05/07/2025
সালাহুদ্দিন ভাই,
পুরোনো অসভ্য রাজনীতি পরিত্যাগ করেন
জনাব সালাহুদ্দিন আহমেদ সাহেব সম্পর্কে ভারত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ জোড়ালো। ইলিয়াস আলীর মতো নেতারা যখন গুম হওয়ার পরে শাহাদাৎ বরণ করেন সেখানে এই সালাউদ্দিন সাহেব গুম হওয়ার পরে ভারতে রাজকীয় হালতে জীবন যাপন করতেন।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ যখন দেশে জেল-জুলুমের শিকার হচ্ছেন তখনও তিনি ভারতে দিব্যি আরাম-আয়েশে দিন কাটিয়েছেন।
তিনি ভারত থেকে আসার পরে গুম নিয়ে গুম কমিশনে কোন মামলাও করেন নাই। শেষে চাপে পড়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফলে তার “র” সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা জোড়ালো।
বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বিএনপিও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
২০২১ এর আগের সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছে।
২০১৩-১৪ সালে তারা গাজীপুর, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা ইত্যাদি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ীও হয়েছে।
২০১৯ সালেও তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
চট্রগ্রামে জনাব শাহাদাত হোসেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলের নির্বাচনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। জনাব ইশরাক আওয়ামী আমলের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং তারই ভিত্তিতে মেয়রের পদ দাবী করছে।
১১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত তারা আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের অধিনের সংসদ সদস্য থেকেছেন। সংসদের বেতন-ভাতা নিয়েছে।
এখন যখন এই ভদ্রলোক ফ্যাসিস্ট আমলে নির্বাচনের বৈধতা দেয়ার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে দায়ী করেন তখন এতোসব তথ্য ভুলে যান কি করে?
নাকি আওয়ামী লীগের মতো একইভাবে “র” দ্বারা মিথ্যা বলার প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন বলে মিথ্যা বলতে চোখ কাঁপে না।
একই ধরণের বক্তব্য দেয়ার কারণে ঐকমত্য কমিশনের সভায় তিনি বক্তব্য উইথড্রো করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম তার লজ্জা হয়েছে।
এখন দেখি তিনি তিনিও লীগের মতো বেশরম। দিল্লি কা লাড্ডুর প্রতিক্রিয়া সবার মধ্যে একই ভাবে কাজ করে মনে হচ্ছে।
তাকে শিক্ষিত ও মার্জিত মনে করা হতো। কিন্তু “র” এর পঞ্চরস তাকে অমার্জিত ও গোঁয়ার করে তুলেছে। না হয় “চরের” দল বলার মতো ধৃষ্ঠতা তার হওয়ার কথা না।
একটা রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করার যে শিষ্টাচার তা “র” এর পঞ্চরসের প্রভাবে তিনি ভুলে গেছেন।
সালাহুদ্দিন ভাই,
আপনি যে পুরোনো অসভ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা করেন তা এখন চলে না। সভ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে মতের ভিন্নতার জবাব হয় যুক্তি দিয়ে। কিন্তু আপনি অভব্যতা করেছেন।
ঐকমত্য কমিশনের সভায় যেভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন সেভাবে ক্ষমা চেয়ে নিন। অন্যথায় নতুন বাংলাদেশেরা রাজনীতিতে আপনি পরিত্যাজ্য হয়ে পড়বেন। এবং আপনার কারণে বিএনপির মতো একটা দলও সমালোচনার মুখে পড়বে।
কপি : শেখ ফজলুল করিম মারুফ