23/09/2025
তাসনিম জারাকে গালাগালির ভিডিও ইতোমধ্যে দেখেছেন।
গালিদাতারা আমেরিকা থাকে। মাল্টিকালচার সোসাইটিতে বাস করে। রেসিজম কম। ঘৃণা কম। যে সোসাইটি ব্রোড মাইন্ডেড। সভ্য হিশেবে সমাদৃত।
নিজস্ব সংকীর্ণতা, মানসিক নোংরামি, অসভ্যতা বদলানোর এহেন মোক্ষম পরিবেশ পেয়েও ওরা বদলায়নি!
বদলাবেও না।
কারণ, মানুষ বদলায়। লীগ না।
আওয়ামীলীগ কোনো পলিটিকাল ক্যারেক্টার না। একটা ধর্ম। এখানে ব্লাইন্ড ফেইথ আর এগ্রেসিভ ইনটলারেন্স শেখানো হয়। সুতরাং পরিবর্তন কঠিন।
শুধু জারাকে গালি দেয়নি। তার মাকেও দিয়েছে।
ওই ভদ্রমহিলা শুনলে কতটা ডিজগাস্ট জন্মাবে, কতটা ঘৃণা জন্মাবে এই দেশের মানুষের প্রতি - ভাবুন!
এই মেয়েটা এমন আচরণ ডিজার্ভ করে না।
তাদের আচরণ বস্তির নেড়ি কুত্তার ঘেউ ঘেউয়ের চেয়েও জঘন্য। নিকৃষ্ট।
ওদের এই সেন্সটা পর্যন্ত নাই যে - তাদের গালাগাল অন্য কেউ শুনছে। তাদের ফ্যামিলি ও সন্তানরাও দেখবে হয়তো। কিন্তু তারা বিকারহীন।
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষটাও সিভিলাইজেশন নামক একটা থিন কভার পরে চলে সমাজে। এরা সেই কভারটাও আনয়েসে ছিঁড়ে ফেলতে সংকোচ করে না!
কারণ, অসভ্যতা লীগের আদর্শের অবিচ্ছেধ্য অংশ।
লীগের সবচে সভ্য লোকটাও পরিস্থিতি আসলে কাপড় খুলে নেংটা বেশ্যা হয়ে যাবার মতো নির্লজ্জতা প্র্যাকটিস করে রাখে। এই দীক্ষা তাদের দলীয়।
ওরা মানুষই তো হয়ে উঠে না। সভ্যতা পরের বিষয়।
প্রথম থেকে বলে আসতেছি -এদেরকে স্পেস দেওয়া যাবে না, কোনোভাবেই। স্পেস পেলে বিপ্লবীদের কবর থেকে তুলেও লাশের ওপর নৃত্য করবে। লিপ্ত হবে নোংরা উল্লাসে।
আর জিন্দা পেলে, নেংটা করে পিটাবে।
ড. ইউনুছের জীবদ্দশায় যদি লীগ ক্ষমতা পায় কখনো - আগে তো কোর্টের লিফ্ট বন্ধ করে সিঁড়ি চড়িয়েছে, এবার যাত্রাবাড়ি ওভার ব্রিজের ওপর নেংটা করে ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে পেটাবে।
ক্ষমতা পাওয়া লাগবে না, ইন ফ্যাক্ট - শুধু রাজনীতিতে এক্সেস পেলেই এ ফল দেখবেন।
অনেকের অতিরঞ্জিত মনে হইতে পারে। হইলে - স্ক্রিনশট নিয়ে রাখেন।
এবং এইটা সম্ভব হবে খোদ ইউনুস সরকারের কারনে।
তাদের সফট জাস্টিস , তথাকথিত বিচারিক মানদণ্ড বা উদাহরণ সৃষ্টিকারী সুবিচারের নামে একটা অপরাধী গোষ্ঠীর অসহিষ্ণু আদৰ্শকে আস্কারা দেয়ার নতিজা ভোগ করতে হবে সবাইকে।
এই যে আসিফ নজরুলের কম্প্রোমাইজিং আচরণ, এটার ফল সেও ভোগ করবে যদি বেঁচে থাকে, ইনশাআল্লাহ!
এভরি গাদ্দার উইল সাফার, ইতিহাস সাক্ষী।
আমি অবিচারের পক্ষে না। কঠোরতার পক্ষে।
কিন্তু, লীগের সাইকোলজিক্যাল বিহেভিয়ার বদলাতে হলে, মনোস্তাত্তিক রিপ্রোগ্র্যামিং করতে হলে -গণভোটের মাধ্যমে, সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে, এই দলের সকল কর্মকাণ্ড চিরতরে নিষিদ্ধ করে, জাপানের মতো পিইস প্রিজার্ভেশন ল বানিয়ে - এই দলের পক্ষে কোনো আলোচনা, কোনো স্লোগান, কোনো মতামত সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করা উচিৎ ছিল। কারো মধ্যে নূন্যতম আওয়ামী প্রেম প্রকাশ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অর্ডার জারি করা উচিৎ ছিল। দেশে কিংবা বিদেশে এবং প্রথমদিকেই শুধু প্রেম দেখানোর কারণে কয়েক ডজনকে দ্রুত ভরে দিলে নিয়ন্ত্রণে থাকতো।
এমনকি অনলাইনেও। কারণ, ওরাও সফ্ট টেরোরিস্ট।
উচিৎ ছিল, লীগের সঙ্গে সামান্য সম্পর্ক রেখেও পয়সাওয়ালা বনে যাওয়া সকলের সম্পদ জব্দ করে, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার।
তখন নিজের স্বার্থ ও জেল থেকে বাঁচতেই আড়ালে চলে যেতো। ফ্যামিলি থেকে নিষেধজ্ঞা জারি করতো এসবে না জড়াতে - যেমনটা ইসলামী লেবাশের ওপর করেছিল গার্ডিয়ানরা জাশির ওপর নির্যাতন দেখে। ভয়ে ভয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে করতে একটা লম্বা সময় পর আওয়ামী প্রেম ভুলে গেলে - হয়তো পরিবর্তন আসতো।
কিন্তু আপনারা পলিটিকসের ওপর পলিটিক্স খেলতে গিয়ে, ডিজিএফআইয়ের নিয়ন্ত্রিত ডিপ স্টেটের সঙ্গে আপোষ করে, লীগের বাঘাবাঘা সন্ত্রাসীকে পালতে দিয়ে, এখনো নির্বাচনে লীগের আসা না আসার আলোচনা চালাতে দিয়ে, তাদের রাজনৈতিক সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে সবাইকে রিস্কে ফেলে দিয়ে গেলেন।
আজকের বিপ্লবের সকল পক্ষ এই ইন্টারিমের নাম ধরে ধরে মুতবে - বলে দিলাম।
এখনো সুযোগ আছে এসব করার।
যদি সাহস না পান, আমাকে বলেন। এসব আইন ডিক্লিয়ার করতে পারবেন নির্ভয়ে - সেই পরিস্থিতি তৈরি করে নেওয়ার প্ল্যান বাতলে দেব। পৃথিবীর কেউই এসব সিদ্ধান্তে আপত্তি জানানোর সাহস ও নৈতিক শক্তি পাবে না। ব্যস! একটু কোলাটোরেল ড্যামেজ সহ্য করা লাগবে আর কি।
লেখা Taher Majumder