03/08/2024
আন্দোলনের এই পর্যায়ে আমার অবজারভেশন হল: সরকারের নানাপর্যায়ের ল্যাসপেন্সাররা আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে। সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক ভিসি চাচপসমুচা, মিডিয়াকর্মী, বিনোদনকর্মী, উদীচী, শিল্পীসংস্থা। দেশী গণমাধ্যমগুলোর সুর বদলেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো খুব দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে ও আশ্চর্যজনকভাবে হাসিনাবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। মোদ্দাকথা যারা মনস্টার-মেকার, যারা এই ডাইনীকে ডাইনী বানিয়েছে, রাক্ষসী হতে সব রকম সাপোর্ট দিয়ে এসেছে। সেটা বুদ্ধিবৃত্তিক ন্যারেটিভ তৈরি, সেটা প্রচার, মিথ্যা খবর বানিয়ে সত্যকে চাপা দিয়ে ডাইনীর ইমেজ রক্ষা এমন কিছু নাই তারা করেনি। তারা সবাই আন্দোলনের এই পর্যায়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছে। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভালো তো, সব ঘরানার মানুষ জুড়ে যাচ্ছে, একাত্ম হচ্ছে।
কিন্তু আমি মনে করি, এর ফলে আন্দোলনকারীদের উপর চাপও বেড়ে গেল। আন্দোলনকে রক্ষা করার চাপ। এই পুরো গ্রুপটা এখন ছাত্রদের সহমর্মী ভাব নিয়ে সরকারের সাথে সংলাপের জায়গাটা তৈরি করছে। সরকার তিন সিনিয়র নেতার দল গঠন করেছে সংলাপের জন্য। ভিসি সমুচার বক্তব্যে উঠে এসেছে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সুরাহা করার। এরকম আরও ডাক সংহতি জানানো নানান চাটাগ্রুপ থেকে সামনে দেখা যাবে। যা সমন্বয়কদের উপর একটা সফট প্রেসার তৈরি করবে। সরকারও নমনীয় ভাব নেবে। ইতিমধ্যে পলক ক্ষমা চেয়ে হাসিনাকে ভুল না বুঝার অনুরোধ করেছে। সিনিয়র লীগাররাও করবে। ল্যাসপেন্সাররাও বলবে সরকার স্যরি বলেছে, তোমরা বসো সংলাপে। আমরা তো তোমাদের পক্ষেই রাজপথে। আমরা বলছি তোমরা বসো। ইত্যাদি।
জেন-যি তাদের টিপিক্যাল 'গোনার টাইম নাই' ভাবটা কতক্ষণ ধরে রাখতে পারবে, সেটাই দেখার বিষয়।
দ্বিতীয়ত, বলপ্রয়োগে ব্যর্থ হয়ে হাসিনা এখন রাজনৈতিকভাবে গণআন্দোলন থামানোর কায়দা করছে। এরই একটা স্টেপ হল এই ভাইব তৈরি করা যে, যাও তোমাদের আশা পূরণ হচ্ছে, হাসিনাকে সরানো হচ্ছে। অলরেডি উদযাপনের হিড়িক, প্ল্যান দেখা যাচ্ছে। এই আজ সেনাবাহিনীর মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। এই অমুক অমুক রাঘব বোয়ালরা দেশ ছাড়ছে। বাস্তবতা হল, ক্ষমতা কেউ এত সহজে ছাড়ে না, তার উপর আবার পাশে এত জায়ান্ট বন্ধুদেশের সমর্থন। ভারতীয় মিডিয়া যাই বলুক, এখনও তো র' হাসিনাকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, পুরো এস্টাবলিশমেন্টই গত ১৫ বছরে লীগ হয়ে গেছে। সুতরাং বিজয় হয়ে গেল গেল মনে হলেও কোন মিষ্টি কথায় ভুললে চলবে না। যেদিক থেকে বিজয় আশা করছি, সেটাও লীগ। এমনও হতে পারে সাময়িক ক্ষমতা নিয়ে পরে সব ঠাণ্ডা হলে আবার লীগই ভিন্নরূপে চেপে বসল। কারণ ভারতের জন্য লীগের চেয়ে ওয়াফাদার কুত্তা আর নেই। ভারত ঘুরিয়েফিরিয়ে তাদেরকেই আনার ট্রাই করবে যদি গণতন্ত্র থাকে।
আমার আলাপটা হল, খুনী ডাইনীর পতন জনগণের হাতেই হতে হবে। অন্য কারও বা 'অন্য কোন লীগের' হাতে নয়। জনগণই পতন ঘটিয়ে ক্ষমতা নেবে। আর্মির যদি নিতে হয়, তবে জনগণের হাতে থেকে নেবে, ভারতের হাত থেকে নয়। তাড়াহুড়া করে লিখলাম। মূল।মেসেজটা বুঝে নিয়েন।
-শক্তি ভাই...❤️🔥✊