
19/02/2025
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রাজনীতি নিয়ে আর কোন পোস্ট দেবো না। কিন্তু কথায় কথায় আমাদের দেশ ও জনগনের মালিক সেজে বসা রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য দেখে শুধু জুলাই আগস্টের জনপ্রিয় শ্লোগান টি মনে পরে "দেশটা কারো বাপের না"।
তেমনি ভাবে দেশটা রাজনীতিবিদদের একক মালিকানা না। ওনারাই সব বোঝেন দেশের আর বাকি সব ধইন্চা?
বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতাদের পেশা রাজনীতি মানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই তারা স্বঘোষিত জনদরদী সেজে জনগণের ক্ষমতা ছলে বলে কৌশলে হাতিয়ে নেন। তারপর শুরু করেন ওনাদের স্বার্থ উদ্ধার।
২০২৫ এর প্রধান জনদরদীদের জনগণের নামে জনস্বার্থ বিরোধী আপত্তিনামা
১. রাষ্ট্র সংস্কারে আপত্তি!
২. আনুপাতিক হারে নির্বাচনে আপত্তি!
৩. ৭২ এর সংবিধান বাতিলে আপত্তি!
৪. আমলীগ নিষিদ্ধে আপত্তি!
৫. ইস্কন নিষিদ্ধে আপত্তি!
৬. চুপ্পুর অপসারণে আপত্তি!
৭. ছাত্রদের নতুন দল মানতে আপত্তি!
৮. দিল্লি স্টার আর পোথমালো নিষিদ্ধে আপত্তি!
৯. জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পত্রে আপত্তি!
১০. জুলাই বিপ্লবীদের স্বীকৃতি দিতে আপত্তি!
১১. ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আপত্তি!
১২. আমলীগ ছাড়া নির্বাচনে আপত্তি!
১৩. জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আপত্তি।
মোটামুটি বিগত ১৬ বছর সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েও ওনারা রাতারাতি ফ্যাসিবাদীদের সব কিছুর পক্ষে। এমনকি কেউ ওনাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেই স্বাধীনতা বিরোধী ট্যাগ দেয়া শুরু করেছেন।
এমনকি যেই জামায়াতের উপর ভর করে গত কয়েক দশক তাদের রাজনীতি ক্ষমতায় ভাগাভাগি আজ তারাই নাকি মোনাফেক? আসলেই মোনাফেক কারা?
এবার আসি স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় আগে হলে কি সুবিধা ও অসুবিধা?
যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হয় তবে প্রত্যেক এলাকায় নির্বাচনে দল ক্ষমতায় না থাকলে প্রভাব প্রতিপত্তি খাটানো যাবে না। তাই মনোনয়ন বানিজ্য কম হবে। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হবেন যার অধিকাংশই ওনাদের দলের হবে না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের পরে হলে কি সুবিধা।
দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে বিশাল মনোনয়ন বানিজ্য হবে। তারপর নেতাদের স্ত্রী, শালা, সমন্ধী, ভাই, বোন, আত্মীয় স্বজন হবেন চেয়ারম্যান মেয়র ইত্যাদি। আর কি কি ঘটবে তা আমরা অতীতেই দেখেছি।
তাই আমাদের উচিত আরো শক্তভাবে আমাদের মতামত প্রকাশ করা যাতে জনগণের নামে ওনারা আমাদের কাঁ