23/08/2021
(লিবিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশীদের জন্যে নিম্নোক্ত লেখাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় পরিচিতদের সাথে লেখাটি শেয়ার করবেন)
টার্কিশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আজ এক অফিসিয়াল ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ লিবিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, সাইপ্রাস সহ আরো ৭টি দেশকে "লাল তালিকা" ভুক্ত করেছে।
এমতাবস্থায় লিবিয়ার নাগরিক এবং লিবিয়াতে বসবাস করা বাংলাদেশী ও অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশ সফরে যেতে চাইলে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের আরোপিত নিম্নোক্ত বিধিমালা প্রযোজ্য হবে:
০১. COVID-19 এর পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ না করে বাংলাদেশ সফরে যাওয়া যাবেনা। বিশেষ পরিস্থিতিতে বা প্রয়োজনে যেতে হলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হবে। সেইসাথে যথারীতি ফ্লাইটের সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনার RT-PCR নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট থাকতে হবে।
এধরণের যাত্রী বাংলাদেশে পৌঁছার পর তাকে অবশ্যই সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এবং ফ্লাইটের সময় লিবিয়ার এয়ারপোর্টে ও ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে হোটেল বুকিংয়ের কাগজ প্রদর্শন করতে হবে।
০২. যারা ইতিমধ্যেই COVID-19 এর পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন, তারা ভ্যাকসিন গ্রহণের ১৪ দিন পর লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ সফরে যেতে কোনো অসুবিধা নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি পত্র লাগবেনা, কিন্তু ফ্লাইটের সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনার RT-PCR নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট থাকতে হবে।
এধরণের যাত্রী বাংলাদেশে পৌঁছার পর তাকে অবশ্যই নিজ গৃহে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্যাসেঞ্জার যাত্রাপথে করোনা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হননি।
উল্লেখ্য যে, লিবিয়ায় বর্তমানে যেই তিনটি কোম্পানির ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে (যথাক্রমে- স্পুটনিক, সিনোভ্যাক, এস্ট্রাজেনেকা), সেগুলো দুই ডোজের। তাই এখানে "পূর্ণ ডোজ" বলতে উভয় ডোজ গ্রহণ করা অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে।
[[ যেসব কোম্পানির ভ্যাকসিনের ডোজ শুধু একটা, সেগুলোর বেলায় "পূর্ণ ডোজ" বলতে ওই একডোজকেই বুঝানো হয়েছে। ]]
--oo --
বিশেষ সংযুক্তি: বাংলাদেশ থেকে যেসব যাত্রী লিবিয়াতে আসবেন, তাদের প্রত্যাবর্তনে লিবিয়ার পক্ষ থেকে নতুন কোনো বিধিনিষেধ নেই। যাদের ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করা সম্পন্ন হয়েছে, তারা RT-PCR টেস্ট ছাড়াই লিবিয়ায় আসতে পারবেন। এটাই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়ম। আর যারা এখনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদের RT-PCR নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট থাকলেই চলবে।
কিন্তু বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ যেভাবে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশগামী যাত্রীদের বেলায় ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করার পরেও RT-PCR নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট এবং "হোম কোয়ারেন্টাইন" বাধ্যতামূলক করেছে, তাতে লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ অপমানবোধ করে লিবিয়াগামী বাংলাদেশী যাত্রীদের বেলায়ও অনুরূপ সিদ্ধান্ত আরোপ করে কিনা কে জানে! যদি সেটি ঘটে তাহলে উভয় ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র বাংলাদেশী সাধারণ শ্রমজীবী মানুষেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে! লিবিয়ানদের ক্ষতি কিছুই হবেনা, কারণ তারা বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য। যায়না বললেই চলে।