16/05/2025
সন্তানদের মধ্যে যে জেদ, অভিমান, হঠাৎ রাগ বা চুপচাপ হয়ে যাওয়া- এসব আচরণ হ্যান্ডেল করতে গেলে দরকার ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা আর লেগে থাকা।
এধরণের বাচ্চাদের স্বভাব বুঝে কিছু পরামর্শ :
১. ওর আবেগটাকে আগে বুঝে নিন (আবেগ অস্বীকার না করে পাশে দাঁড়ান):
বলুন: “তুমি রাগ করেছো? আমি বুঝেছি।” তারপর চুপ থাকুন কিছুক্ষণ।
কেন জরুরি: এতে ওর মন বুঝবে-মা তার কথা শুনছে, লড়ছে না। ধীরে ধীরে সে নিজেই শান্ত হবে।
২. জেদ ধরলে আপনি শান্ত কিন্তু শক্ত থাকুন (রাগ নয়, নিয়ম দিন):
জোর করে কিছু করাবেন না। আবার হাল ছেড়েও দেবেন না।
যেমন বলুন:
“তুমি খেলনা ভেঙেছো, তাই ওটা আজ আর দিচ্ছি না। কাল যদি ভালো আচরণ করো, তখন দিব।”
“যদি মারো, আমি কিছুক্ষণ আলাদা থাকবো। মারলে পাশে কেউ থাকে না।”
৩. ভালো-মন্দ আচরণ রাসূল (সা.) এর ভাষায় বুঝিয়ে দিন:
“চিৎকার, মারা -এগুলো রাসূল (সা.) কখনো করতেন না। তিনি শান্ত থাকতে শিখিয়েছেন।”
সাহাবিদের রাগ নিয়ন্ত্রণ বা কোমল ব্যবহারের গল্প বলুন। যেমন হযরত আলী (রাঃ) এর ঘটনা।
৪. ভালো আচরণে প্রশংসা, খারাপ আচরণে নীরবতা (চাপ নয়, শেখানো):
যখন ও ভালো কিছু করে, তখন জোরে প্রশংসা করুন।
খারাপ কিছু করলে ডেকে ডেকে না বলেও, চুপচাপ কিছুক্ষণ একা থাকতে দিন। ও বুঝবে।
৫. আদেশ না দিয়ে পছন্দের সুযোগ দিন (ছোট্ট চয়েস, বড় ফল):
যেমন বলুন:
“লাল জামা পরবে, না নীলটা?”
“পানি খাবে আগে, না হাত ধুবে আগে?”
ওর মনে হবে সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, কিন্তু আপনি থেকেই যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণ।
৬. আপনি যেমন হবেন, ও তেমন শিখবে (আচরণ শেখার সবচেয়ে বড় বই আপনি):
আপনি যদি রেগে গিয়ে চিৎকার করেন, ও শিখবে চিৎকার করতেই হয়।
আপনি যদি শান্ত থাকেন, ধীরে ধীরে ওও তা শিখবে।
৭. দোয়া ও শান্ত পরিবেশ ওর মন শান্ত করবে:
“রব্বি হাবলি মিনআস-সালিহীন”, প্রতিদিন এই দোয়া করুন সন্তানের জন্য।
✅রাতে মাথায় হাত রেখে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, তিন কুল পড়ে ফুঁ দিন।
✅ঘরে প্রতিদিন কিছুটা সময় কুরআন তিলাওয়াত চালিয়ে রাখুন, এতে ওর ভেতরটা নরম থাকবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সহজ করুন।।