28/06/2025
আমি মনে করি, বাংলাদেশে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ রাজনৈতিক দলের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারে না। কেননা রাজনীতি করা মানে ক্ষনিকের ক্ষমতার প্রভাব, প্রতিপত্তি ছাড়া কিছুই নয়!
এক্টু পিছনের দিকে খেয়াল করলেই হিসাবটি ক্লিয়ার হবার কথা। বিগত প্রায় ১৬ বছর যারা রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার গদিতে ছিলো, কতই না আরামে বিলাসবহুল জীবন কাটালেন! অথচ আজকে নিজের জন্মস্থানে থাকারও কিঞ্চিৎ সুযোগ হচ্ছে না, জন্মস্থান তো দূরের কথা নিজ দেশেও তাদের ঠাঁই হয়নি!
অথচ একটা সময় ছিলো তাদের ঈশারায় যেন মাঠ কাঁপত! রাজত্ব ছিলো তাদের! শতসহস্র অন্যায় করলেও তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা তো দূরে থাক! দেশের মিডিয়াগুলো যেন পা চাটাতেই ব্যস্থ থাকতো।
একদল ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেই আজ নিজ জন্মভূমি এবং দেশ ছাড়া! দলের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে দেশের মাঝে আজ এই নাজেহাল অবস্থা। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য নিজ দলের নেতাকর্মীরাও আজ অতি দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন! এমনকি শুধুমাত্র দল করার কারণে বিনা অপরাধে মামলা হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে! অবশ্য তারা এসবের প্রাপ্য ছিলো, কেননা তারা নিঃসন্দেহে স্বৈরশাসকের দোসর। কিন্তু শুধুমাত্র এতটুকু কারণেই তাদের সাজা পোহাতে হচ্ছে অনেক বড় বড়! যেগুলো অপরাধের সাথে অনেকেই জরিত ছিলো না। ঢালাওভাবে এসব মামলায় পড়ার কারণ রাজনীতি করা। তাহলে এখন একটু হিসাব মিলান, ধরুন আপনি হাসিনার আমলে বিরাট একটা উচ্চপদস্থ নেতা ছিলেন, আপনার দাপটে কাটতো পুরো এলাকা! অথচ আপনার সেই ক্ষমতার ০.০১% ভেল্যুও এখন নেই! শুধুমাত্র আপনার রাজনীতির কারণে আপনার পুরো পরিবার এখন নানাবিধ ভোগান্তির স্বীকার! ক্ষনিকের ক্ষমতার জন্য আপনি নিজেও ক্ষমতা হারিয়ে নিঃস্ব, সাথে আপনার পরিবারও। অথচ আপনি চাইলেই সুন্দরভাবে জীবন কাটাতে পারতেন।
আজ আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীদের যেমন দুর্দশা, তেমনি দুদিন পরে বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদেরও তেমন দুর্দশা হবে! এটা ক্লিয়ার। দোষ থাক বা না থাক।
অতএব এসব নোংরা রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিজের জীবনের সাথেসাথে নিজের পরিবারকে বিপদের মুখে ফেলে দিবেন না।
#নাসিহাহ্