08/08/2025
যখন টাইটানিক ডুবছিল তখন কাছাকাছি তিনটে জাহাজ ছিল।
মাত্র সাত মাইল দূরে ছিল স্যাম্পসন। তারা বিপদ সংকেত দেখেও সাড়া দেয়নি। বেআইনি সীল মাছ ধরছিল বলে ধরা পড়ার ভয়ে উল্টোদিকে জাহাজের মুখ ঘুরিয়ে বহুদুরে চলে যায়,স্যাম্পসনের গল্প আমাদের শেখায়,,যারা কেবল নিজেদের নিয়েই ভাবে, অন্যের কি এলো, কি গেল, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা বেথা নেই এমনই।
দ্বিতীয় জাহাজ,
ক্যালিফোর্নিয়ান, ছিল ১৪ মাইল দূরে। তারাটাইটানিকের সংকেত দেখেও কিছু করেনি। ঐ জাহাজের চারপাশে জমাট বরফ ছিল। ক্যাপ্টেন দেখেছিলেন "টাইটানিকের "বাঁচতে চাওয়ার আকুতি, তাই চেষ্টা না করে ভাবলো, কাল সকালে কিছু একটা করবো বলে ক্যাপ্টেন ঘুমিয়ে পড়েন। ক্যালিফোর্নিয়ান আমাদের মনে করায়, যারা সময়মতো দায়িত্ব নিতে দেরি করে, একটা ঘটনার পর! ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের কিছুই করার নেই! পরিস্থিতি অনুকুল হলে ঝাঁপিয়ে পড়বো।
তৃতীয় জাহাজ,
কারপাথিয়ান্স, ছিল ৫৮ মাইল দূরে। অর্থাৎ পূর্বের দুটি জাহাজ থেকে বেশ দূরে !বিপদ সংকেত পেয়ে ক্যাপ্টেন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন এবং বরফ ভেঙে এগিয়ে গিয়ে ৭০৫ জন যাত্রীকে বাঁচান। কারপাথিয়ান্স আমাদের শেখায়ে ছিলো, দায়িত্ব এড়ানোর হাজার কারণ থাকলেও সাহসিকতার জন্যই মানুষ স্মরণীয় হয়ে থাকে যুগে যুগে,,,,,,,
বিপদের সময় সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার মানসিকতাই আসলে আসল এবং এটাই মনে থাকে মানুষের মনে আজীবন।