করে। দলে দলে মানুষ পাহাড়ে ওঠে বর্ষার পাহাড়ের উপর থেকে জঙ্গলকে দেখতে লাগে পান্নার মতো সবুজ।

প্রকৃতিকে রক্ষা করা,প্রকৃতি পুজোর প্রচলন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আদিবাসী মানুষেরা করে আসছে।বর্ষার বৃষ্টি আর মাঝে মাঝে বাইক থেকে নেমে বড় গাছের নীচে আশ্রয় নেওয়া শালের ঘন জঙ্গল ঘেরা সবুজ পথ প্রকৃতির অমোঘ কোলে থেকে যাওয়া সে সব আলোর দিন তার কাছে ঋণ।

© SANTHAL VOICE

✍️মলয়

puja

ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক SBI এবার দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত করল সাঁও...
05/07/2025

ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক SBI এবার দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত করল সাঁওতালি ভাষা অলচিকি লিপিতে।
এই ঘটনা শুধু একটি ভাষার অন্তর্ভুক্তি নয়, বরং একটি গোটা জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ভারতের ৮ম তফসিলভুক্ত ২২টি ভাষার অন্যতম সাঁওতালি ভাষা। আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর প্রায় কয়েক কোটি মানুষের মাতৃভাষা এটি। এতদিন ধরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অনেক নীতি-নির্ধারণে সাঁওতালি ভাষাকে উপেক্ষা করা হলেও এবার SBI সেই বাধা ভেঙে এগিয়ে এল যা এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।
এটা দেখে আরও সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাঁওতালি ভাষাকে সম্মান জানিয়ে তাদের সিস্টেমে যুক্ত করবে এটা আশা করাই যায় নিঃসন্দেহে।

সাঁওতাল জাতির গর্ব: বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবলার কোহাতি কিসকু! বাংলাদেশের মাটিতে গড়ে উঠেছে এক সাঁওতালি ফুটবল তারকা, যিনি এ...
05/07/2025

সাঁওতাল জাতির গর্ব: বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবলার কোহাতি কিসকু!

বাংলাদেশের মাটিতে গড়ে উঠেছে এক সাঁওতালি ফুটবল তারকা, যিনি একজন দরিদ্র কৃষক পরিবারের কন্যা এখন জাতীয় পর্যায়ে নিজের জাতির মুখ উজ্জ্বল করছেন। তাঁর নাম কোহাতি কিসকু (Kohati Kisku)। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি অসম্ভব টান ছিল কোহাতির। গ্রামের মাঠে খেলা শুরু করেই ধীরে ধীরে পা রেখেছেন বড় মঞ্চে।

আজ তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই নয়, গোটা সাঁওতাল জাতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ। জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করে তিনি প্রমাণ করেছেন—পাহাড়, নদী, বন পেরিয়ে সাঁওতালরাও আন্তর্জাতিক মঞ্চে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে।

কোহাতির সাফল্য শুধু একটি খেলোয়াড়ের জয় নয়—এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের লড়াইয়ের জয়। যেখানে প্রতিদিন সমাজের মূল স্রোত থেকে পিছিয়ে পড়া সাঁওতালরা নানা রকম বঞ্চনার শিকার হন, সেখানে কোহাতির এই অর্জন সাঁওতাল তরুণদের জন্য আলোর দিশা। কোহাতি কিসকু বাংলাদেশের হাজার হাজার আদিবাসী কন্যার কাছে এক প্রেরণার নাম। তার গল্প দেখিয়ে দেয়—একজন মেয়ে, একজন সাঁওতাল, একজন গ্রাম্য পরিবারের সন্তানও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।

জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে কোহাতি কিসকু দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স শুধু বাংলাদেশের জন্য গর্বের, বরং সাঁওতাল সমাজেরও সম্মানের বিষয়। তিনি প্রমাণ করেছেন—অভাব কোন বাধা নয়, ইচ্ছাশক্তি থাকলে সাফল্য নিশ্চিত।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Santhal Voice posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Santhal Voice:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share