Mix video398

Mix video398 কারো উপর প্রতিশোধ নেওয়ার আনন্দ কয়েকদিন থাকে, কিন্তু কাউকে ক্ষমা করার আনন্দ আজীবন থাকে।

03/06/2025

**সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৬৬২২**-এর বিষয়বস্তু হলো:

> **عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا، نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ، يَسَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا، سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ...»**
> *(বুখারি, কিতাবুল মাজালিম ওয়াল গাসব, অধ্যায়: ইনসাফ প্রতিষ্ঠা)*

**অর্থ:**
হজরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
> **"যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়ার কষ্টসমূহের মধ্য থেকে একটি কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহের মধ্য থেকে একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবগ্রস্তের জন্য (ঋণ শোধে) সুবিধা করে দেবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার জন্য সুবিধা করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আল্লাহ তাআলা বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকে..."**

---

# # # হাদিসের মূল শিক্ষা:
১. **পরোপকারের মহত্ত্ব:**
- মুমিনের বিপদে সাহায্য করা, ঋণগ্রস্তকে সহজ শর্ত দেওয়া বা কারো দোষ গোপন রাখা—এসব কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য ও ক্ষমা লাভ হয়।

২. **আল্লাহর সাহায্যের শর্ত:**
- আল্লাহ বান্দার সাহায্য করেন, যখন বান্দা অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসে। এটি পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সমাজ গড়ার নির্দেশনা।

৩. **দোষ গোপন রাখার ফজিলত:**
- কারো গোপন দোষ বা লজ্জাজনক বিষয় ফাঁস না করে গোপন রাখলে, আল্লাহও দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ ঢেকে দেন।

৪. **আখিরাতের প্রস্তুতি:**
- দুনিয়ার ছোট ভালো কাজও কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় আল্লাহর বিশেষ রহমতের কারণ হবে।

---

# # # হাদিসের সনদ ও অবস্থান:
- **গ্রন্থ:** সহিহ বুখারি (ইসলামের সবচেয়ে বিশুদ্ধ হাদিসগ্রন্থ)।
- **অধ্যায়:** "কিতাবুল মাজালিম ওয়াল গাসব" (অন্যায় ও জবরদখল সংক্রান্ত অধ্যায়)।
- **হাদিস নং:** ৬৬২২ (কোনো কপিতে নম্বর ভিন্ন হতে পারে, তবে বিষয়বস্তু একই)।

---

# # # প্রয়োগিক দিক:
- কারো আর্থিক সংকটে সহায়তা করা।
- মানুষের ভুল-ত্রুটি প্রকাশ না করে সংশোধনের চেষ্টা করা।
- সমাজে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা।

> এই হাদিসটি মুসলিম সমাজে **সামাজিক দায়িত্ববোধ**, **ক্ষমাশীলতা** ও **আল্লাহর প্রতি ভরসা**-এর মৌলিক শিক্ষা দেয়।

28/05/2025

**সূরা আল-মুলক (সূরা ৬৭), আয়াত ৩:**
**আরবি:**
> الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ مَّا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَٰنِ مِن تَفَاوُتٍ ۖ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ

**বাংলা উচ্চারণ:**
*"আল্লাজী খালাকা সাব'আ সামাওয়াতিন তিবাকান; মা তারা ফী খালকির রাহমানি মিন তাফাওুতিন; ফারজি'ইল বাসারা হাল তারা মিন ফুতুর।"*

**বাংলা অনুবাদ (মাওলানা মুহিউদ্দীন খান):**
> "যিনি সাত আসমান সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টিপাত কর, কোন ছিদ্র দেখতে পাও কি?"

---

# # # **আয়াতের তাৎপর্য ও তাফসীর:**
১. **আল্লাহর সৃষ্টিনৈপুণ্য:**
এই আয়াত আল্লাহর অসীম সৃজনশীলতা ও মহাবিশ্বের নিখুঁত ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে। সাত আসমান (মহাবিশ্বের স্তর) পরস্পরের উপর সাজানো হয়েছে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে, যাতে কোনোরূপ বিকৃতি, অসামঞ্জস্য বা ত্রুটি নেই।

২. **বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ:**
আল্লাহ মানুষকে চিন্তা করতে বলেন: "তুমি দৃষ্টিপাত কর, কোন ছিদ্র দেখতে পাও কি?" এটি একটি চ্যালেঞ্জ—মহাবিশ্বের গঠন, নক্ষত্রপুঞ্জ, গ্যালাক্সি বা কোয়ান্টাম জগতে কেউ আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাবে না। আধুনিক বিজ্ঞানও এই নিখুঁত সামঞ্জস্যের স্বীকৃতি দেয়।

৩. **আধ্যাত্মিক শিক্ষা:**
- আল্লাহর কুদরতের প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করা।
- সৃষ্টির নিদর্শনে গভীর চিন্তা (তাদাব্বুর) করার গুরুত্ব।
- মানুষের অহংকার দূর করে আল্লাহর সামনে বিনয়ী হওয়ার আহ্বান।

---

# # # **প্রাসঙ্গিক দোয়া:**
> **رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ**
> *"হে আমাদের রব! আপনি এটা (মহাবিশ্ব) অনর্থক সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্র! তাই আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচান।"*
> (সূরা আলে ইমরান, ৩:১৯১)

এই আয়াত আমাদেরকে সৃষ্টির নিদর্শনে বিস্মিত হতে ও আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে শেখায়। 🌌

27/05/2025

**সূরা আল-আসর (সূরা ১০৩) এর ব্যাখ্যা:**

**নামের অর্থ:** "আল-আসর" অর্থ "সময়" বা "যুগ", যা সময়ের গুরুত্ব ও ক্ষণস্থায়িত্বের প্রতি ইঙ্গিত করে।

**আয়াতসমূহ:**
১. وَالْعَصْرِ
*অনুবাদ:* "সময়ের কসম!"
*ব্যাখ্যা:* আল্লাহ সময়ের শপথ করেছেন, যা মানবজীবনের সীমাবদ্ধতা ও সময়ের সঠিক ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে।

২. إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ
*অনুবাদ:* "নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত।"
*ব্যাখ্যা:* আল্লাহ ঘোষণা করছেন যে সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, তবে...

৩. إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
*অনুবাদ:* "তবে তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, একে অপরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।"
*ব্যাখ্যা:* ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে চারটি শর্ত:
- **ঈমান:** আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস।
- **সৎকাজ:** নৈতিক ও ইসলামিক কর্মকাণ্ড।
- **সত্যের উপদেশ:** সমাজে ন্যায়ের প্রচার।
- **ধৈর্যের উপদেশ:** বিপদে স্থিরতা ও ইবাদতে ধৈর্য।

**মূল বার্তা:**
১. **সময়ের মূল্য:** জীবন ক্ষণস্থায়ী, তাই সময়কে ইবাদত ও ভালো কাজে ব্যয় করতে হবে।
২. **সাফল্যের চাবিকাঠি:** ঈমান, আমল, সমাজিক দায়িত্ব ও ধৈর্য—এই চারটি উপাদান ব্যক্তিগত ও সমাজিক সফলতার ভিত্তি।
৩. **সমষ্টিগত দায়িত্ব:** শুধু ব্যক্তিগত পুণ্য নয়, অন্যদেরকেও সত্য ও ধৈর্যের পথে আহ্বান করা ঈমানের দাবি।

**প্রাসঙ্গিক উক্তি:**
ইমাম শাফিঈ (রহ.) বলতেন, "এই সূরা ছাড়া যদি অন্য কোনো আয়াত নাজিল না হতো, তবুও তা মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।" (তাফসিরে ইবনে কাসির)

**প্রয়োগিক দিক:**
- দৈনিক জীবনে সময় ব্যবস্থাপনা ও প্রার্থনায় এই সূরার প্রতিফলন।
- সম্প্রদায়িক সংহতি ও নৈতিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা।

সূরা আল-আসর হল ইসলামী জীবনের একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা, যা ব্যক্তি ও সমাজের রূপান্তরের পথ নির্দেশ করে।

12/05/2025

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা,
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, মানবজাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হলেন নবী-রাসূলগণ (আ.)। বিশেষভাবে, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহ তায়ালা সমগ্র মানবতার জন্য রহমত ও আদর্শ হিসেবে প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআনে তার চরিত্রকে "উসওয়াতুন হাসানা" (মহান আদর্শ) বলা হয়েছে (সূরা আহযাব: ২১)।

**হাদীসের আলোকে উত্তম মানুষ:**
১. **সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী:**
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, *"তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র সর্বোত্তম"* (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬০২৯)। এখানে তিনি স্পষ্টভাবে উত্তম চরিত্রকেই শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

২. **সাহাবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব:**
নবীজি (সা.) তার সাহাবীদের সম্পর্কে বলেছেন, *"সর্বোত্তম মানুষ হল আমার যুগের মানুষ (সাহাবীগণ), তারপর তাদের পরবর্তীগণ (তাবেঈন), তারপর তাদের পরবর্তীগণ (তাবে-তাবেঈন)"* (সহীহ বুখারী ২৬৫২)। সাহাবীদের মধ্যে তিনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। এক হাদীসে তিনি বলেন, *"আমি যদি এই উম্মতের মধ্যে কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু বানাতাম, তবে আবু বকরকে বানাতাম। কিন্তু তিনি আমার ভাই ও সঙ্গী"* (সহীহ মুসলিম ২৩৮৩)।

৩. **উত্তম কাজের গুরুত্ব:**
অন্যত্র তিনি বলেছেন, *"সর্বোত্তম মানুষ সে, যার হাত ও জবান থেকে অন্যরা নিরাপদ থাকে"* (সহীহ ইবনে হিব্বান)। এখানে মানবসেবা ও শান্তিপূর্ণ আচরণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

**সিদ্ধান্ত:**
নবীজি (সা.)-এর বাণী অনুযায়ী, "সর্বোত্তম মানুষ" হওয়ার মূল চাবিকাঠি হলো ঈমান, উত্তম চরিত্র ও মানবসেবা। ব্যক্তি বিশেষ হিসেবে তিনি সাহাবী হযরত আবু বকর (রা.)-কে শ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে সাধারণভাবে যে কোনো ব্যক্তি উত্তম চরিত্র ও নেক আমলের মাধ্যমে এই মর্যাদা অর্জন করতে পারে।

**আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে উত্তম চরিত্র গঠনের তাওফিক দিন। আমীন।**

11/05/2025

**মিরাজের ঘটনা** (Isra and Mi'raj) ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অলৌকিক ঘটনা। এটি নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বিশেষ সফর, যা **রজব মাসের ২৭ তারিখ রাত**ে সংঘটিত হয়েছিল। এই ঘটনাটি দুটি অংশে বিভক্ত:
১. **ইসরা** (রাতের সফর): মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জেরুজালেমের মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ।
২. **মিরাজ** (আকাশে আরোহণ): মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পার হয়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে উপনীত হওয়া।

---

# # # **কুরআন ও হাদিসে বর্ণনা**
- **কুরআনে ইসরা:**
> *"পবিত্র মহান তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাঁকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি..."* (সুরা আল-ইসরা ১৭:১)।

- **হাদিসে মিরাজ:**
সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। নবী (ﷺ) **বুরাক** নামক বিশেষ বাহনে চড়ে প্রথমে মসজিদুল আকসায় গমন করেন, সেখানে সমস্ত নবী-রাসুলের সাথে তিনি নামাজের ইমামতি করেন। এরপর তিনি সাত আসমান অতিক্রম করে বিভিন্ন নবীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন (যেমন আদম, ঈসা, মুসা, ইব্রাহিম ইত্যাদি), জান্নাত-জাহান্নাম দেখেন এবং সর্বোচ্চ স্তরে (**সিদরাতুল মুনতাহা**) আল্লাহর সাথে সরাসরি কথোপকথন করেন।

---

# # # **মিরাজের প্রধান শিক্ষা ও ঘটনাবলি**
১. **নামাজ ফরজ হওয়া:** এই সফরে মুসলমানদের জন্য দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। প্রাথমিকভাবে ৫০ ওয়াক্ত নির্ধারণ করা হলেও নবী মুসা (আ.)-এর পরামর্শে মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর কাছে আবেদন করে তা ৫ ওয়াক্তে কমিয়ে আনা হয়।
২. **মসজিদুল আকসার মর্যাদা:** ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে এর গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩. **আল্লাহর নৈকট্য:** এ ঘটনায় নবী (ﷺ)-এর প্রতি আল্লাহর বিশেষ মহব্বত ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পায়।

---

# # # **বিশেষ দিকনির্দেশনা**
- **আলোচ্য বিষয়:** কিছু মানুষ মিরাজকে শুধু আধ্যাত্মিক ঘটনা বলে মনে করে, কিন্তু আহলে সুন্নতের মতে এটি **দৈহিক ও আত্মিক উভয়ভাবেই** সংঘটিত হয়েছে।
- **ঈমানের পরীক্ষা:** নবী (ﷺ) মক্কায় ফিরে ঘটনাটি বর্ণনা করলে কাফিররা তা অস্বীকার করে, কিন্তু হজরত আবু বকর (রা.) অবিচল বিশ্বাস রাখেন ও "সিদ্দিক" উপাধি লাভ করেন।

---

**দোয়া:**
*"আল্লাহুম্মা আরিনা হাক্কা হাক্কান ওয়ারজুকনাত তিবাআহ, ওয়া আরিনা বাতিলা বাতিলান ওয়ারজুকনাজ তিজনাবাহু।"*
*"হে আল্লাহ! আমাদের সত্যকে সত্যরূপে দেখাও এবং তা অনুসরণের তাওফিক দান করুন। আর মিথ্যাকে মিথ্যারূপে দেখাও এবং তা এড়িয়ে চলার শক্তি দান করুন।"*

30/04/2025

**সূরা আল-মাউন (আরবি ও বাংলা অনুবাদ)**
**কুরআনের ১০৭তম সূরাহ | ৭ আয়াত | মক্কী/মাদানী সূরাহ হিসেবে বিতর্ক**

---

# # # **আরবি আয়াত ও বাংলা অনুবাদ:**

১. **আরবি**:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
أَرَءَيْتَ ٱلَّذِى يُكَذِّبُ بِٱلدِّينِ
**বাংলা**:
"পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
তুমি কি তাকে দেখেছ যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?"

---

২. **আরবি**:
فَذَٰلِكَ ٱلَّذِى يَدُعُّ ٱلْيَتِيمَ
**বাংলা**:
"সেই তো সে, যে এতিমকে হঠকারিতায় তাড়িয়ে দেয়।"

---

৩. **আরবি**:
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلْمِسْكِينِ
**বাংলা**:
"এবং দরিদ্রদের খাবার দিতে উৎসাহিত করে না।"

---

৪. **আরবি**:
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
**বাংলা**:
"অতএব, ধ্বংস সেই নামাজিদের জন্য,"

---

৫. **আরবি**:
ٱلَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
**বাংলা**:
"যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।"

---

৬. **আরবি**:
ٱلَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ
**বাংলা**:
"যারা লোকদেখানো কাজ করে,"

---

৭. **আরবি**:
وَيَمْنَعُونَ ٱلْمَاعُونَ
**বাংলা**:
"এবং সাধারণ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিতেও বাঁধা দেয়।"

---

# # # **প্রধান বার্তা:**
এই সূরাটি **ঈমানের সাথে নৈতিক দায়িত্বের সমন্বয়ের** উপর জোর দেয়। এটি স্পষ্ট করে যে:
- আল্লাহর ইবাদত শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, **আন্তরিকতা** ও **সচেতনতা** প্রয়োজন।
- সামাজিক দায়িত্ব (এতিম-দরিদ্রের সাহায্য, ছোটখাটো সহযোগিতা) ঈমানের অঙ্গ।
- লোকদেখানো আমল বা ন্যূনতম সাহায্য থেকেও বিরত থাকা **মুনাফিকির লক্ষণ**।

---

# # # **বিশেষ নোট:**
- **"মাউন"** শব্দের অর্থ দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সাহায্য (যেমন: বাসন-কোসন, টাকা-পয়সা ধার দেওয়া)।
- সূরাটি **সামাজিক ন্যায় ও আধ্যাত্মিক সচেতনতার মধ্যে ভারসাম্য** প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দেয়।

---

**🕌 এই সূরার শিক্ষা:**
নামাজ, রোযার মতো ইবাদতের পাশাপাশি মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণই প্রকৃত মুমিনের পরিচয়!

28/04/2025

সূরা কাহফের ১৮ নম্বর আয়াতটি নিম্নরূপ:

**আরবি:**
وَتَحْسَبُهُمْ أَيْقَاظًا وَهُمْ رُقُودٌ ۚ وَنُقَلِّبُهُمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَذَاتَ الشِّمَالِ ۖ وَكَلْبُهُمْ بَاسِطٌ ذِرَاعَيْهِ بِالْوَصِيدِ ۚ لَوِ اطَّلَعْتَ عَلَيْهِمْ لَوَلَّيْتَ مِنْهُمْ فِرَارًا وَلَمُلِئْتَ مِنْهُمْ رُعْبًا

**বাংলা উচ্চারণ:**
"ওয়া তাহসাবুহুম আইকাযাওঁ ওয়া হুম রুকূদ; ওয়া নুকাল্লিবুহুম যাতাল ইয়ামীনি ওয়া যাতাশ শিমাল; ওয়া কালবুহুম বাসিতুন যিরা‘য়াইহি বিল ওয়াসীদ; লাওইত ত্বালা‘তা ‘আলাইহিম লাওয়াল্লাইতা মিনহুম ফিরারাওঁ ওয়া লামুলি’তা মিনহুম রু‘বা।"

**বাংলা অনুবাদ:**
"আর তুমি তাদেরকে জাগ্রত মনে করবে, অথচ তারা ঘুমিয়ে আছে। আর আমি তাদেরকে ডান ও বাম দিকে উল্টিয়ে দেই। আর তাদের কুকুরটি প্রসারিত করেছিল তার দু’টি সামনের পা গুহার প্রান্তে। যদি তুমি তাদেরকে দেখতে পেতে, তবে অবশ্যই তুমি তাদের কাছ থেকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালিয়ে যেতে আর নিশ্চয়ই তাদের দ্বারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে যেতে।" (সূরা কাহফ, ১৮)

# # # প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা:
এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা **আসহাবে কাহফ** (গুহাবাসী যুবকদের) এর অলৌকিক ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তারা ঈমান রক্ষার জন্য গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং আল্লাহর হুকুমে ৩০৯ বছর গভীর নিদ্রায় ছিলেন। এই আয়াতে তাদের ঘুমের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে:
- তাদের দেহ ঘূর্ণনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ক্ষয় রোধ করা হয়েছিল (যাতে দেহ বিকৃত না হয়)।
- তাদের কুকুর গুহার প্রবেশপথে পাহারা দিচ্ছিল, যা তাদের সুরক্ষার প্রতীক।
- তাদের অবস্থা দেখে যে কেউ ভয় পেয়ে যেত, কারণ তাদের চোখ খোলা থাকলেও তারা গভীর ঘুমে ছিলেন।

# # # শিক্ষা:
এই ঘটনা বিশ্বাসীদের জন্য একটি নিদর্শন যে, আল্লাহ যেকোনো বিপদে তাঁর বান্দাদের রক্ষা করেন এবং তাঁর ক্ষমতা অসীম। এটি মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের সাক্ষ্য হিসেবেও কাজ করে।

Address

Hofuf

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mix video398 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share