The power of Positive Parenting

The power of Positive Parenting It's my personal blog
please follow the page
and like photo and video

26/11/2025

সন্তানকে ABC, 123 শেখানোর আগে, এই ৭টি জিনিস শেখান💁‍♀️

আমরা অনেকেই ভাবি, বাচ্চা ছোট,চল তাকে ABC, 123, রং–আকৃতি শিখাই। পাশের বাচ্চা সব বলতে পারে, ও না পারলে হবে? এসব কম্পিটিশন সাইডে রাখুন, আগে তাকে সঠিক শিক্ষা দিন। আমার সন্তান কারো সাথে তুলানর মানুষ নয়, সে অমূল্য, তাকে গড়বেন আপনার সঠিক পথ নির্দেশনা দিয়ে।

নিউরোসায়েন্স অনুযায়ী, আগে কি শেখাতে হবে?
একটা বাচ্চা প্রথমে মানুষ হওয়া শেখে, তারপর বর্ণমালা।ABC পরে শিখবে।কিন্তু জীবনের ভিত্তি যেগুলো—সেগুলো আগে গড়ে দিতে হবে।

আবেগ চিনতে শেখান (Emotional awareness)✅

বাচ্চা রাগ করছে? দুঃখ পেয়েছে? ভয় পেয়েছে?
তাকে বলুন“এই যে তুমি রাগ করছো, এটা রাগ নামের একটি অনুভূতি।” "তুমও নতুন জামা পেয়ে খুশি?, এটা আনন্দ "। (এভাবে প্রতিটা অনুভূতি কে শেখান, অনুভূতিকে আরো সুন্দর করে কিভাবে শেখাবেন, বা আমি কিভাবে, শেখাই অন্য পোস্ট বা ভিডিওতে শেয়ার করবো।)যে শিশু নিজের আবেগ বুঝে,সে ভবিষ্যতে পড়াশোনা ও জীবনে বেশি সফল হয়। এবং একি সাথে সফল হয়, নিজের ব্যক্তি জীবনে।

নিরাপত্তা ও ভরসা দিন (Secure Attachment)✅

বাচ্চা যখন কাঁদে, ভয় পায়, পড়ে যায়—
তখন পাশে থেকে বলুন: “আমি আছি।”
শিশুর ব্রেইনে এটা এমন এক মেসেজ পাঠায়,
যা তার পুরো জীবনের আত্মবিশ্বাস গড়ে দেয়।

‘না’ বলা শেখান✅

শিশুকে শেখান—“কারো কিছু ভালো না লাগলে তুমি না বলতে পারো।” জেড় করে চুমু দেয়া, আদর করা,তাল টানা, তার ভালো না লাগলেও আন্টি কাঁদব, আঙ্কেল রাগ করবো এসব বলে জোড় করা, কাউকে Allow করবেন না, আর নিজেই শেখাবেন না করতে। আমি নিজেও চুমু দেবার সময় জিজ্ঞেস করি " মা, চুমু দেই, বলে দাও মা, আর ভালো না লাগলে, বলে না দিও না"।
এটা তাকে ভবিষ্যতে শোষণ, চাপ, ভুল বন্ধুত্ব—সবকিছু থেকে রক্ষা করবে। নাহয় ভাবে জোড় করা স্বাভাবিক।

শেয়ার করা ও অপেক্ষা করা শেখানে।✅

বাচ্চাকে অন্যদের সঙ্গে খেলতে দিন।পালাক্রমে খেলতে শেখান। ঘরে খাবার আনলে তার হাতে দিয়েই "সবাইকে দিতে বলুন" সানায়াকে ডার্ক চকলেট দেই, এখন আর বলতে হয়না, সে নিজে গিয়ে টুকরো করে তার মাম্মা কে, দিদুকে, আর পাপাকে দিয়ে আসলো। এটা একদিনেই হবেনা, আস্তে আস্তে হবে।" বাচ্চা খেলেই পেট ভরে যায়", এসব আবেগী ডায়লগ দেবেন না, খাবার, বাসার সবাই শেয়ার করে খাবেন। ভালো খাবার কেবল বাচ্চা একাই খাবে, এসব ভুল শিক্ষা দেবেন না।এটাই ভবিষ্যতের সোশ্যাল স্কিলের ভিত্তি।

প্রয়াসের মূল্য শেখানো (Growth Mindset)✅

ABC না জানলেও সমস্যা নেই,কিন্তু বাচ্চা যদি চেষ্টা করা শিখে যায়,তাহলে একদিন সব শেখার ক্ষমতা তৈরি হবে। চেষ্টা করা শেখান, তার মধ্যে চেষ্টা করার ক্ষমতাকে grow করুন।
তাকে বলুন:“তুমি চেষ্টা করেছো, এটাই তোমার বড় অর্জন সোনা।”

স্বনির্ভরতা শেখান✅

নিজে জামা পরা, খেলনা গুছানো, পানি খাওয়া,
এই ছোট ছোট কাজগুলো তাকে দায়িত্বশীল করে। আহারে ছোট বলে সব নিজে করে দিচ্ছেন, এটা ঠিকনা।মনে রেখুন—Self-reliance is more powerful than early literacy.

নিরাপদ সীমা শেখান (Healthy boundaries)✅

বাচ্চা সবকিছু পাবে না। চাইলেই দিয়ে দেব, এটা ঠিকনা, এক্ষেত্রে একটু কঠোর হবেন।সে জানবে—
কি করা যাবে, কি যাবে না—কিন্তু ভালোবাসার মধ্যে থেকেই।এটাই তাকে পরবর্তী জীবনে স্থির, সংযত মানুষ বানায়। নিয়ম রাখবেন কড়া, যে এটা ভাঙা যাবেনা, তাই বলে আঘাত করে শেখাতে হবেনা। আপনি মানলে সেও নিয়ম মানা, শিখে যাবে।

জীবনের এই ভীষণ জরুরি নীতিমালা শিখেগেলে,ABC, 123 ও বই–খাতা সে খুব সহজেই শিখে নেবে। এতো চিন্তিত হতে হবেনা। আর কোনো কিছু শেখানোকে চাপ বা বোরিং করবেন না। আনন্দ রাখবেন। খেলতে খেলতেই দেখবেন, অনেক কিছু শিখে যাবে।
ধন্যবাদ
Freelancer Sohag
The power of Positive Parenting

জেদী বাচ্চা মানেই বুদ্ধিমান বাচ্চাআমরা যখন কোনো শিশুকে জেদ করতে দেখি, বেশিরভাগ সময়ই আমরা বিরক্ত হই। আমরা ভাবি ও কেন কথা ...
21/11/2025

জেদী বাচ্চা মানেই বুদ্ধিমান বাচ্চা

আমরা যখন কোনো শিশুকে জেদ করতে দেখি, বেশিরভাগ সময়ই আমরা বিরক্ত হই। আমরা ভাবি ও কেন কথা শুনতেছে না, কেন এমন করতেছে।

আসলে, বেশিরভাগ সময়েই এই জেদ কোনো সমস্যা নয়, বরং শিশুর বুদ্ধিবিকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী লক্ষণ।

জেদ মানে শিশুটি ভাবতে শিখছে

একটি শিশু যখন “না” বলে, কিংবা নিজের মতামত ধরে রাখে-
সে মূলত বোঝাতে চায়, “আমারও বুঝার ক্ষমতা আছে। আমি নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতে চাই।

এবং এটিই তাকে ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাসী ও সিদ্ধান্তক্ষম একজন মানুষ বানায়।

অভিভাবকের প্রথম দায়িত্ব: শান্ত থাকা

শিশুর জেদ যত বাড়ে, আমাদের রাগ তত বেড়ে যায়।
কিন্তু রাগ দেখালেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

আপনি যদি স্থির, ধীর এবং শান্ত স্বরে কথা বলেন,
শিশুটিও ধীরে ধীরে নরম হয়ে আসে।

কখনও কখনও আপনার শান্ত মুখভঙ্গিই কথার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।

জেদ সামলানোর ২টি কার্যকর কৌশলের একটি হচ্ছেঃ খেলার ছলে উল্টো দিকে নেওয়া (Reverse Psychology)

শিশুকে কখনো কঠোরভাবে নিষেধ করলে সে উল্টো সেটাই করতে চায়।
যেমন- আপনি বললেন: “আজ তুমি দুধ খেও না।”
সে বলবে: “না, আমি খাব!”

কারণ সে নিজের সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকতে ভালোবাসে।
এই মানসিকতা বুঝতে পারলে পরিস্থিতি খুব সহজে সামলানো যায়।

শিশুকে ছোট্ট “বিকল্প” দেওয়া

শিশুরা আদেশ পছন্দ করে না, কিন্তু পছন্দ করে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

আপনি যদি বলেন- “দুধ খাও।”
সে না-ও বলতে পারে।

কিন্তু যদি বলেন-
“তুমি দুধ গরম খাবে, নাকি ঠান্ডা?”
সে সাথে সাথে একটা বেছে নেবে।

কারণ সিদ্ধান্তটা এবার তার নিজের,
আপনার কথাও মানা হলো, শিশুটিও খুশি।

এক মা তার শিশুকে বাইরে নিতে পারছিলেন না।
শিশুটি জেদ ধরে বলছিল, “যাবো না!”

মা তখন মজা করে বললেন,
“বাইরে গেলে এক চোখ বন্ধ করে যাবে, না দুইটা?”

শিশু হেসে বলল,
“দুইটা!”

এই একটুখানি বিকল্পই জেদের জায়গায় এনে দিল আনন্দ, এটাই win win situation.

তবে এটাও সত্যি যে, জেদী শিশুর সঙ্গে আচরণে ধৈর্য থাকতে হবে। তারা নিজের মতো করে ভাবে এবং সেই ভাবনাটাই তাদের শক্তি।

আপনি যদি সেই ভাবনাকে শ্রদ্ধা করেন, তাহলে শিশুটিও আপনাকে শ্রদ্ধা করতে শিখবে।

সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সে শিশুরা সবচেয়ে বেশি জেদ প্রকাশ করে। কারণ এই বয়সে তারা স্বাধীন হতে শেখে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুশীলন করে।

এটি তাদের স্বাভাবিক বিকাশের একটি ধাপ। আপনি যদি এই সময়টায় ধৈর্য ধরে শিশুর আচরণকে বুঝতে পারেন, তাহলে সে ধীরে ধীরে দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।

জেদকে দমন করার চেষ্টা না করে বরং বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। কারণ জেদ মানে শুধু “না” বলা নয়, এটি এক ধরনের চিন্তার প্রকাশ।

আপনি যদি সেই চিন্তাকে জায়গা দেন, তবে একদিন এই জেদী শিশুই আত্মবিশ্বাসী, সচেতন ও দৃঢ় মানসিকতার একজন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।

✨ ধন্যবাদ আমার জীবনে আসার জন্য… তুমি আমাকে সম্পূর্ণ এবং পরিপূর্ণ করেছো 💕তুমি আমার জীবনে আসার পর থেকে প্রতিটা দিন, প্রতিট...
18/09/2025

✨ ধন্যবাদ আমার জীবনে আসার জন্য… তুমি আমাকে সম্পূর্ণ এবং পরিপূর্ণ করেছো 💕

তুমি আমার জীবনে আসার পর থেকে প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত নতুন আলোয় ভরে উঠেছে।। তোমার ছোট্ট স্পর্শে আমি খুঁজে পেয়েছি জীবনের আসল মানে, তোমার চোখের নিষ্পাপ চাহনিতে আমি খুঁজে পাই শান্তি আর ভালোবাসার অশেষ ভাণ্ডার।

তুমি শুধু আমার সন্তান নও, তুমি আমার প্রাণ, আমার বেঁচে থাকার কারণ, আমার প্রতিটি স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু। তুমি এলে বলেই আমি আজ একজন মা—এমন এক পরিচয়, যা পৃথিবীর যেকোনো পরিচয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত যেন স্বর্গীয় উপহার। তোমার প্রথম হাঁটা, প্রথম ডাক, প্রথম হাসি—সবকিছুই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি জানি সামনে তোমার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়—প্রতিটা ধাপে তুমি বড় হবে, নিজের জগৎ গড়ে তুলবে। কিন্তু আমার চোখে তুমি সবসময়ই সেই ছোট্ট শিশুটি, যে আমাকে নিঃশর্ত ভালোবাসা আর অপরিমেয় আনন্দ উপহার দিয়েছে।

আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি তোমার জন্য। 🌺 তুমি আমার দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি, আমার চাওয়া-পাওয়ার সেরা পূর্ণতা।

ধন্যবাদ, আমার সোনা… আমার জীবনকে এত সুন্দর, এত পরিপূর্ণ করে তোলার জন্য। 🥹❤️

অপারেশন থিয়েটারের দরজা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল।বাইরে অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে স্বামী আর পরিবারের সবাই।ভেতরে একজন নারী—যে আজ নিজ...
14/09/2025

অপারেশন থিয়েটারের দরজা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল।
বাইরে অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে স্বামী আর পরিবারের সবাই।
ভেতরে একজন নারী—যে আজ নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ লড়তে যাচ্ছে।

অজ্ঞান করার ওষুধ শরীরে ঢুকতেই চোখ ভারী হয়ে এলো তার।
হঠাৎ করেই কানে ভেসে এলো ডাক্তারদের শব্দ—
“বেবি আউট!”
শিশুর প্রথম কান্না মুহূর্তেই ঢেকে দিল সব যন্ত্রণা।
কিন্তু সেই কান্নার পেছনে কতটা ত্যাগ আছে, তা হয়তো কেউ বোঝেই না।

অপারেশনের পরে পেট কেটে সেলাই দেওয়া হলো।
কিন্তু মাত্র ছয় ঘণ্টা পরেই নার্স এসে বললো—
“আপনাকে উঠতে হবে।”

তীব্র ব্যথায় শরীর কাঁপছে, মনে হচ্ছে সেলাইয়ের জায়গাটা ছিঁড়ে যাচ্ছে।
তবুও দাঁড়াতে হলো, কারণ নতুন অতিথিকে তো বুকে নিতে হবে, দুধ খাওয়াতে হবে।

মায়ের চোখে তখন একদিকে অশ্রু, অন্যদিকে ভালোবাসার আলো।
শরীর ভীষণ দুর্বল, প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হচ্ছে বুক ফেটে যাবে যন্ত্রণায়।
তবুও শিশুর ছোট্ট কান্না শুনলেই সব ভুলে গিয়ে তাকে আঁকড়ে ধরেন বুকের মাঝে।

অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক, সেলাইয়ের টান, অসহ্য যন্ত্রণার মাঝেও
রাত জেগে কাঁদতে থাকা শিশুকে কোলে দোলাতে থাকেন তিনি,
নিজের ক্ষত উপেক্ষা করে বুকের দুধ খাওয়ান।
তার হাসি তখন শুধুই সন্তানের জন্য।

✨ এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ত্যাগ।
✨ এটাই সিজারিয়ান মায়ের মহত্ত্ব।

যদি তুমি একজন সিজারিয়ান মা হও—
জেনে রেখো, তুমি অদ্ভুত শক্তিশালী।
তুমি কষ্টের পাহাড় বুকে নিয়ে, হাসি দিয়ে জীবনকে আলিঙ্গন করো।
তুমি সত্যিই অসাধারণ। ❤️

প্রিয় স্বামী,তুমি জানো কি, মাতৃত্ব কোনো সহজ পথ নয়। এই পথটা আনন্দের হলেও এর ভেতরে আছে অসংখ্য ব্যথা, ক্লান্তি আর অশ্রু। ...
11/09/2025

প্রিয় স্বামী,

তুমি জানো কি, মাতৃত্ব কোনো সহজ পথ নয়। এই পথটা আনন্দের হলেও এর ভেতরে আছে অসংখ্য ব্যথা, ক্লান্তি আর অশ্রু। দিনের পর দিন আমার শরীর বদলাচ্ছে, রাতের পর রাত আমি ঘুমাতে পারছি না, বুক ভরা চিন্তা আর ভয় নিয়ে কাটাচ্ছি প্রতিটি মুহূর্ত।

শারীরিক কষ্টগুলো তুমি হয়তো চোখে দেখতে পাও না—মাথা ব্যথা, কোমরে টান, হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বা পায়ে ব্যথা—কিন্তু এগুলো আমায় প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দেয় আমি আর আগের মতো নেই। তার থেকেও বড় কষ্ট হলো মানসিক লড়াই। আমি হাসতে চাই, তোমার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে চাই, কিন্তু অনেক সময় চোখের কোণে জল চলে আসে অকারণেই।

আমার ভিতরে যে ছোট্ট প্রাণটা নড়াচড়া করছে, সে-ই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তাকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখি, তাকে আঁকড়ে ধরেই প্রতিটি কষ্ট সহ্য করি। কিন্তু, স্বামী, আমি সবসময় চাই তুমি যেন পাশে থেকো, আমার নীরব কান্না শোনো, আমার অস্থিরতা বোঝো, আমার ভয় দূর করো।

তুমি যদি আমার ব্যথা না বোঝো, যদি আমার ভয়কে অবহেলা করো, তাহলে আমি আরও ভেঙে পড়ি। তাই অনুরোধ করছি, শুধু আমার শরীর নয়, আমার মনকেও ভালোবেসো। আমাকে বোঝাও যে আমি একা নই, তুমি আছো আমার পাশে—আমার হাতটা শক্ত করে ধরো, কারণ এই যাত্রা আমাদের দু’জনের।

প্রিয় স্বামী, আমি কেবল একজন গর্ভবতী নারী নই, আমি তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি। আমার প্রতিটি অশ্রুর পেছনে তোমার একটু সান্ত্বনা যদি থাকে, তবে এই কষ্টগুলো আমি সহজেই সহ্য করতে পারব।

তোমার স্ত্রীর পক্ষ থেকে,
💔 একজন নীরবে কাঁদা গর্ভবতী নারী

❇️বাচ্চা কান্না করছে এমন সময় যদি মা খেতে বসেন তাহলে মাকে দুনিয়ার সব কিছু ফেলে দৌড়ে চলে আসতে হয় বাচ্চার কান্না থামাতে❗️✅...
04/09/2025

❇️বাচ্চা কান্না করছে এমন সময় যদি মা খেতে বসেন তাহলে মাকে দুনিয়ার সব কিছু ফেলে দৌড়ে চলে আসতে হয় বাচ্চার কান্না থামাতে❗️

✅️অথচ কয়েক মিনিট পরে বাচ্চাকে খাওয়ালেও কোন সমস্যা হবে না, কিন্তু মায়ের খাওয়া ঠিকমতো না হলে বাচ্চাও দুধ পাবে না ঠিকমতো।

✅️তাই যখন মা খেতে বসবেন তখন বাচ্চা কান্না করলে পরিবারের সদস্যরা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে মায়ের খাওয়াটা সম্পূর্ণ হতে দিন।
এইটুকু করতে পারলেও মায়ের জন্য তা অনেক কিছু!

✨ নবজাতকের পেটের গ্যাস বের করার সহজ উপায় – বাইসাইকেল চিকিৎসা 🚲 ✨প্রায় সব নবজাতকই পেটের গ্যাসে অস্বস্তি বোধ করে। এই সময় ব...
03/09/2025

✨ নবজাতকের পেটের গ্যাস বের করার সহজ উপায় – বাইসাইকেল চিকিৎসা 🚲 ✨

প্রায় সব নবজাতকই পেটের গ্যাসে অস্বস্তি বোধ করে। এই সময় বাচ্চা কান্না করে, পেট শক্ত হয়ে যায়,কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, ঘুম ঠিকমতো হয় না। মায়েরা চিন্তিত হয়ে পড়েন – এখন কী করবেন?

👉 সমাধান হতে পারে একেবারে সহজ একটি পদ্ধতি – বাইসাইকেল চিকিৎসা।

কীভাবে করবেন?
১️⃣ শিশুকে সমান ও নরম জায়গায় শুইয়ে দিন।
২️⃣ আলতোভাবে দুই পা ধরে সাইকেল চালানোর মতো করে ভাঁজ করে বুকের দিকে আনুন ও ছাড়ুন।
৩️⃣ কয়েক মিনিট এভাবে ধীরে ধীরে করুন।

উপকারিতা 💡
✅ শিশুর পেটের গ্যাস বের হতে সাহায্য করে
✅ কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
✅ হজম সহজ করে
✅ বাচ্চার অস্বস্তি কমে, ঘুম ভালো হয়

⚠️ খেয়াল রাখবেন—

কখনোই জোরে করবেন না

খাওয়ানোর সাথে সাথে করবেন না, অন্তত ৩০ মিনিট পর করুন

বাচ্চা অস্বস্তি বোধ করলে সাথে সাথে থেমে যাবেন

🌷 বাইসাইকেল চিকিৎসা হলো একেবারেই নিরাপদ ও প্রাকৃতিক একটি পদ্ধতি, যা আপনার শিশুকে আরাম দিতে পারে খুব দ্রুতই।

✳️বুকের দুধ দানকারী মায়ের যে কতবার রাতে বাচ্চাকে খাওয়াতে হয় আর কতবার ঘুম ভাঙে তা কেবল একজন মা ই ভালো জানেন।❌️তাই যৌথ পরি...
03/09/2025

✳️বুকের দুধ দানকারী মায়ের যে কতবার রাতে বাচ্চাকে খাওয়াতে হয় আর কতবার ঘুম ভাঙে তা কেবল একজন মা ই ভালো জানেন।

❌️তাই যৌথ পরিবারে বাস করা breastfeeding করানো মায়েরা যদি সকালে একটু দেরীতে ঘুম থেকে উঠে তাহলে এটাকে অলসতা বলে বকাঝকা না করে খানিকটা সময় ঘুমাতে দিন।

😭হয়তোবা সারা রাত না ঘুমিয়ে এই কিছুক্ষণ আগেই মা ঘুমিয়েছে!দিন না একটু ঘুমাতে!
আবার কখন ঘুমাতে পারবে কে জানে!

প্রতিদিনকার হাজারটা কাজের ভীড়েও এই একটা ডাক আমাকে থামিয়ে দেয়...—রান্নাঘরের কাজ শেষ করে বেডরুমে ঢুকতেই দেখি, আমার ছোট্ট ...
02/09/2025

প্রতিদিনকার হাজারটা কাজের ভীড়েও এই একটা ডাক আমাকে থামিয়ে দেয়...

—রান্নাঘরের কাজ শেষ করে বেডরুমে ঢুকতেই দেখি, আমার ছোট্ট রাজপুত্র দু’হাত মেলে রেখেছে, চোখে-মুখে একরাশ আলো।

আমার দিকে তাকিয়ে এমনভাবে হাত বাড়ায়,
যেন বলছে—
“এই যে মা, তুমি আছো তো? আমাকে কোলে নাও না, আমি তোমার কাছে আসতে চাই।”

এই মুহূর্তগুলো পৃথিবীর কোনো ক্যামেরাই পুরোপুরি ধরতে পারে না।
এগুলো হৃদয়ে গেঁথে যায়।

প্রতিদিনকার হাজারটা কাজের ভেতরে এই একটা ডাক আমাকে থামিয়ে দেয়।
ভেতরে কোথাও যেন কেঁপে ওঠে—
আমারো কেউ আছে, যে শুধু আমারই জন্য অপেক্ষা করে আছে।
না খেয়ে থাকা, ঘুম না হওয়া, ক্লান্ত শরীর—সব হেরে যায় সেই একটুখানি হাত বাড়ানোর সামনে।

আমার মা-হওয়া যে এতটা গভীর, এতটা কোমল হবে—
তা কি কখনও ভেবেছিলাম?

একটা সময় ছিল, আমি ‘আমি’ ছিলাম।
আর এখন?
আমি ‘ওর মা’।
আর ও যখন দু’হাত বাড়িয়ে ডাকে,
আমি বুঝে যাই, এই নামটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পরিচয়।

একটা শিশু যখন মায়ের কোল চায়, সেটা শুধু কোল নয়— সেটা আশ্রয় চায়, ভালোবাসা চায়, পুরো পৃথিবীকে নিজের করে চায়।
আর একজন মা?
সে ওই ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেকে নিঃস্ব করে দিয়ে পূর্ণ হয়ে ওঠে।

©️

সন্তানকে না বলা মায়ের কিছু কথা... পুরোটা পড়লে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে একদিন সবকিছু ফিরে আসবে — হারিয়ে ফেলা ঘুম, শান...
01/09/2025

সন্তানকে না বলা মায়ের কিছু কথা... পুরোটা পড়লে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে

একদিন সবকিছু ফিরে আসবে — হারিয়ে ফেলা ঘুম, শান্তি, নিজের জন্য সময়।
ফিরে আসবে অবাধ স্বাধীনতা, ফিরে আসবে নিশ্চিন্ত নিশি।
কিন্তু যা কোনোদিনও ফিরে আসবে না, তা হলো তোমার এই ছোট্ট শৈশব।

আর সকাল সকাল উঠে তোমার ময়লা কাঁথা-চাদর ধোয়ার তাড়া থাকবে না।
তোমার জন্য আর শখ করে নতুন খেলনা কেনা হবে না।
তুমি আর দাঁতহীন হাসিতে আমার আঙুল কামড়ে ধরবে না,
না-না বলার ভঙ্গিতে দুই মুঠো হাত দিয়ে আমার চুল ছিঁড়ে দেবে না।
তুমি বাবার চুল ধরে টেনে দুষ্টুমি করে হাসবে না।

তোমার জন্য আলাদা রান্নার সেই ছোট ছোট পেরেশানিগুলোও আর থাকবে না।
বাড়ির কোণে ছড়িয়ে থাকা খেলনাগুলো তুলে নিতে হবে না।
নতুন খেলনা দেখলেই বাবার উচ্ছ্বসিত চোখের সেই ভালোবাসা আর দেখা যাবে না।
এই হাতদুটো দিয়ে তোমাকে স্নান করিয়ে আদর করে মুছে দেবার মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাবে।
ভরা বুকের উষ্ণতায় তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ার মুহূর্তগুলো ফুরিয়ে যাবে।

একদিন তুমি বড় হয়ে যাবে।
আমার শরীরের ব্যথা, যন্ত্রণার ইতিহাস হয়ে যাবে।
যে দিন প্রথমবার ছেঁড়া-ফাটা, সেলাই করা শরীর নিয়ে তোমাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরেছিলাম, সেই দিনটিও স্মৃতির পাতায় ঝাপসা হয়ে যাবে।

তারপর…
দিন যাবে, মাস যাবে, বছর পেরিয়ে যাবে।
তুমি আমার কোল ছেড়ে নিজের ছোট্ট দুনিয়ায় পা রাখবে।
যে জড়তা মাখা ভাষায় তুমি আমাকে "মা" বলেছিলে, সেই ডাকের সরলতা হারিয়ে যাবে।
তুমি বড় ব্যস্ত হয়ে পড়বে তোমার নিজস্ব জীবন নিয়ে।

তখন আমাদের — মা-বাবার — সমস্ত ব্যস্ততা ছুটি পাবে।
তুমি থাকবে ব্যস্ত, আর আমরা থাকবো অতীতের স্মৃতিতে হারিয়ে।

যে শৈশব তোমার মনে আবছা হয়ে যাবে,
সেই শৈশব আমাদের হৃদয়ে চিরকাল ঝকঝকে জ্বলবে।
কখনো একটিবার মনে পড়বে হয়তো—
তোমাকে ঘুম পাড়াতে, খেলনা গুছাতে, ভালোবাসায় ভিজিয়ে রাখার সেই সব দিনগুলো।

আর আমাদের মনে পড়বে—
তোমার ছোট্ট হাতের টান, দুধের গন্ধ মাখা শরীরের উষ্ণতা,
তোমার নির্ভরতা, তোমার অবুঝ ভালোবাসা।
সেই সব অনুভূতির কোনো বিকল্প আর কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কারণ, শৈশব একবারই আসে।
আর তা হারিয়ে গেলে, আর কখনও ফিরে আসে না।

— মায়ের ডায়েরি
সংগৃহীত

শিশুর সুস্থতা শুরু হয় মায়ের যত্ন থেকে 🌸🍼 বুকের দুধ শুধু খাবার নয়, এটি শিশুর প্রথম টিকা, প্রথম প্রতিরক্ষা। আর এই দুধ ঠিকম...
31/08/2025

শিশুর সুস্থতা শুরু হয় মায়ের যত্ন থেকে 🌸

🍼 বুকের দুধ শুধু খাবার নয়, এটি শিশুর প্রথম টিকা, প্রথম প্রতিরক্ষা। আর এই দুধ ঠিকমতো তৈরি হওয়ার জন্য মায়ের ঘুম ও মানসিক শান্তি সবচেয়ে জরুরি।

🔬 বিজ্ঞানের ভাষায়:

মায়ের শরীরে প্রোল্যাক্টিন নামক হরমোন রাতে ঘুমানোর সময় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, যা দুধ তৈরিকে বাড়িয়ে তোলে।

আবার ঘুম কম হলে বাড়ে কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন), যা দুধ উৎপাদনে বাধা দেয়।

তাই মায়ের বিশ্রাম = মায়ের শরীরের শক্তি সঞ্চয় = শিশুর জন্য বেশি ও ভালো মানের দুধ।

👩‍👧 মা ও শিশুর জন্য করণীয়:
✔️ মাকে শুধু খাবার নয়, নিয়মিত ঘুম ও বিশ্রাম উপহার দিন।
✔️ পরিবারের অন্য সদস্যরা শিশুর যত্ন ভাগাভাগি করুন, যাতে মা একটু নিঃশ্বাস নিতে পারে।
✔️ মায়ের মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা মানেই শিশুর জন্য নিরাপদ দুধের নিশ্চয়তা।

✨ মনে রাখুন:
সুস্থ মা = পর্যাপ্ত দুধ
পর্যাপ্ত দুধ = হাসিখুশি শিশু 💖

🤲 তাই মা’কে ভালোবাসুন, যত্ন নিন—এটাই সন্তানের প্রতি সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।

শিশুদের পেটে কৃমি কেন হয়?বাচ্চাদের পেটে কৃমি হওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। তবে এর কারণ ও লক্ষণ জানা থাকলে প্রতিকার করাও সহজ হ...
28/08/2025

শিশুদের পেটে কৃমি কেন হয়?

বাচ্চাদের পেটে কৃমি হওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। তবে এর কারণ ও লক্ষণ জানা থাকলে প্রতিকার করাও সহজ হয়।

🟥কেন কৃমি হয়?
🔹 দূষিত পানি পান করলে বা সেই পানি দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে।
🔹 আধা সিদ্ধ বা অপরিষ্কার সবজি খেলে।
🔹 উঠান বা কাদায় খেলার সময় নোংরা হাত মুখে নিলে।
🔹 খাওয়ার আগে হাত ঠিকমতো না ধুলে।

🟥পেটের কৃমির লক্ষণঃ

✳️শ্বাসকষ্ট বা কাশি

✳️জ্বর

✳️তীব্র পেট ব্যথা বা পেট ফুলে যাওয়া

✳️বমি বমি ভাব ও বমি

✳️ডায়রিয়া

✳️খিদে কমে যাওয়া

✳️হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া

✳️অস্থিরতা ও ঘুমের সমস্যা

🔴 এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

📌 নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিষ্কার পানি পান এবং সঠিকভাবে রান্না করা খাবার খাওয়ানোই শিশুকে কৃমি থেকে রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

Address

Najran

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The power of Positive Parenting posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category