16/11/2025
• তারা মাওলানা ভাসানীকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল!
কিন্তু বাংলা যতদিন থাকবে ভাসানী থাকবেন কোটি কোটি তরুণের হৃদয়ে।
~ ভারতীয় ও পাক হানাদার বাহিনীর আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের আরেক নাম — মাওলানা ভাসানী।
: ভারতীয় ও পাকিস্তানি আধিপত্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার নেতা
তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্য—দুটোরই বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।
পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিবাদ করেছিলেন এবং পূর্ব বাংলার অধিকার নিয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন।
: ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নেতৃত্ব
মুসলিম লীগবিরোধী গণজাগরণ তৈরি করেন।
যুক্তফ্রন্টের বড় বিজয়ে তাঁর নেতৃত্ব বিশাল ভূমিকা রাখে।
: কাগমারী সম্মেলন (১৯৫৭) — স্বাধীনতার ইঙ্গিত
এখানে তিনি প্রকাশ্যে পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
তাঁর “বিদায় পশ্চিম পাকিস্তান” মন্তব্যকে অনেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম রাজনৈতিক সুর হিসেবে দেখেন।
: কৃষক-শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় আজীবন সংগ্রাম
তিনি কৃষক-শ্রমিকদের সংগঠিত করতে কৃষক শ্রমিক পার্টি গঠন করেন।
জমির মালিকানা, ন্যায্য মজুরি, বৈষম্য কমানোর জন্য নিয়মিত আন্দোলন করেছেন।
: ফারাক্কা লং মার্চ (১৯৭৬)
ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে পানির সংকটের বিরুদ্ধে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
আজও ১৬ মে “ফারাক্কা দিবস” হিসেবে পালন করা হয়।
: স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ও চলাকালীন মাওলানা ভাসানীর ভূমিকা :
১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে খোলামেলা সমর্থন দেন এবং পাকিস্তানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন - পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক মহলে ক্যাম্পেইন করেছেন মাওলানা ভাসানী।
: সাধারণ মানুষের নেতা
নিজের সারাজীবন দরিদ্র মানুষের পাশে থেকেছেন—দুর্ভিক্ষ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও যেকোনো সংকটে তিনি ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেছেন।
তিনি খেত খামারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতেন ; এসব কারণেই তাঁকে বলা হয় “ মজলুম জননেতা ”।
বর্তমান প্রজন্মকে মাওলানা ভাসানীর সাহসী সংগ্রাম দেখানো হয় না। কারণ নেতারা চায়, জনগণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকুক, তোষামোদে বিভোর হোক।
কিন্তু মাওলানা —ভাসানীর ত্যাগ শিখিয়েছে, ন্যায়ের জন্য দাঁড়ানোই সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। অন্তরে ভয় পুশে রেখে কেউ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে না।
উনার আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে চিরস্থায়ী প্রেরণা হিসেবে থাকবে।
জন্ম
আবদুল হামিদ খান
১২ ডিসেম্বর ১৮৮০
মৃত্যু
১৭ নভেম্বর ১৯৭৬
সমাধিস্থল
সন্তোষ, টাঙ্গাইল,বাংলাদেশ।