24/06/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            জীবন দিয়ে ভালোবাসা প্রমাণ শেষ পর্ব
 
কাগজে মোড়ানো ভালোবাসা দিয়ে আমি তোর হৃদয় মোড়াতে চেয়েছিলাম।কিন্তু তুই অধরাই থেকে গেলি...
তুইতো আমার হাতছোঁয়া দূরত্বে ছিলি কিন্তু হাত বাড়ালেই সবসময় ভালোবাসা ছোঁয়া যায়না। কিছু ভালোবাসা অপূর্ণই রয়ে যায়..
ভালোবাসার মানুষকে পেয়েও হারানোর নাম বেদনা,,না পেয়ে ভুলে যাওয়ার নাম সান্ত্বনা আর ভালোবাসার মানুষকে না পেয়েও সারা জীবন ভালোবেসে যাওয়ার নাম স্বার্থকতা।
আমি স্বার্থক....
আমি তোর মাঝে আমার জগৎটাকে খুঁজেছিলাম আর তুই রাফির মাঝে এতে তো আমাদের কোন হাত ছিলনা..কিছু গল্প বিধাতা নিজ হাতে লেখে!!.. নিজেকে কখনো অপরাধী ভাবিসনা কিন্তু... রাফিকে কখনো কষ্ট দিসনা...ছেলেটা তোকে অনেক ভালোবাসে...
এতগুলো অপূর্ণতার মাঝেও আমার একটা পূর্ণতা আছে আর তা হল রাফির দেওয়া যে গল্পগুলো তোকে আবেগে ভাসাতো সেগুলো আমারই লেখা ছিল...এজন্য রাফিকে কিছু বলিসনা কিন্তু.. সবার দ্বারা গল্প লেখা হয়না!.. গল্প লিখতে গেলে আমার মতই পাগল হওয়া লাগে...
গল্প লিখতে হয় আবেগ দিয়ে..কারণ আবেগ দিয়ে জীবন না চললেও হৃদয় চলে!
তোকে বলেছিলামনা আমার লেখা পড়েও একদিন তুই কাঁদবি!আমার অব্যক্ত ভালোবাসার কসম করে বলছি তুই এখন কাঁদছিস...এই পাগলী! একদম কাঁদবিনা,আমি আছি তো।আমি তোর ছায়া হয়ে তোর সাথেই আছি শুধু স্পর্শের বাইরে।নিজের জীবনটা রাঙিয়ে নিস ভালোবাসার রঙে...
আমার শেষ একটা আবদার রাখবি সাদিয়া??..প্রতি ১৪ই ফেব্রুয়ারি আমার কবরে একটা করে গোলাপ ফুল রেখে আসবি??..আমার ভালোলাগবে।
""ছায়া হয়েও হৃদয়চোখে,,
ভালোবাসা তোকে খুঁজে নেবো!
থাকিস শুধু মন গহীনে,
তোর পাজর ছুঁয়ে নিঃশ্বাস হয়ে যাবো।। ""
ভালোবাসা ভালো থাকিস সবসময়,,চিরবিদায়।।------
মাহিনের লেখাটা আজকে সত্যিই কাঁদাতে পেরেছে সাদিয়াকে। শুধু জেনি নয় দিনা,তুর্য,হাফসা সবাই কাঁদছে।কতটা পাগল হলে এরকম পাগলের মত ভালোবাসা যায়??প্রশ্নটা সাদিয়ার মনের ভেতর বেজেই চলেছে।কিন্তু উত্তর দেওয়ার মানুষটা যে আর নেই।যেই পাগলটার পাগলামী পুরো বন্ধুমহল মাতিয়ে রাখতো তাকে ছাড়া ক্যাম্পাসটা যে ফাঁকা ফাঁকা লাগবে!!..তবে জীবন হয়তো চলেই যাবে কোন না কোনভাবে।
একবছর পর আজ আবারো ১৪ই ফেব্রুয়ারি। প্রত্যেক প্রেমিক-প্রেমিকার মত রাফি আর সাদিয়াও এক জায়গায় যাচ্ছে। সাদিয়ার হাতে একটা গোলাপ ফুল।
গন্তব্যে চলে এসেছে ওরা।হ্যাঁ, ওইতো!মাহিনের কবরটা দেখা যাচ্ছে।এক বছরের ব্যবধানে অনেকটা বদলে গেছে জায়গাটা।চারপাশের লতাপাতাগুলো যেন তাদের বুকের মাঝে আগলে রেখেছে পাগলটাকে।
সাদিয়া আস্তে করে ফুলটা রাখলো কবরের উপর।চোখের জলগুলোও আজকে বেইমানী করছেনা অঝোরে ঝরে পড়ছে।কাঁদছে রাফিও....
কবর থেকে বাসার উদ্দেশ্য হাঁটছে ওরা দুজন।না, দুজন বললে ভুল হবে!আরেকজন আছে ওদের সাথে তবে ছায়া হয়ে।
পথটা হয়তো বেঁকে যাবে কিন্তু ছায়াটা রয়েই যাবে আর চিৎকার করে বলবে "ভালোবাসিরে"!!
চিৎকারটা কেউ শুনবেনা ঠিকই কিন্তু সেটা প্রতিধ্বনিত হবে সেই ভালোবাসার মানুষটার হৃদয়ে যার নামে সে নিজের জীবনটাকেই লিখে দিয়েছে...!
উৎসর্গ:মাহিনের মত পাগলদের যারা নিজের জীবন দিয়ে ভালবাসার প্রমাণ রেখে যায়।।।।ধন্যবাদ সবাইকে কেমন লাগলো কমেন্ট করে যাবেন