07/08/2024
মাত্র তিনদিন আগে দেশের মানুষ একটা দলকে দেশ থেকে বিতাড়িত করলো। আর এদিকে আরেকটা দল বসে আছে এই ভেবে দেশের মানুষ তাদেরকে চাচ্ছে।
সরকার পতনের দিন থেকেই একটা মহল দেশের বিভিন্ন জায়গায় অরাজকতা সৃষ্টি করতেছে। অন্যের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর , ডাকাতি, অগ্নি-সংযোগ এসব করে বেড়াচ্ছে। এদিকে তো শুনা যাচ্ছে একটা মহল তাদের নিজেদের দলের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে বেড়াচ্ছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন করে, কেউ বা নিজের জীবন দিয়ে আবার কেউ বা শরীরে বড় আঘাত পেয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে নিজের দেশকে এনে দিয়েছে স্বাধীনতা । পরেরদিন থেকে তারা দেশকে কিভাবে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হয় সেই জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট, বাজার এবং নিজের আশে-পাশের জায়গাগুলো পরিষ্কার করে সুন্দর করে তুলছে। ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়ে রাস্তা সামলাচ্ছে।
আর ওই দিকে একটা দল এসব কাজে অংশগ্রহণ না করে, দেশের কথা চিন্তা না করে নিজেদের দল নিয়ে চিন্তা করতেছে। মানুষের বাড়িতে হামলা করতেছে, লুটপাট করতেছে, এলাকায় চাঁদা কে নিবে সেইটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি করতেছে, ব্যবসায়ী থেকে চাঁদা কতো দিতে হবে সেইটা নির্ধারণ করে দিতেছে। যেখানে তাদের এখন করা উচিৎ ছিলো কিভাবে দেশের উন্নয়ন করতে হয় , কিভাবে মানুষের কাছে নিজেদের ভালো দিকগুলো তুলে ধরবে সেই নিয়ে কাজ করা যাতে করে মানুষ তাদেরকে বিশ্বাস করতে পারে। কিন্তু না তারা করছে ঠিক তার উলটো, যতো সময় যাচ্ছে মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
এদিক দিয়ে সাধারণ মানুষের যতো চিন্তা , এখন মানুষ চিন্তা করা শুরু করতেছে আগের গুলোই ভালো ছিলো। তাহলে কি লাভ হলো এর আন্দোলন করে , কি লাভ হলো এতোগুলো দেশের ভবিষ্যত নিজের তাজা প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে ?
যখনই ফেজবুকে ডুকতেছি দেখতেছি কোনো খুনোখুনির খবর, কোথাও ডাকাতি হচ্ছে, কোথাও চাঁদা বাজি হচ্ছে, কোথাও বা কারো বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে।
আগে কি হয়েছে এসব বাদ দিয়ে, আমরা কি পারি না সবাই এক হয়ে নিজের দেশটাকে আবার নতুন করে সাজাতে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উপহার দিতে এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে মানুষের বাক-স্বাধীনতা আছে, যেখানে যে যার যার ধর্ম ,দল নিজের মতো করে অনুসরণ করছে, যেখানে নেই কোনো হিংসা। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।