07/07/2024
ইসলামী জীবনবিধান, একটি মামলা ও মাওলানা মওদূদী
॥ ড. মো. নূরুল আমিন॥
ইংল্যান্ডের নবউইচের ইস্ট এংলিয়া ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে আমার সুদানি এক সহপাঠী ছিলেন, নাম ইউসুবো ড্যাং। ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান। তার সাথে আমার বেশ ঘনিষ্ঠতা জমে উঠেছিল। দুজন প্রায়ই একত্রে চলাফেরা করতাম। একবার ইস্টারের ছুটিতে আমাদের লন্ডনে নিয়ে আসা হয়েছিল। এক্টর কলেজের ডমিটরিতে আমাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রায় প্রত্যেক দিন আমাদের স্টাডি ট্যুরে নিয়ে যেত। অবসর পেলেই আমি পূর্ব লন্ডনের ১৬, সেটল স্ট্রিটে দাওয়াতুল ইসলাম অফিসে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতাম। একদিন দাওয়াতুল ইসলামের সেক্রেটারি ও দাওয়াতুল ইসলাম পত্রিকার সম্পাদক আমাকে অধ্যাপক আবদুল আহাদ দাউদ লিখিত Mahammad In The Bible শীর্ষক একটি বই উপহার দেন। লেখক অধ্যাপক আবদুল আহাদ দাউদ একজন নও-মুসলমান, তিনি মুসলমান হবার আগে রোমান ক্যাথলিক গির্জার একজন নামকরা পাদ্রি ছিলেন। তার পূর্ব নাম ছিল রেভারেন্ড ডেভিড বেঞ্জামিন কেলদানি। ২৬৪ পৃষ্ঠার এই বইটি কাতারের President of Sharia Courts and Religious Affairs প্রকাশ করেছে। একজন পাদ্রি হিসেবে খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মের মূল গ্রন্থগুলো শুধু ইংরেজি ভাষায় নয়, মূল হিব্রু ভাষায়ও অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন এবং এ গ্রন্থগুলোয় বিধৃত শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো তার এ পুস্তকে সন্নিবেশিত করেছেন। তিনি কুরআন অধ্যয়ন করেছেন এবং শাহাদা কবুল করে বলেছেন যে, ইসলাম কোনো ধর্ম নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। বাংলা ধর্ম শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ জবষরমরড়হ-এর ‘ল্যাটিন উৎস ও ব্যুৎপত্তি বিশ্লেষণ করে অধ্যাপক আহাদ বলেছেন যে, ল্যাটিন Religion শব্দের অর্থ ‘দেবতাদের ভয়’। ইসলাম এসেছে দুনিয়া থেকে দেবদেবী তথা শিরক উচ্ছেদ করে তৌহিদ প্রতিষ্ঠার জন্য। তার দৃষ্টিতে ইসলাম একটি দীন বা জীবন ব্যবস্থাকে ধর্ম বলা জায়েজ নয়। তিনি প্রচলিত ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের তীব্র সমালোচনাও করেছেন এবং বলেছেন যে, ট্রিনিটি তথা ত্রিত্তবাদ ও যীশু বা ঈসা (আ.)কে খোদার পুত্র বানিয়ে বর্তমান যুগের খ্রিস্টানরা ধর্মচ্যুত হয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, তারা পৌত্তলিকও বটে। তিনি মনে করেন এবং ইহুদি-খ্রিস্টান ধর্মের আদি কিতাবসমূহের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, ইসলামের আবির্ভাবের পর কোনো ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান বা ইহুদি ইসলামের অনুসারী না হয়ে পারেন না। বইটি আমি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে এক সপ্তাহের মধ্যে পড়া শেষ করে ফেলি এবং অভিভূত হয়ে পড়ি। পরে একদিন বন্ধুবর ইউসুবো ড্যাংকে আমি বইটি পড়তে দিই। তিনি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে তা গ্রহণ করেন। কিন্তু একদিন পরই তিনি আমাকে তা ফেরত দেন। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই। এত অল্প সময়ে কীভাবে তিনি বইটি শেষ করে ফেললেন, জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি জানালেন যে, তিনি বইটির মাত্র কয়েক পৃষ্ঠা পড়েছেন এবং লেখকের লেখনীর শক্তি, যুক্তি ও তথ্যে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তার আশঙ্কা, বইটি সম্পূর্ণ পড়তে গেলে তাকে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হতে হবে। তিনি পিতৃপুরুষের ধর্ম ত্যাগ করে কুলাঙ্গার হতে চান না। তার কথা শুনে আমার মনে হলো শুধু সত্যকে গ্রহণ নয়, জানার জন্যও একটি পরিচ্ছন্ন অন্তরের প্রয়োজন। অনেক মানুষের মধ্যেই তা নেই। তাদের অন্তর সিলগালা করা, তারা কার্যত অন্ধ ও বধির। আমাদের দেশে এ ধরনের লোক অনেক পাওয়া যায়। এরা শুধু সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেন তা নয়, অন্যরাও যাতে প্রত্যাখ্যান করে তার জন্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তও করেন। দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশের নাস্তিক, কমিউনিস্ট ছাড়াও কিছুসংখ্যক ধর্মীয় নেতার মধ্যেও এ প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশে ইসলামী অনুশাসনের ভিত্তিতে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা গণতন্ত্রে বিশ^াসী একটি দল এবং দাওয়াতি কার্যক্রম ও শিক্ষা-প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করে এ কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের সম্পৃক্ত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এর জন্য তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে একমাত্র পন্থা বলে মনে করে। গণতন্ত্র রাজনীতির একটি অপরিহার্য অংশ। এ উপমহাদেশে ইসলামকে একটি জীবন ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্দেশে মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর নেতৃত্বে ১৯৪১ সালে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। মাওলানা মওদূদী স্বয়ং একজন আলেমেদীন, লেখক ও সাংবাদিক ছিলেন। তার রচিত তাফহীমুল কুরআনসহ অসংখ্য গ্রন্থ দেশে-বিদেশে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অনুপ্রেরণার উৎস। দলটি ইসলামী সাহিত্যের একটি বিশাল ভাণ্ডারও তৈরি করেছে, যা জ্ঞানপিপাসু সকল শ্রেণির মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে সহায়তা করছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর জামায়াত আলাদাভাবে পাকিস্তান ও হিন্দুস্তানে এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। দলটির অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য এবং নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বিরোধিতার মুখেও বাংলাদেশে জামায়াত তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়। আগেই বলেছি, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ধর্মীয় নেতা তথা আলেম-ওলামাদের একটি অংশ মাওলানা মওদূদীর সাহিত্যের বরাত দিয়ে তার ও জামায়াতের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এ অপবাদগুলোর জবাবও বিভিন্ন সময়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দের তরফ থেকে দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো অভিযোগ ও জবাব পুস্তকাকারেও পাওয়া যায়। কিন্তু একই অভিযোগের চর্বিতচর্বণ বার বারই পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে সামাজিক মাধ্যমে এর বিস্তৃতি দেখা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের কয়েকজন সম্মানিত পীর ও ওলামা মাশায়েখের কিছু অনুসারীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। জামায়াত এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। তবে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া উপমহাদেশের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবহিত নই। এটি হচ্ছে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার একটি মামলা।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মতো বরুড়ায় একটি বিশাল মাদরাসা আছে। এ মাদরাসায় প্রতিবেলা দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার লোকের জন্য রান্নাবান্না হয়। মাদরাসাটি প্রাচীন ও সুবিশাল এলাকা নিয়ে অনেকগুলো বহুতল ভবনে সুসজ্জিত। এর শিক্ষকরাও বহুগুণে গুণান্বিত আলেমেদীন।
২০০৩ সালে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুড়া, কুমিল্লা নামক প্রতিষ্ঠানটি আফতাব স্মরণিকা নামে একটি পুস্তক প্রকাশ করে এবং এতে ‘মওদূদী সাহেবের মতবাদ ও ইসমাতুল আম্বিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত দুটি প্রবন্ধে মাওলানা মওদূদী সাহেবের নামে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য উল্লেখ করা হয়। স্মরণিকার ৭০নং পৃষ্ঠায় বলা হয়, “মিষ্টার মওদূদী সাহেব বলেন, নবীগণ মাসুম নন, প্রত্যেক নবীই গুনাহ করেছেন (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৪৩)। স্মরণিকার ৩৫নং পৃষ্ঠায় মাওলানা মওদূদী প্রণীত তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দীন পুস্তকের ২২নং পৃষ্ঠার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি লিখেছেন “হজরত আবুবকর (রা.) খেলাফতের দায়িত্বের অযোগ্য ছিলেন।” এই পৃষ্ঠায় তরজমান রবিউস সানির সংখ্যার ৩৫৭নং পৃষ্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন, “নবী করিম (সা.)-এর ওফাতের সময় ব্যক্তি সম্মানের কুমনোবৃত্তি হজরত ওমর (রা.)কে পরাভূত করেছিল।” আফতাব স্মরণিকার ৩৫নং পৃষ্ঠায় আরো বলা হয়েছিল যে, মওদূদী সাহেব তার খেলাফত ও মুলুকিয়াত গ্রন্থের ১২২নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “হজরত ওসমানের মধ্যে স্বজনপ্রীতির বদভ্যাস বিদ্যমান ছিল।” স্মরণিকার ৩৬নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, তাফহীমাত গ্রন্থের ৩১৮নং পৃষ্ঠায় মাওলানা মওদূদী মুহাদ্দিসানে কিরামের হাদিস ভুল বলে মন্তব্য করেছেন। এর ৭১নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, মাওলানা মওদূদী “হজরত আদম (আ.) মানবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন” বলে মন্তব্য করেছেন। আবার স্মরণিকার ৭০ ও ৭১নং পৃষ্ঠায় ‘কোন কোন নবী ও রাসূল দীনের চাহিদার উপর স্থির থাকতে পারেননি’, এবং ‘হজরত নূহ (আ.)-এর মধ্যে জাহেলিয়াতের জজবা স্থান পেয়েছিল।’ আবার ‘হজরত দাউদ (আ.) এক বিবাহিতা যুবতীর ওপর তালাকের দরখাস্ত করেছিলেন’ প্রভৃতি মন্তব্যও মাওলানা মওদূদীর নামে ছাপা হয়। জামায়াতের তরফ থেকে উপরোক্ত বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করা হয়েছিল কিনা, আমি জানি না। তবে বরুড়ার একজন সত্যাশ্রয়ী আলেমেদীন, যিনি জামায়াতের সহযোগী বা সদস্য কিছুই ছিলেন না, তিনি এর কঠোর প্রতিবাদ করেন এবং এ অপবাদ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কারণে ৮ জনকে আসামি করে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন।
মামলা নং-২১৯/০৪। আদালতে বাদী মাওলানা আবদুর রহমান আফতাব স্মরণিকায় মাওলানা মওদূদীর নামে প্রকাশিত তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে আসামিদের শাস্তি প্রদানের আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় তদন্তপূর্বক বিশেষজ্ঞ মতামতসহ রিপোর্ট প্রদানের জন্য অভিযোগনামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিকট প্রেরণ করেন। ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মুহাম্মদ নূরুদ্দীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ইসলামী বিশ^কোষের প্রকাশনা কর্মকর্তা মাওলানা মুহাম্মদ মুসা, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য মাওলানা মুফাজ্জল হোসাইন খান, মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী ও জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মহিবুল্লাহ বাকী নদভীর সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করেন এবং স্মরণিকায় উল্লেখিত অভিযোগ ও মন্তব্যগুলো মাওলানা মওদূদীর পুস্তকসমূহের সাথে মিলিয়ে তার সত্যতার বিষয়ে রিপোর্ট প্রদানের অনুরোধ করেন। রিপোর্টি প্রণয়ন করতে অনেক সময় লেগে যায়। অবশেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ৯/৬/২০০৮ তারিখে ৭৯৯নং স্মারকে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেলা প্রশাসক, কুমিল্লার নিকট সংশ্লিষ্ট সাতজন বিশেষজ্ঞের স্বাক্ষরসংবলিত তথ্য যাচাই প্রতিবেদন পেশ করেন। প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, স্মরণিকায় মাওলানা মওদূদীর নামে উল্লেখিত প্রত্যেকটি অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নবী-রাসূল (সা.), খোলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবায়ে কেরামের বিরুদ্ধে মাওলানা মওদূদীর কোনো মন্তব্য বা মতামত তার কোনো গ্রন্থে নেই। এ রিপোর্টের পর বিবাদীগণ বিপাকে পড়ে যান এবং আপস-মিমাংসার জন্য বাদী মাওলানা আবদুর রহমান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ধরনা দেন। তারা আপস-মীমাংসার জন্য আদালতে আবেদন করেন এবং বিবাদী মাওলানা বশিরুল্লাহ, মো. ইয়াকুব, আনোয়ার হোসাইন, মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন, মো. নোমান, সালমান, আলী আশরাফ প্রমুখ আরজীর ২নং অনুচ্ছেদে ‘আফতাব স্মরণিকার বিতর্কিত উক্তিসমূহ “ভুলবশতঃ লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং এর জন্য বিবাদীগণ মর্মাহত এবং অনুতপ্ত” এই মর্মে স্বীকারোক্তি দেন। আদালত বাদীর সায় অনুযায়ী আপসনামা গ্রহণ করেন। এসংক্রান্ত বিস্তারিত দলিল আমি পড়ার সুযোগ পেয়েছি। এ মামলা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠিত ওলামাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি কর্তৃক মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা আখ্যায়িত করে দেয়া রিপোর্ট ও অভিযোগকারীদের ভুল স্বীকার করে মর্মাহত ও অনুতপ্ত হয়ে আদালতে স্বীকাররোক্তি প্রদানের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় এ ধরনের অভিযোগ থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ করছি।