15/02/2025
আমার ছোটবেলার শবে বরাত মানে তারাবাতি রঞ্জিত ঝোলকানো আনন্দময় এক আকাশ।
কিসমিস,বাদাম আর মোরাব্বা দিয়ে ভরপুর বিভিন্ন মিষ্টান্ন।নতুন জামা কাপড় পরার আনন্দ।শীতের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে গোসল করে নতুন ড্রেস পরে আল্লাহকে সারারাত জেগে থেকে ইবাদাত করার প্রস্তুতি। এই যে সারারাত জেগে আল্লাহর ইবাদাত করা আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নাম তৎক্ষণাৎ ভালো করে মুখস্থ করে নানান নামে ডেকে মুনাজাতে চোখের পানি ফেলা।যত রাত জেগে থাকবো ততো সওয়াব,আল্লাহ সব কিছু দিবে এই রাতে তাই বেশি বেশি করে নামাজ পড়া,এই সবকিছু কিন্তু একটা আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়েই শুরু ও শেষ হতো। তবে সময়ের ব্যবধানে কেমন যেনো এই শবে বরাত এর যে একটা ব্যাপার এত আয়োজন বিলীন হওয়া শুরু হলো।
খুব আফসোস,
এখন অনেক বড় বড় ইসলামি ডিগ্রী সম্পন্ন আযহারী শাইখ এবং পাড়ার মহল্লার ইমাম সাহেব মুসল্লিদের মাথায় ঢুকাতে পেরেছেন আল্লাহ তাআলা সব সময় আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের দুআ কবুল করেন। প্রতিদিন তিনি মাঝরাতে সাত আসমানের নিচে নেমে আসেন তার বান্দাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করার জন্য। তারা তাদের সাধ্যমত বুঝিয়েছেন মুসল্লিগণদের,
ইউটিউব দেখে মহিলারাও নিজ নিজ দায়িত্বে বুঝে নিয়েছেন বা তাবলীগী জামায়াত হয়ে। যার ফলাফল এখন আর এই রাতটার জন্য নানান আয়োজন বন্ধ হয়েছে।বন্ধ হয়েছে আল্লাহকে কে কত কীভাবে ডেকে খুশি করবে তার প্রস্তুতি।রুটি বানিয়ে নানান হালুয়া বানিয়ে এখন আর মানুষের সান্নিধ্যে ও যাওয়া হয়না,হয়না এখন অনেক কিছুই। আমরা বর্তমানে ডে তে বিশ্বাসী ,স্পেশাল ডে,
এখন সত্যিই এটা ফিল হচ্ছে।যায় হোক ইন শা আল্লাহ আগামীবার থেকে আমি আমার সন্তানদের আমার ছোটবেলার মতো শবে বরাত পালন করতে শেখাবো। আল্লাহ্ কে সেদিন আমরা স্পেশাল ভাবে ডাকবো।আল্লাহর নাম সেদিন দুইটা সহীহ ভাবে মুখস্থ করাবো। আমারা মা মেয়ে নতুন জামা পড়ব। বাপ ছেলে নতুন পাঞ্জাবি পরে মসজিদ এ যাবে।আগামীর শবে বরাত এর অপেক্ষায়