
11/07/2025
পুরান ঢাকার এক সাধারণ ব্যবসায়ী। রাজনীতি করতেন না, পরিচিত ছিলেন একজন পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে। কিন্তু তার অপরাধ? শুধু এই যে, তিনি চাঁদা দেননি। আর সেই ‘অপরাধেই’ তাকে প্রকাশ্যে খুন করা হলো।
মানুষের সামনে, দিনের আলোয়, রাস্তায়। খুন করার পর তার নিথর দেহের উপর উঠে ঘৃণার এক নৃত্য পরিবেশন করল খুনি। কেউ এগিয়ে আসেনি। সাহস করেনি। কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন প্রভাবশালী যুবদল নেতার পদপ্রার্থী।
এই লজ্জা কার? রাষ্ট্রের? নাকি আমাদের সবার?
একজন মানুষকে খুন করে, তার লাশের উপর দাঁড়িয়ে নাচে যাদের মন গলে না—তারা মানুষ না, তারা সমাজের ভয়ংকরতম বিকৃতি।
ডিএমপির একজন অতিরিক্ত কমিশনার বলেছেন, “যা হয়েছে, তা চিন্তার বাইরে।” কিন্তু আমরা কি আর চিন্তা করি? না হয় ভাবনার ক্ষমতা হারিয়েছি অনেক আগেই?
এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? যেখানে রাজনৈতিক পরিচয় বর্ম হয়ে দাঁড়ায়, আর ন্যায়ের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে যায় ভয় আর নির্লজ্জ নিরবতায়?
আজকে, ৫ আগস্টের পর ‘দেশের মালিক’ হয়ে ওঠা এক রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে মাথা না ঝোকানোর দায়ে একজন সাধারণ মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়।
নতুন দিনের স্বপ্ন আমরা দেখি ঠিকই, নতুন সংবিধানের কথা বলি, ‘হাসিনা মুক্ত’ আর ‘আওয়ামী লীগ মুক্ত’ বাংলাদেশ গড়ার কথা বলি। কিন্তু এই বাংলাদেশে যদি চাঁদা না দিলেই জীবন কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে সেই স্বপ্ন শুধু ধোঁয়া হয়ে মিলিয়ে যায়।
সবাই চুপ। কেউ কিছু বলে না। কেউ প্রতিবাদ করে না। শুধু একটা লাশ পড়ে থাকে রাস্তায়, আর আমরা মুখ ফিরিয়ে নেই।
এই নীরবতা, এই লজ্জা কোথায় রাখি? (DU insider)
জীবন কেড়ে নিয়ে, সেই নিথর শরীরের উপর নৃত্য!
মানুষের রক্তে এমন কী পাথর ঢুকে গেছে, যে সহানুভূতি, ভয়, লজ্জা, সবকিছু হারিয়ে গেছে?
একজন রোজগেরে মানুষের জীবন নিভিয়ে দিয়ে, তার নিঃশেষ দেহকে ঘিরে উল্লাস! এ কোন সমাজে আমরা বাস করছি?
"আমরা স্তব্ধ নই।" আমরা প্রতিবাদ করি। ন্যায়বিচার চাই।এদের খুঁটির জোরের পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশ করুন।
আল্লাহ্ এই নির্মমতার সাথে জড়িতদের খুঁটির জোরসহ বিনষ্ট করে দিন। যদি আমার কোনো ভাই, বন্ধু, শুভাকাঙ্খিও এই কাজে জড়িত থাকে, তাকেও ধ্বংস করে দিন।
゚