19/09/2025
#পর্ব ৩২
#চেরি ফুল
#অদিতি
কেটে যায় ১ সপ্তাহ.....
এই এক সপ্তাহে নুজু অসংখ্য বার নাজওয়ান কে ফোন দিলে ও প্রতিবারের মতোই রিং বাজতে বাজতে কেটে গিয়েছে। মেয়ের ছটফটানি দেখে লিমা কিছুটা আঁচ করতে পারলে ও তেমন কিছু বলছে না কারণ সে তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। নুজু কে কোনোভাবেই আর ওসাকা পড়তে যেতে দিবেন না।
এইদিকে এই এক সপ্তাহ নাজওয়ানের উপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় গিয়েছে। সাধারণত জাপানে পড়তে আসা বিদেশি ছাত্র যেকোনো দুর্ঘটনায় মৃ*ত্যু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে জাপানি পুলিশ আসে। তারা ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত করে, তারপর অফিসিয়াল মৃত্যুসনদ ইস্যু করে।এরপর স্থানীয় সিটি অফিসে মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন হয়। এখান থেকেই শুরু হয় ভিন্নধর্মী এক যাত্রা—নিজ দেশে ফেরার শেষ যাত্রা।
পরিবারের স্বাভাবিক ইচ্ছা থাকে, প্রিয়জনের দেহ যেন দেশের মাটিতে ফেরে। কিন্তু এর জন্য খরচ হয় প্রচুর। যদি কফিনে পুরো দেহ পাঠাতে হয়, তবে কফিন, এয়ারটাইট বক্স, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও এয়ারলাইন্সের কার্গো চার্জ মিলে খরচ দাঁড়ায় প্রায় ১৫ থেকে ২৫ লাখ ইয়েন (বাংলাদেশি টাকায় ১০ থেকে ১৫ লাখের মতো)।অনেক পরিবার এত বড় খরচ বহন করতে পারে না।
কিন্তু প্রশ্ন হলো—কে এই খরচ বহন করবে? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের ওপরই এই দায়িত্ব পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণত সরাসরি খরচ দেয় না, যদিও কিছু বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি তহবিল থেকে সামান্য সহায়তা করা হয়। দূতাবাস ও কনস্যুলেট প্রক্রিয়াগত সাহায্য করে যেমন কাগজপত্র, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ কিন্তু আর্থিক সহায়তা দেয় না।
আসল ভরসা হলো বীমা। যদি ছাত্রটির লাইফ ইনস্যুরেন্স বা ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স থাকে, তবে প্রায় পুরো খরচই বীমা কোম্পানি বহন করে। আর যদি না থাকে, তখন পরিবার, বন্ধু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের অনুদানের ওপর ভরসা করতে হয়। কিন্তু সবে মাত্র মাস ছয়েক ধরে জাপানে আসার কারণে জীবন বিমার ফান্ডে ও তেমন কোনো টাকা জমা ছিলো না রাহাতের। দেশ থেকে টাকা পয়সা দেয়ার কথা জনি ও কিছু বলছে না। মসজিদ থেকে কিছু টাকা দিয়েছে তবে সেটা ও খুব সামান্য।
রাহাতের বডি আজ ৩ দিন ধরে সংরক্ষিত অবস্থায় আছে। কিন্তু দেশে পাঠানোর মতো টাকা এখনো হয় নি।ওইদিকে প্রতিদিন জনির বাবা ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে। উনি চাচ্ছে উনার শেষ একটা জমি বিক্রি করে হলে ও রাহাতের লাশ দেশে নিতে । কিন্তু বিপত্তি ঘটে যখন জনি এইটার দ্বিমত করে বসে।
নাহিদ জনির রুমের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলো কল যেহুতু লাউড স্পিকারে ছিলো তাই নাহিদ সবটাই শুনে ফেলে তবে অবাক হয় জনির কথা শুনে। জনির কথা ছিল কিছুটা এমন" আব্বা একটা লাশ নেয়ার জন্য আপনি জমি বেচার কথা বলতেছেন? আমার কি কোনো ভবিষ্যৎ নাই ?যে চলে গেছে তারে নিয়া পইরা থাকলে চলবে? এইখানে দাফন কইরা ৩/৪ লাখে মামলা ডিসমিস কইরা লাইলেই তো হয়।আপনি জমি বেচার কথা চিন্তা ও কইরেন না।
ঠিক এতটুকু শুনেই নাহিদ নাজওয়ানের রূমে যায় সবটা বলতে সব শুনে নাজওয়ানের কেমন যেনো সন্দেহ হয় জনির উপর। কিন্তু এখন সেইসব ভাবনা এক সাইটে রেখে চলে যায় মসজিদে। সেইখানে কমিটির সাথে কথা বলে তাঁদের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার জুমহার নামাজের পর মসজিদের বাহিরে চাদা তুলার কথা চিন্তা করে। যতটুকু হয় হবে আর বাকি টুকু নিজ থেকে দেয়ার কথা চিন্তা করে।
যেইভাবা সেই কাজ তবে এইভাবে টাকা উঠানোর পর ও সব মিলিয়ে আরো লাখ ৬ এর মতো প্রয়োজন। আর পুরো টাকা টা নাজওয়ান নিজ থেকে দেয়ার কথা ভাবে।সব কিছু প্রস্তুতি নিয়ে বাসায় এসে দেখে জনি বসে আছে। নাজওয়ান কে আসতে দেখেই জনি জিজ্ঞেষ করে কিরে কিছু ব্যবস্থা করতে পারলি? জনির এমন কথায় নাহিদ কিছুটা রেগে গিয়ে বলে হ্যাঁ ভাইটা তো নাজওয়ানের তাই নাজওয়ান ই ব্যবস্থা করছে সব, তুই তোর বাপের জমি নিয়ে ভবিষ্যৎ কর।
আহা নাহিদ চুপ কর তো... কথার মাঝেই নাহিদ কে থামিয়ে দেয় নাজওয়ান আর জনির উদ্দেশ্য বলতে থাকে রাহাতের লাশ নিয়ে তুই যাবি দেশে নাকি কফিনে ভরে একাই পাঠায় দিবি ওঁকে?
আ... আমি কিভাবে? ভার্সিটি থেকে আমাকে ছুটি দিবে? আর টিকিট খরচ ও তো আছে। সত্যি বলতে আমার কাছে সেই টাকা টাও নেই।
নাহিদ রাগে কটমট করতে থাকে কারণ কিছুদিন আগেই ও জনির কাছে লাখ দুয়েক টাকা দেখেছে অথচ এখন বলতেছে টিকিটের টাকা ও নেই?
সেটা ও দিলাম... দেশ থেকে ঘুরে আয় তোর বাবার সাথে কথা বলেছি আমি, মানুষিক ভাবে যথেষ্ট ভেঙ্গে পড়ছেন উনি।এখন তোর তাঁদের পাশে থাকা টা অনেক জরুরী। বলেই নাজওয়ান নিজের রূমে চলে যায়।
দীর্ঘ ৫ দিনের সফর শেষ প্লেনে করে বুক ভরা সপ্ন নিয়ে জাপানে এসে এখন কফিনে করে জাপান থেকে শেষ যাত্রায় রওনা হয় রাহাত।লাশ এয়ারপোর্টের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হওয়ার পর পর ই নাজওয়ান আর নাহিদ বাড়িতে চলে আসে।
টানা সপ্তাহ খানিকের মতো নির্ঘুম রাত, দুশ্চিন্তা, আর ভিতরে এক সূক্ষ্ম যন্ত্রণা নিয়ে পার করেছে নাজওয়ান। বিছানায় গা এলাতেই চোখে লেগে যায়।
চোখ কিছুটা লাগতেই চোখে ভাসতে থাকে রাহাতের সেই র*ক্তাত্ব মুখ টা। নাজওয়ান হাত দিয়ে রাহাতের মুখ টা ছুঁতে গেলেই সাথে সাথে মুখ টা হাওয়ায় মিলিয়ে যায় আর সেই জায়গায় নুজুর মুখ টা দেখা যায়।
সপ্নের মধ্যেই নাজওয়ান চিৎকার করে বলতে থাকে তোমার কিচ্ছু হয় নি চেরি ফুল,আমি তোমাকে কোনোভাবেই নিজের থেকে দুরে যেতে দিবো না। চোখ খুল সোনা, আই প্রমিজ আর বকা দিবো না, রুড হয়ে কথা ও বলবো না। প্লিজ চোখ খুল একটা বার কথা বল আমার সাথে। নুজু কে কারা যেনো নিয়ে যাচ্ছে আর নাহিদ নাজওয়ান কে ধরে রাখছে আর বলতেছে " ঐখান থেকে আর কেউ ফিরে আসে না নাজওয়ান, তোকে এখন নুজু কে ছাড়াই সারা জীবন থাকতে হবে।"
নোজোমি................. চিৎকার দিয়ে ধড়ফড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে নাজওয়ান। শরীর কাপছে অনবরত। নাজওয়ানের চিৎকার শুনে নাহিদ ঘর থেকে দ্রুত বের হয়ে আসে রুমে ঢুকতেই দেখে মাথায় হাত দিয়ে এলোমেলো ভাবে বিছানার উপর বসে আছে নাজওয়ান।
" কিরে কি হয়েছে?"
"কিছু না"পানি দে
"খারাপ স্বপ্ন ছিলো"?
"হুম....
এর মাঝেই কলিং বেল বেজে উঠে নাহিদ উঠে গিয়ে দরজার কাছে যেতেই লুকিং গ্লাসে দেখে আছিয়া খাতুন দাঁড়িয়ে আছে সাথে হাতে একটা ব্যাগ। সাথে সাথে দরজা খুলতেই উনি বলতে থাকে বিরক্ত করলাম তোমাদের?
না না দিদুন কি বলছেন আসুন ভীতরে আসুন। ভিতরে নিয়ে বসাতেই নাজওয়ান কে রূমে গিয়ে তাঁর আসার খবর টা দেয়।
এলোমেলো অবস্থায়ই নাজওয়ান বাইরে চলে আসে।
আসসালামুয়ালাইকুম দিদুন।
ওয়ালাইকুম আসসালাম। ঘুমাচ্ছিলে?
হ্যাঁ ভেঙ্গে গেছে।
দুপুরে তো কিছু খাও নি তোমরা দেখেই মনে হচ্ছে। যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। খেয়ে নাও।
কিছুক্ষন আগের স্বপ্ন আর এখন দিদুন কে এইখানে দেখে নাজওয়ান কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পরে আর আছিয়া খাতুনের পায়ের কাছে মাথা দিয়ে বসে পড়ে।
আছিয়া খাতুন বুঝতে পারে নাজওয়ানের মনের অবস্থা। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলতে থাকে "ভাইজান ভালো আছে?
নাজওয়ান চুপ...
একটু থেমে আছিয়া খাতুন আবার বলতে থাকে থাক সেইসব কথা এই কয়দিন নুজু টার উপর দিয়ে ও বেশ ঝড় গেছে।আমি আমার মেয়ে কে চিনি। লিমা নানুপু কে হয়তো এইখানে আর আসতে দিবে না। যাওয়ার সময় তো এই ও বলে গেছিলো যে ওকে কানাডা ওর দাদা দাদীর কাছে পাঠায় দিবে।এইবার তুমিই দেখো তুমি কি করবে... এতোদিনে লিমার সামনে কথা বলার মতো একমাত্র তোমাকেই আমি দেখেছি।তুমি চাইলে অনেক কিছুই করতে পারো।এতোদিনে এইটা বুঝে গেছি নানুপু তুমি বলতে পাগল। নাজওয়ান মাথা উঠিয়ে আছিয়া খাতুনের দিকে তাকায়। নাকের ডগা লাল হয়ে আছে। চুল গুলি এলোমেলো।
"দিদুন নুজু আমাকে ভুল কেনো বুঝলো?"
" ওর বয়স কম ওর জায়গায় অন্য কেউ থাকলে ও হয়তো একটু আকটু প্রশ্ন মনে আসতই।"
" ও কি একটু ও ভরসা করতে পারলো না আমাকে?"
" ভরসা করে বলেই সেইদিন আসছিলো তোমার কাছে যাওয়ার আগে" তুমি নাকি ওকে চলে যেতে বলছো?"
নাজওয়ান এইবার দ্রুত উঠে দাড়ায় এইদিক সেইদিক কি যেনো একটা খুঁজতে থাকে। দ্রুত পায়ে হেঁটে নিজের রুমে গিয়ে বিছানায় পড়ে থাকা ফোন টা নিয়ে নুজু কে কল দেয়। কিন্তু এইবার ওই দিক থেকে নুজু আর কল উঠায় না কয়েকবার দেয়ার পর ও কল উঠায় না দেখে নাজওয়ান আবার ফিরে এসে আছিয়া খাতুনের কাছে তাঁর ফোন টা চেয়ে নিয়ে নুজু কে কল দেয়।
নানুপুর কল পেয়ে সাথে সাথে কল উঠায় নুজু। নুজু কে কথা
না বলতে দিয়ে নাজওয়ান বলতে থাকে" এই মেয়ে তোমাকে আমি কখন থেকে কল দিচ্ছি ধরছো না কেন? নানুপুর কল পেয়ে সাথে সাথে রিসিভ করে ফেলেছ তাই না?সমস্যা কি?
নাজওয়ানের ভয়েস শুনে সাথে সাথে নুজু কল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে বসে থাকে।
বিড়বিড় করে বলতে থাকে " এতদিন যখন আমি কল দিয়েছি তখন তো ধরেন নি এইবার দিতে থাকেন আপনিও আমি ও ধরবো না।"
আছিয়া খাতুন নাজওয়ানের এমন পায়চারি দেখে মিটিমিটি হাসছে। আছিয়া খাতুনের কাছে ফোন দিতে এসে নাজওয়ান অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় তার দিকে। বসা থেকে উঠে উনি বলে উঠে" আমার নাতনি টা একটু অভিমানী, তোমাকেই সামলাতে হবে।" আজ কে আসি তোমাদের জামেলা জলদি মিটিয়ে ফেলো।অন্য আরও অনেক বিষয়ে কথা বলার আছে তোমার সাথে আমার, যেহুতু মন মেজাজ ভালো না এখন তাই সেইসব কথা উঠাতে চাচ্ছি না।"
নাজওয়ান শুধু মাথা নাড়ে।সত্যি বলতে তার ও এখন সেইসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।এমনেতেই মাঝ দিয়ে অনেক কিছু হয়ে যাচ্ছে। তার উপর নোজোমির এমন হঠাৎ করে ইগনোর টাও কোনোভাবে মেনে নিতে পারছে না সে।কিছু না ভেবেই দ্রুত ল্যাপটপ টা অন করে অনলাইনে টোকিও যাওয়ার একটা টিকিট বুক করে ফেলে আগামী কাল কের।
যেই ভাবা সেই কাজ সকালের প্রথম বুলেট ট্রেনে করে চলে রওনা হয় টোকিওর উদ্দ্যেশ্য। যেহেতু নুজুর বাসায় এর আগে ও আসা হয়েছে তাই সোজা বাসার নিচে গিয়ে দাঁড়ায়। কাঠ ফাটা রোদ এর মধ্যে ও ফুল হাতার ব্ল্যাক হুডি, মাস্ক চোঁখে কালো সানগ্লাস পরে ঠিক নুজুর বাসার অপজিতে দাঁড়ায়।সময় তখন সকাল ১০ টা অপেক্ষা করতে থাকে কখন লিমা আর ওয়াতানাবে বাসার থেকে বের হবে।কিন্তু নাজওয়ান কে অবাক করে দিয়ে কিছুক্ষন পড়ে নুজু ই বের হয়। তার হাতে একটা "পার্সিয়ান ক্যাট"।
এই গরমে ও নাজওয়ান নিজে কে এইভাবে ঢেকে রাখছে যে কেউ দেখলেই চিনতে অসুবিধা হবে। নাজওয়ান কে চিনতে না পেরে পাশ কেটে নুজু চলে যায়।তবে যাওয়ার সময় নাকে একটা পরিচিত পারফিউমের গন্ধ পায়। পিছনে ঘুরে তাকাতে যাবে ঠিক সেই সময়ে নাজওয়ান নুজুর হাতে থাকে বিড়াল টাকে ছো মেরে নিজের কাছে নিয়ে নেয় আর বিড়াল টাও নাজওয়ানের কোলে গিয়ে ঝুপটি মেরে বসে থাকে। খুব মনোযোগ দিয়ে বিড়াল টা কে দেখে নাজওয়ান। পার্সিয়ান ক্যাট বরাবরই কিউট হয় অনেক ।কিন্তু এই বিড়াল টা একটু বেশিই কিউট। ধবধবে সাদা গুলুমুলু একটা বিড়াল যার গলায় আবার গোলাপী ঘন্টা। আকষ্মিক এমন ঘটনায় নুজু কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
আর জাপানিজে বলতে থাকে( やめろ!それは俺の猫だ?)
" থামো! এটা আমার বিড়াল!"
মাস্কের ভিতর থেকে নাজওয়ান বিড়বিড় করে বলতে থাকে কিছু হইলেই জাপানীজ ছাড়বে।এই একটা জিনিস দিয়েই আমাকে দাবায় রাখতে চায় সবসময়।
নুজু আবারও বলতে থাকে(聞こえないですか?)
"শুনতে পাচ্ছ না"?
মাস্ক টা খুলে হুডির টুপি টা খুলে নুজুর দিকে না তাকিয়েই নাজওয়ান বলে উঠে" শুনতে পাচ্ছি বলো".....
চোখ বড় বড় করে নুজু বলে উঠে " আপনিইইইইইই......
চলবে.....
(কপি করা নিষেধ)