MORAL STORY

MORAL STORY তৃপ্ত দিন দীর্ঘ রাত

24/03/2025
15/02/2025
13/07/2023

Women🍻
30/06/2023

Women🍻

🙂
30/06/2023

🙂

❤️🤔
27/06/2023

❤️🤔

আজকাল ট্রেনে বাসে রাস্তায় রেস্তোরাঁয় সর্বত্রই জল তেষ্টা পেলে আমাদের হাতে উঠে আসে ঠান্ডা বা নর্মাল সিল করা জলের বোতল।কি...
27/06/2023

আজকাল ট্রেনে বাসে রাস্তায় রেস্তোরাঁয় সর্বত্রই জল তেষ্টা পেলে আমাদের হাতে উঠে আসে ঠান্ডা বা নর্মাল সিল করা জলের বোতল।
কিন্তু এই ফ্রিজ তো হালে এলো!
প্রশ্ন উঠতেই পারে, তখন কি মানুষ ঠান্ডা জল খেতেন না?
আজ্ঞে খেতেন, আলবাত খেতেন।
তখন ফ্রিজ না থাকলেও ছিল ‘ভিস্তি’।
‘ভিস্তি হল এক ধরনের বস্তার মত দেখতে ব্যাগ।
ছাগলের চামড়া দিয়ে তৈরি এই বিশেষ থলেকে ‘মশক’ও বলে।
এতে রাখলে ফ্রিজের মতোই ঠান্ডা থাকত জল।
আর স্বয়ং জলদাতা হয়ে এই ভিস্তির জল যারা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতেন তাদের বলা হত ভিস্তি ওয়ালা।

এই ভিস্তিওয়ালাদের সঙ্গে রয়েছে ইতিহাসের যোগ।
কথিত আছে, মুঘল নবাব হূমায়ুন একবার জলে ডুবে যাচ্ছিলেন।
তখন নবাবকে বাঁচিয়েছিলেন এক ভিস্তিওয়ালা।
এমনকি এই ভিস্তির উপর ভরকরেই সাঁতরে উঠেছিলেন হূমায়ুন।
কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সেই ভিস্তিওয়ালাকে একদিনের জন্য তার আসনেও বসিয়েছিলেন তিনি।
অভিবক্ত ভারতবর্ষের ঢাকায় এবং কলকাতায় জল বিলোনোর কাজ করতেন এই ভিস্তিওয়ালারাই।

কিন্তু স্মার্টফোন সর্বস্ব এই ওভারস্মার্ট যুগে আজকের প্রজন্ম হয়ত জানেইনা ভিস্তিওয়ালাদের কথা।
পার্সি শব্দ ‘বেহেস্ত’ শব্দের অপভ্রংশ হয়ে এসেছে ভিস্তি, এর অর্থ হল স্বর্গ। পৃথিবীর পশ্চিম ও মধ্য প্রান্তে স্বর্গের বেশীরভাগ ছবিতেই মিলেছে নদী ও বাগানের ছবি।
কথিত আছে সেই স্বর্গের নদী থেকে জল এনেই ভিস্তিরা তা বিলিয়ে দিতেন মানুষকে, তাই তাদের স্বর্গের-দূতও বলা হত।

তিলোত্তমাতেও এককালে এদের একচেটিয়া আনাগোনা ছিল।
ভোরবেলা দোর খুলে রাস্তায় বেরোলেই দেখা মিলত ভিস্তিওয়ালাদের।
কাঁধে জল ভরতি চামড়ার ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে পড়তেন মুসলিম সম্প্রদায়ের এই মানুষগুলো।
দিল্লিতেও একসময় ছিল ভিস্তির চল।
তবে এখনও এই প্রাচীন পদ্ধতি বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম জামা মসজিদের বাইরে মুশতাকিম চায়ের দোকান।
দোকানে গেলেই দেখা যাবে, ঝোলানো রয়েছে ছাগলের চামড়া দিয়ে তৈরি লম্বা লম্বা ভিস্তি।
বহুযুগ ধরে প্রাচীন দিল্লির সাক্কে ওয়ালি গলিতেই ভিস্তিওয়ালাদের বাস।

(সংগৃহীত)

বাঘকে নিজের শারীরিক শক্তি দিয়ে বশ করতে চেয়েছিলেন তিনি | বেশ কয়েকমাসের অভ্যাসে বহু রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে সফলও হন তিনি | বাঘের সা...
27/06/2023

বাঘকে নিজের শারীরিক শক্তি দিয়ে বশ করতে চেয়েছিলেন তিনি | বেশ কয়েকমাসের অভ্যাসে বহু রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে সফলও হন তিনি | বাঘের সাথে লড়ার সময় শ্যামাকান্ত বাঘের মুখে তার হাতটি ঢুকিয়ে দিতেন। বাঘ তার হাতটিকে কামড়ে ধরলে রক্তের ধারা গড়িয়ে পড়ত, কিন্তু তিনি থাকতেন নিরুত্তাপ | বহুবার তিনি খাঁচার ভেতরে ঢুকে বাঘের সাথে লড়াই করার সময় আক্রান্ত হন। কিন্তু প্রতিবারই তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে নিরাপদে বেড়িয়ে আসেন।এভাবেই হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি | তাঁর নামই হয়ে যায় - 'ব্যাঘ্রবীর শ্যামাকান্ত'!

কে এই 'ব্যাঘ্রবীর শ্যামাকান্ত' ?
আসল নাম শ্যামাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় | জন্ম ১৮৫৮ সালে অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার বিক্রমপুর অঞ্চলের আড়িয়ল গ্রামে।শ্যামাকান্তর পিতা শশীভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা জেলার মুরাদনগরে আদালতে সেরেস্তাদার ছিলেন।শ্যামাকান্তরা ছিলেন চার ভাই ও তিন বোন।চার ভাইয়ের মধ্যে শ্যামাকান্ত ছিল সবচেয়ে বড় | বাঙালি জাতি দুর্বল, ভীরু, কাপুরুষ, আত্মরক্ষায় অক্ষম - এই অপবাদ ঘোচাতে তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। তাঁর শক্তি এবং সাহস ছিল অপরিসীম।ছোট থেকেই পড়াশোনার থেকে শরীরচর্চার উপর তার ঝোঁক ছিল বেশি | পড়তেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে | সেখানে সহপাঠী ছিলেন পরেশনাথ ঘোষ | দুজনে মিলে লক্ষ্মীবাজারের অধর ঘোষের আখড়ায় কুস্তিচর্চা শুরু করেন | খেতেন দুই মণ দুধের মালাই | কুস্তিতেও পারদর্শী ছিলেন শ্যামাকান্ত | হেলায় হারাতেন তখনকার পালোয়ানদের |

শ্যামাকান্ত স্বপ্ন দেখতেন সৈনিক হবেন | কিন্তু ব্রিটিশ ভারতের সেনাবাহিনীতে বাঙালির প্রবেশ তখন নিষিদ্ধ | ঠিক করেন কোনও দেশীয় রাজ্যের সেনাবাহিনীতে ঢুকে যুদ্ধবিদ্যা শিখবেন | কিন্তু সেই ইচ্ছা পূর্ণ হয়নি | এর কিছুদিন পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি | বিবাহের পর শ্যামাকান্ত আগরতলায় বেড়াতে যান | ত্রিপুরার শাসক মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর শ্যামাকান্তের দেহ সৌষ্ঠব ও শরীরচর্চায় পারদর্শিতা দেখে তাকে নিজের পার্শ্বচর নিযুক্ত করেন | একবার মহারাজের সাথে শিকারে বেরোলেন শ্যামাকান্ত | শিকার করতে গিয়ে বাঘ আক্রমণ করল তাদের | সেইসময় খালি হাতে বাঘের সাথে লড়ে তাকে ধরাশায়ী করেছিলেন শ্যামাকান্ত | দুই বছর পর ত্রিপুরায় থাকার পর ১৮৭৬ সালে শ্যামাকান্ত বরিশাল জেলা স্কুলের ব্যায়াম শিক্ষকের চাকরি নিয়ে বরিশাল চলে যান।সেখানেই গঠন করেন সার্কাস দল | কেনেন চিতাবাঘ | সেই চিতাবাঘকে বশ করার জন্যে খাঁচার ভেতর ঢুকে তার সাথে রীতিমত লড়াই শুরু করে দিতেন শ্যামাকান্ত | বাঘের নখদন্তে বহুবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি | দুইমাস পর সেই চিতাবাঘ বশ মানে | এরপর ধীরে ধীরে বাঘ, সিংহের মত হিংস্র পশু বশ করতে শুরু করেন শ্যামাকান্ত | সারা দেশে শ্যামাকান্তের নাম ছড়িয়ে পড়ে।

ভাওয়ালের রাজা তাকে সুন্দরবনের একটি রয়াল বেঙ্গল টাইগার দান করেন | সেই বাঘটিকে শ্যামাকান্ত নাম দিয়েছিলেন গোপাল | ট্রেনে করে বাঘটাকে ঢাকায় নিয়ে বন্ধু পরেশনাথ ঘোষের আখড়ার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন তিনি | এই বাঘটিকেও বশ করেছিলেন তিনি | বহুবার বাঘ হাত কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল বাঘটি কিন্তু হার মানেননি শ্যামাকান্ত |

পাটনার নবাব শ্যামাকান্তকে বাঘিনীর সাথে কুস্তি লড়ার আহ্বান জানান | কুস্তিতে জিততে পারলে পুরস্কার দু'হাজার টাকা | শ্যামাকান্ত রাজি হন | চারিদিকে হইচই পড়ে যায় | হাজার হাজার লোক সেই লড়াই দেখতে আসে | সেই বাঘিনীটিকে যুদ্ধে পরাজিত করেন শ্যামাকান্ত | নবাবের থেকে দু'হাজার টাকা, দু'টি আরব ঘোড়া ও বাঘিনী উপহার পান | ১৮৯৪ সালে শ্যামাকান্ত ফ্রেডকুকের ইংলিশ সার্কাসে হিংস্র পশুর খেলা দেখাতে শুরু করেন | পেতেন মোটা টাকা বেতন | মাসে ১৫০০ টাকা | এক বছর পর সেই চাকরি ছেড়ে নিজের সার্কাস দল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খেলা দেখতে থাকেন তিনি | গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে যায় | ১৮৯৭ সালে রংপুরে অবস্থানকালে এক প্রবল ভূমিকম্পে তার সার্কাসের বহু পশু বাড়ি চাপা পড়ে মারা যায় | বেঁচে যায় দুটি বাঘ | প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হন শ্যামাকান্ত | বাঘ দুটিকে নিয়ে শ্যামাকান্ত কলকাতায় চলে আসেন এবং বাঘের সাথে কুস্তি ও অন্যান্য খেলা দেখাতে থাকেন।তার সার্কাসের তাঁবুর বাইরে লেখা থাকত - 'Grand Show of Wild Animals!' বাঘের মুখের ভেতর মাথা ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ঢুকিয়ে খেলা দেখাতেন তিনি | ১৮ বছর বাঘ সিংহের খেলা দেখিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে খেলা। রয়্যাল বেঙ্গলের খাঁচায় ঢুকতেন শ্যামাকান্ত। প্রবল গর্জন করে ছুটে আসত রয়্যাল বেঙ্গল। বাঘের মুখে ডান হাত ঢুকিয়ে রয়্যাল বেঙ্গলকে আলিঙ্গন করতেন শ্যামাকান্ত। এই দৃশ্য দেখে দর্শকদের কেউ আতঙ্কিত, কেউ বিস্মিত।

বুকের উপর প্রকাণ্ড পাথর রেখেও খেলা দেখাতেন শ্যামাকান্ত। ১০ মণ ওজনের পাথর বুকে রাখতেন। আর হাতু়ড়ি দিয়ে সেই পাথর ভাঙা হত। একবার লাটভবনে ১৪ মণ পাথর বুকে নিয়ে খেলা দেখান শ্যামাকান্ত | তাঁর বীরত্বের কাহিনি সে কালের বাংলা ও ইংরাজি সংবাদপত্রে ফলাও করে ছাপা হত।

এক কাগজে লেখা হল :
“ পদে মস্তকেতে উচ্চ উপাধান,
অবশিষ্ট দেহ শূন্যেতে রয়।
ঐ যুবা এক রয়েছে শয়ান,
হেন অবস্থায় বিশাল প্রস্তর
দিয়াছে যুবার বক্ষের উপর ,
লৌহময় এক ধরিয়া মুদগর
সবলে অপরে আঘাত করে।
অদ্ভূত ব্যাপার, ভাঙ্গিল প্রস্তর!
ব্যথিত না হ’লো বীরের দেহ !
দৈত্য কি দানব হবে এই নর!
অসুর বিনা এত পারে কি কেহ ?”

ত্রিপুরার ল্যাংটা বাবা নামক জনৈক প্রবীণ সন্ন্যাসীর সাথে শ্যামাকান্তের পরিচয় ছিল | তার সান্নিধ্যে এসে শ্যামাকান্ত স্ত্রী কন্যাকে ছেড়ে গৃহত্যাগ করেন | তীর্থস্থানে ঘুরে বেড়াতে থাকেন | হিমালয়ের পাদদেশে পরিভ্রমণকালে তার সাথে এক সাধকের পরিচয় হয় | তিনি শ্যামাকান্তকে তিব্বতীবাবার কাছে পাঠিয়ে দেন | তিব্বতীবাবা শ্যামাকান্তকে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা দেন | এরপর শ্যামাকান্তের নাম হয় 'সোহং স্বামী' | সন্ন্যাস গ্রহণের পর তপস্যা শুরু করেন সোহং স্বামী | এরপর তিব্বতীবাবার নির্দেশে নৈনিতাল থেকে সাত মাইল দূরে হিমালয়ের কোলে ভাওয়ালী নামক স্থানে তিনি একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন সোহং স্বামী | সেখানেই সাধনা করতেন তিনি | সেই সময় বেশ কিছু বইও লিখেছনে তিনি |

১৯১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রয়াত হন সোহং স্বামী ওরফে 'ব্যাঘ্রবীর শ্যামাকান্ত' | তিব্বতীবাবা তার দেহাবশেষ বর্ধমান জেলার পালিতপুর আশ্রমে নিয়ে আসেন ও তার সমাধি স্থাপন করেন।

বাংলার ইতিহাস জানতে চান ? যদি প্রকৃত ইতিহাস জানতে চান তাহলে অবশ্যই পড়ুন ইতিহাসবিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই "বাঙ্গালার ইতিহাস" । বাংলার ইতিহাস নিয়ে এইরকম গবেষণামূলক বই একটিও নেই ।
আমাজন লিংক : https://amzn.to/3MP7d4v

Address

Dammam

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MORAL STORY posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MORAL STORY:

Share