A little time with me

A little time with me Documentary

07/07/2024

ইসলামী জীবনবিধান, একটি মামলা ও মাওলানা মওদূদী
॥ ড. মো. নূরুল আমিন॥
ইংল্যান্ডের নবউইচের ইস্ট এংলিয়া ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে আমার সুদানি এক সহপাঠী ছিলেন, নাম ইউসুবো ড্যাং। ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান। তার সাথে আমার বেশ ঘনিষ্ঠতা জমে উঠেছিল। দুজন প্রায়ই একত্রে চলাফেরা করতাম। একবার ইস্টারের ছুটিতে আমাদের লন্ডনে নিয়ে আসা হয়েছিল। এক্টর কলেজের ডমিটরিতে আমাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রায় প্রত্যেক দিন আমাদের স্টাডি ট্যুরে নিয়ে যেত। অবসর পেলেই আমি পূর্ব লন্ডনের ১৬, সেটল স্ট্রিটে দাওয়াতুল ইসলাম অফিসে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতাম। একদিন দাওয়াতুল ইসলামের সেক্রেটারি ও দাওয়াতুল ইসলাম পত্রিকার সম্পাদক আমাকে অধ্যাপক আবদুল আহাদ দাউদ লিখিত Mahammad In The Bible শীর্ষক একটি বই উপহার দেন। লেখক অধ্যাপক আবদুল আহাদ দাউদ একজন নও-মুসলমান, তিনি মুসলমান হবার আগে রোমান ক্যাথলিক গির্জার একজন নামকরা পাদ্রি ছিলেন। তার পূর্ব নাম ছিল রেভারেন্ড ডেভিড বেঞ্জামিন কেলদানি। ২৬৪ পৃষ্ঠার এই বইটি কাতারের President of Sharia Courts and Religious Affairs প্রকাশ করেছে। একজন পাদ্রি হিসেবে খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মের মূল গ্রন্থগুলো শুধু ইংরেজি ভাষায় নয়, মূল হিব্রু ভাষায়ও অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন এবং এ গ্রন্থগুলোয় বিধৃত শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো তার এ পুস্তকে সন্নিবেশিত করেছেন। তিনি কুরআন অধ্যয়ন করেছেন এবং শাহাদা কবুল করে বলেছেন যে, ইসলাম কোনো ধর্ম নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। বাংলা ধর্ম শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ জবষরমরড়হ-এর ‘ল্যাটিন উৎস ও ব্যুৎপত্তি বিশ্লেষণ করে অধ্যাপক আহাদ বলেছেন যে, ল্যাটিন Religion শব্দের অর্থ ‘দেবতাদের ভয়’। ইসলাম এসেছে দুনিয়া থেকে দেবদেবী তথা শিরক উচ্ছেদ করে তৌহিদ প্রতিষ্ঠার জন্য। তার দৃষ্টিতে ইসলাম একটি দীন বা জীবন ব্যবস্থাকে ধর্ম বলা জায়েজ নয়। তিনি প্রচলিত ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের তীব্র সমালোচনাও করেছেন এবং বলেছেন যে, ট্রিনিটি তথা ত্রিত্তবাদ ও যীশু বা ঈসা (আ.)কে খোদার পুত্র বানিয়ে বর্তমান যুগের খ্রিস্টানরা ধর্মচ্যুত হয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, তারা পৌত্তলিকও বটে। তিনি মনে করেন এবং ইহুদি-খ্রিস্টান ধর্মের আদি কিতাবসমূহের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, ইসলামের আবির্ভাবের পর কোনো ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান বা ইহুদি ইসলামের অনুসারী না হয়ে পারেন না। বইটি আমি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে এক সপ্তাহের মধ্যে পড়া শেষ করে ফেলি এবং অভিভূত হয়ে পড়ি। পরে একদিন বন্ধুবর ইউসুবো ড্যাংকে আমি বইটি পড়তে দিই। তিনি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে তা গ্রহণ করেন। কিন্তু একদিন পরই তিনি আমাকে তা ফেরত দেন। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই। এত অল্প সময়ে কীভাবে তিনি বইটি শেষ করে ফেললেন, জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি জানালেন যে, তিনি বইটির মাত্র কয়েক পৃষ্ঠা পড়েছেন এবং লেখকের লেখনীর শক্তি, যুক্তি ও তথ্যে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তার আশঙ্কা, বইটি সম্পূর্ণ পড়তে গেলে তাকে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হতে হবে। তিনি পিতৃপুরুষের ধর্ম ত্যাগ করে কুলাঙ্গার হতে চান না। তার কথা শুনে আমার মনে হলো শুধু সত্যকে গ্রহণ নয়, জানার জন্যও একটি পরিচ্ছন্ন অন্তরের প্রয়োজন। অনেক মানুষের মধ্যেই তা নেই। তাদের অন্তর সিলগালা করা, তারা কার্যত অন্ধ ও বধির। আমাদের দেশে এ ধরনের লোক অনেক পাওয়া যায়। এরা শুধু সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেন তা নয়, অন্যরাও যাতে প্রত্যাখ্যান করে তার জন্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তও করেন। দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশের নাস্তিক, কমিউনিস্ট ছাড়াও কিছুসংখ্যক ধর্মীয় নেতার মধ্যেও এ প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশে ইসলামী অনুশাসনের ভিত্তিতে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা গণতন্ত্রে বিশ^াসী একটি দল এবং দাওয়াতি কার্যক্রম ও শিক্ষা-প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করে এ কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের সম্পৃক্ত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এর জন্য তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে একমাত্র পন্থা বলে মনে করে। গণতন্ত্র রাজনীতির একটি অপরিহার্য অংশ। এ উপমহাদেশে ইসলামকে একটি জীবন ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্দেশে মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর নেতৃত্বে ১৯৪১ সালে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। মাওলানা মওদূদী স্বয়ং একজন আলেমেদীন, লেখক ও সাংবাদিক ছিলেন। তার রচিত তাফহীমুল কুরআনসহ অসংখ্য গ্রন্থ দেশে-বিদেশে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অনুপ্রেরণার উৎস। দলটি ইসলামী সাহিত্যের একটি বিশাল ভাণ্ডারও তৈরি করেছে, যা জ্ঞানপিপাসু সকল শ্রেণির মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে সহায়তা করছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর জামায়াত আলাদাভাবে পাকিস্তান ও হিন্দুস্তানে এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। দলটির অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য এবং নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বিরোধিতার মুখেও বাংলাদেশে জামায়াত তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়। আগেই বলেছি, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ধর্মীয় নেতা তথা আলেম-ওলামাদের একটি অংশ মাওলানা মওদূদীর সাহিত্যের বরাত দিয়ে তার ও জামায়াতের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এ অপবাদগুলোর জবাবও বিভিন্ন সময়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দের তরফ থেকে দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো অভিযোগ ও জবাব পুস্তকাকারেও পাওয়া যায়। কিন্তু একই অভিযোগের চর্বিতচর্বণ বার বারই পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে সামাজিক মাধ্যমে এর বিস্তৃতি দেখা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের কয়েকজন সম্মানিত পীর ও ওলামা মাশায়েখের কিছু অনুসারীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। জামায়াত এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। তবে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া উপমহাদেশের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবহিত নই। এটি হচ্ছে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার একটি মামলা।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মতো বরুড়ায় একটি বিশাল মাদরাসা আছে। এ মাদরাসায় প্রতিবেলা দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার লোকের জন্য রান্নাবান্না হয়। মাদরাসাটি প্রাচীন ও সুবিশাল এলাকা নিয়ে অনেকগুলো বহুতল ভবনে সুসজ্জিত। এর শিক্ষকরাও বহুগুণে গুণান্বিত আলেমেদীন।
২০০৩ সালে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুড়া, কুমিল্লা নামক প্রতিষ্ঠানটি আফতাব স্মরণিকা নামে একটি পুস্তক প্রকাশ করে এবং এতে ‘মওদূদী সাহেবের মতবাদ ও ইসমাতুল আম্বিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত দুটি প্রবন্ধে মাওলানা মওদূদী সাহেবের নামে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য উল্লেখ করা হয়। স্মরণিকার ৭০নং পৃষ্ঠায় বলা হয়, “মিষ্টার মওদূদী সাহেব বলেন, নবীগণ মাসুম নন, প্রত্যেক নবীই গুনাহ করেছেন (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৪৩)। স্মরণিকার ৩৫নং পৃষ্ঠায় মাওলানা মওদূদী প্রণীত তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দীন পুস্তকের ২২নং পৃষ্ঠার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি লিখেছেন “হজরত আবুবকর (রা.) খেলাফতের দায়িত্বের অযোগ্য ছিলেন।” এই পৃষ্ঠায় তরজমান রবিউস সানির সংখ্যার ৩৫৭নং পৃষ্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় যে, তিনি বলেছেন, “নবী করিম (সা.)-এর ওফাতের সময় ব্যক্তি সম্মানের কুমনোবৃত্তি হজরত ওমর (রা.)কে পরাভূত করেছিল।” আফতাব স্মরণিকার ৩৫নং পৃষ্ঠায় আরো বলা হয়েছিল যে, মওদূদী সাহেব তার খেলাফত ও মুলুকিয়াত গ্রন্থের ১২২নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “হজরত ওসমানের মধ্যে স্বজনপ্রীতির বদভ্যাস বিদ্যমান ছিল।” স্মরণিকার ৩৬নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, তাফহীমাত গ্রন্থের ৩১৮নং পৃষ্ঠায় মাওলানা মওদূদী মুহাদ্দিসানে কিরামের হাদিস ভুল বলে মন্তব্য করেছেন। এর ৭১নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, মাওলানা মওদূদী “হজরত আদম (আ.) মানবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন” বলে মন্তব্য করেছেন। আবার স্মরণিকার ৭০ ও ৭১নং পৃষ্ঠায় ‘কোন কোন নবী ও রাসূল দীনের চাহিদার উপর স্থির থাকতে পারেননি’, এবং ‘হজরত নূহ (আ.)-এর মধ্যে জাহেলিয়াতের জজবা স্থান পেয়েছিল।’ আবার ‘হজরত দাউদ (আ.) এক বিবাহিতা যুবতীর ওপর তালাকের দরখাস্ত করেছিলেন’ প্রভৃতি মন্তব্যও মাওলানা মওদূদীর নামে ছাপা হয়। জামায়াতের তরফ থেকে উপরোক্ত বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করা হয়েছিল কিনা, আমি জানি না। তবে বরুড়ার একজন সত্যাশ্রয়ী আলেমেদীন, যিনি জামায়াতের সহযোগী বা সদস্য কিছুই ছিলেন না, তিনি এর কঠোর প্রতিবাদ করেন এবং এ অপবাদ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কারণে ৮ জনকে আসামি করে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন।
মামলা নং-২১৯/০৪। আদালতে বাদী মাওলানা আবদুর রহমান আফতাব স্মরণিকায় মাওলানা মওদূদীর নামে প্রকাশিত তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে আসামিদের শাস্তি প্রদানের আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় তদন্তপূর্বক বিশেষজ্ঞ মতামতসহ রিপোর্ট প্রদানের জন্য অভিযোগনামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিকট প্রেরণ করেন। ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মুহাম্মদ নূরুদ্দীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ইসলামী বিশ^কোষের প্রকাশনা কর্মকর্তা মাওলানা মুহাম্মদ মুসা, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য মাওলানা মুফাজ্জল হোসাইন খান, মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী ও জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মহিবুল্লাহ বাকী নদভীর সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করেন এবং স্মরণিকায় উল্লেখিত অভিযোগ ও মন্তব্যগুলো মাওলানা মওদূদীর পুস্তকসমূহের সাথে মিলিয়ে তার সত্যতার বিষয়ে রিপোর্ট প্রদানের অনুরোধ করেন। রিপোর্টি প্রণয়ন করতে অনেক সময় লেগে যায়। অবশেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ৯/৬/২০০৮ তারিখে ৭৯৯নং স্মারকে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেলা প্রশাসক, কুমিল্লার নিকট সংশ্লিষ্ট সাতজন বিশেষজ্ঞের স্বাক্ষরসংবলিত তথ্য যাচাই প্রতিবেদন পেশ করেন। প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, স্মরণিকায় মাওলানা মওদূদীর নামে উল্লেখিত প্রত্যেকটি অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নবী-রাসূল (সা.), খোলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবায়ে কেরামের বিরুদ্ধে মাওলানা মওদূদীর কোনো মন্তব্য বা মতামত তার কোনো গ্রন্থে নেই। এ রিপোর্টের পর বিবাদীগণ বিপাকে পড়ে যান এবং আপস-মিমাংসার জন্য বাদী মাওলানা আবদুর রহমান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ধরনা দেন। তারা আপস-মীমাংসার জন্য আদালতে আবেদন করেন এবং বিবাদী মাওলানা বশিরুল্লাহ, মো. ইয়াকুব, আনোয়ার হোসাইন, মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন, মো. নোমান, সালমান, আলী আশরাফ প্রমুখ আরজীর ২নং অনুচ্ছেদে ‘আফতাব স্মরণিকার বিতর্কিত উক্তিসমূহ “ভুলবশতঃ লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং এর জন্য বিবাদীগণ মর্মাহত এবং অনুতপ্ত” এই মর্মে স্বীকারোক্তি দেন। আদালত বাদীর সায় অনুযায়ী আপসনামা গ্রহণ করেন। এসংক্রান্ত বিস্তারিত দলিল আমি পড়ার সুযোগ পেয়েছি। এ মামলা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠিত ওলামাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি কর্তৃক মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা আখ্যায়িত করে দেয়া রিপোর্ট ও অভিযোগকারীদের ভুল স্বীকার করে মর্মাহত ও অনুতপ্ত হয়ে আদালতে স্বীকাররোক্তি প্রদানের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় এ ধরনের অভিযোগ থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ করছি।

10/06/2024

রাসুল (ﷺ‎) যখন সবার মাঝে বসে থাকতেন, তাঁকে আলাদা করে চেনা যেতো না। তাঁর জন্য সবার থেকে আলাদা কোন উঁচু আসন বা চেয়ারও থাকতো না।
অপরিচিত কেউ এলে তাকে জিজ্ঞেস করতে হত, তোমাদের মধ্যে মুহাম্মদ কে ? সাহাবীদেরকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে, তিনি থাকতেন সবার পেছনে। এমন ভাবে সবার সাথে মিশে যেতেন, প্রয়োজন পড়তো তাঁকে খুঁজে নেয়ার।
তিনি যখন কারো সাথে মুসাফাহা করতেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের হাত সরিয়ে নিতেন না, যতক্ষণ না মুসাফাহাকারী নিজের হাত সরিয়ে নেন। কারো সাথে যখন কথা বলতেন, তাঁর দিকে ফিরে কথা বলতেন। বাঁকা চোখে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকতেন না। অধিকাংশ সময়ই তাঁর ঠোটে লেগে থাকতো মুচকি হাসি।
দূর থেকে কেউ তাঁকে দেখলে তাঁর ব্যক্তিত্ত্বের কারনে ভয় পেতো। কিন্তু তাঁর সাথে মিশতে শুরু করলেই তিনি হয়ে উঠতেন সবচেয়ে প্রিয়।
তিনি ছিলেন সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত বংশের মানুষ। সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে প্রভাবশালী। তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসুল, তিনি হবেন সর্বপ্রথম সুপারিশকারী। পৃথিবীতে যদি কারো জন্য অহংকার করা জায়েজ থাকতো, তাহলে অহংকার করার সবচেয়ে বড় হকদার ছিলেন আল্লাহর রাসুল। অথচ এই মানুষটিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি নিরহঙ্কারী, সবচেয়ে বেশি বিনয়ী।
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
©Rizwanul Kabir

25/05/2024

৫৪ নং সুরা: আল-ক্বামার, আয়াত নং: ৪০

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি এ কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের সহজ উৎস বানিয়ে দিয়েছি। উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?

11/05/2024
24/04/2024

পবিত্র উমরা ও প্রাক গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপন ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ইন্নাল হামদা লিল্লাহ ওয়াআসসালাতু আসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, গত ২৬ শে মার্চ ২০২৪ আমি স্বস্ত্রীক পবিত্র ওমরা ও প্রাক গ্রীষ্মকালীন অবকাশের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। জেদ্দা এয়ারপোর্টে অন এরাইভাল ভিসা লাগিয়ে বাহির হওয়ার পর ২৭ তারিখ ভোরবেলা আমাদের হাতে সেহরি খাওয়ার জন্য সময় খুব কম ছিল। এয়ারপোর্টে রেস্টুরেন্টের সামনে লম্বা লাইন থাকায় কিছু খাবার কালেকশ্পনের পর ফজরের আযানের মাত্র ৬-৭ মিনিট বাকি ছিল। আমি লাইনের পিছনে থাকলে হয়তো আমাদেরকে কিছু না খেয়ে রোজা রাখতে হত। লোক দেখানো এবাদত মানে (রিয়া) না হওয়ার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু আমারই অসাবধানতা বসত আমার এই সফর গোপন থাকেনি।
যাই হোক আমি কিছু আমার ইবাদতের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম যাতে আপনাদের কোন কাজে লাগতে পারে।
স্থান কাল পাত্র ভেদে একই বিষয়ের রিয়েকশন এক এক লোকের এক এক রকম হয়। সেই অভিজ্ঞতাই আমি আপনাদেরকে শেয়ার করতেছি। ২৩ বা ২৪ রমজান দিনের বেলা আমি পবিত্র কাবা শরীফের মূল মাতাফ এর পিছনে এক তলায় সুবিধা মতো জায়গায় বসে কাবা শরীফ দেখে দেখে আমি পবিত্র কুরআন মসজিদের তফসির পড়তেছি,তখন একপর্যায়ে সূরা শুয়ারার শেষ দিকের কিছু আয়াতে হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু কথোপকথন তৎকালীন সময়ের মুশরিকদের সামনে উপস্থাপন করতেছেন। ৮২ নম্বর আয়াতে তিনি বলতেছেন তার (আল্লাহর) কাছে আমি আশা করি প্রতিদান দিবসে তিনি আমার অপরাধ ক্ষমা করবেন। এরপর ৮৩ নম্বর আয়াতে তিনি দোয়া করলেন হে আমার রব আমাকে প্রজ্ঞা দান করো এবং কর্মশীলদের সাথে সামিল কর। এই মুহূর্তে আমার স্মরণ হলো ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর আরেকটি মুনাজাতের কথা সেটা সুরা বাকারার ১২৭ ,১২৮ নং আয়াতে আছে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম যখন পুত্র পুত্র ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাথে নিয়ে কাবাঘর নির্মাণের পর দোয়া করলেন হে আমার রব আমাদের এই খেদমত কবুল করে নাও তুমি সব কিছু শ্রবণকারী ও সব কিছু জ্ঞাত। হে আমাদের রব আমাদের দুজনকে তোমার মুসলিম বানিয়ে দাও আমাদের বংশ থেকে এমন একটি জাতির সৃষ্টি করো যে হবে তোমার মুসলিম। তোমার এবাদতের পদ্ধতি আমাদের বলে দাও এবং আমাদের ভুল ত্রুটি মাফ করে দাও। তুমি বড়ই তওবা গ্রহণকারী বা ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী।
ইব্রাহিম আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই মোনাজাতের শব্দচয়ন দেখে আমি অভিভূত হয়ে যাই। কল্পনা ও বাস্তবতার রাজ্যে আমি এই কাবা শরীফের সামনে। ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের মোনাজাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে তিনি একটি ভালো কাজ করে তা কবুল করার জন্য আকুতি মিনতি করতেছেন। তারা দুজনকে যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের আনুগত্যশীল বান্দা করে দেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ বংশধর কে যেন আল্লাহ আল্লাহর আনুগত্যশীল জাতি তৈরি করন। মোনাজাতের শেষ অংশ ছিল আল্লাহর রাহিম গুণের ফজিলতে যেন ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর তওবা কবুল করেন। আমরা সাধারণত কোন পাপ কাজ করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে তওবা করি কিন্তু ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম একটি ভালো কাজ করে আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে তা গ্রহণ করার জন্য তওবা করতেছেন। অতএব আমাদেরকে ভালো খারাপ সুবিধা অসুবিধা সর্বাবস্থায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।
কাবা শরীফের সামনে কাবা ঘর দেখে দেখে ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের এই দোয়াটি পড়ে কান্নারত অবস্থায় কতটুকুন এই মোনাজাতের গভীরে পৌছতে পেরেছিলাম তা লিখে আপনাদের বুঝাবার ক্ষমতা আমার নাই।
আমাদের এই মক্কা সফরের এবাদত রিলেটেড আরেকটি ঘটনা আপনাদেরকে শেয়ার না করে পারছি না। প্রথমে আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১০ এপ্রিল ২০২৪ ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ে মদিনায় রওনা দিব। ৮ তারিখ আমাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করে আমরা সিদ্ধান্ত নেই ৯ এপ্রিল ৩০ রমজান মাগরিবের নামাজ পড়ে আমরা জেদ্দা হয়ে রাত্রেই মদিনা চলে যাব এবং মদিনা আল মনোয়ারায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়বো। তাই ৯ এপ্রিল মক্কায় আমাদের এই সফরের শেষ দিন ছিল।৷ ঐদিন অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ভাবে না ঘুরিয়ে যেন ঘড়ির কাঁটা একটু দ্রুতই ঘুরতেছিল বলে আমার মনে হইতেছিল। যেহেতু মাগরিবের নামাজ মক্কা আল মকরমায় আমাদের এ সফরের শেষ নামাজ তাই নামাজে একটু বেশি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করি। মক্কার গ্রান্ড ইমাম শাইখ সুদাইসি প্রথম রাকাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করেন। প্রথম আয়াত শোনার পর আমি দ্বিতীয় আয়াত শোনার জন্য গভীর মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করি। সূরা বাকারার শেষ আয়াতের অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ কাহার উপর তার সামর্থ্যের অতিরিক্ত দায়িত্বের বুঝা চাপান না। প্রত্যেক ব্যক্তি যে নেকি উপার্জন করেছে ওটা তার নিজেরই জন্য এবং যে গুনাহ সে অর্জন করেছে আর প্রতিফলও তার উপর বর্তাবে। (এরপর দোয়া শেখানো হয়েছে) হে আমাদের রব ভুল ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গুনাহ করে বসি তুমি সেগুলো জন্য পাকড়াও করো না। হে প্রভু আমাদের উপরে এমন বোঝা চাপিয়ে দিও না যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও চাপিয়ে দিয়েছিলে। হে আমাদের প্রতিপালক যে বোঝা বহন করার সামর্থ্য আমাদের নেই তা আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না। আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি করুণা করো। তুমি আমাদের অভিভাবক। কাফেরদের মোকাবেলায় তুমি আমাদের সাহায্য কর।
দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ইমাম পাঠ করলেন সূরা জুমার এর শেষ তিন আয়াত। এই তিন আয়াত কেয়ামতের মাঠে বেহেশত বাসির ফিনিশিং ইভেন্ট।এর পর আর এই মাঠের প্রয়োজন নাই। ওখানে ফেরেশতারা বেহেসত বাসীদেরকে দলে দলে ধাক্কাইতে ধাক্কাইতে সামনে নিতে থাকবেন । আমাদের প্রিয় মুফাসসির মৌলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেব সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এক তাফসির মাহফিলে এই আয়াতের তাফসিরে বলছিলেন কেন ফেরেশতারা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বেহেস্তে নিয়ে যাবেন। কারণ ওই সময় বেহেশত বাসীরা বেহেশতের গেইটে এসে মনে করবেন বেহেস্তে এসে গেছেন তাই তারা বসে পড়বেন। তখন ফেরেসতারা তাদেরকে সামনদিকে ধাক্কা দিয়ে বলতে থাকবেন বেহেস্ত সামনে, সামনে আরো প্রাচুর্য এখানে শুধু ফেরেশতারা বেহেস্তের দরজায় শুধু আপনাদেরকে স্বাগতম জানাচ্ছেন। এটা বেহেস্তের গেইট এটা বেহেশত নয়।
আমি যেন লাইভে বেহেস্তের গেট দেখতে পাচ্ছিলাম আর অশ্রু শীতল মনে ভাবছিলাম আমাকে যদি ওই সমস্ত বেহেশত বাসীদের সাথী হিসাবে আল্লাহ রব্বুল আলামিন কবুল করে নেন তাহলে আমার জীবন ধন্য ,আমি সফল।
রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগ ফিরলানা ওয় তারা হামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরীন। আমীন।

22/03/2024

১৯৫৯ সালে, ততকালিন পুর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় ইসলামের শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বায়তুল মোকাররম সোসাইটি নির্মাণ করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ (আরবি: بيت المكرّم) এবং ওলামাগণ, ইসলামী দর্শন, সংষ্কৃতি ও জীবন ব্যবস্থাকে মানুষের কাছে সহজে পৌছে দেওয়ার জন্য এবং তা নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল উলুম।
১৯৬০ সালে দারুল উলুমকে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী একাডেমী নামে নামকরণ করা হয়, যার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন আবুল হাশিম এবং একে করাচিভিত্তিক সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক রিসার্চ এর একটি শাখা হিসেবে রুপান্তর করা হয়

মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বঘোষিত সমর্থন ও সহায়তার জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ইসলামিক একাডেমীকে। একাডেমীটিকে সে সময় রাজনীতিকে ইসলামীকরণের জন্য দোষারোপ করা হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত মহা পরিচালক জনাব আহমদ হোসাইন ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্যে ছিলেন। অজ্ঞ্যাত কারণ বসত ১৯৭৩ সালের ৫ এপ্রিলথেকে ১৭ এপ্রিল ১৯৭৩ ইসলামি একাডেমীর কোন মহাপরিচালক ছিলেন না ।১৭ এপ্রিল ১৯৭৪ সালে ইসলামী একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত মহা পরিচালক করা হয় মৌলানা ফজলুল করিম সাহেব কে। তিনি স্বপদে কয়েক মাস থাকার পর ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ বাকশালি ফর্মুলায় ঐ পদ বিলীন করা হয় । বর্তমান সংস্থাটি ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামি একাডেমী থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন হিসাবে উদ্বোধন করেন। শুধু নাম পরিবর্তন ছাড়া ইসলামি ফাউন্ডেশনের কাটামোগত তেমন পরিবর্তন করা হয় নি। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত এর মহাপরিচালকের পদে কেউ ছিলেন না।
১৯৭৭ সালের ১৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমান ইসলামী ফাউন্ডাশনের প্রথম মহাপরিচালক নিয়োগ দেন এ এফ এম আব্দুল হক ফরিদি সাহেব কে।
১৯৭৮ সালের ২০-২২শে মার্চ ফাউন্ডেশনটি ও.আই.সি.'র সৌজন্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭৯-৮০ সালে ফাউন্ডেশনটির উন্নয়ন নতুন করে গতিবেগ লাভ করে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমানের নাম এখন কেউ মুখে আনেন না। এটাই হল ইসলামি ফাউন্ডেশনের ইতিহাস।

21/02/2024

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শপথ সেই মহান সত্তার! যার হাতে আমার প্রাণ। দুনিয়া ততক্ষণ পর্যন্ত ধ্বংস হবে না (তার আগে) মানুষের কাছে এমন সময় আসবে; হত্যাকারী জানবে না সে কেন হত্যা করছে আর নিহত ব্যক্তি জানবে না তাকে কেন হত্যা করা হয়েছে।

বলা হলো, সেটা কিভাবে হবে? তিনি বলেন, হারাজ (গুজব, হুজুগ, বিবেকহীনতা, মূর্খতা, নির্বুদ্ধিতা, অন্যায় হত্যা, বিচারহীনতা ও সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ইত্যাদি)-এর কারণে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৯০৮)
হেদিস টি মনে পড়ল এখন কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা যানে না কেন মওলানা মউদুদির আকিদা খারাফ বলে শিক্ষা দিচ্ছেন উস্তাদরা, আবার উস্তাদরা ও জানেন না কেন এই শিক্ষা দিচ্ছেন ছাত্রদের।

21/02/2024

‘লক্ষ কোটি যুবকের অনুপ্রেরণার বাতিঘর’
৫২'র ভাষা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক,
ঢাকসু’র সাবেক জিএস ভাষা সৈনিক
#অধ্যাপক_গোলাম_আযম (রহ.)।
আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাকে জান্নাত দান করুন।
আমিন।

19/02/2024

# মওদূদীবাদ নামে আসলে কি কোন মতবাদ আছে:?
কুমিল্লার আদালতে আফতাব স্মরনিকা মামলায় মহামান্য বিচারকের আদেশে ইসলামি ফাউন্ডেশন ৭ বছর গবেষনা করে মওদূদীবাদ নামে কোন আকীদার খোঁজ না পাওয়া এবং মওদূদীর রচনাবলীতে ইসলামি আকীদা বিদ্বেষী কোন লেখা খোঁজে না পাওয়া এবং চরিত্রহীন ছয় মৌলভী মুচলেকা দিয়ে অপরাধ স্বীকার পূর্বক অব্যহতি পাওয়া প্রমান করে যে মওদূদীবাদ নামে কোন মতবাদের অস্তিত্ব নাই এবং মওদূদী সাহেবের রচনায় তেমন কোন আকিদাগত ভুলও নাই। এটাই মওদুদীবাদ।

26/01/2024

৩ নং সুরা: আলে-ইমরান, আয়াত নং: ৮৫
আয়াত ক্রম: ৩৭৮, পারা: ৩, পৃষ্ঠা: ২০, রুকু: ৯

وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ

এ আনুগত্য (ইসলাম) ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায় তার সে পদ্ধতি কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ব্যর্থ, আশাহত ও বঞ্চিত।

Adress

Stovargatan 19 Lgh 1001
Stockholm
12461

Webbplats

Aviseringar

Var den första att veta och låt oss skicka ett mail när A little time with me postar nyheter och kampanjer. Din e-postadress kommer inte att användas för något annat ändamål, och du kan när som helst avbryta prenumerationen.

Dela