
13/07/2025
একটি অসম্ভবকে সম্ভব করার গল্প
তুরিন, ১২ জুলাই ২০২৫ – বাংলাদেশের মাত্র ৮ মাস বয়সী এক শিশু, মা নাসিমা আক্তার ও বাবা জুয়েল, যার জন্ম হয়েছিল মাত্র একটি হৃদপিণ্ডের ভেন্ট্রিকল নিয়ে, তাকে বাঁচিয়েছে ইতালির রেজিনা মার্গারিটা হাসপাতাল। ৭,৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসা এই শিশুটির জীবন বাঁচাতে ডাক্তারদের লড়াই ছিল প্রকৃত অর্থেই "মিরাকল অন অপারেশন টেবিল"।
জীবনরক্ষাকারী যাত্রা:
- বাংলাদেশে রোগ শনাক্ত: স্থানীয় ডাক্তাররা বুঝতে পেরেছিলেন, শিশুটির জন্মগত হৃদরোগ এতটাই জটিল যে সাধারণ চিকিৎসায় বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
- ইতালির সাথে যোগাযোগ: ডা. আলেসিও পিনি প্রাটো (আলেসান্দ্রিয়া হাসপাতাল) এবং তুরিনের পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি টিম সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি ভিসা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
- ফ্লাইং অ্যাঞ্জেলস ফাউন্ডেশন: এই সংস্থা শিশুটিকে মেডিকেল এসকর্ট সহ ইতালি নিয়ে আসে এবং সব খরচ বহন করে।
৬ ঘণ্টার ঐতিহাসিক অস্ত্রোপচার:
- অপারেশন টিম: ডা. কার্লো পেসে নেপোলিয়ন (কার্ডিয়াক সার্জারি) এবং ডা. কিয়ারা রিগি (কার্ডিওলজি) এর নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করা হয়।
- জটিল প্রক্রিয়া:
- হৃদপিণ্ডের একটি শিরা বিচ্ছিন্ন করে সরাসরি ফুসফুসে রক্ত প্রবাহিত করা হয়।
- অতিরিক্ত টিস্যু অপসারণ করে রক্ত চলাচল উন্নত করা হয়।
- ৬ ঘণ্টা এক্সট্রাকর্পোরিয়াল সার্কুলেশন (হৃদপিণ্ড-ফুসফুস মেশিন) ব্যবহার করা হয়।
সাফল্যের পরবর্তী ধাপ:
- শিশুটি এখন পূর্ণ সুস্থতায় রয়েছে এবং শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরবে।
- অ্যামিসি বামবিনি কার্ডিওপ্যাটিসি সংস্থা পরিবারটির থাকা-খাওয়া ও সব মেডিকেল বিল বহন করেছে।
কেন এই সাফল্য বিশেষ?
- বিশ্বে প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে ৮ জন জন্মনীয় হৃদরোগ নিয়ে জন্মায়, কিন্তু এরকম জটিলতা সহ শিশুদের বাঁচানোর হার খুব কম।
- রেজিনা মার্গারিটা হাসপাতাল ইন্টারন্যাশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারিতে pioneer হিসেবে পরিচিত।
Collected
#বাংলাদেশি_প্রবাসী #শিশু_হৃদয়