19/12/2023
মু%জা হি দের পাছায় একে ৪৭ এর বাট দিয়ে পেটাচ্ছে আর রুম থেকে বের করতেছে আর্মির লেফটেন্যান্ট, চিৎকার করে বলতেছে বেকুবের দল তোরা আগে বলবি না যে আমরা চরমোনাইয়ের মু জা হি দ?
তাহলেই তো এই সমস্যা হত না!
ঘটনাটি বাস্তব, না কাল্পনিক আর না মিথ্যে।
তাহলে বিস্তারিত শুনুন,
রিয়েল মু জা হি দ বনাম চরমোনাই মু জা হি দ।
ঘটনাটি ২০১৬ এর পরের, দা/য়েশের হলিআর্টিজানে হামলার পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বেশ সতর্ক হয়ে যায়, গুয়েন্দা সংস্থাগুলো নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়।
আবার ইতিপূর্বে আনসারের শাতিমদের উপর সফল সিরিজ এ্যাটাক সব মিলিয়ে একটা উদ্ভট পরিস্থিতি তৈরি হয়।
নজরদারি, রাতে টহলের মাত্রা বেড়ে যায়।
অনেক জায়গায় হুজুর দেখলেই ব্যাগ খুলে খুলে চেক করত বমটম আছে কিনা। আমি নিজেও এই পরিস্থিতিতে পড়েছি।
মূল ঘটনাঃ
প্রায় ১৫ জনের মত চরমোনাইয়ের মু জা হি দ ঢাকার কোন এক ব্যস্ত রাস্তার পাশে বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে আছে, আজকে আমিরুল মু জা হি দীনের এক বিশাল বড় হালকায়ে জিকিরের মাহফিল ছিল, তারা সেই মাহফিলেই এসেছিল পীর সাহেবের বরকত নিতে। ফয়েজ বরকত নিতে নিতে দেড়ি হয়ে রাত এখন একটা ছুঁই ছুঁই ।
এদিকে সামনে জ্যামের কারনে বাস আসতে লেট, RAB এর টহলরত একটা দল তাদের সামনে এসে থমকে দাড়ায়, একজনে জিজ্ঞেস করল আপনারা কারা, এত রাতে দল বেধে দাড়িয়ে আছেন কেন?
কোথায় গিয়েছিলেন? আর ব্যাগে কি?
একশ্বাসে প্রশ্নগুলো করে একটু থামল।
একজনে জবাব দিল আমরা মু জা হি দ!
এটা বলার সাথে সাথেই RAB সদস্যরা লাফিয়ে গাড়ি থেকে নেমে তাদের দিকে একে ৪৭ তাক করে ধরে, হাত তুলে দাড়াতে বলে।
আমরা..... চুপ জ ঙ্গী র বাচ্চা একটা কথা বলবি না, স্যার এসে তোদের সাথে বলবেন।
একজনে স্যারকে জানাল, স্যার বললেন তোমরা ওদের গাড়িতে তুলে সতর্ক থাক আমি আসতেছি, আর হ্যা কাওকে বলবা না। ইয়েস স্যার বলে লাইন কেটে দিল।
এদিকে হাতকড়া পরিয়ে সবকাটে গাড়িতে তুলেছে।
দশ মিনিট পর স্যার এসে জিজ্ঞেস করলের তোরা মু জা হি দ? মাথা নেড়ে সায় দিল।
এটা শুনে কর্তব্যরত লেফটেন্যান্টের চোখ মুখ জ্বলমল হয়ে উঠে, কারন এবার তার প্রমোশন কেও আটকাতে পারবে না, সে এখন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হয়ে যাবে।
এতগুলো জ ঙ্গী ধরেছে আর প্রমোশন হবে না তা কি করে হয়?
কয়েকজন বলাবলি করতেছে এদেরকে কি ক্রস ফায়ার দেওয়া হবে? নাকি আমাদের নিয়ম মাফিক ভাবে গ্রেফতার দেখানো হবে( নাটক) এটা শুনে তো মু/জাহিদের অবস্থা আরো খারাপ, কয়েকজন মু/জা/হিদ ভয়ে কাঁপতেছে, মনে হয় পেশাব করে দিয়েছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে লেফটেন্যান্টঃ এই তোরা কোথায় হামলার পরিকল্পনা করেছিস, কোথায় নাশকতা করবি?
তোরা কোন জ&ঙ্গী সংগঠনের সদস্য? হরকাতুল জি&হাদ / জে&এম বি নাকি আনসার আল ইসলামের? একশ্বাসে প্রশ্নগুলো করে সিগারেটে একটা শুকটান মেরে ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!
বেচারাদের অবস্থা তখন দেখার মত!
সবগুলোর গলা শুকিয়ে গেছে, কামরায় পিনপতন নিরবতা।
চিৎকার দিয়ে বলে উঠে এই তোদের কানে যায়না?
ধমক শুনে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেছে।
একটা আমতাআমতা করে বলে স্যার আমরা তো জ&ঙ্গী না, অমনি রাইফেলের বাট দিয়ে একঘা বসিয়ে দিল। মিথ্যাবাদি নিজেরাই বলেছিস তোরা মু&জা&হিদ এখন বলিস তোরা কোন জ&ঙ্গী না। বুঝেছি তোদের থার্ড ডিগ্রি দিতে হবে, ডিম থ্যারাপি না দিলে তোদের মুখ খুলবে না। এটা শুনে পুরো রুমে কান্নার রোল পড়েগেল।
লেফটেন্যান্ট আবার ধমক দিয়ে বলে এই আমরা তো আরো জ&ঙ্গী ধরেছি, এত মাইর দেওয়ার পরেও কাঁদে না তোরা কাঁদছিস কেন, তোরা কেমন মু&জা%হিদ?
জ&ঙ্গীরা তো সহজে কাঁদে না?
একটা তখন বলে স্যার আমরা চরমোনাইয়ের মু%জাহিদ, আহ! এই কথাটা শুনার পরে লেফটেন্যান্টের মুখটা দেখার মত ছিল! মুহুর্তেই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। কি তোরা চরমোনাইয়ের? মু/জা/হিদ? ওখানে দাড়িয়ে ছিলি কেন?
স্যার আমরা পীর সাহেব হুজুরের মাহফিল শুনতে গিয়েছিলাম অমুক মাদ্রাসার মাহফিল ছিল আজকে।
বেচারা এবার রেগে আগুন হয়ে গেছে, ফর্সা মুখ থেকে যেন রক্ত পড়বে পড়বে অবস্থা।
চিৎকার করে একজনকে বলে এই ঐ থানাতে ফোন দে শা!** ।
কিছুক্ষণ পর ঐ Rab সদস্য বলতেছে স্যার এরা ঠিকই বলেছে, আজকে ফয়জুল করীম হুজুরের মাহফিল ছিল।
এই কথা শুনে চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে পড়ে, কিং কোবরা সাপের মত ফুঁসছে, আর বলতেছে, এই শা*** সবকিছু জেনে ধরবি না, আগে বিস্তারিত না জেনে আমাকে জানালি কেন?
পাশ থেকে মু&জা%হিদ কমান্ডার বলে উঠে স্যার তারা তো আমাদের কথা বলার সুযোগই দিল না, উল্টো আরো বন্দুক দিয়ে পেটাল। আপনিও তো তুলে এনে শুধু শুধু শ্বাসাচ্ছেন!
লেফটেন্যান্টঃ আবার মুখে মুখে কথা বলিস! অমনি একঘা মেরে দিল। বেটা ভিতুর ডিম কোথাকার, উক্ত মু/হিদ ব্যাথায় কুকিয়ে উঠে ফ্লোরে বসে পড়ল।
এদিকে তার সদস্যদের গালাগাল করতেছে, বিশ্রি ভাষায়, আহ! বেচারার অল্পের জন্য জেনারেল হতে পারল না, এই দুঃখ রাখবে কোথায়?
সে এতক্ষণ মনে মনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হয়েই গিয়েছিল, মূহুর্তেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
২ ঘন্টা পর অফিসার রুমে ঢুকল, এই তোদের সাথে আজকে যা হল কাওকে বলবি না, যদি বলিস তাহলে চিরদিনের জন্য গুম করে দিব। তোদের নাম ঠিকানা বল।
এইবার লাইন ধরে দাড়া, একজন করে বের হও, নিতম্ব বরাবর একে ৪৭ এর বাট দিয়ে একটা করে তবারক দিচ্ছে আর বলতেছে এভাবে গভীর রাতে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকবি না।
রিয়েল মু/জা/হিদঃ
টিকটিকিঃ স্যার অমুক জায়গায় একটা জঙ্গি আছে? কয়েক ঘন্টা পর পুরো এরিয়া পুলিশ, Rab., বিজিবি সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স এসে ঘেরাও করে ফেলেছে।
বহু চেষ্টার পর মু/জা/হি/দের গ্রেফতার করতে সচেষ্ট হল, এখন রিমান্ডের পালা।