20/08/2025
লিবিয়া থেকে ১৭৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরত গেল।
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়া বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। প্রত্যাবাসিতরা ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সকাল ৬:১৫টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নম্বর UZ222) মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার এর নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসিতদের গ্রহণ করেন এবং বিদায় জানান। এসময় দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতার জন্য লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইওএম-এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতে বৈধ ও নিরাপদ উপায়ে বিদেশ গমন করতে হবে এবং এজন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি প্রত্যেককে নিজ নিজ এলাকায় অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দেশে ফিরে মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন এবং এ প্রক্রিয়ায় দূতাবাসের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসনের ফলে শুধু ব্যক্তির আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতিই হয় না, বরং তার পরিবার ও সমাজও মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দেশের আন্তর্জাতিক সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়, যা বৈধভাবে বিদেশে কর্মসংস্থান লাভের সুযোগকেও সীমিত করে। তিনি বলেন, বৈধ পথে বিদেশ গমন করে দক্ষতা অর্জন করলে প্রবাসীরা সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং দেশের অর্থনীতিতে মূল্যবান অবদান রাখতে পারবেন।
উল্লেখ্য, পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আটক অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ গ্রহণ ও পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও আইওএম-এর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়। এছাড়াও গানফুদা ও তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে অবশিষ্ট বাংলাদেশিদের শীঘ্রই আরেকটি ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
(তথ্যসূত্র :- দূতাবাস)