
29/07/2025
📰 নির্বিচারে গু*মের শি_কার মাদ্রাসাছাত্র: "আবদুল্লাহ" নামটি কি আজ অপরাধের প্রতীক?
ঢাকা, বাংলাদেশ –
নাম তার আবদুল্লাহ।
একজন সাধারণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী— যার জীবন ছিল কেবল বইপত্র, তালিম, ও ইবাদতের ভেতর সীমাবদ্ধ। রাজনীতি, সংঘর্ষ, কিংবা উগ্রতা— কোনোটির সাথেই ছিল না তার সংশ্রব। কিন্তু হঠাৎ একদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (র্যাব) তাকে তুলে নিয়ে যায়, কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই।
সূত্র জানায়, এক সন্দেহভাজন ব্যক্তির ফোনে "আবদুল্লাহ" নামে একটি নাম পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই ধরা হয় নির্দোষ এই তরুণকে। অথচ প্রমাণ বা অপরাধের কোনো ধরনই নিশ্চিত করা হয়নি।
তাকে তুলে নেওয়ার পর থেকেই কোথাও আর খোঁজ মেলে না তার।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার নাম মুছে দেয় রেজিস্টার থেকে।
সব নথি, তথ্য, এমনকি তার উপস্থিতির স্মৃতিও যেন মুছে ফেলা হয় ইচ্ছাকৃতভাবে।
প্রতিষ্ঠানটি যেন ঘোষণা দেয়—
“আবদুল্লাহ কখনোই আমাদের ছাত্র ছিল না।”
পরে জানা যায়, একটি অন্ধকার নির্জন কক্ষে চোখ বেঁধে ঝুলিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
প্রশ্ন ছিল:
– “তুই গণতন্ত্রকে কুফরি ভাবিস কেন?”
– “তোর কাছে অস্ত্র নেই, সংগঠন নেই,
তবুও ভারতের বিরুদ্ধে লেখালিখি করিস কেন?”
– “তোরা গজওয়তুল হি'ন্দের স্বপ্ন দেখিস?”
– “তোরাই তো বলিস ইসলামি শাসন কায়েম করবি।
আমরা যদি এখনই তোদের না থামাই, তোরা একদিন আমাদের সাথে কি করবে?”
এই প্রশ্নগুলোর মধ্যেই যেন লুকিয়ে ছিল তার অপরাধ—
ভাবনার স্বাধীনতা, মতের স্বাধীনতা,
আর ভিন্ন মত প্রকাশের অধিকার।
❝তাকে কোথায় নেওয়া হয়েছিল, এখন সে কোথায় আছে—সবটাই অজানা।❞
আবদুল্লাহ’র পরিবার এখনও খোঁজে ফেরে তার কোনো খবর।
কিন্তু রাষ্ট্র, সমাজ, প্রতিষ্ঠান—সবাই যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে।
একজন মাদ্রাসা ছাত্র শুধুমাত্র লেখালেখি বা একটি নামের সূত্রে যদি এই পরিণতি ভোগ করে, তবে বাকিদের ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ?
📌 প্রশ্ন রয়ে যায়:
একটি নাম কি আজকের বাংলাদেশে অপরাধের সমান?
আর রাষ্ট্রীয় প্রতিশোধ কি ভবিষ্যতের আশঙ্কা ঠেকাতে গুমের মতো অন্যায়কে বৈধ করে তোলে?