21/07/2024
আগেআদালতের রায়ের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা
কোটা সংস্কার করে উচ্চ আদালত রায় দিলেও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। বিবিসি যে কয়েকজন সমন্বয়কের সাথে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয়েছে, তারা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে চারজন সমন্বয়কের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। এমনকি সমন্বয়করাও দাবি করছেন, তারাও নিজেদের সবার সঙ্গে যোগোযোগ করতে পারছেন না।
এই সমন্বয়কদের অভিযোগ , শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে অনেক বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়েছে। দুই জন সমন্বয়ক নিখোঁজ হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে।
কোটা আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আদালতের রায়কে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের মূল দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। সেসব দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত, দেশব্যাপী চলমান কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচী চলবে।”
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে গত কয়েকদিনে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মুক্তি, দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
সমন্বয়কদের কয়েকজন বলছেন, এসব দাবি পূরণ না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “আদালতের সাথে আমাদের দাবির কোন সম্পর্ক নাই। নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে কোটা সংকটের সমাধান করতে হবে”।
তিনি বলেছেন, ‘’আমাদের সবার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে তিনজন সরকারের সাথে কথা বলতে গেছে, তারা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তাদের আটদফা দাবি জানিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের যে কমিটি আছে, সেখানে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কোন আট দফা বা নয় দফা দাবির সিদ্ধান্ত হয়নি।"
অন্য আরেকজন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, ‘’সর্বোচ্চ আদালতের রায় আমাদের কাছে অস্পষ্ট মনে হয়েছে। এখানে সকল প্রকার কোটার বিষয়ে সুস্পষ্ট সমাধান নেই।‘’
আরেকজন সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেছেন, ‘’আটককৃতদের মুক্তি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তখন আমরা যোগাযোগ করে একটি সম্মিলিত দাবিদাওয়া উত্থাপন করতে পারবো।‘’
শেয়ার করুন, আদালতের রায়ের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা
৩ ঘন্টা আগেআপিল বিভাগের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
কোটা নিয়ে আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার।
রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি আপিল বিভাগের এই রায়টি অত্যন্ত বিচক্ষণ একটি রায় হয়েছে।”
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান মি. হক।
“কাল তো সরকারি ছুটি। খুব শিগগির প্রজ্ঞাপন দিতে গেলেও মঙ্গলবার নাগাদ হয়তো সময় লাগবে,” বলেন আইনমন্ত্রী।
সরকারি চাকরিতে এখন থেকে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আপিল বিভাগ।
এছাড়া পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, এক শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বাকি এক শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোটা রাখার বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে এগুলো সংস্কার করতে পারবে বলে জানিয়েছে আপিল বিভাগ।
“ভবিষ্যতে এই রায়টি যেন সরকারের কোন সিদ্ধান্তে প্রতিবন্ধকতা না হয়, সেজন্যই আপিল বিভাগ এটি বলেছেন।”