•\• অভিমানী মন •/•

•\• অভিমানী মন •/• ভুল করে ভালোবেসে ফেলা যায়, তবে
ভূলে যাওয়া যায়না। নীরবে অভিমানী নিভৃতে করছে
তিলে তিলে নিজেকে শেষ, কেন
বলো পৃথিবীতে কেউ কারো নয়
হয়ে গেছে ভালোবাসা নিঃশেষ।

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।এত তাড়াতাড়ি এই নিউজ আশা করি নাই।
02/11/2023

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

এত তাড়াতাড়ি এই নিউজ আশা করি নাই।

যে কারণে বড়লোকদের বাসায় যাওয়া উচিত নাঃপ্রশ্নঃ কী দেবো বলেন— ফলের জুস, চা, কফি, সফট ড্রিংকস নাকি অন্য কিছু?উত্তরঃ চা।প্র...
24/10/2023

যে কারণে বড়লোকদের বাসায় যাওয়া উচিত নাঃ

প্রশ্নঃ কী দেবো বলেন— ফলের জুস, চা, কফি, সফট ড্রিংকস নাকি অন্য কিছু?
উত্তরঃ চা।

প্রশ্নঃ সাধারণ নাকি হারবাল??
গ্রিন টি নাকি আইস টি?
উত্তরঃ সাধারণ চা।

প্রশ্নঃ লাল চা নাকি দুধ চা?
উত্তরঃ দুধ চা।

প্রশ্নঃ গরুর দুধ, ছাগলের দুধ নাকি উটের দুধের?
উত্তরঃ গরুর দুধের।

প্রশ্নঃ ঠান্ডা নাকি গরম?
উত্তরঃ গরম।

প্রশ্নঃ ফুলক্রিম, লো ফ্যাট নাকি ফ্যাট ফ্রি?
উত্তরঃ উমমমম…তারচেয়ে বরং লাল চা-ই দেন।

প্রশ্নঃ চিনি নাকি মধু দেবো?
উত্তরঃ চিনি দিন দয়া করে।

প্রশ্নঃ ক্যান সুগার নাকি বিট সুগার?
উত্তরঃ ক্যান সুগারই দিন।

প্রশ্নঃ সাদা, বাদামি নাকি হলুদ চিনি?
উত্তরঃ থাক ভাই, চা লাগবে না!
আপনি আমাকে এক গ্লাস পানি দেন!

প্রশ্নঃ মিনারেল নাকি নরমাল?
উত্তরঃ মিনারেল।

প্রশ্নঃ ফ্লেভারড নাকি নন ফ্লেভারড?
উত্তরঃ ভাই রে, অত কিছু বুঝি না!
আপনি আমাকে নদীর পানিই দেন!

(সংগৃহীত)

10/10/2023

একটা হাসির গল্প 😁

বাবাজি! আমার মেয়ের পিছে আর
ঘুইরো নাহ্।
- এহ্! কইলেই হইলো! কত কষ্টে পটাইছি
জানেন আপনে!
- দেখো সামনে আমার মেয়ের বিয়া।
তুমি যদি ঝামেলা না করো তাহলে
তোমারে আমি এমন অমূল্য জিনিস
দিবো
যা দিয়া সারাজীবন বইসা খাইতে
পারবা।
- এ্যাঁ! বলেন কি মশাই! সত্যি নাকি!
- অবশ্যই সত্যি। আলবৎ সত্যি।
- তা জিনিসটা কী?
- আমার মেয়ের বিয়ের পর এসে নিয়ে
যাইয়ো।
- এ্যাঁ! দাঁড়ান একটু ভাবি! সারাজীবন
বইসা খাইতে পারমু! আল্লাহ্! এমন
জিনিস
তুমি আমার কপালে রাখছো! ও মশাই
আমি রাজি।
- এইতো বুদ্ধিমান ছেলে। বিয়ের পর
এসে
জিনিসখানা নিয়ে যেও।
অতপর বিয়ের পর ছেলেটা আসলো।
মেয়ের বাবা ছেলেকে বড় একটা
কাটনবক্সে মোড়ানো অমূল্য
জিনিসখানা দিলো। বললো বাসায়
গিয়ে খুইলো। এখানে খুললে জ্ঞান
হারাইতে পারো।
ছেলে বীরবিক্রমে বাক্স নিয়ে বাসায়
গেল। তারপর ধীরে ধীরে খুললো। খুলে
ছেলের চোখ কপালে উঠে গেল। বক্সের
ভিতরে একটা RFL এর চেয়ার। তারউপর
একটা চিঠি। চিঠিতে গোটা গোটা
অক্ষরে লিখা
জনাব বেক্কল,
এই দিলাম আরএফএলের চেয়ার।
আজীবন
বসে বসে খাইতে পারবা। যত্ন করলে
তোমার নাতীপুতিরাও আরামসে বইসা
খাইতে পারবে।😆😅🤣
(Collected)

দীর্ঘ ১২ বছর পর বিদেশ থেকে দেশে এসেছি বিয়ে করার জন্য।বাস্তবে আমার পছন্দের কেউ না থাকায় ফ্যমিলি একটা ক'চি মেয়ের সাথে আ...
09/10/2023

দীর্ঘ ১২ বছর পর বিদেশ থেকে দেশে এসেছি বিয়ে করার জন্য।
বাস্তবে আমার পছন্দের কেউ না থাকায় ফ্যমিলি একটা ক'চি মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে রাখছে আগে থেকেই। তাতে আমার কোনো আপত্তি ছিলো না।
সোনা দানা সহ এক প্রকার বিয়ের সব প্রস্তুতি নিয়েই গতো ১৩ তারিখে দেশে আসছি।
দেশে আসার পরদিন থেকেই দুই ফ্যামিলিই বিয়ের আয়োজন করতে তাড়াহুড়ো শুরু করে দিছে।
এরমধ্যে আবার শশুরবাড়ি থেকে আমাকে দাওয়াত দিছে বিয়ের আগে তাদের মেয়েকে একবার দেখে আসার জন্য।
আব্বা, আম্মা আর আমি, আমরা তিনজন গেলাম হবু বৌ দেখতে।
তাদের বাড়িতে গেলাম! প্রথমে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো হবু শশুরের সাথে, তারপর শালার সাথে, তারপরেও বৌয়ের সাথে(বৌ মাশাআল্লাহ পরীর মতো, অল্পবয়সী সব মেয়েই সুন্দরী!
অতঃপর, পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো হবু শাশুড়ির সাথে!
এইখানেই ঘটলো বিপত্তি।
শাশুড়ির দিকে তাকাতেই আমার শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিছে কিছুক্ষণের জন্য।
এই সেই মেয়ে, যে একসময় আমার ক্লাস_ফাইভের_প্রেমিকা ছিলো! এস এসসির পরেই যার বিয়ে হয়ে যায়, এবং সে এখন আমার শাশুড়ি হতে যাচ্ছে....
- এখন আমার কি উচিত বিয়েটা ভেঙ্গে দেয়া? নাকি অতীত ভুলে গিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকার মেয়েরে নিয়ে নতুন স্বপ্ন শুরু করবো?
তাছাড়া এই বিয়েটা কি আমার হালাল হবে?

ড্রেস চেঞ্জ করবো। দরজার সিটকানি অনেক টাইট দিতে পারতেছিলাম না। ভাগ্নি( ননদের মেয়ে) কে বললাম দেইখো তো রুমের ভিতরে যেনো কেউ...
08/10/2023

ড্রেস চেঞ্জ করবো। দরজার সিটকানি অনেক টাইট দিতে পারতেছিলাম না।

ভাগ্নি( ননদের মেয়ে) কে বললাম দেইখো তো রুমের ভিতরে যেনো কেউ আসে না।৷

এর মধ্যে আমার হাসব্যান্ড রুমে ঢুকবে। ও চিল্লাইতেছে মামা ভিতরে ঢুইকেন না মামি চেঞ্জ করতেছে। হাসব্যান্ড তার কথা পাত্তা না দিয়ে রুমের ভিতরে ঢুকতে গেছে। ভাগ্নি আরো জোরে চিল্লায়ে দরজা চেপে ধরছে।

আমার চেঞ্জ করা শেষে। আমার কাছে এসে বলতেছে মামি আর একটু হইলে মামা ভিতরে ঢুকে যেতো। আজকে আমি না থাকলে তোমার সব শেষ হইয়া যাইতো!

আমিও বললাম ভাগ্যিস তুমি ছিলে তা না হলে আমার মান ইজ্জত সব তোমার মামা দেখে ফেলতো!🙂

(Collected)

পাশের বাসার ভাবী বিকালে আমাকে জিজ্ঞেস করল,"ভাই ফেসবুক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?"🤔আমি বললাম,"ভোটার আইডি কার্ডের ফটো কপি,দ...
01/10/2023

পাশের বাসার ভাবী বিকালে আমাকে জিজ্ঞেস করল,
"ভাই ফেসবুক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?"🤔
আমি বললাম,"ভোটার আইডি কার্ডের ফটো কপি,
দুই কপি ছবি, কাউন্সিলার
সনদ পত্র, চারিত্রিক সনদ পত্র, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা আর ৫০০ টাকা!!"
ভাবী বললো,"ঠিক আছে আমি তোমাকে আগামীকাল সব দেবো।"
কিন্তু একটু আগেই দেখি ভাবী
৫০০ টাকা আর সব ডকুমেন্টস নিয়ে হাজির। আমিও চান্সে দিলাম টাকা টা মাইরা,
বিনিময়ে দিলাম একটা ফেসবুক আইডি খুইল্যা। এরপর তো মহাখুশি আমি।🫡
৫০০ টাকা নিয়া নিচে গেলাম প্রান জিরাপানি খাইতে।
দোকানদার তো টাকা দেখে বেহুশ।
দোকানদার বললো,
"মামা টাকা কে দিছে। টাকা তো জাল"
"আমি হতাশ মুখে বললাম,"
এক ভাবী দিছে ভালমন্দ খাওয়ার জন্যে।"
দোকানদার বললো,"ভাবীর দেশের বাড়ি কই মামা?"
আমি তব্দা খায়া আস্তে করে
ফিসফিসিয়ে বললাম,
"আমাদের বাংলাদেশেই
এরপর দিলাম ভাবী রে কল,
বললাম, "এইডা কি টাকা
দিছেন?? টাকা তো ভুয়া।"
ভাবী কইলো," আমারে কি বলদ পাইছোস, ফেসবকু খুলতে টাকা লাগে
বাংলা দেশের মাইয়া 😂🤣😭

29/09/2023

সমা‌জে তিন ধর‌নের স্বামী পাওয়া যায়ঃ

০১) সে তার স্ত্রী‌কে চাকুরী‌তে পা‌ঠি‌য়ে নি‌জে বেকার ঘু‌রে বেড়ায় আর স্ত্রী বেতন পে‌লে স্বামী তা নি‌য়ে যায়।

০২) সে তার স্ত্রী‌কে ঘ‌রে রা‌খে, আর স্ত্রীর হক আদায় করার জীবনপণ চেষ্টা ক‌রে সা‌থে স্ত্রী‌কে হা‌দিয়াও দেন।

০৩) সে তার স্ত্রী‌কে চাকুরীতে পাঠান এবং নি‌জেও চাকুরী‌তে যান। মা‌সের শে‌ষে দুই জ‌নে বেতন পে‌লে ঝগড়া লা‌গে কার টাকায় ঘর বা‌ড়ি দিবে, কার টাকা বা‌ড়ি‌তে পাঠা‌বে, কার টাকা দি‌য়ে সুদ প‌রি‌শোধ কর‌বে?

বলুন‌তো, আদর্শবান স্বামী কোন‌টির ম‌ধ্যে প‌ড়ে?

(Collected)

মনে মনে হাজার বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে পড়তে বাসরঘরে প্রবেশ করলাম। ঢুকেই দেখি বউ আমার ১২ হাত শাড়িতে ১৩ হাত ঘোমটা দিয়ে রাখ...
24/09/2023

মনে মনে হাজার বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে পড়তে বাসরঘরে প্রবেশ করলাম। ঢুকেই দেখি বউ আমার ১২ হাত শাড়িতে ১৩ হাত ঘোমটা দিয়ে রাখছে। কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। কোনো কথা না বলে শান্তভাবে বারান্দায় চলে গেলাম।

মোবাইলটা বের করেই দেখি ৩৭ টা ম্যাসেজ। এতটা বিখ্যাত কবে হলাম? অনেক বন্ধু বান্ধবরাই বিয়ের শুভেচ্ছা জানাইছে। চ্যাট অন করে দেখি রাজ একটিভ।

ওকে নক করলাম-

আমিঃ দোস্ত!
রাজ :আরে দোস্ত! বিয়েটা তো করেই ফেললি।

আমিঃ ধুর, শালা!! একটা গোলকধাঁধায় আটকে গেছি।
রাজ : মানে? কই তুই? বাসরঘরে যাস নাই?
আমিঃ আরে ঢুকছি। এরপরে কি করমু? বুঝতাছি না।
রাজ :ওয়েট! তুই এক কাজ কর।
আমিঃ কি?

রাজ : তুই গুগলে সার্চ দিয়ে দেখ😁
আমিঃ কি লিখে সার্চ দিব?🙄
রাজ :‘বাসর রাতে করণীয়’ লিখে সার্চ দে।
আমিঃ ফাইজলামি করস?

এই বলে ফোনটা রেখে দিলাম। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসতেছে। ভয় পাইতেছি মনে হয়। সাহস করে বউ এর সামনে গেলাম। কথা বলতে গেলে জড়িয়ে যাচ্ছে।

তবুও বললাম-

আমিঃ আচ্ছা! আমি কি আপনাকে দেখতে পারি? আসলে সারাদিন সবাই বউ দেখা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমার দেখার সুযোগ হয় নাই।

ওপাশ থেকে কোনো উত্তর এলো না। কিছুক্ষণ পর বউ বিছানা থেকে নেমে এসে আমাকে সালাম করল। আমিও সহসা তার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলাম।

বউঃ এ মা! এ কি করছেন?
আমিঃ কেন? আমার সালাম করতে হবে না?
বউঃ মাথা নেড়ে না করলো।

আমিঃ প্রথম বিয়ে তো, এ কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। আর কয়েকটা বিয়ে করলেই ঠিক হয়ে যাবে।
আমার এই কথা শুনে বউ এর অগ্নিদৃষ্টি আমাকে গিলে খাওয়ার উপক্রম হলো।
বউঃ কি বললি, তুই? আরো বিয়ে করবি মানে? তাহলে আমাকে বউ করে আনলি কেন?

এসব বলেই কাঁদতে আরম্ভ করলো। আমিও খানিকটা ভঁড়কে গেলাম। কি বলতে কি বলে ফেলছি এইটা! ওকে থামানোর অনেক চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমার কোনো কথাই সে শুনলো না। আমার সাথে কোনো কথা না বলেই সে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বেশ কিছুক্ষণ পর বারান্দায় গিয়ে ওকে সরি বললাম। ও কিছু না বলে বিছানায় এসে শুয়ে পড়ল।

আমিও ওর পাশে গিয়ে শুলাম। ওর হাতটা ধরে বললাম-

আমিঃ আমি কিন্তু বুঝে শুনে কোনো কথা বলি নি।
বউঃ আমি জানি। আর এটাও জানি যে, আমার এই বোকা জামাইটাকে মানুষ করার দায়িত্ব এখন আমার।

আমাকে বোকা বলল দেখে ভীষণ রাগ হলো। কিন্তু সমস্ত রাগটা হাসির মধ্যেই লুকিয়ে রাখলাম। তারপর ওর হাতটা ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকাল বেলা আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙলো।
আম্মুঃ কি রে, আবির ! কত বেলা হয়েছে দেখ। এখনো ঘুমোচ্ছিস? কলেজে যাবি না?
ঘুম থেকে উঠে খানিকক্ষণ হতভম্বের মতো এদিক সেদিক তাকালাম। কোথায় আমার বউ? পাশে পড়ে আছে আমার সেই কোল বালিশটা।😔

#বাসর_রাত_ধামাকা

(Collected)

পেজ টা ফলো করুন তার গল্প গুলা আপনাদের কে মুগ্ধ করবে।

🤩 গার্ল ফ্রেন্ডের বাসায়😳😳 হঠাৎ রাত ১২ টার দিকে 🤩গার্লফ্রেন্ড কল দিয়ে বললো " তুমি কি এখনই একটু আমাদের বাসায় আসতে পারবে? "...
22/09/2023

🤩 গার্ল ফ্রেন্ডের বাসায়😳
😳 হঠাৎ রাত ১২ টার দিকে 🤩

গার্লফ্রেন্ড কল দিয়ে বললো " তুমি কি এখনই একটু আমাদের বাসায় আসতে পারবে? "

বললাম " হ্যাঁ পারবো, কিন্তু বাসায় কেউ যদি কিছু বলে। "

" বাসায় কেউ নেই, তুমি চিন্তা করো না। একটু তাড়াতাড়ি চলে আসো। "

বাইক নিয়ে দশ মিনিটের মধ্যে গার্লফ্রেন্ডের বাড়ির সামনে হাজির হলাম। তারপর তাকে আবার কল দিয়ে বললাম,

" আমি তো বাসার সামনে, তুমি কোই? আমি কি সরাসরি বাড়ির মধ্যে আসবো নাকি? তাড়াতাড়ি বলো, আমার তো অপেক্ষা করতে ইচ্ছে করছে না। "

" আরে ধুর, আমরা সবাই তো খালার বাসায় বেড়াতে এসেছি। কিন্তু মা শুধু শুধু চিন্তা করছে। তার ধারণা যে তিনি মনে হয় বাড়িতে তালা দিয়ে আসেনি। তুমি একটু চেক করে দেখো তো দরজা তালা দেওয়া নাকি। চেক করে তাড়াতাড়ি জানাও😂। "

#অনুগল্প

18/09/2023

একটি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনের ৮ তলায় আমরা বাস করি। ভবনটা দেখতে সুন্দর হলেও এখানে সমস্যার কোনো শেষ নেই।

ভবনের সবাই নিজ নিজ ফ্ল্যাটের মালিক হলেও কারো হাতে তেমন কোনো ক্ষমতা নেই। সকল ক্ষমতা জমির মালিকের ছেলে হাসান সাহেবের হাতে! সে মুখে কিছু বলে না! কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়, এটা আমার বাবার জমি! থাকতে হলে আমার কথামতোন থাকতে হবে!

ফ্লাটের মালিকরা তেমন একটা কিছু বলে না! কারণ মালিকের ছেলে কুকুর পালে! আরে পশু কুকুর না! মানুষরূপী পশু কুকুর! বাড়ির কেয়ারটেকার, দারোয়ান, কাজের ছেলে ও ড্রাইভার নিয়ে তার কুকুর বাহিনী! এদের জ্বালায় নিজের বাসায় বসবাস করা বেশ কঠিন! কিন্তু কোথায় আর যাবো?

যাইহোক, এবার আমাদের বাসার প্রধান একটা সমস্যার কথায় আসি। সেটা হলো, আমাদের এই ১৫ তলা ভবনে কোনো লিফট নেই। মানুষের অনেক কষ্ট হয়! তাই একদিন আমরা সবাই মিলে গেলাম জমির মালিকের ছেলে হাসান সাহেবের কাছে। তার কাছে না গিয়েও উপায় নেই। আমাদের ফ্ল্যাট মালিকদের সমিতির নির্বাচিত সভাপতি সে। প্রতি দুই বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবারই সে জিতে! আমরা সবাই জানি কীভাবে জিতে কিন্তু তার কুকুরদের ভয়ে কিছু বলতে পারি না!

হাসান সাহেব আমাদের দাবি শুনে বললেন, আপনারা ভাববেন না! এটা আমার বাবার জায়গা! এই বাড়ি আমার বাবার স্বপ্ন! এই বাড়ির উন্নয়নে আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি! দরকার হলে আমি আমার জীবন দিয়ে দিবো!
৫ তলার বাতেন সাহেব সহজ সরল মানুষ। তিনি মুখ ফসকে বলে ফেললেন, জীবন লাগবে না! আপাতত একটা লিফটের ব্যবস্থা করেন!
হাসান সাহেব চোখ পাকিয়ে তাকালেন! পাশে থাকা তার ড্রাইভার কুকুর ঘাউ করে উঠলেন। বাতেন সাহেব চুপসে গেলেন!

পরদিন হাসান সাহেব থেকে ঘোষণা এলো, এই ভবনের উন্নয়নের জন্য সবাইকে চাঁদা দিতে হবে! চাঁদার পরিমাণ শুনে আমাদের চোখ কপালে উঠলো! কিন্তু উপায় কী? চোখ মহাশূন্যে উঠলেও চাঁদা তো দিতেই হবে! ভবনের উন্নয়ন বলে কথা!

আমরা সবাই মোটা অংকের চাঁদা দিলাম! মনে অনেক আশা, ভবনে লিফট লাগানো হবে! এক চাপে নিজ নিজ ফ্ল্যাটে পৌঁছে যেতে পারবো! আহা! কী মজা হবে! আহা! কী আরাম হবে!

একদিন সকালে দেখলাম, ভবনের প্রতি তলায় ফ্রিজ এনে রাখা হচ্ছে! এই ফ্রিজগুলোতে ঠান্ডা পানি ও কোক পেপসি থাকবে! সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে কেউ ক্লান্ত হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি ও কোক পেপসি খেয়ে পরাণ জুড়াতে পারবেন! তবে এর জন্য আলাদা দামও দিতে হবে!
প্রতি তলায় ফ্রিজ বসানোর পর বাড়িওয়ালার ছেলে হাসান সাহেবের সাথে দেখা হতেই তিনি এক গাল হেসে বললেন, দেখছেন কী চমৎকার একটা আইডিয়া বের করলাম! এখন আরাম করে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারবেন!
আমি মিনমিন করে বললাম, এত টাকা দিয়ে এতগুলো ফ্রিজ না কিনে একটা লিফট...
ঘেউ ঘেউ ঘেউ! আমি কথা শেষ করার আগেই বাড়িওয়ালার ছেলের কেয়ারটেকার কুকুরটা আমাকে ভয় দেখালো! আমি চুপ করে গেলাম! কারণ সাত তলার আনিস সাহেবের কাছ থেকে শুনেছি এই ফ্রিজগুলো বাড়িওয়ালার ছেলের শালার দোকান থেকে কেনা হয়েছে! বাড়িওয়ালার ছেলে অনেক টাকা নাকি নিজের পকেটে ঢুকিয়েছে! এখন বেশি কথা বললে আমার পিছনে কুকুর লেলিয়ে দিবে!

কিছুদিন পর বাড়িওয়ালার ছেলে আবারও মোটা অংকের চাঁদা দাবি করলো! আমরা আবারও আশায় বুক বাঁধলাম! এবার নিশ্চয় আমাদের এত দিনের স্বপ্নের লিফটা হয়েই যাবে!
আমরা সময়মতো সব চাঁদা পরিশোধ করলাম!

পরদিন আমরা অবাক হয়ে দেখি, লিফট নয়! প্রতি তলায় ফ্রিজের পাশে বসে পানি খাওয়ার জন্য আরামদায়ক সোফা কেনা হয়েছে! আমরা সবাই অবাক হয়ে আছি! এমন সময় বাড়িওয়ালার ছেলে হাসান সাহেব সবার উদ্দেশ্যে বললো, আমি দেখেছি আপনারা অনেক কষ্ট করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করেন! তাই আরাম করে বসে বসে পানি খাওয়ার ব্যবস্থা করলাম! গোপন খবরে জানা যায়, এই সোফাসেট বাড়িওয়ালার ছেলের খালাতো ভাইয়ের দোকান থেকে আনা হয়েছে! এখানেও বেশ বড়ো অংকের ব্যবসা! আমাদের সহ্য ক্ষমতা বেড়েছে! তাই চুপ করে সব সহ্য করছি!

কিন্তু দুই তলার সগীর সাহেব আর সহ্য করতে পারলেন না! তিনি হাউকাউ করে উঠলেন! তিনি বললেন, আমার বাসা দুই তলায়! আমার তো এসব কোনো কাজে আসছে না! তাহলে আমি কেন চাঁদা দিচ্ছি! হাসান সাহেব চোখ পাকিয়ে বললেন, এটা কেমন কথা? আপনি কী এই ভবনের উন্নয়ন চান না! আপনি কী চান না, এই ভবন গুলশান বনানীর ভবন থেকেও সামনে এগিয়ে যাক?
সগীর সাহেব শুনলেন না! হাউকাউ চালিয়েই যেতে থাকলেন! ঠিক তখনই বাড়িওয়ালার ছেলের দুই কুকুর এসে সগীর সাহেবকে ধরে নিয়ে গেলো! দুই দিন সগীর সাহেবের কোনো খবর ছিলো না! তিন দিনের দিন দেখা গেল সগীর সাহেবের মাথায় ব্যান্ডেজ! জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়েছেন!

আমরা কেউ সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পড়তে চাই না! তাই চুপ করে গেলাম!

কিছুদিন পর আবারও মোটা অংকের চাঁদার নোটিশ! জানা গেল এবার প্রতি তলার ওপেন স্পেসে এসি লাগানো হবে! আমরা যারা সিঁড়ি দিয়ে উঠি তারা যেন সোফায় বসে এসির বাতাস উপভোগ করতে করতে পানি পান করতে পারি! আমার মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, আচ্ছা ওপেন স্পেসে এসি কাজ করবে কী করে? বাতাস সব বের হয়ে যাবে না? কিন্তু মনের প্রশ্ন মনেই চাপা দিলাম! এসির বাতাস বের হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে আমার নিজের বাতাসও বের হয়ে যেতে পারে!

তাই চুপ গেলাম!

©Rohit Hasan Kislu

17/09/2023

যদি প্রশ্ন করি এডিসি সানজিদা কী করেছে বা মুনজেরিন শহীদের বিয়ে কবে, অধিকাংশ মানুষ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিয়ে দেবেন।

কিন্তু যদি প্রশ্ন করি রিকতা আখতার বানু কে বা কী করেছে, দশ ভাগ মানুষ উত্তর দিতে পারবে কী না সন্দেহ।

তিন জনের মধ্যে মিল হলো তিন জনকে নিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে পত্রিকায় লেখালিখি হয়েছে। একজন 'বিধি তুমি বলে দাও আমি কার' গানের অবস্থায় রয়েছেন, আরেকজনের বিয়ে। কিন্তু এই রিকতা বানু কী করেছেন তাহলে?

ভদ্রমহিলা সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র নার্স। আজীবন মানুষের সেবা শুশ্রূষা করে এসেছেন। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তার নিজের মেয়ে প্রতিবন্ধী। তার মেয়েকে শিক্ষিত করার জন্য স্কুলে ভর্তি করেছিলেন কিন্তু মাননীয় শিক্ষকবৃন্দ তাকে পড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। যদিও স্কুলে পাঁচজন প্রতিবন্ধীকে ভর্তি করার বিধান রয়েছে। এটা সেই ২০০৮ সালের ঘটনা।

মেয়েকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করায় মা কিন্তু হার মেনে নেননি। তিনি শুরু করেছেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধ নোংরা সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। তিনি ঠিক করেন প্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল খুলে ফেলবেন। তার স্বামীর দান করা অল্প একটু জমিতে চার জন শিক্ষকের সহায়তায় স্কুল খুলেও ফেলেন। স্কুলের বাচ্চাদের দুপুরের খাবারের জন্য নিজের সংসারের বাজেট কাটছাঁট করেন। ৬৩ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য নাশতার খরচ কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।

বছরের পর বছর গড়িয়েছে। স্কুলে ৬৩ জন ছাত্রছাত্রী থেকে ৩০০ জন হয়েছে, স্বেচ্ছাশ্রম দেয়া চার জন শিক্ষকের থেকে একুশ জন শিক্ষক হয়েছে, স্কুল এমপিওভুক্ত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের দুপুরের খাবারের দায়িত্ব সকল শিক্ষক কর্মচারী ভাগ করে নিয়েছেন। তবুও সপ্তাহের এক দিন রিকতা আখতার বানু তার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের খাবার দিতে ভোলেন না। অল্প কথায় হয়ত এসব মহৎ কাজের কথা লিখে ফেলা যায় কিন্তু তিনি যে শ্রম আর ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই স্কুলের জন্য, পৃথিবীর কোন ভাষাতেই সেই ত্যাগের শতভাগ বর্ণনা করা সম্ভব নয়।

পৃথিবীতে সুপারহিরোর অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সুপারহিরোদের চেয়েও শক্তিশালী মানুষের অস্তিত্ব রয়েছে। যাদের আমরা 'মা' বলে ডাকি। রিকতা আখতার বানু তার নিজের মেয়ে সহ প্রতিবন্ধীদের জন্য যা করেছেন, কোন সুপারহিরোর পক্ষেও হয়ত সেটা করা সম্ভব হত না।

আলোচনা যদি হতেই হয়, এসব মানুষকে নিয়ে হওয়া উচিৎ। যারা আসলেই সমাজের জন্য কিছু করেছেন। কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্যি, উনারা থেকে যাবেন পর্দার আড়ালেই। আলোচনায় থাকবে কে কার সাথে পরকীয়া করলো, কে কোথায় কাকে বিয়ে করলো, কার কোথায় বিষফোঁড়া হয়েছে অমুক তমুক ইত্যাদি।

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নেগেটিভ বা হুজুগের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কিছু লিখব না। লিখলে ভালো কিছু নিয়েই লিখব। বাইরের মানুষকে পরিবর্তন করা হয়ত আমার পক্ষে সম্ভব নয়৷ কিন্তু নিজেকে পরিবর্তন করা সম্ভব। সেই উদ্দেশ্যেই লিখে ফেললাম।

জ্বী পোস্ট টা শেয়ার না করলেও রিকতা আখতার বানুরা দমে যাবে না।

From Obboy Akib's Wall

14/09/2023

টিউশনিতে যেতেই ছাত্রী বললো,"ভাইয়া একটা কথা বলি??" 😌😌
আমি বললাম,"হ্যা বলো।"

"আপু যখন নাস্তা দিয়ে যায় তখন আপনি অর্ধেকটা খেয়ে বাকিটা রেখে যান, এতে আমার কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা অন্য জায়গায়।"

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,"কি সমস্যা??" 🙄🤔

ছাত্রী নির্লিপ্ত স্বরে বললো,"আপনি প্রত্যেক বার বিজোড় সংখ্যায় বিস্কুট, মিষ্টি রেখে যান। কখনো একটা রেখে যান, কখনো তিনটা।"

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,"বিজোড় সংখ্যায় রাখলে সমস্যা কি??" 🤔🙄

"সমস্যাটা হয় ভাগাভাগি করার সময়।" 🥹😔

"মানে??" 🙄😱🤔

"আপনি যখন চলে যান তখন আপনার রেখে যাওয়া বিস্কুট আপুর সাথে ভাগাভাগি করে নিতে হয়। আমরা দুইজন, আর আপনি রেখে যান তিনটা। বিজোড় সংখ্যায় রেখে গেলে ভাগাভাগি করতে সমস্যা হয়।" 😔🥺

ছাত্রীর কথার মাঝখানেই ওর আপু ট্রে'তে করে নাস্তা নিয়ে টেবিলে রাখলো। ছাত্রীর মুখে এই কথা শুনে ওর আপু হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকালো। 😱😱

আমি বললাম,"ঠিক আছে। এখন থেকে জোড় সংখ্যায় বিস্কুট রেখে যাবো।" 😂😁

©

একটা মেয়ে প্রতিদিন কোচিং থেকে ফেরার সময় এক ছেলেকে তার বাড়ির সামনে অপেক্ষা করতে দেখতো!আর এভাবেই দেখতে দেখতে প্রায় মাসখা...
09/09/2023

একটা মেয়ে প্রতিদিন কোচিং থেকে ফেরার সময় এক ছেলেকে তার বাড়ির সামনে অপেক্ষা করতে দেখতো!

আর এভাবেই দেখতে দেখতে প্রায় মাসখানেক কেটে গেলো! মেয়েটি বুঝতে পারলো ছেলেটি তার জন্যই প্রতিদিন
কষ্ট করে অপেক্ষা করে! তাই মেয়েটিও ছেলেটির প্রতি দূর্বল
হতে লাগলো!...

ছেলেটি মুখ ফুটে কিছুই বলতো না, শুধু বাড়ির সামনে পায়চারি করতো আর নয়তো ফোন হাতে নিয়ে সময় কাটাতো!

মেয়েটি বুঝতে পারলো এই ছেলে খুব লাজুক, তাই যা করার নিজেকেই করতে হবে...।

একদিন মেয়েটি ছেলেটিকে গিয়ে বললো,"আর কতো দিন
এভাবে কাটাবে??
বলো তুমি কি বলতে চাও...
আমি রাজি আছি!"

এই কথা শুনে ছেলেটির চোখে মুখে রাজ্য জয়ের ভাবমুর্তি ফুটে উঠলো!
আর সব ভয় জয় করে সে বললো...

"দিদি...
আপনাদের বাড়ির WiFi এর পাসওয়ার্ড দেওয়া নেই, তাই
নেট Use করতে এখানে আসি!
আপনাদের WiFi এর Speed আরেকটু Fast করতে
পারেন না??
ভিডিও ডাউনলোড করতে দিলে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে
থাকতে হয়...!" 🤣🤣🤣🤣😂😂

゚ #ছামিয়ান_ছাকিব_তালুকদার #ছোটগলপ #লেখক_তরিকুল_ইসলাম

06/09/2023

টিউশন যেহেতু নিচ্ছেন না, মজা নিন!

চোরের জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব!

"ম্যাজিস্ট্রেট: তুমি চুরি করেছো??
চোর: না হুজুর। আমি শুধু কবি গুরুর নির্দেশ পালন করেছি।

ম্যাজিস্ট্রেট: তার মানে??
চোর: গতকাল মাঝরাতে একটা গান ভেসে এলো,"*আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে*।"
ভাবলাম আমিই বা বসে থাকি কেনো?? আমিও যাই, তাই বেড়িয়ে পড়লাম।

ম্যাজিস্ট্রেট: তারপর??
চোর: একটি বাড়ি থেকে আওয়াজ এলো- *এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে*। সাথে সাথে ঢুকে পড়লাম।

ম্যাজিস্ট্রেট: বলো কি!!
চোর: ঘরে ঢুকেই শুনলাম- *ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে*। বেশ আনন্দ পেলাম। বুঝলাম, আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে কি করবো ভাবছি, তখন শুনতে পেলাম- *এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল*।
কবিগুরুর আদেশ তো আর অমান্য করা যায় না! সব মালপত্র একজায়গায় জড়ো করে বেঁধে ফেললাম। সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এলো- *আজি দখিন দুয়ার খোলা*।

পেছনের দরজা দিয়ে যখন বেড়িয়ে পড়লাম তখন বেরসিক পুলিশ এসে আমাকে ধরলো। আমি কত বোঝাবার চেষ্টা করলাম- আমি চুরি করিনি, শুধু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি!!
ওরা বোধহয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনে নি, সোজা আপনার কাছে নিয়ে এসেছে।

ম্যাজিস্ট্রেট: ঠিক আছে, তোমাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিলাম। এই বিষয়ে তোমার রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন??
চোর: *এ পথে আমি যে গেছি বারেবার, ভুলিনি তো একদিনও*।

ম্যাজিস্ট্রেট: জেলে যখন থাকবে, তখন তুমি রবীন্দ্রনাথকে কি বলবে??
চোর: *ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে*??"

(সংগৃহিত)

পায়ের মোজার মধ্যে এক হাজার টাকার তিনটা নোট লুকিয়ে রাখলাম। ছাত্রের মা একটু আগেই এই মাসের টিউশনির টাকা দিয়ে গেলো। ছাত্রের ...
31/08/2023

পায়ের মোজার মধ্যে এক হাজার টাকার তিনটা নোট লুকিয়ে রাখলাম। ছাত্রের মা একটু আগেই এই মাসের টিউশনির টাকা দিয়ে গেলো। ছাত্রের সামনে এমন ভাব করলাম যে যেন মনে করে পা চুলকাচ্ছি।

টিউশনি থেকে বের হয়েই দেখি রিমু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। রিমু হচ্ছে আমার প্রেমিকা। আট বছর ধরে প্রেম করি। আমার থেকে দুই ক্লাস উপরে পড়ে। আগে একসাথেই পড়তাম। কিন্তু দুইবার ফেল করার কারণে এখন ও আমার সিনিয়র। এইজন্য ওর কথায় ওঠবস করতে হয়।

আমাকে দেখেই ও বললো " টিউশনির টাকা দিছে?"
আমি আমতাআমতা করে বললাম, না দেয়নাই তো। কেন কি হইছে? তুই না বললি আজ টিউশনির টাকা দিবে? রেগে গেলে প্রেমিকা আমাকে তুই করে বলে। সিনিয়র তো তাই কিছু বলতে পারি না। চুপচাপ থাকলাম কোনো উত্তর দিলাম না।
কিরে উত্তর দেস না কেন? আবার আমতা আমতা করে বললাম " আজকে দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেয় নাই।"

প্রেমিকা কাছে এগিয়ে এসে বললো " প্যান্টের পকেট থেকে হাত বের কর। আমি চেক করে দেখবো "। আমি বাধ্য ছেলের মতো পকেট থেকে হাত বের করে থাকলাম। প্রেমিকা আমার পকেট আর মানিব্যাগ সব একটা একটা করে চেক করলো। শেষমেশ হাল ছেড়ে দিয়ে বললো " ঠিক আছে আর চেক করবো না। মনে মনে ভাবলাম যাক বাবা বাঁচলাম। ধরা খেলে আজ নির্ঘাত ১২ টা বাজিয়ে ছাড়তো।

প্রেমিকা হঠাৎ বলে উঠলো, আজ আমি টিউশনির টাকা পেয়েছি চলো আজ আমি তোমাকে খাওয়াবো। দুনিয়াতে প্রেমিকার টাকায় খাওয়া খাদ্যের স্বাদ বেশি হয়। এটা প্রত্যেকটা পুরুষ মাত্রই জানে।

রেস্টুরেন্ট বসে আছি প্রেমিকা একটার পর একটা অর্ডার দিয়েই যাচ্ছে। খাবারের তালিকা দেখে প্যান্টের বেল্ট একটু ইজি করে দিলাম ( বেশি খাওয়ার জন্য)। ওয়েটার একটার পর একটা খাবার দিচ্ছে আর আমি সাবাড় করে দিচ্ছি।

খাওয়াদাওয়া শেষ করে চুপচাপ বসে আছি ভদ্র ছেলের মতো। এমন সময় প্রেমিকা বলে উঠলো " আজ সকাল ৯ টা ২৩ এ তুমি ঘুম থেকে উঠছ। তারপর বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়েছ ১৮ মিনিটে। তারপর আমাকে বলছ কাপড় ধুয়ে দিবা কিন্তু ঐ সময় তুমি পাশের রুমের ছেলেদের সাথে বসে তাস খেলছ। সেখান থেকে উঠে গোসল করছ ২৫ মিনিট ধরে। তারপর আমাকে বলছ নামাজ পড়তে যাবা কিন্তু নামাজ পড়তে না গিয়ে ফেইক আইডি দিয়ে অন্য মেয়ের সাথে চ্যাটিং করেছ। তারপর আমাকে বলেছ ঘুম আসবে কিন্তু ঘুম না এসে তুমি তোমার মোবাইলে এন্ডগেম মুভি দেখেছ। তারপর মুভি দেখা শেষ করে আমাকে বলেছ পড়তে বসবে কিন্তু পড়তে না বসে ছাদে গিয়ে পাশের বিল্ডিংয়ে আসা নতুন ভাড়াটিয়ার মেয়ের সাথে উঁকিঝুঁকি দিয়েছ। তারপর সেখান থেকে সোজা এই টিউশনিতে এসেছ। আমি কি কিছু ভুল বলেছি?"

প্রেমিকার মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছি। একটা কথাও ও মিথ্যে বলেনি। কিন্তু কিভাবে সম্ভব? মাথার মধ্যে সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল। ঘোর ভাঙ্গলো ওয়েটারের কথা শুনে।

এক্সকিউজ মি ম্যাম আপনার বিলটা। আড়চোখে তাকিয়ে দেখি ৩ হাজার ১৫ টাকা বিল এসেছে।

ওয়েটার চলে গেলে রিমু বলে উঠলো " আমাকে মিথ্যে বলে কি হয় তোমার?"

ধরা পড়া চোরের মতো চুপচাপ বসে আছি। কোনো কথা বলছি না মুখ দিয়ে। কথা বললেই বিপদের আশংকা।

হঠাৎ রিমুর ফোনে একটা মেসেজ এলো। রিমু মেসেজ টা বের করে আমার দিকে ফোন ধরে বললো " মেসেজ টা জোরে পড়ে শুনাও তো"। ফোনের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে দেখি লিখা আছে " ম্যাম স্যারের মোজার মধ্যে টাকা রাখা আছে"। মেসেজের উপরে তাকিয়ে দেখি "রুদ্র" লিখা। আর রুদ্র আমার সেই স্টুডেন্টের নাম।

প্রেমিকা উঠে হনহন করে চলে গেলো। মোজার মধ্যে থেকে একহাজার টাকার তিনটা কনকনে নোট বের করে টেবিলে রেখে দিলাম।

বেড়িয়ে আসবো এমন সময় পিছন থেকে ওয়েটার ডেকে বললো " স্যার আরো পনেরো টাকা দিতে হবে"। পকেট মানিব্যাগ চেক করে ১০ টাকা বের করে দিয়ে বললাম " ভাই বিশ্বাস করেন আমার পকেটে আর কোনো টাকা নাই"।

ওয়েটার আমার কথা শুনে বললো " স্যার আপনি তো পকেটে টাকা রাখেন না। টাকা রাখেন মোজায়। একটু চেক করে দেখবেন প্লিজ। রাগে দুই পায়ের দুইটা মোজা খুলে ওয়েটার কে চেক করে দেখিয়ে বের হয়ে এলাম"।

স্পাই গার্লফ্রেন্ড
রিফাত আহমেদ
(collected)

এক অন্ধ ব্যক্তি রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকেছেন।ওয়েটার দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন : মেনু বলবো স্যার? তিনি বললেন : আপনি রান্না কর...
23/08/2023

এক অন্ধ ব্যক্তি রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকেছেন।

ওয়েটার দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন : মেনু বলবো স্যার?

তিনি বললেন : আপনি রান্না করার খুন্তি নিয়ে আসুন, আমি গন্ধ শুঁকে খাবারের অর্ডার দেবো। 🙃

ওয়েটার রেস্টুরেন্টটির ম্যানেজারকে বিষয়টি জানালেন। ম্যানেজার রান্নাঘর থেকে একটা খুন্তি এনে দিলেন। 😇

অন্ধ ভদ্রলোক সেটা শুঁকে নিয়ে বললেন : আমাকে গার্লিক ব্রেডের সাথে স্প্যানিশ ওমলেট দিয়ে দিন! ☝️

ম্যানেজার অবাক! 🤭

আসলেই কিছুক্ষণ আগে ঐ খুন্তি দিয়ে স্প্যানিশ ওমলেটই তৈরি করা হয়েছে! 🤔

এইভাবে অন্ধ ব্যক্তিটি রোজ আসেন, আর হাতা বা খুন্তি শুঁকে তাঁর পছন্দের খাবার অর্ডার করেন। ঠিক ঠিক, যে যে রান্না সেদিন হয়েছে! 🥴

ম্যানেজার ভাবলেন, দেখি একদিন অন্যরকম ভাবে পরীক্ষা করবো। 😮

খুন্তিটি পরের দিন ভালো করে ধুয়ে মুছে কিচেনে গিয়ে ম্যানেজার তার বৌ সোনালীকে বললেন : তুমি খুন্তিটি ভালো করে তোমার ঠোঁটে ঘষে দাও। 💋

সোনালী তাই করে তার স্বামীর হাতে দিয়ে দিলেন! 🤮

ম্যানেজার অন্ধ ব্যক্তিটিকে খুন্তিটি দিলেন। খুন্তিটি হাতে নিয়ে শুঁকে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বললেন : ও মাই গড!!! 🙀🙀🙀

!

!

!

এ তো সোনালী! আমার পুরনো প্রেমিকা! সে কি এই রেস্টুরেন্টে কাজ করে?

ম্যানেজার বেহুস!!!! 😹😹😹

Collected

মাগার বিয়ের পরে ছেলেদের কোন পরিবর্তন নাই। 🤣🤣🤣😂Collected.
22/08/2023

মাগার বিয়ের পরে ছেলেদের কোন পরিবর্তন নাই। 🤣🤣🤣😂

Collected.

Endereço

Odivelas

Notificações

Seja o primeiro a receber as novidades e deixe-nos enviar-lhe um email quando •\• অভিমানী মন •/• publica notícias e promoções. O seu endereço de email não será utilizado para qualquer outro propósito, e pode cancelar a subscrição a qualquer momento.

Compartilhar