03/03/2025
১০০ জন পাঠককে ‘সীরাতে ইবনে কাসীর’ উপহার দিতে চাই।
ইমাম ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ কর্তৃক রচিত কালজয়ী ইতিহাসগ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ থেকে আমি ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। বিশেষ করে, সীরাতের বিভিন্ন ঘটনা জানার জন্যে আমি এই গ্রন্থটার উপরে নির্ভর করতাম অনেকবেশি।
তবে, মূল আল বিদায়া ওয়ান নিহায়াকে সাধারণ পাঠকের উপযোগি বলে মনে হতো না৷ এর কারণ, এই বইতে ইমাম ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ একই ঘটনাকে বিভিন্ন বর্ণনাকারীর বরাতে হাজির করেছেন৷ ফলে, একই ঘটনা বারংবার বারংবার পড়তে হয়। এতে করে গ্রন্থটির কলেবর যেমন সুদীর্ঘ হয়েছে, সাধারণ পাঠকের ধৈর্যচ্যুতির কারণও হয়ে উঠার সম্ভাবনা এতে প্রবল বলে আমার ধারণা।
আমি প্রায়ই ভাবতাম, ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ থেকে কেউ যদি সীরাতের অংশটা আলাদাভাবে প্রকাশ করত, কতই না ভালো হতো! কারণ, নবিজির আদ্যোপান্ত জীবনী জানতে গিয়ে এই গ্রন্থের যতটা শরণাপন্ন আমি হয়েছি, ততটা অন্যকোনো গ্রন্থের বেলায় হইনি।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমার মনের আকাঙ্ক্ষা কবুল করেছেন। গতবছর Sukun Publishing ঘোষণা দেয়, ‘সীরাতে ইবনে কাসীর’ নামে তারা একটা সীরাতের কাজ করছে যা কালজয়ী ইতিহাসগ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ থেকে সংকলিত। আরও আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো—মূল গ্রন্থে বর্ণনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘটনার পুনরাবৃত্তি জনিত যে সমস্যাটা, সেটা এই সীরাতে থাকছে না। এই সীরাতের সংকলক দারুন একটা কাজ করেছেন। রিপিটেড বর্ণনাগুলো থেকে সবচেয়ে সমৃদ্ধ, ঘটনা আর তথ্যবহুল বর্ণনা দিয়েই তিনি এই গ্রন্থ ঢেলে সাজিয়েছেন৷ ফলে, একই ঘটনা বারংবার না এসে একবারই এসেছে এই সীরাতগ্রন্থে, কিন্তু বেশ সমৃদ্ধ বর্ণনাটাই।
আমি ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনই, আলহামদুলিল্লাহ।
যেহেতু আমার খুব প্রিয় একটা সীরাহ এটা, তাই এই রামাদানে কুরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি এই সীরাহটা পড়ে শেষ করবার একটা টার্গেট নিয়েছি, ইন শা আল্লাহ।
সীরাহটা আমি একলা পড়তে চাই না৷ আজ থেকে ৬৫০ বছর আগে রচিত এই কালোত্তীর্ণ সীরাতগ্রন্থটি, যেটা লিখেছেন একজন যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম, যুগে যুগে, কালে কালে যে গ্রন্থ থেকে উপকৃত হয়েছে লাখো কোটি মুসলমান, বিজ্ঞ স্কলারগণ নবিজির জীবনী লিখতে গেলে যে গ্রন্থকে সামনে রাখেন, আমি চাই এই রামাদানে আপনারাও সেই সীরাতগ্রন্থটি পড়েন।
কিন্তু, আমার সামর্থ তো সীমিত। চাইলেই তো আর সবাইকে দেওয়া যায় না। আমি ঠিক করেছি, এই রামাদানে ১০০ জনকে আমি ‘সীরাতে ইবনে কাসীর’ উপহার দেবো, ইন শা আল্লাহ।
আপনি যদি আমার কাছ থেকে ‘সীরাতে ইবনে কাসীর’ উপহার পেতে চান, দুটো কাজ করতে হবে:
১. কমেন্টে বিস্তারিত (অন্তত পাঁচ লাইনে) লিখে জানান যে, কেন আপনি আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনীটা পড়তে চান।
২. আপনি যদি উপহারের জন্য নির্বাচিত হোন, আমার অনুরোধ থাকবে এই রামাদানেই সীরাতগ্রন্থটি পড়ে শেষ করবেন। রামাদানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারলেই এটা সম্ভব, ইন শা আল্লাহ।
কমেন্ট করা যাবে মার্চের পাঁচ তারিখ পর্যন্ত। তারপর পোস্টের কমেন্ট সেকশান বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ আমার টিম কমেন্ট থেকে ১০০ জনকে বেছে নিবেন যাদের কমেন্ট পড়ে মনে হবে যে, তারা সত্যিকার অর্থেই আল্লাহর রাসুলের জীবনীটা পড়তে চায় এবং এই রামাদানেই সেটা পড়ে শেষ করার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
দ্রষ্টব্য—০১: যারা নির্বাচিত হবেন, তাদেরকে আমার টিমের পক্ষ থেকে ম্যাসেজ করে, কুরিয়ার এড্রেস নেওয়া হবে৷ কোনো ধরণের কুরিয়ার চার্জও কাউকে দিতে হবে না৷ সব আমার পক্ষ থেকেই যাবে।
দ্রষ্টব্য—০২: আমি তো শুধু ১০০ জনকে দিতে পারছি। কোনো সহৃদয় পাঠক বা শুভাকাঙ্ক্ষী যদি আমার সাথে এই কাজটায় শরিক হতে চান, আমাকে মেইলে জানাতে পারবেন৷ এতে করে সংখ্যাটা ১০০ এর চেয়ে বাড়াতে পারব, ইন শা আল্লাহ৷ আমাকে মেইল করা যাবে এই ঠিকানায়— [email protected] /
অথবা, আমার পেইজে ম্যাসেজও করা যাবে।
জাযাকুমুল্লাহ আহসানাল জা’যা 💚