19/08/2025
তিনি আল্লাহ, যিনি কোন প্রার্থনাকারীকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না এবং তাঁর সাথে নীরবে কথা বলা কাউকে বিমুখ করেন না। তিনিই সবকিছুর একচ্ছত্র মালিক।
কিন্তু আমরা দূআবিমুখ।
আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারো সামান্য উপকারে আসবে না এবং কারও পক্ষে কোন সুপারিশও কবুল হবে না; কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও নেয়া হবে না এবং তারা কোন রকম সাহায্যও পাবে না। -[সূরা বাকারাহ, আয়াত: ৪৮]
এখানে যে সময়টির কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে বিচার দিবস। যেদিন সবাই নিজ নিজ আমল অনুযায়ী ফলাফল পেয়ে যাবে। আর সে মুহূর্তটা যা কতোটা চিন্তার হবে তা এই মুহূর্তে আমরা বুঝতে সক্ষম হবোনা। কারণ সেদিন মা তার আপন সন্তানকে ভুলে যাবে, স্বামী তার স্ত্রীকে ভুলে যাবে। অর্থাৎ সবাই কেবল নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যাবে। কেউ কারো জন্য সুপারিশ করারও সাহস করবেনা, কেউ কারো জন্য উপকার করতেও আসবেনা। কারণ সবাই তখন নিজেকে নিয়েই চিন্তিত থাকবে।
আর যারা ঈমান আনে নাই তাদের জন্য কোন সুপারিশই কাজ করবে না। তাদের প্রিয়জনরাও তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেনা। তারা তাদের দুনিয়া সমান সম্পদ দিয়ে বাঁচতে চাইলেও তা কবুল করা হবেনা। অর্থাৎ তারা তখন ফলাফল লাভের চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছে গেছে। তাই তাদের কোন চেষ্টাই আর কাজে আসবে না। আর এ বিষয়ে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা কুরআনুল কারীমে অনেক আয়াত নাযিল করেছেন।
আল্লাহ্ তা'আলা বলেন:
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহ্বান করে কেউ তা বহন করবে না- যদি সে নিকটবর্তী আত্মীয়ও হয়। -(কুরআন, ৩৫:১৮)
সেদিন তারা প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকবে। -(কুরআন, ৮০:৩৭)
হে মানব জাতি! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে, যখন পিতা পুত্রের কোন কাজে আসবে না এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবে না। -(কুরআন, ৩১:৩৩)
#নাসিহাহ্