Masud 9919

Masud 9919 Kitchen Decor

একজন গুপ্ত শিবিরের গুপ্তনামা-ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি ঝিনাইদহ উপজেলার কালিগঞ্জ পৌরসভার চাপালী গ্রামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র...
08/10/2025

একজন গুপ্ত শিবিরের গুপ্তনামা-

ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি ঝিনাইদহ উপজেলার কালিগঞ্জ পৌরসভার চাপালী গ্রামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজন সদস্য ছিলেন। ছিলেন পৌরসভা শিবিরের সভাপতিও। উনার নাম আবু জার গিফারী। উনার বয়স ২২। পড়াশোনা করতেন কে সি (কেসবচন্দ্র) কলেজে, অনার্স ২য় বর্ষে।

সেদিন ছিলো ১৮ মার্চ শুক্রবার। আবু জার গিফারীর অভ্যাস ছিলো তিনি প্রতি জুমআর দিনে আজানের সাথে সাথেই মসজিদে চলে যেতেন। সেদিনও তিনি তার এই নিয়মিত আমলটি অব্যাহত করলেন।

পাঞ্জাবি পরে তিনি তার আম্মাকে বললেন, মা কিছু খেতে দাও। উনার মা বললেন, বাবা এখনো তো রান্না হয়নি আর ঘরে খাবারের মত তেমন কিছু নেই।' আমাদের আবু জার ভাই একটা মুচকি হাসি দিলেন।

হাসি দিয়ে মাকে বললেন, “আচ্ছা আম্মা, জুমআর নামাজ শেষে বাড়ি এসে খেয়ে নেবো, দোয়া করো আমি নামাজে গেলাম।”

এই যে মাকে বলে গেলেন, 'দোয়া করো নামাজে যাই।' এই বিদায়টাই ছিলো আবু জার গিফারী ভাইয়ের তাঁর মায়ের সাথে বলা শেষ কথা। কিভাবে এটিই শেষ কথা? এখন তা বলছি।

জুমআর নামাজ শেষ হলো। আবু জার গিফারী বাড়ীতে ফিরবেন বলে মসজিদ থেকে রওনা দিলেন। হঠাৎ রাস্তায় দেখা গেলো ডিবি পুলিশ। সাথে সাথে এরা গাড়ী থেকে নেমে আবু জারকে তুলে নিয়ে যেতে চায়।

কিছু বুঝে উঠার আগেই টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। নেয়ার কালে অনেক চিল্লাচিল্লি হয়, আওয়াজ শুনে আবু জার এর ফুফু ও মা বের হোন বাড়ী থেকে। মা অনেক কাকুতিমিনতি করেন ডিবি পুলিশকে। কিন্তু তারা শুনেনা।

শেষ পর্যন্ত কলিজার টুকরা ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মা ডিবি পুলিশের পায়ে ধরলেন। পায়ে ধরে বললেন, আমার সোনার বাবাকে তোমরা ছেড়ে দাও, কোথায় নিয়ে যাবা?

এতেও তাদের কর্ণপাত হলোনা তাদের। কি পরিমাণ নিষ্ঠুর হলে এমনটা সম্ভব! উলটো সেই মাকে জোরে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে আবু জারকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। সাথে সাথে বেঁধে নিলো দু’টি হাত, নড়াচড়া করার মতো শক্তিটুকুও কেড়ে নিলো তার থেকে।

এমনভাবে তারা ধরলো, মুখে মায়ের সাথে শেষ কথাটা বলার মতো সুযোগও দিলো না। আবু যর ভাই শুধু বললেন, 'মাগো ও মা দোয়া করো আমার জন্য।'

এলাকার মানুষ ভয়ে, ক্ষোভে নির্বাক হয়ে রইলো।

আবু জার গিফারীর দোষ উনি শিবির করেন। এভাবে একে একে ২৬ টি দিন চলে গেলো। তার খোঁজ নাই। যেন আয়নাঘরে তাকে রাখা হয়েছে।

মা খোঁজ নেন। প্রতিবেশি, আত্মীয়স্বজন খোঁজ নেন কিন্তু আবু জার তো আর পাওয়া যায়না। এরমধ্যে একটি দিনও বাদ যায়নি ওরা নির্যাতন করেনি তার উপর। অবশেষে ১৩ এপ্রিল রাতে ফজরের আগে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

কোথায় গুলি করেছে জানেন? একেবারে যে জায়গাটি দিয়ে সিজদা করা হয় সেই কপালের মাঝখানে।

তাকে হত্যা করেই শেষ হয়নি। তারা লাশটি পাশের নর্দমায় ফেলে রাখে তারা। সাথে আরেকটি লাশ ছিলো। তাঁর নাম শামীম মাহমুদ। উনাকে তুলে নিয়েছিলো ২৩ মার্চ।

আহ! খেতে চাইলেন ভাত, হয়ে গেলেন লাশ!

অর্ধেকটা শরীর কাদামাটি ও অর্ধেক শরীর পানিতে পরে রইলো। সকাল হলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। আমি খবরটি দেখি ফেইসবুকে সকাল ১১ টায়। দেখি প্রিয় আবু জার ভাইয়ের নিথর দেহ পরে আছে একটি ঠেলাগাড়িতে। মা আসলেন। এসে কি বললেন, জানেন?

শহীদ আবুজার গিফারীর মা চোখের পানি মুছতে মুছতে কান্না করছেন আর বলছেন, “বাবা আমার নামাজ শেষে বাড়ি আসবে খাবার খাবে। এই বুঝি আসছে আমার সোনা মানিক। আমার সোনা ২৬ দিন পর লাশ হয়ে আমার বুকে ফিরে আসছে।”

মা আরো বললেন, বাবারে নবীর সাহাবী আবু জার গিফারীর নামের সাথে শখ করে তোমার নাম আবু জার গিফারী রেখেছিলাম। বাবা তুমি শহীদ হয়েছো। তুমি শহীদ হয়েছো। আল্লাহ তুমি আমার বাবাকে শহীদ হিসেবে কবুল করো।

আমাদের প্রিয় শহীদ আবু জার গিফারী ভাইকে এলাকার সবাই ভালোবাসতেন। তার মা তাকে এক মুঠো ভাত দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ২৬ দিন পর লাশ হয়ে ফিরে আসেন।

আমাদের শহীদ আবু জার গিফারী রহমতুল্লাহি আলাইহি। মায়ের হাতের শেষ লোকমা ভাত টুকুও জুটলো না তার। জালেমরা তাকে শহীদ করে দিলো।

শহীদ আবু জার গিফারী রহ. শহীদ হওয়ার ৩ মাস আগে ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, “ওগো দয়াময় অসীম ও অপার শহীদি মরণ দিয়ো মিনতি আমার।’’

মহান রব সেই আশা পূরণ করেছেন। এটাই ছিলো সেই গুপ্ত শিবিরের ইতিহাস।

(কমেন্টে কিছু চিত্র দিচ্ছি)

- Saifullah Mohammad Tufayal

04/10/2025
02/10/2025
02/10/2025

যারা হিন্দুদের কাছে ভোট চাইতে যাবেন তারা আগে এই ভিডিও দেখে প্রাক্টিস করে নিতে পারেন, ভারসাম্য রক্ষা করে কিভাবে ইসলামী শাসনের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে হয় তা শিখে নিতে পারেন এই।ভিডিও থেকে।

অথচ রোযা-পূজা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলতে হচ্ছে কাউকে (নাউজুবিল্লাহ) (যদিও সে রোযা-পূজা মিলিয়ে ইসলাম এটা বুঝান নি, তিনি বুঝিয়েছেন মূদ্রাটা বাংলাদেশ, আর বাংলাদেশের ধর্ম বৈচিত্র্য হচ্ছে রোযা ও পূজা, কিন্তু তার এমন বক্তব্য ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে, তাই এটার পদ্ধতি ঠিক নাই)

কাউকে দেখছিলাম শ্রীকৃষ্ণের গল্প বলতে বলতে কান্না করে দিতে,

কেউ আবার হিন্দুকে প্রাণ বানিয়ে নিজেদেরকে নয়নমণি বানানো কবিতা পোস্ট করেন আর জাতীয় কবির ভাব নেন,
জাতীয় কবি (আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন) লিখবেই না কেন? তার স্ত্রীইতো হিন্দু ছিল, তাইতো হিন্দুকে তার প্রাণ বলতে হইছে, আর সেই প্রাণের কাছে সে ছিল তার নয়নমণি, কিন্তু আপনাকে আমাকে সেটা কেন বলতে হবে?

অতিরিক্ত পদলেহন বাদ দিয়ে এই ভিডিওর এই বক্তব্যটা প্রাক্টিস করে এটাই বলেন,দ্যাটস এনাফ।

04/08/2025
09/03/2025
12/08/2024

বিদেশে থাকা ৫ নেতার নির্দেশে দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা আ’লীগের
👇

- অস্থিতিশীল করতে হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা
- হাতিয়ার বানাতে চায় সংখ্যালঘুদের
- সংখ্যালঘুদের বাড়ি উপাসনালয়ে হামলার নির্দেশ

———

রাজধানীসহ সারা দেশ উত্তপ্ত করতে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ নেতার তত্ত্বাবধানে হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়েছে দলটি। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাওয়া পাঁচ নেতা হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, সালমান এফ রহমান, হাসান মাহমুদ, বাহাউদ্দীন নাসিম ও মাহবুবুল আলম হানিফ। আওয়ামী লীগের এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধান টার্গেট করা হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে।

গোপনীয়তা রক্ষা করে ছদ্ম পরিচয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমীর হামজার সাথে কথা বলে জানা যায়, সারা দেশে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে গোপনীয়তা রক্ষা করে হামলার নির্দেশ আছে বিদেশে পলাতক নেতাদের কাছ থেকে। আশ্বাসও আসছে বড় পুরস্কারের।

ছাত্রলীগের ওই নেতা আরো জানান, আওয়ামী লীগ যেহেতু এখন মাঠে নামার কোনো ইস্যু ও সাহস পাচ্ছে না সেহেতু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এজন্য ব্যবহার করা হচ্ছে পদ-পদবি বিহীন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তরুণ কর্মীদের। পুরাতন বিভিন্ন সময়ের বড় সমাগমের সাথে আওয়ামী লীগের স্লোগানজুড়ে দিয়ে চালানো হচ্ছে ভার্চুয়াল গুজব। এর জন্য খরচ করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ।

আমীর হামজার কাছ থেকে আরো জানা যায়, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার পরিকল্পনা সফল হলে আওয়ামীপন্থী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের লোকদের দিয়ে সংখ্যালঘুদের রক্ষার ইস্যু দিয়ে মাঠে নামানো হবে। সেখানে আস্তে আস্তে যোগ দিবে পরিচয়হীন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। সমাগম কন্টিনিউ করতে পারলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আস্তে আস্তে সারা দেশে নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।

রাজধানীর কাঁটাবন এলাকায় ভিন্ন পরিচয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরেক নেতার কাছ থেকে জানা যায়, সংখ্যালঘুদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজ ও বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে কাজ করছেন ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী। এ কাজের জন্য সংখ্যালঘু ও সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তির কাছে টাকা পৌঁছে দিতে জয়দেব নন্দীকে অর্থ দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: আব্দুর রাজ্জাক। আব্দুর রাজ্জাক ২০১২ সালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত। তথ্য দাতা এ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের অনুসারী।

আওয়ামী লীগের এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত শুক্রবার ও শনিবার রাজধানীর শাহবাগে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিবের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ শাহবাগে জড়ো হয়। একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, স্থপতি ইকবাল হাবিব আগামী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্ধারিত ছিলেন। এমনকি সারা দেশে সহিংসতা করতে যে হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা করা হয়েছে তার অর্ধেকটাই বরাদ্দ পেয়েছে বাপা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাপার এক কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যখন গণহত্যা চলেছে তখন বাপা ও বাপার কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলেননি। অতীতেও কোনো গুম, খুন ও নির্যাতন নিয়ে বাপা কথা বলেনি। এটা বাপার কাজও না। এবারই প্রথম বাপাকে এসব নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, মোটা অঙ্কের অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে ইকবাল হাবিব এ কর্মকাণ্ডের বাপার অনেক কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করেছেন।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র নয়া দিগন্তকে জানায়, এনএসআই -এর সদ্য সাবেক ডিজি ডিএম যোবায়েরের তত্ত্বাবধানে ও তার ভায়রা দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুমের মাধ্যমে ঢাকার এসব সমন্বয়কারীদের কাছে বাজেটের এক তৃতীয় অংশ টাকা ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছানো হয়েছে। কিছু টাকা গত দু-তিন দিনের মধ্যেই সালমান এফ রহমানের এপিএস শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে স্থপতি ইকবাল হাবিবের কাছে পৌঁছায় বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। এরই মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতার কাছে এ প্রকল্পের অর্থ পৌঁছে দিয়েছে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ মিরপুর বিআরটিএর নিয়ন্ত্রক ও শেওড়াপাড়া আওয়ামী লীগ নেতা শামীম। ৬ আগস্টের পর থেকে গোপালগঞ্জে অবস্থান করছে শামীম। এ টাকার সংস্থান করেছে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলে নেতাকর্মীদের মাঠে নামাতেও টাকার মজুদ পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব রয়েছে এ নেতার ওপর।

এদিকে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরকে টার্গেট করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে দলটি। এসব সামাজিক সংগঠনকে জনবল দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ওপর। সম্্রাট অর্থের বিনিময়ে রাজধানী ও আশপাশ এলাকা থেকে অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের এনে এসব কর্মসূচিতে দাঁড় করাচ্ছেন।

12/08/2024

ছাত্র জনতার আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের মামলা করার আহ্বান
👇

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলাকারী, হত্যাকারী সবার বিরুদ্ধে সারাদেশে ভুক্তভোগীদের মামলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু —

বিচারের আগে সন্ত্রাসীদের পূনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থান নেওয়ার সুযোগ নেই।

আন্দোলনে হামলাকারী, হত্যাকারী সকলের বিরুদ্ধে সারাদেশের ভিকটিমদের মামলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিচার নিশ্চিত করা হবে।

12/08/2024

টিভি চ্যানেল নাকি সার্কাস? (ভিডিও)

12/08/2024
12/08/2024

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পেটে গুলিবিদ্ধ হন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি।

জানা যায়, ইমন টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের অর্জুনা গ্রামের মৃত মো. জুলহাস শেখের ছেলে। তিনি স্থানীয় মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোরাইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন ইমন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য ইমনকে মাইক্রো বাসে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে পুলিশ গাড়ি থামায়। পুলিশ যখন জানতে পারে রোগী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ, তখন তারা আহত ইমনকে গাড়ি থেকে জোর করে নামায়। লাথি মারে পেটে। পরে লাঠি দিয়ে বেদম পেটায়। শুধু ইমনকেই নয়, পুলিশ সদস্যরা গাড়ির চালকসহ সঙ্গীদেরও মারধর করে। পরে অনেক অনুনয়-বিনয় করে ছাড়া পান তারা।

পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় ইমনকে বহনকারী মাইক্রোবাসটি। তবে ভাগ্য ভালো ঠিক সময়ে একটা অ্যাম্বুলেন্স পান তারা, রওনা হন ঢাকার পথে। তবে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ঢাকা মেডিকেল কলেজে পর্যন্ত যেতে অস্বীকৃতি জানালে ইমনকে উত্তরার লেক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুদিনেই খরচ হয় দুই লাখ টাকা। অনেক কষ্টে সে টাকা জোগাড় করে তার পরিবার। এরপর ৬ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বর্তমানে সেখানেই আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি আছেন ইমন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ ইমনের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারছে না তার পরিবার। হাসপাতালের মেঝেতে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ইমনের মা। বুক চাপড়ে সন্তানের জন্য করছেন আহাজারি।

Address

Riyadh
14316

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Masud 9919 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Masud 9919:

Share