27/12/2024
আমলা বিদ্রোহের নেপথ্যে…
সরকারের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটিতে ইন্টারপাশ “কথিত ছাত্রশিবির” কর্মী কিভাবে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন সেই কেফিয়ত ইউনুস সাহেবকে দিতে হবে। যার কারনেই দ্বন্দের সুত্রপাত! ইন্টারপাশ এ কারনে বলছি যে শেষ খবর পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র, এখনো পাশ করেনি ।
সেটাও যদি দেশের সবচে বড় হৃদপিন্ড অর্থাৎ আমলাতন্ত্রের বসদের কর্মক্ষেত্র সংস্কারের যোগ্যতা হয় আমার আপত্তি নেই! কিন্তু কোন মেধার ভিত্তিতে, কোন বিবেচনায় তাকে এতবড় জায়গায় বসানো হলো সেটার উত্তর চাওয়ার সব রকম বৈধতা আমাদের আছে। কে তাকে নিয়োগ সুপারিশ করেছ্, মাহফুজ? আসিফ? নাহিদ? আমরা জানতে চাই।
মেহেদী’কে প্রশাসন শিবিরের সভাপতি হিসেবে বলা হচ্ছে কারান, ২০২২ সালে যখন সে গ্রেফতার হয়, পরবর্তীতে বহিষ্কার হয় , তখন ছাত্রশিবির তার মুক্তি দাবী করে। নিশ্চয়ই, ছাত্র ইউনিয়ন বা ছাত্রলীগের কারো মুক্তি বা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাইবে না ছাত্রশিবির!
১৭ ডিসেম্বর প্রথম সাংবাদিকদের কম পড়াশোনা জানা বলে অভিযোগ করার পর থেকেই সকল সাংবাদিকদের সাথে হট্টগোল শুরু হলে সংস্কার কমিটির প্রধান মুয়ীদ চৌধুরী তার পক্ষালম্বন করেন। এর পর থেকে প্রশাসনের ২৬ ক্যাডারের সকল ক্যাডাররা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং মুলত আলোচিত সংস্কারের পক্ষে কোন পক্ষকে দাড়াতে দেখা যাচ্ছে না, একমাত্র সমন্নয়কদের মধ্যে চিন্হিত শিবির সমর্থক ২/৩ জন ছাড়া।
মুলত সংষ্কারের যেসব প্রেসক্রিপশন নিয়ে বিতর্ক সেটাকে দেশের আমলাতন্ত্রকে জামায়াতিকরণের বিরুদ্ধে সব দল-মতের সচিবদের একটা সম্মিলিত অবস্থান হিসেবেই বর্ননা করেছেন একাধিক বিসিএস ক্যাডার। এ কারনে পুরো কমিশনের প্রধানকেই পদত্যাদের আল্টিমেটাম দিয়েছে আমলাদের সকল প্লাটফর্মে ।
আমি বা আমরা কি তাই বলে আমলাতন্ত্রের সংস্কার চাই না? চাই, তবে সেটা নিশ্চই ফাসিস্ট আওয়ামীকরণ থেকে পাল্টে জামায়াতীকরণের পক্ষে নিয়ে যাবেন সেটা চাই না। বরং প্রতিরোধ করা হবে।
আমরা জনগণের পক্ষে কাজ করে, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতায় কাজ করে এমন আমলাতন্ত্র চাই। কিন্তু সেই জবাবদিহিতার আমলাতন্ত্র তৈরীতে যাকে নিয়োগ দেয়া হলো তার নিয়োগপ্রক্রিয়ার পেছনে কি কি যুক্তি তার জবাব আগে চাই। এটাকে কি স্বচ্ছতা বলে কিনা সেই প্রশ্ন তুলছি।
দেশটা কারো বাবার নয়। ওকে?