25/10/2025
আল্লাহ তাআলা কুরআনে মৌমাছির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন —
> سورة النحل (সূরা নাহল), আয়াত 68-69:
“আর তোমার প্রভু মৌমাছিকে নির্দেশ দিয়েছেন —
‘পর্বত, গাছপালা এবং মানুষের তৈরি উঁচু ঘর-বাড়িতে তুমি বাসা তৈরি করো।
তারপর সব রকম ফল থেকে খাও এবং তোমার প্রভুর নির্ধারিত পথে চলো।’
তাদের পেট থেকে বের হয় এক পানীয় (মধু), যা নানা বর্ণের।
এতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য।”
🔹 এখানে আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে,
মৌমাছি “মানুষের ঘরেও” চাক (বাসা) তৈরি করে — অর্থাৎ এটা আল্লাহর নির্দেশিত স্বাভাবিক প্রকৃতি।
এটা কোনো “অলৌকিক” বা “অশুভ” বিষয় নয়।
বরং এটি আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শন ও বরকতের একটি দিক।
🌺 হাদীসের আলোকে:
যদিও সরাসরি মৌমাছি ঘরে চাক বানানো নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট হাদীস নেই, তবে রাসূলুল্লাহ ﷺ মৌমাছিকে অত্যন্ত বরকতময় ও দৃষ্টান্তযোগ্য প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
🔹 রাসূল ﷺ বলেন —
“মুমিন ব্যক্তির দৃষ্টান্ত মৌমাছির মতো।
সে যা খায় তা পবিত্র, যা উৎপন্ন করে তা পবিত্র,
যেখানে বসে তাও নষ্ট করে না।”
(মুসনাদে আহমদ, হাদীস: ২৩৬৩০)
🪶 অর্থাৎ, মৌমাছি পবিত্রতা, উপকারিতা ও বরকতের প্রতীক।
🌿 ইসলামিক ব্যাখ্যা ও তাৎপর্য:
1. আল্লাহর রহমতের নিদর্শন:
মৌমাছি ঘরে চাক বানালে এটা আল্লাহর সৃষ্টি ও রহমতের চিহ্ন হতে পারে।
কারণ তাদের পেট থেকে যে মধু বের হয় তা “মানুষের জন্য ওষুধ” বলা হয়েছে।
2. অশুভ নয়:
ইসলামে মৌমাছি বা মৌচাককে অশুভ, অমঙ্গল বা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ বলা হয়নি।
বরং এদের ক্ষতি করা নিষেধ — তারা নির্দোষ এবং উপকারী প্রাণী।
3. প্রকৃতির ভারসাম্য ও বরকত:
ঘরে মৌচাক তৈরি মানে আশেপাশের পরিবেশে পরাগায়ন (pollination) হচ্ছে,
যা ফসল ও ফুলের বৃদ্ধি ঘটায় — এটিও আল্লাহর এক নিয়ামত।
📖 সারসংক্ষেপ:
> 🐝 মৌচাক মানুষের ঘরে বানানো কোনো “অলৌকিক বা অমঙ্গল” নয়,
বরং এটা আল্লাহর নির্দেশিত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া (সূরা নাহল 68-69)।
এটা হতে পারে আল্লাহর বরকতের নিদর্শন,
কারণ মৌমাছি ও তার মধু — উভয়ই কুরআনে “আরোগ্য ও রহমত”-এর প্রতীক।