22/07/2023
ন্যূনতম ৫২ পয়েন্ট থেকে ও কেনো ই-৭-৪ ভিসা হয়নি ?
৬০, ৭০ পয়েন্ট হিসেব করে ও কেনো প্রাথমিক লিস্টে নাম আসেনি ?
জেনে নিন নিমুক্ত কয়েকটি ঘটনা থেকে।
গতকাল ২১ই জুলাই শেষ হয়েছে আপিল আবেদন।আপিল আবেদন করতে গিয়ে কিছু ঘটনা বিবরণী উঠে এসেছে ইপিএস বাংলা কমিউনিটির কাছে!
ঘটনা-১: বাংলাদেশী এই ভাই ২০১০ সালে কোরিয়া আসেন ২০১৫ সালে ভিসার মেয়াদ শেষ করে কোম্পানি জটিলতা ইস্যু না হওয়ার কারণে বিগত ৫ বছর আর কোরিয়া আসতে পারেননি।২য় মেয়াদে কোরিয়া প্রবেশ করেন ২০২০ সালে উনার হিসেবে উনি কোরিয়াতে টোটাল ৮ বছরের বেশি অবস্থান করতেছেন তাই পয়েন্ট যাচাই ফর্মে ২০ পয়েন্ট উল্লেখ করে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে আবেদন করেন।প্রাথমিক রেজাল্টে নাম না আসলে ইমিগ্রেশন গিয়ে জানতে পারেন উনার পয়েন্ট ৩৭ উনার হিসেব থেকে উল্টো মাইনাস (-২০) কোরিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে কোন পয়েন্ট যোগ হয়নি কারন ২য় বার কোরিয়া আসার পর এখনো উনার ৪ বছর হয়নি তাই নুন্যতম ৫ পয়েন্ট ও পাননি এবং ইমিগ্রেশনে সময় হিসেব করা হয় লাস্ট ১০ বছর কিন্তু উনি ২০১০ সালে প্রথম কোরিয়া আসার কারনে ১০ বছরের বেশি সময় গত হয়ে যাওয়ায় ১ম মেয়াদের কোন পয়েন্ট যোগ হয়নি অর্থাৎ উনার পয়েন্ট ৩৭!
ঘটনা-২ : এই ভাই ৪ বছর ৩ মাস কোরিয়াতে থেকে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে আবেদন করে ভিসা হয়নি। আপিল আবেদন শেষে জানা গেলো উনি টোটাল ৩ বছর ১১ মাস ২৫ দিন কর্মরত ছিলেন। বাকি সময় উনি কোম্পানি ২ বার পরিবর্তন করে রিলিজে ছিলেন আর রিলিজে থাকা অবস্থায় ভিসা পরিবর্তনের জন্য সময় গননা হয়না এটা ভাইয়ের জানা ছিল না তাই উনার ৫৩ পয়েন্ট থেকে ৫ পয়েন্ট কর্তন হয়ে ৪৮ পয়েন্ট হয়ে গেছে তাই ভিসা হয়নি!
ঘটনা -৩ : ভাই ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে আবেদন করে ভিসা পাননি। কারন উনি পাসপোর্ট আপডেট করে সময় মতো ইমিগ্রেশন জানাননি এমনকি নিয়ম না জানার কারনে পয়েন্ট যাচাই ফর্ম থেকেও ৫ পয়েন্ট কর্তন করে পয়েন্ট হিসাব করেননি। ফলাফল যা হওয়ার কথা ছিলো তাই হলো (৫৬-৫) = ৫১ পয়েন্ট হওয়ায় ভিসা হয়নি!
ঘটনা -৪ : এই ভাইয়ের ৭৪ পয়েন্ট থাকা শর্তেও ভিসা হয়নি। কারণ উনার কোম্পানিতে আগে থেকে ১ জন ভিসা করা ছিলো। বর্তমান ২০% নিয়মে ৭ জন কোরিয়ানের বিপরীতে ভিসা পাবেন ১.৪ জন অর্থাৎ একজন ১.৫ থেকে উপরের দিকে হলে ২ জন ভিসা পেতো। ১.৪ থাকা শর্তেও উনি আবেদন করছেন মনের জোরে ১.৪ হয়েও যদি দিয়ে দেয়! কিন্তু না ইমিগ্রেশন আপিল আবেদন জমা নেননি!
ঘটনা -৫ : ভাই ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে আবেদন করে ভিসা পাননি এই ভাই কার কাছে শুনেছেন লেভেল টেস্ট দিয়ে যে লেবেল পাবেন সরাসরি ঐ পয়েন্ট যোগ হয়।কিন্তু না নিয়ম হলো পরীক্ষা দিয়ে আপনি যে লেভেল পাবেন ঐ লেভেল আপনি শেষ করলেই পয়েন্ট যোগ হবে। ভাইয়ের পয়েন্ট থাকে (৬৫-১৫)= ৫০ ফলাফল ভিসা হয়নি।
ঘটনা -৬: করোনা ভিসা সহ ৫ বছর ১০ মাস কোরিয়া ছিলেন। রি এন্ট্রির জন্য ৩ মাস দেশে থেকে এসেই ভিসার জন্য আবেদন করলেন ৬ বছর+ হিসেব করে ১০ পয়েন্ট সহ টোটাল পয়েন্ট ৫৬ উনার কথা হলো উনি যে দেশে গিয়ে ৩ মাস ছিলেন এটা উনি ভুলে গেছেন অর্থাৎ উনার কোরিয়াতে ৬ বছর পূর্ণ হয়নি ফলাফল যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে (৫৬-৫)=৫১ উনার আগের কোরিয়াতে ৫ বছর ১০ + নতুন করে আবার ২ মাস কোরিয়া থাকার পর ৬ বছর পূর্ণ হবে এবং তখন উনার ৫৬ পয়েন্ট হবে।
ঘটনা -৭: ৮১ পয়েন্ট নিয়ে আবেদন করেছেন কোম্পানিতে কোটা একজন আগেই করা ছিলো কিন্তু উনি তবুও আবেদন করেছেন যদি দিয়ে দেয় কিন্তু না ইমিগ্রেশন ভিসা দেয়নি!
কি কি অপরাধে পয়েন্ট কর্তন হবে,রিলিজে থাকলে সময় গননা হয়না, রি এন্ট্রির জন্য দেশে গেলে সময় বাদ দিতে হবে, লেভেল টেস্ট দিয়ে প্রাপ্ত লেভেল শেষ করলেই পয়েন্ট যোগ হবে, বয়স এবং কোরিয়ায় কাজের অভিজ্ঞতার বয়স গনননায় ১ দিনও যদি কম থাকে তাহলে পূর্ববর্তী বছর গননা হবে এই বিষয় গুলো আমরা বারবার আপনাদের সতর্ক করা শর্তেও প্রতিবারের ন্যায় এবারও এই ভুল গুলো ভিসা আবেদনের সময় বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে উল্লেখিত ভুল হিসেবে উঠে এসেছে!
ই-৭-৪ ভিসা আবেদনর সময় উপরোক্ত ভুল গুলো পরবর্তী আবেদনের সময় বাংলাদেশী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পুনরায় ঘটবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি!
প্রচারে: ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া।