27/08/2025
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর প্রতি জানাই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দ্রোহ, মানবতা, প্রেম ও সাম্যবাদের চেতনায় দীপ্ত আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ থেকে ৪৯ বছর আগে তাঁর জীবনাবসান হয়। তিনি বিংশ শতাব্দির বাংলা ভাষার প্রধান কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি কবি। শৈশব থেকে কঠিন জীবন-সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন। যে কারণে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছিল তাঁর সহজাত। তিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমকে বিদ্রোহ করার প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর রচিত কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। তাঁর কবিতা, গান আজও মানুষকে শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তির সন্ধান দেয়। তাঁর আপোষহীন সংগ্রাম তাঁকে বিদ্রোহী কবির খ্যাতি এনে দিয়েছে।
কবি নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, ‘৯০ এর গণআন্দোলন ও ‘২৪ এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় তাঁর কবিতা ও গান এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুুগিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে। যুগযুগ ধরে অধিকারহারা মানুষকে সাহসী প্রতিবাদে উদীপ্ত করবে তাঁর সাহিত্যকর্ম।
মানব প্রেমের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানুষকে ভালোবেসে তাদের কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে তাঁর রচনা আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে। তাঁর সাহিত্যকর্ম আমাদেরকে চিরকাল স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।