16/09/2024
#নবীর_সাহাবাগনের_মিলদুন্নবী_উদযাপন
সাহাবায়ে কেরাম ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন করেছেন । নিচের আলোচনা থেকে বোঝা যায় ।
[১] হযরত আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে- তিনি বলেনঃ- আমি নবী করিম (ﷺ) -এর সাথে মদিনার আবু আনসারীর গৃহে গমন করে দেখি- তিনি তাঁর সন্তানাদি এবং আত্মীয় স্বজনকে নবী করিম (ﷺ) -এর জন্ম বৃত্তান্ত শিক্ষা দিচ্ছেন এবং বলেছেন- আজই সেই দিন । তখন তাদেরকে দেখে নবী করিম (ﷺ) – এরশাদ করলেনঃ নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তায়ালা তোমার উপর রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন এবং আল্লাহ্র ফেরেস্তাগণও তোমাদের সকলের জন্য মাগফিরাত কামনা করছেন । ( কিতাবঃ- দোররে মুনাজ্জাম, আব্দুল হক এলাহাবাদী )
[২] একদিন হযরত ইবনে আব্বাস কিছু লোক নিয়ে নিজগৃহে রাসূল করিম (ﷺ) -এর জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করে আনন্দ উৎসব করছিলেন এবং প্রশংশাবলী আলোচনাসহ দরূদ ও সালাম পেশ করেছিলেন । এমন সময় নবী করিম (ﷺ) সেখানে উপস্থিত হয়ে এ অবস্থা দেখে বললেনঃ- তোমাদের সকলের জন্যে আমার শাফায়াত অবধারিত হয়ে গেল” । {কিতাবঃ- ইবনে দাহইয়ার আত-তানভীর, ৬০৪ হিজরী}সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, নবী পাকের মিলাদ শরীফ পাঠে রাসূলে পাকের শাফায়াত নসীব হবে ।
[৩] হযরত হাসসান বিন সাবিত (রাঃ) মিম্বারে দাঁড়িয়ে কবিতার মাধ্যমে মিলাদুন্নবী (ﷺ) পাঠ করেছিলেন । দীর্ঘ কবিতার একাংশ অর্থ দেওয়া হলো ।
“ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি সর্ব দোষত্রুটি হতে মুক্ত হয়েই জন্ম গ্রহন করেছেন। আপনারা এই বর্তমান সুরত মনে হয় আপনার ইচ্ছা আনুযায়ীই সৃষ্টি হয়েছে । আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় নবীর নাম আযানে নিজের নামের সাথে যুক্ত করেছেন । এর প্রমাণঃ- যখন মুযাজ্জিন পাঞ্জেগানা নামাজের জন্য “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ” বলে আজান দেয় । আল্লাহ্ তায়ালা আপন নামের আংশ দিয়ে নবীজীর নাম রেখেছেন- তাঁকে অধিক মর্যাদাশীল করার লক্ষ্যে । এর প্রমান হচ্ছে- আরশের অধিপতির নাম হলো “মাহমুদ” এবং ইনির নাম হলো “মুহাম্মাদ” (ﷺ) । { সুত্রঃ- দিওয়ানে হাসসান }
[] উক্তা মিলাদী কাসিদায় হযরত হাসসানের কয়েকটি আকিদা প্রমানিত হয়েছে । যথা
[A] নবী করিম (ﷺ) -এর উপস্থিতিতে এই প্রশংসাসূচক কাসিদা পাঠ ।
[B] মিম্বারে দাঁডানো (কিয়াম) অবস্থায় হুজুরের জন্ম বৃত্তান্ত ও গুণাবলী বর্ণনা করা ।
[C] হুজুর পাক (ﷺ) -এর বর্তমান সুরত নবীজীর ইচ্ছানুযায়ী সৃষ্টি ।
[D] আজানের মোট গুরুত্বপূর্ন ইবাদাতে আল্লাহ্র নামের পাশে নবীজীর নাম আল্লাহ্ কতৃক সংযোজন ।
[E] নবীজীর ম