
15/09/2025
" রাত নামলে ঘরটা যেন আরও ছোট হয়ে যায়। ছয়টা খাটে ছয়জন মানুষ, অথচ জায়গা যেন নেই একটুখানি নিশ্বাস নেওয়ারও।
আজিজ শুয়ে আছে বিছানায়। সারাদিনের কাজের পর শরীর ভেঙে গেছে, কিন্তু চোখে ঘুম নেই। মায়ের কথাগুলো কানে বাজছে
“বাবা, একটু টাকা পাঠাস না, চাল তো ফুরাইছে।”
চোখ ফেরায় পাশের খাটে, রশিদ খাটের মাথায় বসে মাথা চুলকাচ্ছে। তার মেয়ে এইমাত্র ভিডিও কলে কেঁদেছে
“আব্বু, কবে ফিরবা?”
ঘরের মাঝখানে ছোট্ট টেবিলে থালার মধ্যে কিছু ভাত, ডাল আর শুকনো তরকারি পড়ে আছে। সবাই ভাগাভাগি করে খেয়েছে, তবু পরিতৃপ্তি কারো মুখে নেই।
জানালার বাইরে শহর ঝলমল করছে। উঁচু ভবনের আলো যেন আকাশ ছুঁয়ে গেছে। আজিজ তাকিয়ে থাকে সেই আলোয়। মনে হয়
“এই আলো আমাদের জন্য না। আমাদের আলো তো দূরে, গ্রামের মাটির ঘরে, যেখানে মা হয়তো দরজার ফাঁক দিয়ে আমার ফেরার অপেক্ষায় বসে আছে।”
একসময় ফ্যানের আওয়াজের ভেতরে নিঃশব্দে ঘুমিয়ে পড়ে সবাই। ঘরে কেবল থেকে যায় অদৃশ্য এক হাহাকার, আর জানালার ওপাশে জ্বলতে থাকে শহরের নিঃসঙ্গ আলো।