GPM news

GPM news gpm.news is a online news publisher.

07/09/2025

ইসলামী আন্দোলনের ফেসবুক পেজের ফলোয়ার মাত্র ১. ৪ মিলিয়ন! অর্থাৎ এতো বড় সংগঠনের ফলোয়ার মাত্র ১৫ লাখেরও কম?!

ইসলামী আন্দোলনে নেতারা টক'শোয় নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন না কেনো?জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, তিন দশ...
01/09/2025

ইসলামী আন্দোলনে নেতারা টক'শোয় নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন না কেনো?

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, তিন দশকের আলোচিত রাজনৈতিক দল। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো টেলিভিশন টকশোতে দলটির নেতাদের অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। তবে এই আলোচকদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে একটি ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে ওঠে- তাদের মধ্যে বাকপটু আলোচকের অভাব রয়েছে। তারা প্রায় কেউই দলীয় ন্যারেটিভ বা দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে পারেন না। দলের অর্জন, সংগ্রাম, কিংবা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হোচট খান, ভুলে যান, বিভ্রান্তি তৈরি করেন। এতে স্পষ্ট হয়, তাদের হাতে যথাযথ তথ্য উপাত্ত থাকেনা বা তারা সেগুলোকে শাণিত ভাবে উপস্থাপনের কৌশল জানেন না।

বাংলাদেশে অনেক ধর্মীয় বক্তা রয়েছেন, যারা গভীরভাবে কোরআন-হাদীসের আলোচনা করতে পারেন না। ওয়াজের স্টেজে আগডুম বাগডুম কথা পেঁচিয়ে সময় পার করেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের মধ্যেও এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তারা রাষ্ট্র, অর্থনীতি, বিদেশনীতি বা সমসাময়িক ঘটনাবলি নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করতে পারেন না। এমনকি তারা নিজ দলের অবস্থানকে জনগণের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ হন। এই ঘাটতি দলটির ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ইসলামী আন্দোলনের উচিত, যেসব নেতারা টকশোয়, মিডিয়ায় বা মঞ্চে কথা বলেন, তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ও দলীয় কমন বার্তাগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এই প্রশিক্ষণে নেতাদের বুঝিয়ে দিতে হবে, দলের নির্দিষ্ট কিছু কমন বার্তা ও অর্জন আছে- যা যেকোনো আলোচনার মাঝে স্বাভাবিকভাবে তুলে ধরতে হবে। বারবার বলতে হবে, প্রতিদিন বলতে হবে, সবাই একযোগে বলতে হবে। যেমন, ২৪শে ইসলামী আন্দোলনের ঐতিহাসিক ভূমিকা, যেখানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হলে একমাত্র এই দলটিকে নিষিদ্ধ করা হতো। ছাত্র নেতাদের সাথে এই দলের প্রধান দুই নেতাকে ফাঁসি দেয়া হতো।

গত ১৫ বছরে দলটি কোথায়, কখন, কী প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তা তুলে ধরতে হবে। কতজন নেতাকর্মী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গ্রেপ্তার, আহত বা নিহত হয়েছে, তা তুলে ধরতে হবে। দলের আর্থিক অবস্থা তুলে ধরতে হবে। দলের নারীচিন্তা তুলে ধরতে হবে। ইসলামী আন্দোলন ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ ধারণ করে রাজনীতি করে, এ কথা বারবার বলতে হবে।

কোন জেলায়, কী ধরনের জনসেবামূলক কাজ করেছে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা, তা তুলে ধরতে হবে। এসব তথ্য যদি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে জনগণের মধ্যে একটি বাস্তবভিত্তিক দলীয় চিত্র তৈরি হবে। যা একটি রাজনৈতিক দলের জন্য খুব প্রয়োজন।

প্রতিটি আলোচনায় কৌশলগতভাবে এসব বার্তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বক্তা যেকোনো প্রসঙ্গে কথা বলুক, তার মধ্যে দলের অবস্থান ও ইতিহাসের প্রতিফলন থাকতে হবে। এর জন্য দলীয়ভাবে কিছু কমন বিষয় নির্ধারণ করে নিতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- জাতীয় রাজনীতি থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখা যাবে না। সকল জাতীয় নেতার ভাষায় জাতীয় রাজনীতির প্রতিচ্ছবি থাকতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের নেতারা যেনো রাষ্ট্র, শাসনব্যবস্থা, দুর্নীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ে ওজনদার বক্তব্য রাখতে পারেন- প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হলেও সে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

তিন দশকের একটি সংগঠন হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এখন রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। গণমাধ্যমে কথা বলার সুযোগ যেমন বেড়েছে, দলটির উপর জনগণের প্রত্যাশাও বেড়েছে। এই মুহূর্তে দলটির প্রয়োজন- সাংগঠনিক বার্তার প্যাকেজ, তথ্যভিত্তিক বক্তব্য এবং রাজনৈতিক পরিণতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা। বিরোধীপক্ষের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পড়তে শেখা।

একটি আদর্শিক দল হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের উচিত হবে, জনমানসে নিজেদের অবস্থান আরও সুস্পষ্ট, গ্রহণযোগ্য ও প্রাসঙ্গিক করে তোলা। তাহলে আদর্শ, নেতৃত্ব ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দলটি আগামীতে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে আরও দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিতে পারবে, প্রাসঙ্গিক থাকবে।

ভেনিসের রাস্তায় ইসরাইলি যুদ্ধ ও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের বিক্ষোভজিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:রোববার বিকেলে যুদ্ধ ও বর্ণবাদ বির...
24/08/2025

ভেনিসের রাস্তায় ইসরাইলি যুদ্ধ ও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের বিক্ষোভ

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

রোববার বিকেলে যুদ্ধ ও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে ইতালির ভেনিসের স্ত্রাদা নুওভায় অনুষ্ঠিত হয় এক বিক্ষোভ সমাবেশ। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন, রুদ্ধ মানবিক সাহায্য প্রবাহ এবং দুর্ভিক্ষে শিশুদের করুণ মৃত্যুর প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, শান্তিকামী নাগরিক এবং অভিবাসী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, আমরা লজ্জিত- ২০২৫ সালের এই আধুনিক সভ্যতায় এমন বর্বরতা চলছে, যেখানে শিশুরা খাবার না পেয়ে মরছে, আর বিশ্ব বসে বসে দেখছে!

বক্তারা বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যার সরকার ইসরাইলের উপর কোনো কার্যকর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে না। নাগরিক হিসেবে এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

সমাবেশ থেকে বক্তারা জানান, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যতই প্রতিবাদ হোক, যতই কথা বলা হোক- ইউরোপের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো নীরব। এই নীরবতা শুধু হতাশাজনক নয়, এটি মানবতা বিরোধীও বটে।

বিক্ষোভ থেকে ইসরাইলি সকল পণ্য এবং যুদ্ধ অর্থায়নে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পন্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়। উপস্থিত মানুষের মাঝে বয়কট আই.ও (Boycott.io) নামের একটি অ্যাপের লিফলেট বিতরণ করা হয়, যা থেকে ইসরাইলি পণ্য ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তথ্য জানা যায়।

আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন- যতদিন গাজায় আগ্রাসন চলবে, যতদিন একটি শিশুও ক্ষুধায় মারা যাবে, ততদিন এই বিক্ষোভ থামবে না।

সমাবেশে উপস্থিত বহু মানুষ প্যালেস্টাইনের পতাকা হাতে, গলায় ঐতিহ্যবাহী কুফিয়া রুমাল বেঁধে সংহতি প্রকাশ করেন। কারও হাতে ছিলো গাজার ধ্বংসস্তূপের ছবি। মৃতপ্রায় শিশুর ছবি। যা যেকোনো সচেতন মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়।

উল্লেখযোগ্য ছিলো শত শত পর্যটকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। তারা করতালি দিয়ে সংহতি জানান।

সমাবেশের আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যত বিক্ষোভের সময় ও স্থান জানতে আন্দোলনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজ অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

গাজার দিকে বাড়ানো প্রতিটি করতালি, প্রতিটি পোস্টার, প্রতিটি অশ্রু যেন পৃথিবীর বিবেককে নাড়িয়ে দেওয়ার এক নীরব চিৎকার। ভেনিসের বাতাসে রোববার বিকেলে যেন ভেসে বেড়াচ্ছিল গাজার শিশুদের কান্না- আর তার জবাবে একদল মানুষের প্রতিজ্ঞা, আমরা নীরব থাকবো না।

ঢাবিতে ইসলামপন্থী ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্র আন্দোলনের অবদানজিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:বাংলাদেশের দ্বিতীয় পার্লামেন্ট খ্যাত ডাক...
24/08/2025

ঢাবিতে ইসলামপন্থী ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্র আন্দোলনের অবদান

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের দ্বিতীয় পার্লামেন্ট খ্যাত ডাকসু নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু না হলেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহপর্ব থেকেই সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রচারে স্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে- সংবাদমাধ্যমগুলো অত্যন্ত ক্ষুদ্র বাম ছাত্র সংগঠনগুলোকে (অতীতের মতো করে) যতটা কাভারেজ দিচ্ছে, সেই তুলনায় ইসলামপন্থীদের প্রায় ব্ল্যাকআউট করে রেখেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ইসলামপন্থী ছাত্র রাজনীতি অবৈধ উপায়ে নিষিদ্ধ ছিলো। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণ- ওই অন্যায্য নিষিদ্ধের শেকল ভেঙে দেয়। যদিও তখন সংগঠনটিকে প্রচণ্ড চাপ, ষড়যন্ত্র ও নেতিবাচক ট্যাগিং মোকাবেলা করতে হয়।

আজ ছাত্রশিবিরসহ যেসব ইসলামপন্থী সংগঠন ঢাবিতে প্রকাশ্য রাজনীতি করছে, তার পেছনে ছাত্র আন্দোলনের অবদান সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামপন্থী ছাত্র রাজনীতিকে অকল্পনীয় মনে করা হতো। সেই বিশ্বাস ভেঙে সেখানে একটি উর্বর রাজনৈতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলেছে ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি আকারে ছোট হলেও- আদর্শ, নীতি ও নৈতিকতার দিক থেকে এর সমকক্ষ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশে বিরল।

প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাপক সম্ভাবনাময় সংগঠনটি কি করছে? গণমাধ্যমে কাভারেজ না পেলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের প্রচার এতো সীমিত কেনো? দুর্বল কেনো? অগোছালো কেনো? বুদ্ধিবৃত্তিক নয় কেনো? ছাত্র আন্দোলনের প্রচারে নতুনত্ব, সৃষ্টিশীলতা বা আকর্ষণীয় কোনো ন্যারেটিভ কেনো নেই?

হতে পারে ছাত্র সংগঠনটি আর্থিক সংকটে ভুগছে। সে ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন কি করছে? তারা কেনো ছাত্র সংগঠনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা/ফান্ড দিচ্ছে না?

ডাকসু নির্বাচনের গুরুত্ব খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বহু যুগান্তকারী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। সামরিক শাসনের প্রতিবাদ থেকে শুরু করে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো- সব কিছুতেই ঢাবির ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এই নির্বাচন কেবল ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক নয়; এটি জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাবশালী।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেও ডাকসু নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই নির্বাচনে কোন সংগঠন কতটা সৃষ্টিশীলতা, সুস্থ আধুনিকতা ও রাজনৈতিক মুন্সিয়ানা দেখাতে পারে- তা শহরের ভোটারদের মনোজগতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। সুতরাং ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। প্রচার কৌশলে মৌলিকত্ব আনা জরুরী। সোশ্যাল মিডিয়া ষোল আনা ব্যবহার করা দরকার। ডাকসু নির্বাচনী প্রচারণাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে- যাতে জাতীয় নির্বাচনেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ছাত্র আন্দোলনের ২২ আগস্টের ছাত্র সমাবেশ 'ডাকসু নির্বাচনময়' হওয়া উচিত ছিলো।

পিআর নির্বাচন করতে হলে ইসলামপন্থীদের যা করতে হবেজিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে, তারা প্রোপোরশনা...
20/08/2025

পিআর নির্বাচন করতে হলে ইসলামপন্থীদের যা করতে হবে

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে, তারা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে ছাড় দেবে না। দলটি ১৯ আগস্ট, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে ঘোষণা করে, জুলাই শহীদদের রক্তের দাবি পূরণ করতেই আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।

এই দাবির বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশ, জনমত গঠন, প্রচারপত্র বিলিসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম।

এই ঘোষণার মাধ্যমে দলটি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, তারা পিআর নির্বাচনের প্রশ্নে কোনো আপস করবে না। কিন্তু পিআর দাবি আদায় করতে হলে- সারাদেশে পিআর কে গণদাবিতে পরিণত করতে হবে। পিআর নির্বাচন কেনো দরকার- সহজ ভাষায় জনগণকে বোঝাতে হবে। এর জন্য ইসলামী আন্দোলনকে কিছু শক্তিশালী ও ধারাবাহিক বয়ান তৈরি করতে হবে। সেগুলো প্রতিদিন বলতে হবে। বারবার বলতে হবে। সারাদেশে একসাথে বলতে হবে। যতক্ষণ পিআর গণদাবীতে পরিণত না হবে, ততক্ষণ বলতে হবে।

নিচে কিছু নমুনা দেয়া হলো-

যারা পিআর চায় না, তারা-

রাজনীতিতে ন্যায়সঙ্গত নতুন বন্দোবস্ত চায় না।

দেশের প্রতিটি ভোটারের ভোটের সমান মূল্যায়ন চায় না।

চাঁদাবাজি ও মনোনয়ন বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে চায়।

জুলাইয়ের চেতনা ও শহীদদের রক্তের প্রতি অসম্মান দেখায়।

জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় যেতে চায়।

পেশি শক্তি ও কালো টাকায় নির্বাচন চালাতে চায়।

ভোট ডাকাতিকে রাজনীতির অংশ মনে করে।

চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অধিকার কেড়ে নিতে চায়।

এলাকার উন্নয়নের টাকা এমপিদের মাধ্যমে লুটপাট করতে চায়।

প্রকৃত দেশপ্রেমিক নয়।

দুর্নীতি চায়, সুশাসন চায় না।

নারীর অধিকার নিয়ে ছলচাতুরি করে।

এই ধরনের সহজ, স্পষ্ট ও যুক্তিসঙ্গত বয়ান প্রতিনিয়ত চা'র দোকান থেকে সচিবালয় পর্যন্ত সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। অনলাইনে, অফলাইনে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গণমাধ্যমে এসব বার্তা প্রতিদিন বারবার তুলে ধরতে হবে।

যেকোনো উপায়ে পিআরকে জনগণের আলোচনার কেন্দ্রে রাখতে হবে। নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও সমতার পক্ষে বয়ান বানাতে হবে।

কারো ভোট পচবে না- পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না!

বিশ্বের একানব্বই দেশে পিআর ভোট- বাংলাদেশে নয় কেনো?

দেশের ৭১% মানুষ পিআর চায়- বিএনপি চায় না কেনো?

পিআর দাবি মেনে নাও- নইলে গণভোট দাও!

সবার ভোট সমান- কেনো চান না তারেক রহমান!

১০% ভোটে কেনো ৯০% ক্ষমতা? পিআর চাই, ন্যায্যতা চাই।

বৈষম্যহীন ভোট চাই- পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই!

যার ভোট যত- তার আসন তত!

মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করো- পিআর পদ্ধতির ভোট করো!

ভোটের ন্যায্যতা পিআরে, দেশ গড়বো শেয়ারে!

ভোট চুরি বন্ধ চাই- পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই!

ভোট চাই পিআরে, ভালোবাসি- আবু সাঈদ মুগ্ধরে!

সব ভোটের মূল্যায়ন- পিআর'ই উন্নয়ন!

পিআর মানে পেশি নয়, গণরায়, গনরায়!

পিআর মানে টাকা নয়, কারো ভোট পঁচা নয়!

ভোটের অধিকার রক্ষা করো- পিআর পদ্ধতির নির্বাচন কারো!

শ্রমিক কৃষক ছাত্র ভাই- আমরা সবাই পিআর চাই!

প্রবাস থেকে প্রবাসী ভাই- পিআর পদ্ধতির ভোট চাই!

পিআর মানে- দুর্নীতির গলা টিপে ধরা!

পিআর মানে- মনোনয়ন বাণিজ্যের মৃত্যু!

পিআর মানে- সবার মতামতের মূল্যায়ন!

দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতির একটাই সমাধান- পিআর!

পিআর এলে নির্বাচনে- কালো টাকা, পেশি শক্তি আর ভোট ডাকাত যাবে নির্বাসনে!

জুলাই শহীদদের স্বপ্ন পূরণ- পিআর পদ্ধতির নির্বাচন!

যারা পিআর চায় না, তারা শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করে!

পিআর মানে- নারীর প্রকৃত অংশগ্রহণ এবং মূল্যায়ন।

শ্রমিক কৃষক রিক্সাওয়ালাসহ দেশের সব মানুষের কণ্ঠস্বর সংসদে পৌঁছানোর একমাত্র পথ- পিআর!

বিচার চাইলে, সংস্কার চাইলে- পিআর ছাড়া উপায় নেই!

মোদ্দা কথা- পিআরকে এমন একটি ইস্যু বানাতে হবে, যেটা নিয়ে মানুষ সবখানে আলোচনা করবে। এ বিষয়ে জনমানসে যেসব প্রশ্ন তৈরি হবে, হচ্ছে- সেগুলোর সহজ ও তথ্যভিত্তিক উত্তর প্রতিনিয়ত দিতে হবে। পিআর বিরোধীদের প্রতিটা কথার যুক্তিসঙ্গত, সহজ উত্তর দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর হ্যাশট্যাগ করতে হবে। বাংলায়, ইংলিশে প্রচুর ফটো কার্ড বানাতে হবে।

ধারাবাহিক ভাবে কাজটি করতে পারলে সরকার ও বিএনপি'র উপর জনচাপ তৈরি হবে। যা পিআর নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়ন সহজ করবে। তবে মনে রাখতে হবে, পিআর দাবি এবং ইসলামপন্থীদের নির্বাচনী প্রচার প্যারালাল করতে হবে। দুইটাকে সম্পূরক/প্যাকেজ বানাতে হবে। একটার জন্য যেনো অন্যটা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার প্রস্তুতি, বৈধতার পথ এবং বাস্তবতাজিপিএম নিউজ প্রতিবেদক: প্রতি বছর বাংলাদেশ থে...
14/08/2025

বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার প্রস্তুতি, বৈধতার পথ এবং বাস্তবতা

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ উন্নত জীবনের আশায় ইতালি পাড়ি জমান। অনেকে বৈধ উপায়ে গিয়ে সফলভাবে কাজ করছেন, কেউ কেউ অবৈধ পথে গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সুতরাং সঠিক প্রস্তুতি ও বৈধ পদ্ধতি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইতালিতে আসার আগে একজন শ্রমিকের যা জানা প্রয়োজন-

পাসপোর্ট ও কাগজপত্র:

কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদের পাসপোর্ট।

ভাষার জ্ঞান:

মৌলিক ইতালিয়ান ভাষা (A1 লেভেল) শিখে আসা উচিত। অনলাইনে ফ্রি এবং সহজ ইতালিয়ান ভাষার কোর্স (ভিডিও ভিত্তিক) পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দেয়া হলো-

Cursa অ্যাপ – "Italian for Beginners"

Alison – "Easy Italian for Beginners and Intermediates"

ItalianVirtualSchool – YouTube Video Course for Beginners.

Duolingo – গেমিফাইড, ইন্টারেক্টিভ ফ্রি ভাষা শেখার প্ল্যাটফর্ম।

Busuu, Memrise, Drops – প্রতিদিন খুব কম সময় ব্যয় করে ভাষা শেখার জন্য ভালো।

Open University – ইটালিয়ান বিষয়ক ফ্রি কোর্স পাওয়া যায়।

পেশাগত প্রস্তুতি:

কৃষি, নির্মাণ, রেস্টুরেন্ট, টেকনিক্যাল বা পরিচর্যাসহ যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে- সেগুলোর প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করা দরকার। মনে রাখতে হবে- পৃথিবীতে নন স্কিল শ্রমিকের চাহিদা প্রতিদিন কমে যাচ্ছে।

চাকরির কাগজপত্র যাচাই:

নিয়োগদাতা বা এজেন্সির দেওয়া চুক্তিপত্র সঠিকভাবে যাচাই করা এবং প্রতারক থেকে সতর্ক থাকা জরুরি।

Decreto Flussi (দেকরেতো ফ্লুসি) :

ইতালি সরকার প্রতি বছর বিদেশি শ্রমিকদের জন্য কোটা নির্ধারণ করে। এতে কৃষি, নির্মাণ, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন খাতে কাজের সুযোগ দেয়া হয়।

Decreto Flussi তে সাধারণত দুই প্রকারের শ্রমিক আমদানি করা হয়। এক, সিজনাল শ্রমিক। দুই, নন সিজনাল শ্রমিক।

সিজনাল (স্তাজোনালে) শ্রমিকদের জন্য ৬ থেকে ৯ মাসের ভিসা দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত যেতে হয়। যদি কেউ ফেরত না যায়- তার ভিসার মেয়াদ শেষ হলে অবৈধ বসবাসকারী হিসাবে গণ্য হয়।

নন সিজনাল (নন স্তাজোনালে বা সুবেরদিনাতো) ভিসার শ্রমিকরা স্থায়ীভাবে বসবাস এবং চাকরি করতে পারে। প্রাথমিকভাবে তাদের দুই বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিট বা 'পেরমেচ্ছো দি সোজরণো' দেয়া হয়। তারা চাকরি কন্টিনিউ করলে এবং কোনো অপরাধে না জড়ালে- সহজেই ডকুমেন্ট নবায়ন করা হয়।

দেকরেতো ফ্লুসির মাধ্যমে শ্রমিক আমদানির জন্য ইতালির নিয়োগদাতাকে সরকারের নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হয়। এই আবেদনের জন্য নিয়োগদাতার খরচ হয় ১৬ ইউরো।

নিয়োগদাতার আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর সরকার নূল্যা অস্তা (Nulla Osta) বা এনওসি দেয়। সেটা নিয়ে নিজ দেশের ইতালীয় ভিসা অফিসে জমা দিলে ভিসা পাওয়া যায়।

এই প্রক্রিয়া অনেকটা লটারির মতো। কারণ, সরকার হয়তো বাংলাদেশের জন্য তিন হাজার শ্রমিকের কোটা ঘোষণা করে, বিপরীতে হাজার হাজার আবেদন জমা হয়।

অবৈধভাবে ইতালিতে থাকা শ্রমিকদের বাস্তবতা:

চুক্তিপত্র ছাড়া অস্থায়ী ও কম পারিশ্রমিকের কাজ করতে হয়, তাও জোগাড় করা অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে হকারী করে জীবন যাপন করতে হয়, যা ইতালিয় আইনে অবৈধ। পুলিশের কাছে ধরা পড়লে আইনি জটিলতায় পড়তে হয়।

অবৈধ বসবাসকারীরা সরকারের স্বাস্থ্যসেবা ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।

পুলিশি তল্লাশি ও ডিপোর্টের ভয়ে থাকতে হয়। তবে কোনো ক্রাইম না করলে- সাধারণত ইতালি থেকে অবৈধ বসবাসকারীদের ফেরত পাঠানো হয় না।

ইতালিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ শুধুমাত্র সরকারের মর্জির উপর নির্ভর করে। সাধারণত দুই পাঁচ বছর অন্তর সরকার কিছু শর্তসাপেক্ষে অবৈধ বসবাসকারীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেয়।

তথ্য ও সহায়তার জন্য নিচে ওয়েবসাইট/ভিডিও লিংক দেয়া হলো-

https://www.interno.gov.it – ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
https://www.bdembassyrome.gov.bd – বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম।

https://eures.europa.eu – ইউরোপিয়ান শ্রম বাজারের তথ্য।

ইউটিউব চ্যানেল ও ভিডিও-

Decreto Flussi Italy – ইউটিউবে অনেক বাংলা ভাষায় গাইড রয়েছে।

How to go Italy legally from Bangladesh – বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতির উপর ভিডিও পাওয়া যায়।

ইতালিতে বৈধ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চাইলে- প্রস্তুতি, সতর্কতা এবং সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। অবৈধভাবে গেলে দীর্ঘমেয়াদে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

Sicurezza, Immigrazione e asilo, Territorio, Cittadinanza e altri diritti civili, Elezioni e referendum, Prevenzione e soccorso

ভেনিসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমাবেশ জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:শনিবার ইতালির ভেনিসে পিয়াচ্ছাসালে রোমার বিখ্যাত কালাত্রাপা ব্রিজে...
02/08/2025

ভেনিসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমাবেশ

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

শনিবার ইতালির ভেনিসে পিয়াচ্ছাসালে রোমার বিখ্যাত কালাত্রাপা ব্রিজের ওপর অনুষ্ঠিত হয় এক হৃদয়ছোঁয়া বিক্ষোভ সমাবেশ। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে কয়েকশো স্থানীয় মানুষ অংশ নেন। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো, "গাজা মুক্ত করে দাও", "ইসরায়েল বয়কট কর", "গণহত্যা বন্ধ করো", "গাজায় শিশুদের জীবন রক্ষা করো" ইত্যাদি।

বিক্ষোভকারীরা শুধু স্লোগানেই থেমে থাকেননি, হাড়ি-পাতিলসহ কিচেনের সামগ্রী নিয়ে গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষের প্রতিবাদ জানান। অনেকের হাতে ছিলো গাজায় ইসরায়েলি হামলার নির্মম চিত্র- যা দেখে সহজেই বোঝা যায়, মানবতা আজ কতটা বিপন্ন।

সমাবেশ থেকে কঠোর সমালোচনা করা হয় ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির। প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়, "গাজায় শিশুরা না খেয়ে মরছে, আপনি ঘুমাচ্ছেন কীভাবে?"

ব্রিজের ওপরে যখন সমাবেশ চলছিলো, নিচে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো নৌযান। ওপরে উড়ছিলো ফিলিস্তিনের পতাকা। পুরো দৃশ্যটি মানবতার পক্ষে এক শক্তিশালী বার্তা বহন করে। আর তা হলো- বিশ্ব মানবতা এখনও বেঁচে আছে। পর্যটকরাও এই দৃশ্য উপভোগ করেন। ক্যামেরাবন্দি করেন এবং অনেকেই একাত্মতা ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশে ‘দক্ষিণপন্থা’ বিতর্ক: রাজনীতিতে আদর্শের সংঘাতজিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ‘দক...
29/07/2025

বাংলাদেশে ‘দক্ষিণপন্থা’ বিতর্ক: রাজনীতিতে আদর্শের সংঘাত

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ‘দক্ষিণপন্থী রাজনীতি’ নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি সাক্ষাৎকারকে ঘিরে এই বিতর্ক নতুন করে উত্থাপিত হয়েছে। যদিও সাক্ষাৎকারে তিনি ‘দক্ষিণপন্থী’ শব্দটি ব্যবহার করেননি, তবুও পত্রিকাটি শিরোনামে উল্লেখ করেছে- বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থার উত্থানে শঙ্কিত।

প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক নিয়াজ মাহমুদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি করছেন, তিনি এক কলামে বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে, 'দক্ষিণপন্থা' বলতে ইঙ্গিত করা হয়েছে ইসলামপন্থী রাজনীতির প্রতি। তিনি লেখেন, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব গণতন্ত্রের জন্য আশঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। অর্থাৎ, ইসলামী মূল্যবোধ নির্ভর রাজনীতিকে তিনি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা হিসেবে বিবেচনা করছেন।

গতকাল ঢাকার একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের টকশোতে ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক বলেন, “দক্ষিণপন্থী বলতে আপনারা কি বোঝাতে চান? বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, উত্তরে হিমালয়- আপনারা কি দেশের রাজনীতিকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে চান?

তিনি বলেন, সমস্যা দক্ষিণ বা উত্তরের রাজনীতিতে নয়, সমস্যা পশ্চিমের রাজনীতিতে। বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনায় পশ্চিমা নীতি আদর্শ কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।

এই বক্তব্যের ভেতর দিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন সামনে আসে- কোন আদর্শে পরিচালিত হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি?

এখানে কেউ কেউ মনে করেন, ইসলামপন্থা রাজনীতিতে থাকাটা শুধু যুক্তিসঙ্গতই নয়, বরং অপরিহার্য। কারণ রাজনীতির মেরুদণ্ড হওয়া উচিত নৈতিকতা, সততা এবং আদর্শ। ইসলামি রাজনীতি সেই মূল্যবোধকে ধারণ করে। যারা ইসলামী রাজনীতিকে পেছনে ফেলতে চান, তারা হয়তো এই নৈতিক দিকটি উপেক্ষা করছেন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, "আর এইভাবে আমি তোমাদেরকে করেছিলাম একটি মধ্যপন্থী জাতি, যাতে তোমরা মানুষের উপর সাক্ষী হও এবং রসূল তোমাদের উপর সাক্ষী হন।” (সূরা আল-বাকারা ২:১৪৩)

এই আয়াতে মুসলমানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে- ভারসাম্যপূর্ণ, ন্যায়ের পক্ষে থাকা একটি অবস্থান গ্রহণের জন্য।

সুতরাং ইসলামপন্থার উপস্থিতিকে 'দক্ষিণপন্থা' বলে ট্যাগিং করা ভয়ংকর ক্ষতির বার্তা বহন করে। জাতির মগজে পচন ধরার আশঙ্কা সৃষ্টি করে। যারা এগুলো করে তারা প্রচ্ছন্নভাবে ইসলাম বিদ্বেষ লালন করে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রকৃত 'মধ্যপন্থা'র অনুসরণ করে ইসলামপন্থীরা, যা ন্যায়ের সপক্ষে সাক্ষ্য দেয়। এর অনুপস্থিতিই বরং রাজনীতিকে পচনের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যেমনটি ঘটেছে বহু পশ্চিমা রাষ্ট্রে। যেখানে নৈতিকতা ও আদর্শের চর্চা বিলুপ্তপ্রায়।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে ইসলামপন্থী আদর্শ ও চিন্তা-ভাবনা নিয়ে যে উস্কানি দেয়া হচ্ছে, তা ভবিষ্যতের পথচলায় একটি বড় ধরণের আদর্শিক দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দেয়। তবে এই বিতর্ক থেকে যদি একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং সংবেদনশীল জাতীয় চেতনা তৈরি হয়, তবে সেটা হতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিকচিহ্ন।

ইউনুস সরকারের এজেন্ডা: গাদ্দারির এক নির্মম দলিলজিপিএম নিউজ প্রতিবেদক: স্কুলের উপর প্লেন ভেঙে পড়া, পাথর দিয়ে মানুষ হত্য...
26/07/2025

ইউনুস সরকারের এজেন্ডা: গাদ্দারির এক নির্মম দলিল

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

স্কুলের উপর প্লেন ভেঙে পড়া, পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা, এসব কিছুই নিছক দুর্ঘটনা নয়। এগুলো ঘটানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। প্রতিটি ঘটনার পেছনে আছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দুরভিসন্ধি।

প্রশ্ন উঠেছে- ইউনুস সরকার এ পর্যন্ত দেশের জন্য কী করেছে?

নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর হতে পারেনি। নির্বাচনের কোনো বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি হয়নি। টাকা পাচার রোধ তো দূরের কথা, পাচার হওয়া একটি টাকাও দেশে ফেরত আনতে পারেনি। একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।

ভারত সীমান্তে পুশব্যাক, গুলিবর্ষণ, হত্যার ঘটনা নিয়মিত হলেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা একেবারেই জবুথবু। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা নিহত বা আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারগুলোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি হতাহতদের সঠিক তালিকাও সরকার দিতে পারেনি।

‘জুলাই জাদুঘর’ গঠনের কথা বহুবার শোনা গেলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম- সবই আগের মতো চলমান। পুলিশ প্রশাসন এখনো জনআস্থা অর্জনে ব্যর্থ।

সরকার বলছে ‘সংস্কার’ করছে। কিন্তু সংস্কার শুধুমাত্র আইন বা নীতিমালায় নয়, সংস্কার হতে হবে বাস্তবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। আর সে পরিবর্তনের মূল হচ্ছে শিক্ষা সংস্কার। অথচ ইউনুস সরকার শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করেনি। অর্থাৎ তারা 'সংস্কার' শব্দটিকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক নাটকের রূপক হিসেবে।

সরকারের মুখ্য এজেন্ডা হলো- জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস ঢাকায় খোলা। এই একটি অফিসই যথেষ্ট আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি, নৈতিকতাকে ধ্বংস করার জন্য। এই ধারা চলতে থাকলে কয়েক প্রজন্মের মধ্যেই আমাদের ঐতিহ্য, ধর্মচর্চা এবং সংস্কৃতি ভেঙে পড়বে।

নারী নীতিসহ সরকারের আরো কিছু নিজস্ব এজেন্ডা রয়েছে- যেগুলোর বাস্তবায়নে কোনো জাতীয় ঐকমত্য নেই। তবু ইউনুস সরকার এগুলো চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছে।

ইউনুস সাহেব নোবেল বিজয়ের পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চেয়েছেন। ধারণা করা হয়, তার জনপ্রিয়তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার করা হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নীতিকে পাশ্চাত্য ধাঁচে রূপান্তরের জন্য। তাকে নোবেল দিয়ে ‘জনপ্রিয়’ করা হয়েছিলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।

ইউনুস সাহেবের পরিকল্পনা তখন বাস্তবায়ন হয়নি, কিন্তু থেমেও যাননি তিনি। তার পৃষ্ঠপোষকরা বাংলাদেশিদের চিনতে গবেষণা চালিয়ে গেছেন। তারা বুঝেছেন- ইসলামপন্থীদের ম্যানেজ করেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ইউনুস সরকার শুরু থেকে সে পথেই হাঁটছে।

দেশের ইসলামপন্থীদের উচিত, সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে শক্ত চাপ প্রয়োগ করা। ইউনুস সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন রোধ করাই এখন সময়ের দাবি।

মতের ভিন্নতা মানে শত্রুতা নয়মাওলানা আরিফ মাহমুদইতালি একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম পালনের অধিকা...
19/07/2025

মতের ভিন্নতা মানে শত্রুতা নয়

মাওলানা আরিফ মাহমুদ

ইতালি একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম পালনের অধিকার, রাজনৈতিক বিশ্বাসের স্বীকৃতি, সবকিছু সংবিধানের অপরিবর্তনশীল ধারায় সংরক্ষিত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, যারা ইসলাম নিয়ে কথা বলে, যারা কুরআন মানে, যারা হিজাব, নিকাব, দাড়ি, টুপি বা ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিকে সমাজের মূলধারায় আনতে চায়- তাদের ‘সমাজের জন্য হুমকি’ বলা হয়। ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী’ আখ্যা দিয়ে তাদের নিয়ে একতরফা সমালোচনা করা হয় তথাকথিত সুশীলদের টেবিলে। অনেক ইসলামবিদ্বেষীকে দেখা যায় টকশো বা পত্রিকায় মুসলিমদের জন্য মায়াকান্না করেন। ভাবখানা এমন, তারাও মুসলিমদের কল্যাণ চান! আর তাই ইসলামকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখেন!

Chantal Mouffe একজন খ্যাতনামা রাজনীতি চিন্তাবিদ। তিনি বলেন,
"গণতন্ত্র মানেই মতের ভিন্নতার ব্যবস্থাপনা। মতভেদ থাকবেই, তাই সেটা যেনো শত্রুতায় না গিয়ে যুক্তিবাদী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিণত হয়, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।"

তিনি একে বলেন "Agonistic Democracy" - অর্থাৎ এমন এক সমাজ যেখানে দ্বিমতকে দমন করা হয় না, বরং স্বাগত জানানো হয় যুক্তির ভিত্তিতে।

Antonio Gramsci ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত দার্শনিক। তিনি বলেন, "Ogni uomo è un filosofo." (প্রত্যেক মানুষই একেকজন দার্শনিক)।

তাঁর মতে, রাষ্ট্র ও সমাজে মতভিন্নতার জায়গা থাকা দরকার, না হলে তা হয়ে পড়ে একদলীয়, দমনমূলক মতাদর্শের শাসন।

Giorgio Agamben সমকালীন দার্শনিক। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নামে মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে তিনি বলেন, "Il problema non è la fede, ma l’imposizione di un’unica forma di vita." (সমস্যা বিশ্বাসে নয়, বরং একক জীবনধারা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ায়)।

আমরা যদি সত্যিই ইতালিকে একটি বহুমতের, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক সমাজে রূপান্তর করতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই- সকল ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিতে হবে। ইসলামসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়কে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার সুযুগ দিতে হবে। ধর্ম পালনে বাধা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রণীত সকল রিজিওনাল আইন বাতিল করতে হবে। কোনো একটি মতাদর্শ কে রাষ্ট্রীয় মতাদর্শ বলে সকল জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

Norberto Bobbio ইতালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র-বিশ্লেষক। তিনি বলেন,
"Una democrazia è tale solo se garantisce i diritti anche a chi dissente." (একটি গণতন্ত্র তখনই প্রকৃত গণতন্ত্র, যখন তা ভিন্নমতাবলম্বীর অধিকারও রক্ষা করে)।

লেখক, মসজিদুল ইত্তেহাদের পরিচালক।

ভেনিসের বাংলাদেশী কমিউনিটির ইতিহাস মন্থন: স্বদেশ বিদেশের সেমিনারে হামলা চালায় আওয়ামীলীগ জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক: ২০০৯ সা...
18/07/2025

ভেনিসের বাংলাদেশী কমিউনিটির ইতিহাস মন্থন:
স্বদেশ বিদেশের সেমিনারে হামলা চালায় আওয়ামীলীগ

জিপিএম নিউজ প্রতিবেদক:

২০০৯ সাল। ভারত একতরফাভাবে বরাক নদীর উপর টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণের ঘোষণা দিলে, গোটা বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছিলো তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। এই প্রকল্প বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের নদী, কৃষি ও পরিবেশ ধ্বংস করবে, এমন আশঙ্কায় দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষ সরব হয়ে উঠেছিলো।

প্রতিবাদের ঢেউ সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলো প্রবাসেও। ইতালির ভেনিসে সে সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বাংলা পত্রিকা "স্বদেশ-বিদেশ" (রোম থেকে প্রকাশিত) এর উদ্যোগে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয় শ্রমিক সংস্থা CGIL-এর সম্মেলন কক্ষে। পত্রিকার সে সময়ের নির্বাহী সম্পাদক পলাশ রহমান ছিলেন এই সাহসী আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা।

ব্যাপক আলোচিত ওই সেমিনারটি শুধু প্রতিবাদ নয়, ভেনিস প্রবাসীদের দেশপ্রেমের এক অনন্য দলিল হয়ে আছে।

সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলেন, ভেনিসে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। যারা শুধু নিজ নিজ সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন না, ছিলেন এই কমিউনিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারীও।

সেদিন তাদের উপস্থিতি, তাদের বক্তব্য, তাদের প্রতিবাদ- সবকিছুই ছিলো ইতিহাস বিনির্মাণের এক উজ্জল উদাহরণ।

সেমিনার শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তৎকালীন ভেনিস আওয়ামীলীগ সমর্থকদের একটি দল। তারা সেমিনারের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। অতিথিদের হেনস্তা করার চেষ্টা করে। এমনকি ক্যামেরা হাতে ছবি তুলতে যাওয়ায় ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, বাংলা টিভির সাংবাদিক মনির উদ্দীনের উপরও তারা চড়াও হয়েছিলো।

হামলাকারী আওয়ামী সমর্থকদের আচরণ ছিলো প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির প্রতি চরম অবজ্ঞা এবং অভিবাসী সমাজে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর এক ন্যক্কারজনক আঘাত।

তারা চিৎকার করে বলেছিলো, ভেনিসে ভারতের স্বার্থ বিরোধী কোনো সেমিনার হতে দেয়া হবে না। যা ভেনিসের বাংলাদেশি কমিউনিটির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় হয়ে রয়েছে।

সেমিনারে উপস্থিত অনেকেই ওই হামলার মুখে অসহায় ছিলেন, কিন্তু প্রবল সাহস নিয়ে সত্যের পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, ভেনিস বিএনপির নেতা আব্দুল আজিজ সেলিম। তার বলিষ্ঠ ভূমিকায় সেদিন সেমিনারটি রক্ষা পেয়েছিলো। সেমিনারটি সফল করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন কামরুজ্জামান বাবু, সোহেলা আক্তার বিপ্লবীসহ কমিউনিটির এক ঝাক দেশপ্রেমিক মানুষ।

আব্দুল আজিজ সেলিম ও দেশপ্রেমিক অভিবাসীদের চূড়ান্ত প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী বিশৃঙ্খলাকারিরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলো এবং শেষ পর্যন্ত সেমিনারটি সফল হয়েছিলো। যা ভেনিস বাংলাদেশ কমিউনিটির ইতিহাসে অম্লান হয়ে আছে।

আজকের নতুন প্রজন্ম হয়তো জানে না, যারা ওই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এবং সব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আওয়াজ তুলেছিলেন বাংলাদেশের স্বার্থে- তারাই ভেনিসের বাংলাদেশি কমিউনিটির স্থপতি। তাদের ত্যাগ, সাহস এবং দূরদর্শিতাই আজকের এই শক্তিশালী কমিউনিটির ভিত্তি। তাদের ভূমিকা নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন। কারণ ইতিহাস শুধু গৌরবের নয়, শেখারও দরজা খুলে দেয়।

টিপাইমুখ ড্যাম বিরোধী সেই সেমিনার কোনো রাজনৈতিক শোডাউন ছিলো না। ছিলো প্রবাস থেকে মাতৃভূমি রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার।

ইসলামী আন্দোলনের চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতিপলাশ রাহমানসাম্প্রতি সময়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরু...
15/07/2025

ইসলামী আন্দোলনের চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতি

পলাশ রাহমান

সাম্প্রতি সময়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে রাজনীতি করা দলটি- বর্তমান সময়ের মতো আলোচিত, সমালোচিত কখনো হয়নি।

ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ এবং একইসঙ্গে বিএনপির সাথে রাজনৈতিক বিরোধে জড়িয়ে পড়া- ই আন্দোলনকে একটি আলোচিত রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেছে।

চাঁদাবাজি, খুন, রাহাজানিসহ বিএনপি'র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর ব্যাপারে ই আন্দোলন সোচ্চার অবস্থান নিয়েছে। ফলে দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠতে পারে, যদি তারা রাজনৈতিক ও আইনগত দিক থেকে সুসংগঠিত প্রস্তুতি গ্রহণ না করে।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা ই আন্দোলনের বিরুদ্ধে কিছু প্রচারণা শুরু করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- ই আন্দোলন আওয়ামীলীগ দোসর। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ই আন্দোলনের অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতার অংশগ্রহণ এবং ফ্যাসিবাদ আমলে বাধা মুক্ত রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারার ঘটনাগুলো সামনে এনে ই আন্দোলনকে 'আওয়ামীঘনিষ্ঠ' দল হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই অভিযোগগুলো পুরোপুরি অসত্য হলেও ই আন্দোলন এগুলোর বিপরীতে কোনো গ্রহণযোগ্য, সহজবোধ্য বয়ান দাঁড় করাতে পারেনি। তারা এসব অভিযোগের রাজনৈতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তর না দিয়ে প্রতিপক্ষকে পাল্টা আঘাত করছে। ই আন্দোলনের এই কৌশল জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

প্রতিপক্ষের অভিযোগের বিরুদ্ধে ই আন্দোলনের শক্ত বয়ান থাকতে হবে। যুক্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য বয়ান প্রস্তুত করে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের দোষ ত্রুটি সামনে আনা যেতে পারে সীমিতভাবে। মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র পাল্টা আক্রমণ করে জনগণের বিভ্রান্তি দূর করা যাবে না।

ই আন্দোলনের নেতা সৈয়দ ফয়জুল করিমের অতীত বক্তব্যও নির্বাচনী রাজনীতিতে ইস্যু হয়ে উঠবে। জামায়াত বিরোধী অবস্থান, নারী নীতি সম্পর্কিত মতামত, আফগানিস্তান প্রসঙ্গসহ নানা বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হতে পারে। সৌদি আরবে তার কারাবন্দিত্বের ঘটনাও বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয়ে দলীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা প্রস্তুত রাখা অত্যন্ত জরুরি।

ওয়াজ মাহফিল, মসজিদকেন্দ্রিক দাওয়াতি কার্যক্রম এবং মুজাহিদ কমিটির কার্যক্রমও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চাপে পড়তে পারে। তৃণমূলে বিএনপি সমার্থক দ্বারা ই আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শারীরিক ও মামলাসংক্রান্ত হয়রানিতে পড়তে পারে। সুতরাং এখন থেকেই সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের আইনি লড়াই, চিকিৎসা সহায়তা এবং সংঘর্ষ এড়িয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর কৌশল শেখানো প্রয়োজন।

বাংলাদেশের পীর-মাশায়েখ ও আলেম সমাজ সাধারণত জনগণের কাছে সম্মানিত হলেও- রাজনৈতিক প্লাটফর্মের চিত্র ভিন্ন হবে। ফলে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সহনশীলতা ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। অর্থাৎ মানসিক দৃঢ়তা ও রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা অর্জন অপরিহার্য।

বিরোধীপক্ষ যতই উত্তেজক, অশ্লীল বা অপমানজনক আচরণ করুক, ইসলামী আন্দোলনকে তার নৈতিক অবস্থান থেকে বিচ্যুত হওয়া চলবে না। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দলীয় শৃঙ্খলা ও আদর্শগত স্থিরতা ধরে রাখতে হবে।

রাজনৈতিকভাবে সফলতা ঘরে তুলতে হলে বাস্তবতা অনুযায়ী কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এখন আর পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সামনে আগাতে না পারলে রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে হবে। সুতরাং সংগঠনের গতি ধরে রাখতে হবে। অতীতের মতো হাপিয়ে গেলে চলবে না। অন্তত নির্বাচন পর্যন্ত দলের আমির অথবা নায়েবে আমির, যেকোনো একজন নিয়মিত ঢাকায় থাকতে হবে।

নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক চর্চা, আইনগত সচেতনতা এবং মানসিক দৃঢ়তা গড়ে তোলা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি। এখন থেকেই একটি সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিমূলক কাঠামো তৈরি করতে না পারলে আগামীতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আঘাতে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

Indirizzo

Rome

Notifiche

Lasciando la tua email puoi essere il primo a sapere quando GPM news pubblica notizie e promozioni. Il tuo indirizzo email non verrà utilizzato per nessun altro scopo e potrai annullare l'iscrizione in qualsiasi momento.

Condividi