14/04/2024
নববর্ষ উদযাপন মূলত সূর্যপুজারী ও প্রকৃতিপুজারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অনুসরণ ছাড়া আর কিছুই না ।
সূর্য ও প্রকৃতি পুজা এটা নতুন কিছু না এর ইতিহাস অনেক পুরাতন অনেক প্রাচীন । “অ্যাটোনিসম” মতবাদে সূর্যের উপাসনা ছিল, এটা সেই খ্রিষ্টপূর্ব ১৪ শতকে মিশরীয়দের ইতিহাস থেকে জানা যায় ।
আপনি সূর্য পূজারীদের খুঁজে পাবেন ইন্দো-ইউরোপীয় এবং মেসো-আমেরিকান সংস্কৃতিতেও ।
নতুন বছরকে উদযাপন করতে গ্রীষ্মের শুরুতে সূর্যকে স্বাগত জানাতে সৌর নৃত্য এবং বিভিন্ন রকম পূজা করত ১৯ শতাব্দীর উত্তর-আমেরিকার কিছু সম্প্রদায় ।
আর পবিত্র কুরআনে তো এসেছে সাবা সম্প্রদায়ের কথা যারা সূর্যের পুজা করত। হুদহুদ পাখি এসে সুলায়মান আঃ কে বলল,
وَجَدتُّهَا وَقَوْمَهَا يَسْجُدُونَ لِلشَّمْسِ مِن دُونِ "
اللَّهِ" وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ
আমি তাকে ও তার জাতিকে দেখেছি, তারা আল্লাহকে ছেড়ে সূর্যকে সিজদা করছে এবং শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের জন্য শোভনীয় করেছে” (সূরা আল নামল, ২৭:২৪)
নব বৈশাখে মঙ্গল কামনায় সূর্যকে স্বাগত জানানো, কুরআনে বর্ণিত সাবা সম্প্রদায়ের সূর্যকে সিজদা করার ঘটনা, ১৪ খ্রিস্টাব্দের অ্যাটনিসম মতবাদী বিশ্বাসী মিশরীদের সৌর পূজা আর উত্তর আমেরিকার আদিবাসীদের সৌর নৃত্য, এ সবগুলোর চেতনা ও বিশ্বাসগত ভিত্তি একই ।
আর কিছুই না, আল্লাহর দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে কৌশলে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মোড়কে মানুষের বানানো কিছু মূর্তির কাছে মঙ্গল প্রার্থনার নামে আল্লাহর সাথে ভয়ানক শিরকে অজ্ঞ মুসলিমদেরকে জড়ানো । শিরক এক ভয়ানক পাপ, আল্লাহ আর সব গুনাহ ক্ষমা করলেও তওবা না করা পর্যন্ত শিরকের গুনাহ ক্ষমা করবেন না এবং তাদের স্থান জাহান্নাম এতে কোন সন্দেহ নেই ।
রবি ঠাকুরের যে ধর্মীয় বিশ্বাস সে বিশ্বাস থেকে তিনি বৈশাখ কবিতায় রুদ্র বৈশাখের কাছে বিষয় আর মিনতি নিয়ে অনেক কিছু চাইতেই পারেন। মানুষের তৈরি বিভিন্ন মাটির দেবদেবীর কাছে প্রার্থনা করা এটাই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সে বিশ্বাস থেকে তার জায়গায় তিনি ঠিক আছেন ।
যদি আপনি দাবি করেন যে আপনি মুসলিম, তবে নববর্ষ উদযাপনের নামে মানুষের তৈরি হুতুম পেঁচা আর আর সব বানানো পশু পাখির কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করতে পারেন না । এটা আল্লাহর সাথে ভয়াবহ জুলুম, এক ভয়াবহ রকমের শিরক । এখানে সংস্কৃতি, চেতনা আর প্রগতির নামে তেনা পেঁচিয়ে মুসলিমদের মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের যুক্তি দাড় করানোর কোন সুযোগ নেই ।
"নিশ্চয়ই যে কেউই আল্লাহর অংশীদার স্থির করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন, আর তার বাসস্থান হবে অগ্নি এবং যালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই’ [আল-মায়েদা: ৫/৭২] "
Collected from Abu hassan Abu Hasan Himel Bhai's wall.