03/09/2024
উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে অযাচিত ভাবে যে হাইপ দেওয়া হচ্ছে কিংবা তার গ্রাফিতি আঁকা হচ্ছে - সেটা হয়ে যাচ্ছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত। মানিকের সাথে আমি দীপ্তি চৌধুরীর টকশোটা আর টকশোর 'বিহাইন্ড দ্যা সিন' ও দেখেছি,উপস্থাপিকা হিসেবে দীপ্তি খুবই স্মার্ট এবং ধৈর্য্যশীল,এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই পয়েন্ট টু বি নোটেড - এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই
কিন্তু,এই টকশোতে দীপ্তি ন বি প্ল বী কোন আচরণ করেছেন,না সরকারের কোন কাজ নিয়ে ক্রিটিক করে গেস্টকে চেপে ধরেছেন,এর কোনটাই তিনি ঐ অপটিমাম লেভেলে করেন নাই যেই কারণে তাঁকে নিয়ে এতটা হাইপ তোলা যায় বরং টকশোর শেষ দিকে তর কাছ থেকে আমরা সেই গতানুগতিক আর গৎবাঁধা ডিফেন্স পাই যেই ডিফেন্সে তিনি বলেছেন তিনি মেয়ে ব'লে মানিক তাঁর সাথে এভাবে কথা বলতে পারেন না!' তাঁকে রাজা কা র বলা হলে তিনি ট্যাগিংয়ের প্রতিবাদ না করে নিজেকে মুক্তি যো দ্ধা পরিবারের সন্তান ব'লে ডিফেন্স ক্রিয়েট করতে চেয়েছেন,এগুলির কোনটাই বিপ্ল বী চেতনাকে ধারণ করে না,বরং প্রচলিত আর দশটা স্বাভাবিক ডিফেন্সকে ক্লেইম করে
এর চাইতে বরং আমার কাছে হোস্ট হিসাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদিজাকে হাইপে রাখা যায় কারণ একটা অনুষ্ঠান হোস্ট আর গেস্টকে সরকারের ক্রিটিকস নিয়ে প্রশ্ন করার জন্যে খাদিজাকে দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জে*লে কাটাতে হয়েছে,খাদিজা ৫ তারিখের পর মুক্তি পেয়েছেন,কিন্তু, খাদিজার গল্প আমরা কেউ বলিনি!'যেই সময়টায় সরকার আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের রমরমা অবস্থা,সেই সময়ে খাদিজার মত হোস্টের সাহসী আচরণের গল্প আমাদের আরো উপরের দিকে রাখা দরকার ছিলো!'
দীপ্তিকে ক্রিটিক করা আমার উদ্দেশ্য না ইভেন কোন ব্যাক্তিকে ক্রিটিক করাই আমার উদ্দেশ্য না,আমার উদ্দেশ্য চিন্তাকে ক্রিটিক করা,দীপ্তিকে এতটা হাইপে রাখার যে জনমানুষের চিন্তা,সেই চিন্তাকে ক্রিটিক করাই আমার উদ্দেশ্য,ধৈর্য্যশীল কাউকে প্রশংসা করা যায়,কিন্তু,শুধুমাত্র ধৈর্য্যের জন্যে তাকে বি প্ল বী বানানো যায় কিনা এই প্রশ্নটা একটা ভ্যালিড প্রশ্ন ❤️
©