05/08/2025
রাত ১০টা। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকার দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। ঝাঁকুনির মাঝে ট্রেনটা যেন ঘুমিয়ে পড়েছে, কিন্তু B-5 বগির এক নম্বর স্লিপার কেবিনে তখনও জেগে আছে দুইজন — সজল আর মালিহা।
তাদের সম্পর্কটা ৭ মাসের, কিন্তু আজই প্রথমবার তারা এভাবে একান্তে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে। ট্রেনের এই স্লিপার কেবিন তারা আগেই প্ল্যান করে কনফার্ম করেছিল, যেন কেউ সন্দেহ না করে। বাইরের জগৎ জানে তারা “সহপাঠী”—কিন্তু কেবিনের ভেতরে আজ তাদের পরিচয় একে অপরের প্রেমিক-প্রেমিকা।
মালিহা বিছানায় বসে জানালার দিকে তাকিয়ে ছিল, বাইরে রাতের অন্ধকার, মাঝে মাঝে হেডলাইটে ভেসে উঠছে গাছপালা। পরনে পাতলা সাদা কামিজ, চুল খোলা, ঠোঁটে হালকা লিপগ্লস। চোখে এক ধরণের অস্থিরতা—উত্তেজনা আর ভয়।
সজল দরজাটা ভেতর থেকে লক করে চুপচাপ এসে মালিহার পাশে বসে।
“ভয় পাচ্ছো?”
“ভয় নয়… কিছু একটা হচ্ছে ভেতরে… ঠিক বোঝাতে পারছি না,” মালিহা বলে।
সজল ওর কাঁধে হাত রাখে। মালিহা চোখ বন্ধ করে ফেলে। ট্রেনের ঝাঁকুনিতে দুজনের শরীর টেনে আনে একে অন্যের আরও কাছে।
“আমি আছি। তোকে কিছু হতে দেবো না,” সজল ফিসফিস করে।
হঠাৎ করেই মালিহা সজলের বুকের ওপর মাথা রাখে। তার নিঃশ্বাস দ্রুত।
“আজ আমি নিজেকে আটকে রাখতে চাই না, সজল। তোকে চাই… একান্তভাবে।”
সজল থমকে যায়। তারপর ধীরে ধীরে ওর চিবুকে হাত রেখে মুখ তুলে ধরে। চোখে চোখ পড়ে, এক চুমু রেখে দেয় ওর ঠোঁটে—হালকা, তারপর গভীর।
চুমুর সাথে সাথে ঘরের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সজল ওর কাঁধে মুখ রাখে, মালিহার গলার কাছটা ঘেমে উঠেছে। সজলের হাত আস্তে করে ওর কোমরের কাছে চলে যায়।
মালিহা এবার নিজেই সজলের হাত ধরে বুকের ওপরে রাখে। বলে, “আমার সবকিছু আজ শুধু তোর জন্য।”
সজল আর অপেক্ষা করে না। ওর ওড়না সরিয়ে নেয়, জামার বোতাম একে একে খুলতে থাকে। মালিহা চোখ বন্ধ করে ফেলে, ঠোঁট কাঁপে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে ওঠে।
সজল তার গলায়, কাঁধে, বুকের উপর চুমু ছড়িয়ে দিতে থাকে। মালিহা ধীরে ধীরে সজলের শার্ট খুলে দেয়, ওর গায়ের উষ্ণতায় নিজেকে মিশিয়ে দেয় একদম।
বিছানায় তারা পাশাপাশি শুয়ে পড়ে, ট্রেনের দুলুনিতে শরীর একে অপরের সাথে ছন্দ মেলে নেয়। কেবিনের ছোট আলোটা নিভে যায়, শুধু জানালা দিয়ে ঢুকছে হালকা চাঁদের আলো।
সজলের হাত মালিহার শরীর ঘুরে ঘুরে খুঁজে নিচ্ছে প্রতিটি অনুভূতির গহীনতম জায়গা। মালিহা কাঁপছে, কিন্তু প্রতিরোধ নেই। বরং গলা চেপে ধরে বলে, “আজ তুই আমাকে যতটা চাস, তার চেয়েও বেশি আমি নিজেকে তোকে দিতে চাই।”
ট্রেন ছুটে চলছে রাতের অন্ধকার চিরে। কেবিনে তাদের ভালোবাসা ছুঁয়ে ফেলেছে তীব্র শরীরী ও মানসিক একতা। শব্দ নেই, কেবল দম বন্ধ করা আবেশ।
ঘণ্টা পার হয়ে যায়। মালিহা বিছানায় এলিয়ে পড়ে। সজল ওর কপালে চুমু দিয়ে বলে, “এই রাতটা আমার জীবনের সবচেয়ে সত্যি রাত হয়ে থাকবে।”
মালিহা চোখ মেলে তাকায়। বলে, “আর এই কেবিন, এই ট্রেন… এটাই তো ছিল আমাদের প্রথম ‘বাসা’।”