
12/07/2025
পাপ মুছে নিষ্কলুষ করবেন। সে নতুন জীবন পাবে কিন্তু মানুষ হত্যার পাপটি তাকে অপবিত্রতা মুছে পবিত্র হওয়ার সুযোগ দেবে না। পাপী অন্তর নিয়েই কিয়ামতের দিন রবের সামনে উপস্থিত হতে হবে। এর থেকে বড় মর্মপীড়ার আর কিছু হয়তো নেই একজন মুসলিমের জন্য।
আর কখনো ভ্রাতৃঘাতি কোনো সংঘাত শুরু হলে এ বিষয়ে মিমাংসার কথা বলা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। বর্ণিত হয়েছে—
আর যদি মুমিনদের দু’দল যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ কর, যতক্ষণ না সে দলটি আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। তারপর যদি দলটি ফিরে আসে তাহলে তাদের মধ্যে ইনসাফের সাথে মীমাংসা কর এবং ন্যায়বিচার কর। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালবাসেন। (সূরা হুজরাত, আয়াত : ৯)
ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের পরিস্থিতি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, এমন ঘটনায় উভয় পক্ষই জাহান্নামী বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, যখন দু'জন মুসলিম পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়ের অবস্থান হবে জাহান্নাম। (সহিহ বুখারি)
এসব জঘন্য অপরাধ, হত্যাকাণ্ড থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়ে চলেছেন আলেমরা। হত্যাকাণ্ড কতটা জঘন্য এ নিয়ে রাসূলের হাদিসের বাণী সবাই শুনছেন, সবাই জানছেন। তবে জানাশোনার মাঝেই বন্দি সব। মেনে চলার কোনো প্রবণতা নেই কারো মাঝে। হাদিসের বাণী যেন শুধু বলেই মুখের সুখ, শুনেই কানের প্রশান্তি।
অথচ জেনেও আমল না করা ব্যক্তির সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
كَبُرَ مَقۡتًا عِنۡدَ اللّٰهِ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا مَا لَا تَفۡعَلُوۡنَ
আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ব্যাপার যে, তোমরা বলবে এমন কথা যা তোমরা কর না। (সূরা সফ, আয়াত : ৩)আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক আমিন।।।