13/09/2024
24 সালের ৫ আগস্ট এই আন্দোলনটা ছাত্র বিপ্লব না হয়ে,ইসলামী বিপ্লব হইতে পারতো,
যদি ২০১৩-৫ মে হেফাজত ইসলামের নেতৃত্বে বিপ্লব যদি ঘটাইতে পারতো।
ছাত্র আন্দোলনের সময় যেমন সর্বস্তরের জনগণ সহযোগিতা করেছিলো,ঠিক হেফাজতের আন্দোলনেও সর্বস্তরের জনগণ শরিক হয়েছিলো,
কিন্তু হেফাজত ইসলাম সফল হতে পারে নাই,শুধুমাত্র দুটি কারণে প্রথমটা হল ওদের প্রতিহিংসার কারণে,
তারা মনে করছিলো এই আন্দোলনে যদি বিপ্লব ঘটে তাহলে এর ক্রেডিট নিবে বিএনপি-জামাত,
সে কারণে উনাদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে বলে আন্দোলন স্থগিত করে ফেলেছিলো।
আরেকটা কারুন ছিলো তাদের অযোগ্য নেতৃত্ব এবং মৃত্যুর ভয়,সেদিন যদি তারা মৃত্যুর অথবা জেল জুলুমের ভয় না করে শাহাদাতের তামান্না নিয়ে জিহাদের ডাক দিয়ে সামনে আগাইত তাহলে এই ১২ বছর হাজার হাজার মানুষ জুলুমের শিকার হতো না,আজকের ছাত্র আন্দোলনের যে ইস্যুটা ছিল এর চাইতে হাজার লক্ষ গুন উত্তম ইসু ছিলো তখন,
রাসুল সাল্লাল্লাহু সালামকে অপমান করেছিলো শাহবাগীরা।
হেফাজত ইসলাম যদি ওই সময় সফল হতো তাহলে সেটা হয়তো ইসলামী বিপ্লব
এবং বাংলাদেশে রাম বামপন্থী নাস্তিকরা কোনদিন মাথা ছাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারতো না,
এমনকি সেদিন হয়তো বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ফাইতো।
কিন্তু আন্দোলন সফল করবে তো দূরের কথা,উল্টো স্বৈরাচারী হাসিনাকে কওমির জননী উপাধি দিয়েছিলেন তৎকালীন হেফাজতের আমির মাওলানা আহমেদ শফী,সেদিন উনার আহবানে 5 মে ঢাকা কা লং মার্চে যারা শরিক হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেক শহীদ হয়ে গিয়েছিলেন,সেদিন শত শত শহীদের রক্তের সাথে উনি গাদ্দারি করেছিলেন,১২ বছর হয়ে গেল এই শহীদগুলোর বিচার চাইবে তো দূরের কথা কয়জন শহীদ হয়েছিলেন সেটা আজ পর্যন্ত এই হেফাজুল ইসলাম তাদের তদন্ত করো নাই।
তবে ওই সময় জুনায়েদ বাবুনগরীর(রহ)এর মুজাহিদের ভূমিকাই ছিলো,উনাকে ২৭ দিন পর্যন্ত রিমান্ড দেওয়া হয়েছিলো তারপরও স্বৈরাচারীর সামনে মাথা নত করে নাই,
শফি সাহেবের মত শহীদদের সাথে গাদ্দারি করে নাই।
আল্লাহ তাআলা জুনায়েদ বাবুনগরী(রহ)কে শহীদের মর্যাদিক আমিন।
আওয়ামীলীগ প্রথম দিকে এতটা হিংস্র ছিলনা,আওয়ামী লীগের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে এই হেফাজত ইসলাম,হাসিনা আগে মুসলমানদের একটু হলেও ভয় পাইতো সে কারণে জমায়েত নেতাদের গ্রেপ্তার করলেও ফাঁসি দেওয়ার সাহস করো নাই, ৫ই মে সেদিন ঢাকা শাপলা চত্বরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশকে এক রাতের মধ্যে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছেন,
ঐদিন থেকে হাসিনার সাহস আরো বেড়ে গেছে,হাসিনা সেদিন মনে করেছিলো লক্ষ লক্ষ মানুষ তাকে কিছু করতে পারে নাই ভবিষ্যতেও আর কেউ পারবেনা এই দিন থেকেই অনুপ্রেরিত হয়ে মুসলমানদের উপর একের পর এক নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে।
5 মের পর থেকে এই হেফাজত ইসলামের নাম গন্ধও পাওয়া যায় নাই, এমন কি সাঈদী সাহেবের মত একজন আলেমের জন্য একটু বিবৃতিও দেয় নাই।
সর্বশেষ বাংলার জনগণকে আমি আহবান জানাই,ভবিষ্যতে কোন দল যদি আন্দোলনের ডাক দেয় তাহলে আগে ওই দলের ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে নেবেন, যার তার ডাকে শরিক হয়ে কুকুরের মত রাস্তায় পড়ে মনে থাকবেন,আর নেতারা আরামে থাকবে আপনাদের লাশের হিসাব পর্যন্ত ওদের কাছে থাকবে না এরকম দলের অথবা নেতার সাথে থাকিয়েন না,
কোন দল অথবা নেতার সাথে আছেন একটু বুঝেশুনে আগাইয়েন।