14/06/2025
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সম্পর্কে কয়েকটি পয়েন্ট-
১. ইহুদীরা মুসলিমদের নিকৃষ্ট শত্রু, একইসাথে রাফেদ্বীরাও। উভয়ের ইতিহাসই হাজার হাজার মুসলিম হত্যার ইতিহাস, নিকৃষ্টতম বেঈমানির ইতিহাস। তাদের নিজেদের মধ্যে স্বার্থকেন্দ্রিক নানা সমস্যা থাকতে পারে। মতাদর্শিক সমস্যাও থাকতে পারে। কিন্তু আহলুস সুন্নাহর ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি একই ও অভিন্ন।
২. কেউ ইরান বিরোধী মানেই আরব নেতাদের পক্ষে, এমন ভাবার কারণ নেই। বরং আরবের নেতারা তাগুত এবং তারাও মুসলিমদের হত্যায় ও ফিলিস্তিনকে বিক্রি করে দেওয়ায় খুব বড়সড় ভূমিকা রাখছে। অক্টোবর ৭ এর পর আরব নেতাদের মত নিকৃষ্ট বেঈমানি ফিলিস্তিনের সাথে কাফির জনসাধারণও করেনি।
৩. অক্টোবর ৭ হামলার পরে শুধু আরব শাসকরাই বেঈমানি করেছে তা নয়, করেছে ইরান ও হিযবুল্লাহও। অনেকেই ধারণা করেছিলো হিযবুল্লাহ এ যুদ্ধে হামাসকে সাহায্য করবে, হামাসও ভেবেছিলো। কিন্তু নিজেরা আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে গেছে হিযবুল্লাহ। শেষে তাদের মেরুদন্ডই ভেঙে গেলো। হুথিরা বাদে শিয়াদের আর সব অংশই ২ বছর ধরে চলা গণহত্যা দেখে গেছে।
৪. সুন্নীরা কী করেছে, যা করার শিয়ারা করছে- এ যুক্তি এনে লাভ নেই। কেননা সত্যিকার অন ফিল্ড যুদ্ধ করছে সুন্নীরাই। হামাস সুন্নী। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র আমেরিকাকে যারা সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ২০ বছরের যুদ্ধে ধ্বসিয়ে দিলো তারা সুন্নী। ফিলিস্তিনের জন্য আমেরিকার ভেতরে গিয়ে আক্রমণ করে ওয়ার অন টেরর শুরু করে দেওয়া দলটাও সুন্নী।
৫. চলমান যুদ্ধ থেকে মুসলিমদের সবচেয়ে ভালো আউটকাম হলো যদি ইরান ও ইসরায়েল দুটোই দূর্বল হয়। ইসরায়েল দূর্বল হলে ইন শা আল্লাহ ইসরায়েল ধ্বংসের পথ সুগম হবে। ইরান দূর্বল হলে তাদের হাত থেকে ফিলিস্তিনের এজেন্সি তাদের হাত থেকে সরে যেতে থাকবে ও অন্যান্য সুন্নী মুয/হিদ গোষ্ঠীর ভূমিকা রাখার সুযোগ প্রশস্থ হবে।
৬. যদি ইসরায়েল সহজে ইরান দখল করে বা ইরানকে ধ্বংস করে দেয়, তা সামগ্রিকভাবে মুসলিমদের জন্য ভালো হবে না। ইরানে প্রচুর মুসলিম আছে। একইসাথে যাকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ধরা হয়, তাকে ইসরায়েল সহজে ধ্বংস করে দিলে তাদের ঔদ্ধত্য অনেক বেড়ে যাবে এবং তাগুত দ্বারা শাসিত আরব দেশগুলোর শাসক ও সেনাবাহিনী ইসরায়েলের সাথে কোনো ফাইট দিতে পারবে না। দেবেও না।
৭. তবে ইরান, আরব শাসক থেকে নিয়ে কোনো তাগুতের হাতে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে না। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে তাইফাতুল মানসুরার হাতে, যারা আল্লাহর দ্বীনকে কোনো বিকৃতি ও গোপনীয়তা ছাড়াই তুলে ধরেছে। যারা কাফিরদের প্রতি কঠোর ও মুসলিমদের প্রতি নরম। তারা রাজনৈতিক স্বার্থ, বানিজ্যিক হিসাবনিকাশ, স্যুডো ইন্টেলেকচুয়ালিজম থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ﷺ আনুগত্যকেই বেশি প্রাধান্য পাবে। তারা শুধু সে মাটিতেই থাকতে হবে কথা নেই, বাইরে থেকেও আসতে পারে।
কারা এই তাইফাতুল মানসুরা? নিজেই খুঁজে দেখুন।
— ইরফান সাদিক
সোর্স: ফেসবুক পোস্ট, ১৫ জুন ২০২৫