Chandpur BGD

Chandpur BGD আমি আজন্মই যাযাবর। নিজের ইচ্ছে গুলোকে তীক্ষ্ণ খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছি অ - সুখের ঘরদোর।🇧🇩 🇲🇾
(1)

👉অল্প জ্ঞানী  লাফায় বেশি       মধ্য জ্ঞানী চুপ,           পূর্ণ জ্ঞানীর বিনয় বেশি               শান্ত তাহার রুপ,,  🌺উত...
23/09/2025

👉অল্প জ্ঞানী লাফায় বেশি
মধ্য জ্ঞানী চুপ,
পূর্ণ জ্ঞানীর বিনয় বেশি
শান্ত তাহার রুপ,,
🌺উত্তপ্ত দুপুরের শুভেচ্ছা রইল সবাইকে শুভ রাত্রি।

সন্তানকে সারাদিন বলতে থাকুন -তুমি সেরা, তোমার অনেক বুদ্ধি, তুমি অনেক ভদ্র, তুমি অনেক পরিশ্রমী। সে উৎসাহ পাবে, দেখবেন সে ...
21/09/2025

সন্তানকে সারাদিন বলতে থাকুন -তুমি সেরা, তোমার অনেক বুদ্ধি, তুমি অনেক ভদ্র, তুমি অনেক পরিশ্রমী। সে উৎসাহ পাবে, দেখবেন সে সত্যি সত্যিই বুদ্ধিদীপ্ত, ভদ্র আর পরিশ্রমী হয়ে উঠবে❗

16/09/2025
লবণ যদি নষ্ট হয়ে যায়, কে করবে তার পরিশোধন?একজন তরুণ গ্রামের যুবক তাঁর সম্প্রদায়ের একজন শালীন, ধার্মিক ও সজ্জন মেয়েকে...
13/09/2025

লবণ যদি নষ্ট হয়ে যায়, কে করবে তার পরিশোধন?

একজন তরুণ গ্রামের যুবক তাঁর সম্প্রদায়ের একজন শালীন, ধার্মিক ও সজ্জন মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের মাত্র এক বছর পার হয়েছে, হঠাৎ একদিন এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সাথে তীব্র ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। রাগের বশে ঐ আত্মীয়কে মা*রধর করে ফেলেন।

গ্রামের রীতিনীতি অনুযায়ী, এর পর তাঁকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়। স্ত্রীকে সাথে নিয়ে তিনি দূরবর্তী এক অজানা অঞ্চলের গ্রামে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। নতুন পরিবেশে তিনি জীবন গুছিয়ে নিতে থাকেন।

প্রতিদিনের মতো তিনি গ্রামের মোড়লের আসরে যেতেন, গল্প করতেন, পরামর্শ নিতেন। একদিন, হঠাৎ মোড়ল তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমবারের মতো তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পান—একজন শালীন, রূপবতী ও গম্ভীর নারীর সম্মোহনী দৃশ্য।

ঐ মুহূর্তেই মোড়লের অন্তরে কামনা জেগে ওঠে। লালসার শিকারে পরিণত হয়ে, এক অশুভ পরিকল্পনা আঁটেন—কীভাবে যুবককে কিছুদিনের জন্য দূরে পাঠিয়ে, সুযোগ বুঝে তাঁর স্ত্রীকে নিজের করে নেওয়া যায়।

কয়েকদিন পর আসরে মোড়ল এক আলোচনা তুললেন: "শুনেছি এক জায়গায় দারুণ চারণভূমি আছে। কিছু লোক পাঠিয়ে যাচাই করতে চাই।"

তিনি চারজন লোক বাছাই করলেন, যার মধ্যে যুবকও ছিল।

কয়েকদিনের যাত্রা নির্ধারিত হলো, আর তারা রওনা দিল।

রাতে, মোড়ল চুপিচুপি যুবকের বাড়ির দিকে এগোলেন। অন্ধকারে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে শব্দ করে ফেলেন। স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়।

ভয় পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "কে ওখানে?"

মোড়ল নিজের পরিচয় দিলেন। স্ত্রী বললেন, "এত রাতে? সব ঠিক আছে তো?"

মোড়ল নিজের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করলেন:

"তোমায় দেখার পর থেকে মনে শান্তি নেই। তোমায় চাই; আমাকে সঙ্গ দাও।"

মহিলাটি অত্যন্ত ধীরস্থির কণ্ঠে বললেন:

"ভালবাসা চাইলে ঠিক আছে, তবে আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিন। যদি ঠিক উত্তর দিতে পারেন, তবে আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হবে।"

মোড়ল খুশি হয়ে বললেন, "বলুন!"

তিনি জিজ্ঞেস করলেন:

"যেমন মাংস নষ্ট না হয় বলে আমরা লবণ ব্যবহার করি, তবে যদি লবণ নিজেই নষ্ট হয়ে যায়… তাহলে কে তা পরিশোধন করবে?"

মোড়ল গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেন। একদিন, একরাত পেরিয়ে গেল, কিন্তু তিনি কোনো উত্তর খুঁজে পেলেন না।

পরদিন আসরে তিনি সকলকে প্রশ্নটি করলেন, কিন্তু কারো কাছ থেকেই সন্তোষজনক উত্তর এল না।

এক কোণে বসে থাকা এক বৃদ্ধ নীরবে তাকিয়ে ছিলেন।

মোড়ল তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কিছু বলছেন না কেন?"

বৃদ্ধ উত্তর দিলেন: "কারণ, এটা কেবল একটা প্রশ্ন নয়; এটা যুগের যুগের জ্ঞানভাণ্ডার থেকে আসা একটি বার্তা।

তিনি আপনাকে অপমান করতে পারতেন, কিন্তু অপমানের বদলে আপনার বিবেক জাগিয়ে দিলেন।"

তারপর তিনি ব্যাখ্যা করলেন: "মাংস নষ্ট হলে লবণ তা রক্ষা করে। কিন্তু যদি লবণ নিজেই পচে যায়, তবে তাকে কে রক্ষা করবে?

অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ ভুল করলে নেতারা তাদের সঠিক পথে ফেরান, কিন্তু যদি নেতা নিজেই বিপথগামী হয়, তবে জাতিকে কে রক্ষা করবে?"

মোড়ল লজ্জায় মাথা নিচু করলেন, চোখ ভরে এল অশ্রুতে।

যদি পিতা বিপথে যায়—কে সন্তানের পথ দেখাবে?

যদি শিক্ষক পথ হারায়—কে জ্ঞানের আলো ছড়াবে?

যদি নেতা পথভ্রষ্ট হয়—কে জাতিকে রক্ষা করবে?

স্মরণ রাখো—জ্ঞানীদের সঙ্গ গ্রহণ করো।

মূর্খদের সঙ্গ কেবল হৃদয় নষ্ট করে না,

পুরো প্রজন্মকেও ধ্বংস করে দেয়।

নিজেকে বদলাও ভাগ্য নিজেই বদলে যাবে।
07/09/2025

নিজেকে বদলাও
ভাগ্য নিজেই
বদলে যাবে।

🔥 অলসতা তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু...জীবনে কোনো কিছুই সহজ মনে হয় না, যখন তুমি অলস থাকো।অলসতা শুধু সময় নষ্ট করে না, এটা ধীরে ধ...
07/09/2025

🔥 অলসতা তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু...

জীবনে কোনো কিছুই সহজ মনে হয় না, যখন তুমি অলস থাকো।
অলসতা শুধু সময় নষ্ট করে না, এটা ধীরে ধীরে তোমার স্বপ্ন, লক্ষ্য আর সম্ভাবনাকেও মেরে ফেলে।

💡 যদি সত্যিই সাফল্য চাই, তবে অলসতাকে জয় করতে হবে।
কারণ তুমি যতই প্রতিভাবান হও না কেন, পরিশ্রম ছাড়া সেই প্রতিভার কোনো মূল্য নেই।

মনে রেখো—
👉 সফল মানুষেরা ব্যস্ত থাকে কাজে, আর ব্যর্থ মানুষেরা ব্যস্ত থাকে অজুহাতে।
👉 অলসতা তোমাকে নিচে নামাবে, কিন্তু পরিশ্রম তোমাকে উপরে তুলবে।


সন্তানের জন্য সঞ্চয়ী ও তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার নামে ভবিষ্যৎ ধ্বংসকারী বাবা-মায়ের জন্য লেখাটি পড়া খুবই জরুরি।এক পোস্ট হতে কপি ...
07/09/2025

সন্তানের জন্য সঞ্চয়ী ও তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার নামে ভবিষ্যৎ ধ্বংসকারী বাবা-মায়ের জন্য লেখাটি পড়া খুবই জরুরি।

এক পোস্ট হতে কপি করা………

। আমাদের 'ছেলে'রা কীভাবে 'পুরুষ' হবে? |

গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে। রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টার্বই হচ্ছে। দোতলার বারান্দায় নাকি আম্মু মুরগির বাচ্চা এনে রেখেছেন। জানতে চাইলাম, মুরগির খোপ রেখে এখানে এগুলো কেন রেখেছেন? আম্মু জানালেন যে, মুরগির বাচ্চা মায়ের সাথে যত বেশিদিন থাকে তত দেরিতে ডিম দেয়, আর মা থেকে আলাদা করে রাখলে দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করে।

চট করে আমার চিন্তাটা মুরগির বাচ্চা থেকে সরে আমাদের বর্তমান সমাজের আধুনিক প্রজন্মের ‘ছেলেবাবুদের’ দিকে সরে গেল, যারা বয়স পচিশ-ত্রিশে এসেও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে না।

আমার বন্ধু শরিফ। ওরা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ। ওর বাবা গিয়েছিলেন ষাটের দশকে। ও ওর নিজের জীবনের দারুণ একটা ঘটনা শুনিয়েছিল আমাকে। ওর বয়স যেদিন ষোলো বছর পূর্ণ হয়ে সতেরোতে পড়ল, সেদিন ওর বাবা ওকে ডেকে বললেন, এখন থেকে তুমি বৃটিশ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও স্বনির্ভর পুরুষ। এখন থেকে তোমার দায়িত্ব তোমাকেই বহন করতে হবে। তোমার লেখাপড়ার খরচা তোমাকেই যোগাতে হবে। আর আমার বাসায় থাকতে হলে বাসা ভাড়া, আর খেতে হলে খাবার খরচ দিতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। কোনো ছাড় নেই। শরিফ বাধ্য হয়ে একটা শপে পার্টটাইম কাজ জোগাড় করল। স্কুল শেষে সেখানে কাজ করত। সেই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া আর খাবার বিল দিত। লেখাপড়া তো সরকারি স্কুলে, তাই এক বাচা বাঁচল। বৃটিশ কালচারে এটা স্বাভাবিক হলেও বাঙালী হিসেবে বাবার এই আচরণ মেনে নিতে ওর বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই সময়টাতে বাবার প্রতি জমেছিল এক রাশ ঘৃণা আর অভিমান। এই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল তা আমরা একটু পরে বলছি।

জীবনের এই প্রথম ধাক্কাই তাকে অনেকটা পরিপক্বতা এনে দিয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। এখন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে। আমি শরিফকে আমার এই বিশ বছরের বন্ধুত্বের জীবনে অসংখ্য ভালো কাজের উদ্যোগ নিতে ও অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। অনেক অসহায় মানুষকে, পরিবারকে ও সাহায্য করেছে।

ঠিক এর বিপরীতে গেলে আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখতে পাবেন, যারা ত্রিশে এসেও বালকসুলভ জীবন কাটায়, পুরুষ হয় না। কোনো দায়িত্ব নিতে সক্ষম নয়, কোনোকিছুতে স্থির নয়, কোনো লক্ষ্যপানে ধাবিত নয়, কোনো অর্জনের জন্য স্থির নয়।

আমাদের অধিকাংশ মানুষদের দেখবেন বলতে, ছেলেমেয়েদের জন্যই তারা খেটে মরে, বাড়িগাড়ি বানায়। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা যে কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছি আমার ছেলেমেয়েরা যেন তার মধ্য দিয়ে না যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ ধরণের চিন্তার বাবা-মায়ের সন্তানরা খুবই অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়। যে বাবা-মা তাদের জন্য খেটে মরেছে, তাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের দায়িত্বই নিতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদের উপর নির্ভরশীল হয়। সেটা ফুরিয়ে গেলে চরম মানবেতর জীবনযাপন করে।

আমাদের ভিতরে যারা একটু স্মার্ট এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা করেন, তারা ভাবেন—ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়িগাড়ি রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব। তারা দেখা যায় উন্নত লেখাপড়ার জন্য ছেলেমেয়ের পিছনে অঢেল টাকাপয়সা ব্যয় করেন, দুনিয়ার সকল ঝুটঝামেলা ও বাস্তবতা থেকে এমনভাবে দূরে রাখেন, ফলে তারা হয় ‘শিক্ষিত বলদ’।

সত্যিকারভাবে ছেলেদেরকে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুব কম মানুষই গ্রহণ করতে পারেন। আর এর অবধারিত ফল হলো ব্যক্তি হিসেবে, পরিবার হিসেবে, সমাজ ও জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়া।

একটা মানুষ যদি পৃথিবীর জন্য পনেরো-ষোলো বছর থেকে অবদান রাখা শুরু করতে পারে, তাহলে তার অবদানের মাত্রা ও মান দুটোই অনেক বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে কথিত মাস্টার্স শেষ করে কর্পোরেট স্লেইভ হতে হতে যে সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাতে অবদান রাখার সময় যেমন হারিয়ে যায়, তেমনই অবদানের মানও আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে ওঠে না।

আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম ৩৩ বছর বয়সের দিকে। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিল—তুমি এখন আর ফার্স্ট ক্লাস এফিশিয়েন্ট ড্রাইভার হতে পারবা না, তুমি হবা ‘আংকেল ড্রাইভার’। সামনের আরেকটা গাড়ির পেছনে পেছনে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে তোমার জীবন যাবে। আমি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম যে, কথা খুবই সত্য। আমার পাশ দিয়ে বহু গাড়ি কাটিয়ে চলে যায়, আর আমার কাছে সামনের গাড়ির পিছনে ধরে রাখাকেই নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়। তাই দেরি করে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তা-ই নয়, দায়িত্ববোধের মান ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতাও হ্রাস করে ফেলে।

বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা আর অভিমানের কথা মনে আছে? এবার বলি সেই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর যখন একটা ব্যবসা দাড় করানোর জন্য ভালো অংকের একটা নগদ অর্থ দরকার হলো তখন সেই কঠোর বাবা তার হাতে পাউন্ডের একটা বান্ডিল দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা বাসা ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হিসেবে দেওয়া তোমার সেই অর্থ। এমন কোনো প্রয়োজনের সময় দেওয়ার জন্য জমা করে রেখেছিলাম’। জীবনে কোনো এক সময় যদিও বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা জন্মেছিল, কিন্তু এখন বাবার সেই কঠোরতাটুকুকে সে তার জীবনের অমুল্য সম্বল মনে করে এবং বাবাকে নিয়ে সে আজ সত্যিকারে গর্ব অনুভব করে।

সেই মুরগির গল্পে ফিরে আসুন। ফিরে আসুন ইসলামের বাতলানো সমাজ চিন্তায়। মুরগির বাচ্চা যেমন মায়ের ডানার তলে থাকলে ডিম দেবে না, তেমনি আপনার ছেলেকে যতদিন ডানার নিচে রাখবেন সে দায়িত্বশীল হবে না। এটা সৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া স্রষ্টার অমোঘ নিয়ম। ইসলাম বলে একটা ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তার উপর শরিয়তের সকল আইন কার্যকর। মহান আল্লাহ এই সীমাটা এইজন্যই নির্ধারণ করেছেন যে, এই বয়স থেকে সে জীবন ও জগতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শুরু করবে। আমাদের উচিত ছিলো, আমাদের সন্তানদেরকে এই বয়সে উপনীত হওয়ার আগেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও যোগ্য করে গড়ে তোলা; কিন্তু সেটা না করে একটা দীর্ঘ সময় তাদেরকে স্পুন ফিডিং করে আমরা একটি অকর্মন্য ও অযোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলছি।

আমরা কি বিষয়টা নিয়ে একটুও ভাবার প্রয়োজন বোধ করি?

সংগ্রহীত

বিনম্র শ্রদ্ধা!বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মতিউর রহমান।বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কর্মরত ছিলেন পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে...
20/08/2025

বিনম্র শ্রদ্ধা!বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মতিউর রহমান।

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কর্মরত ছিলেন পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে। ১৯৭১ সালে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। ২৫শে মার্চ পাকিস্তানিদের অত্যাচার ,গনহত্যা নির্যাতন দেখে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়েও অসীম ঝুঁকি ও সাহসিকতার সাথে ভৈরবে একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খুলেন ৷ যুদ্ধ করতে আসা বাঙালি যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে থাকলেন ৷ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা অস্ত্র দিয়ে গড়ে তুললেন একটি প্রতিরোধ বাহিনী ৷ কর্মস্থল পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের বিমান বাহিনী শক্ত করার জন্য তিনি একটি বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করতে থাকেন।

২০ আগষ্ট-১৯৭১,শুক্রবার। সকালে করাচির মৌরিপুর বিমান ঘাঁটিতে তারই এক ছাত্র রশীদ মিনহাজের কাছ থেকে একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিনতাই করেন। কিন্তু রশীদ এ ঘটনা কন্ট্রোল টাওয়ারে জানিয়ে দিলে অপর চারটি জঙ্গি বিমান মতিউরের বিমানকে ধাওয়া করে। এ সময় রশীদের সাথে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রশীদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন এবং বিমান উড্ডয়নের উচ্চতা কম থাকায় রশীদ সহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যখন বিমানটি বিধ্বস্ত হয় তখন ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩ মিনিট দূরত্বে ছিল। মতিউরের সাথে প্যারাসুট না থাকাতে তিনি নিহত হন। তাঁর মৃতদেহ ঘটনাস্থল হতে প্রায় আধ মাইল দূরে পাওয়া যায়। তাঁকে করাচির মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।কবরে লিখে রাখা হয়, "জাতীয় গাদ্দার"।
আর রশিদকে দেওয়া হয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব 'নিশান-ই-হায়দার'।

অসাধারণ সাহস ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ সরকার মতিউর রহমানকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করে। ২০০৬ সালে তাঁর দেহাবশেষ বাংলাদেশে এনে কবরস্থ করা হয়।স্বাধীন মাতৃভূমি নিজে দেখে যেতে না পারলেও বাংলাদেশ নামক দেশটি যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে জন্ম লাভ করেছিল, তিনি ছিলেন সেই সব বীরদের অন্যতম।

আজ ২০ই আগস্ট। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী। আজকের এই দিনে তাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

Believe in hard work..
19/08/2025

Believe in hard work..

“ভেঙে পড়া মানেই শেষ নয়, নতুন করে দাঁড়ানোর শুরু”কখনো কি এমন হয়েছে—মনটা এতটা ভেঙে গেছে যে শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল? কোনো কি...
17/08/2025

“ভেঙে পড়া মানেই শেষ নয়, নতুন করে দাঁড়ানোর শুরু”

কখনো কি এমন হয়েছে—মনটা এতটা ভেঙে গেছে যে শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল? কোনো কিছুতেই আর আগ্রহ ছিল না। মনে হচ্ছিল, জীবন এখানেই থেমে যাবে?

হয়তো সবাই দূরে সরে গেছে, কেউ পাশে নেই। নিজেকেই নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে হচ্ছিল। আমি জানি, এই অনুভূতি ভয়ংকর। কিন্তু আমি এটাও জানি,

> ভেঙে পড়া মানে শেষ নয়। বরং সেটাই নতুন করে নিজের ভিতর থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময়।

১: যখন সবকিছু হারিয়ে যায়, তখনই আসল আমি জেগে ওঠে
আমরা যতক্ষণ আরামদায়ক জীবন পাই, ততক্ষণ নিজের ক্ষমতা বুঝতে পারি না।

– চাকরি চলে গেলে বুঝি নতুন করে শুরু করা কতটা কঠিন

– সম্পর্ক ভেঙে গেলে বোঝা যায়, নিজেকে ভালোবাসা কতটা জরুরি

– স্বপ্ন ভেঙে গেলে বোঝা যায়, আমাদের ভিতরে লুকানো যুদ্ধ কতটা প্রবল

> ভাঙনই তৈরি করে নতুন পথ।

যতবার আপনি ভাঙবেন, ততবার ভেতর থেকে এক নতুন ‘আপনি’ জন্ম নেবে—আরও দৃঢ়, আরও শক্তিশালী।

২: দুনিয়া আপনাকে থামিয়ে দিতে চাইবে, কিন্তু আপনি থামবেন না। মানুষ বলে—“তুই পারবি না।”

জীবন বলে—“এইখানে থেমে যা।”

ভয় বলে—“তোর ভেতরে শক্তি নেই।”

তখন আপনি নিজেকে বলবেন—

> “আমি ভেঙে পড়েছি, কিন্তু শেষ হয়ে যাইনি।

আমি আবার দাঁড়াব, কারণ আমি জানি,

আমার ভিতরে আগুন আছে।”

৩: আপনি যখন নিজেকে ভালোবাসতে শেখেন, তখনই বদল শুরু হয়। ভালোবাসা মানে শুধু অন্যকে ভালোবাসা নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—নিজেকে ভালোবাসা।

– আপনি নিজেকে ক্ষমা করুন

– নিজের ভুলগুলো থেকে শিখুন

– নিজেকে আর দোষ দেবেন না

– বলুন: “আমি যথেষ্ট।”

> আপনি নিজেকে ভালোবাসলেই দুনিয়া আপনাকে সম্মান করতে শিখবে।

⚡ অধ্যায় ৪: আপনি যা হারিয়েছেন, তার চেয়েও বড় কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। জীবন কখনো কিছু কেড়ে নেয় না বিনা কারণে।

– হয়তো এখন আপনি শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে

– হয়তো কিছুই নেই চারপাশে

– হয়তো সবাই চলে গেছে

কিন্তু বিশ্বাস করুন—ভবিষ্যৎ আপনার জন্য কিছু দুর্দান্ত তৈরি করে রেখেছে। শুধু একবার… আরেকবার… একটু সাহস করে সামনে এগিয়ে যান।

শেষ কথা হলো ভাঙা মনেও আলো জ্বলে। চোখের জলে গড়ে ওঠে সাহসের পাহাড়। আর একাকীত্ব থেকেই জন্ম হয় সত্যিকারের লড়াইয়ের মানুষের। আজ যদি আপনি ভেঙে পড়েন, তাহলে শুধু একটা কাজ করুন—নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিন, “আমি এখানেই শেষ হব না।” কারণ আপনি সেই মানুষ, যে ভাঙনকে নিজের অস্ত্র বানিয়ে ইতিহাস লিখতে জানে।

09/08/2025

পুরুষ মানুষ সুন্দর হয় ব্যক্তিত্বে এরপর ক্যারিয়ার,স্কিল,অর্থ-বিত্তে।

ব্যর্থতা মানে পিছিয়ে পড়া নয়, বার বার ব্যর্থতার পরেও, যারা ধৈর্য ধরে লেগে থাকে, তারা সফল হবেই, ইনশাআল্লাহ।
15/06/2025

ব্যর্থতা মানে পিছিয়ে পড়া নয়,
বার বার ব্যর্থতার পরেও, যারা ধৈর্য
ধরে লেগে থাকে, তারা সফল হবেই,
ইনশাআল্লাহ।



Address

Kuala Lumpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Chandpur BGD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Chandpur BGD:

Share