02/12/2025
হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর ঘর পুড়ে গেল, খামার নষ্ট হলো, সন্তান হারালেন, স্ত্রী চলে গেলেন, নিজেও অসুস্থ হলেন।এত কষ্ট, এত বিপদ। কিন্তু তিনি ভরসা হারালেন না। দেহ দুর্বল হলো, কিন্তু আল্লাহর স্মরণ দুর্বল হলো না।
আর তখনই আল্লাহ বললেন-
“আমি তাকে ধৈর্যশীল পেয়েছি। সে কত উত্তম বান্দা। নিশ্চয়ই সে ছিল আমার দিকে ফিরে আসা বান্দা।”
অন্যদিকে হযরত সুলাইমান (আঃ) ছিলেন রাজা, নবী, ক্ষমতা ও প্রাচুর্যের অধিকারী। আল্লাহ তাঁকে এমন নিয়ামত দিলেন যা আর কাউকে দেওয়া হয়নি। বাতাস তাঁর বশে।জিন তাঁর অধীনে। রাজত্ব তাঁর হাতে। কিন্তু এত ক্ষমতা, সম্পদ, সম্মান। একটুও তাকে আল্লাহ থেকে দূরে টেনে নিতে পারেনি। তিনি প্রতিটি নিয়ামতের পেছনে আল্লাহকে দেখতেন। শোকর করতেন। বিনয় হারাতেন না।
তার বর্ণনায়ও আল্লাহ একই ঘোষণা দিলেন-
“আমি দাউদকে সুলাইমান দান করেছি। সে কত উত্তম বান্দা!নিশ্চয়ই সে ছিল আল্লাহমুখী, বারবার আল্লাহর দিকে ফিরে আসা।”
একজন সব হারিয়ে উত্তম বান্দা। আরেকজন সব পেয়ে উত্তম বান্দা।
দুজনের পরীক্ষা আলাদা, পথ আলাদা। কিন্তু আল্লাহর দৃষ্টিতে দু’জনই সমান সম্মানিত।
আল্লাহ কখনো কষ্ট দিয়ে কাছে টানেন। কখনো আবার প্রাচুর্য দিয়ে পরীক্ষা করেন।
যে কষ্টে ধৈর্য ধরে, সে আল্লাহর প্রিয়। যে প্রাচুর্যে শোকর করে, সেও আল্লাহর প্রিয়।
এই পৃথিবী পরীক্ষারই জায়গা।
তাই ভরসা রাখি শুধুমাত্র আল্লাহর উপর। আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর।