Ever Green World

Ever Green World humanity

কয়েকদিন আগে টঙ্গীতে অফিস থেকে ফেরার সময় একজন মহিলা ম্যানহোলের ড্রেনে পড়ে গিয়েছে। অনেকদিন যাবতই ম্যানহোলের ওই ঢাকনাটা খোল...
04/08/2025

কয়েকদিন আগে টঙ্গীতে অফিস থেকে ফেরার সময় একজন মহিলা ম্যানহোলের ড্রেনে পড়ে গিয়েছে। অনেকদিন যাবতই ম্যানহোলের ওই ঢাকনাটা খোলা ছিল, সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা গাফিলতি করে ঠিক করেনি।

আজকে হাঁটু সমান বৃষ্টির পানিতে ঢাকনা আছে কি নাই সেটা দেখার কোন উপায় ছিল না। মহিলাটাও প্রতিদিনকার মতই অফিস থেকে বাসায় ফিরছিল,

কিন্তু ঢাকনা না থাকায় মুহুর্তেই যেন নিচে তলিয়ে গেল ম্যানহোলে। একজন লোক দৌড়ে এসে উনাকে ধরতে চেয়েছিল কিন্তু বাঁচাতে পারেনি।

এরপর ফায়ার সার্ভিস এসেছে, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন এসেছে কিন্তু মহিলার লাশটা পর্যন্ত খুঁজে পায়নি।

স্থানীয় লোকজন বলছে- ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা একটু খোঁজাখুজির পর না পেয়ে বসে বসে তামাশা দেখছিল।

ফায়ার সার্ভিস দোষারোপ করছিল সিটি কর্পোরেশনকে আর সিটি কর্পোরেশন দোষারোপ করছিল ফায়ার সার্ভিসকে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না।

এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা বসে বসে অপেক্ষা করছিল কখন ৫ টা বাজে। কারণ ৫ টায় ওদের ডিউটি শেষ হয়, সেই অযুহাত দিয়ে পরে তারা চলে গিয়েছে।

কিন্তু মহিলার লাশটা আর উদ্ধার হলো না। অলরেডি ২৪ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। মহিলাটার ২ টা জমজ বাচ্চা আছে। ওদের নানা নানুও কেউ নেই, একদম একা।

বাচ্চাগুলো বিকেলের দিকে মায়ের জন্যে অপেক্ষা করছিল, কিন্তু যখন পাড়াপ্রতিবেশীরা জানিয়েছে তাদের মা ড্রেনে পড়ে মারা গিয়েছে তখন থেকে তারা মায়ের লাশের জন্যে অপেক্ষা করছে।

কিন্তু সেই লাশও এখনো বাড়িতে এলো না।

এদেশের বিমানে সমস্যা, রাস্তায় সমস্যা, আরও কতকিছুতে সমস্যা।

একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে। সেই পানিতে কারেন্টের ক্যাবল পড়ে শক খেয়ে মানুষ মরে, ড্রেনে পড়ে মানুষ মরে কিন্তু ঠিকঠাক আর হয়না।

ফায়রা সার্ভিসের লোকেরা যাওয়ার সময় গড়িমসি করে বলে গিয়েছে - আজকে তো লাশ পাইনি, কাল দেখি সময় হলে একবার আসব।

এমন একটা ভাব যেন বাচ্চাদের সাধারণ কোন খেলনা হারিয়ে গেছে, মন চাইলে খুঁজে দিবে, নয়তো না।

অথচ আজকে উপদেষ্টাদের কোন আত্মীয় ড্রেনে পড়ে গেলে এর পরদিনই রাস্তা সংস্কার করা হতো, ফায়ার সার্ভিসের পুরো টিম দিয়ে সারারাত লাশ খোঁজা হতো।

কিন্তু এই মহিলার বেলায় হচ্ছে না, কারণ তিনি তো আর উপদেষ্টা নন, নিতান্তই সাধারণ একজন।

একটু আগে এই মহিলার বোনের মেয়ে আমাকে নক করে করুণভাবে বলছিল- একটু দেখেন না ভাইয়া কিছু করা যায় কি-না, আমরা শুধু লাশটা চাই আর কিচ্ছু না।

বেশি দেরি হলে পানির স্রোতে লাশটা দূরে কোথাও চলে যাবে, আর হয়তো পাওয়া যাবে না।

মহিলার মাত্র ৮ বছরের দুইটা জমজ বাচ্চা এত রাতেও জেগে আছে। মা মা বলে বারবার হাউমাউ করে কাঁদতেছে । অথচ আজকে মা বাসায় ফিরলে এতক্ষণে খেয়ে ঘুমানোর কথা ছিল ওদের।

কিন্তু দু চোখে ঘুম নেই বাচ্চাগুলোর। জীবিত মা'য়ের আশা করছে না, ওরা কেঁদে কেঁদে মায়ের লাশটা চাচ্ছে শুধু।

বৃষ্টির দিনে আমরা হয়তো আরাম করে ঘুমোচ্ছি কিংবা মুভি দেখছি কিন্তু এই বাচ্চা দুটো অপেক্ষা করছে মায়ের লাশের জন্যে!

তাই একটু আওয়াজ তুলুন, শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। মাসুম বাচ্চাগুলোকে তার মায়ের লাশটা পেতে অন্তত সাহায্য করুন।

সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস আর দায়িত্বরত উপদেষ্টারা আপনারা এবার একটু ঘুম থেকে উঠুন, চোখটা খুলে একটাবার দেখুন ছবির এই জমজ বাচ্চা দুটো মায়ের লাশের জন্যে কতটা হাউমাউ করে কাঁদতেছে
আর অনেকে তো নির্বাচন ছাড়া মেয়র হয়ে যায়, তারা নাকি দেশের উন্নয়ন করবে?😇😇

"দুলালকে পুলিশ গুলি করে এক হাত সামনে থেকে, সরাসরি কোমরে পিস্তল তাক করে...সেদিন ছিল ওর জন্মদিন"'ওর সাথে যেদিন আমার দেখা হ...
04/08/2025

"দুলালকে পুলিশ গুলি করে এক হাত সামনে থেকে, সরাসরি কোমরে পিস্তল তাক করে...সেদিন ছিল ওর জন্মদিন"

'ওর সাথে যেদিন আমার দেখা হইছিল, সেইদিনের কথা এখনো মনে পড়ে। ওর প্রথম কথা ছিল আমি খুব গরিব ঘরের সন্তান। জীবনে অনেক কষ্ট করে বড় হইছি।'

দুলাল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এসিস্টেন্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতো। আমাদের বিয়ে হয় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর আদিয়াত ও আরিশা হয়।

সে এমন একজন মানুষ ছিল, ১৬ সালের পর থেকে মনে পড়ে না ও ছাড়া আমি কখনো আর কারো উপর ডিপেন্ডেন্ট ছিলাম। কোনো সমস্যায় পড়লে ওকে যখন বলতাম, ও শুধু বলতো, দেখতেছি। তারপর যেকোনোভাবে সেটা সমাধান হয়ে যাইত। সেই মানুষটা আজকে আমার উপর এতগুলা দায়িত্ব দিয়ে চলে গেছে!

১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ও যখন বের হচ্ছিল, আমি নিষেধ করছিলাম। ও বকা দিয়ে বলতেছিল, 'প্যানিক করতেছ কেন? নিচেই ত যাচ্ছি।' তখন আমি ওকে বলছিলাম, 'প্যানিকটা শুধু দেখতেছ, ভালোবাসাটা দেখতেছ না?'

স্পষ্ট মনে পড়ে, আমি খাটে বসা, আর ও পাশেই দাঁড়ানো। ভালোবাসার কথাটা বলার পর ও মুচকি একটা হাসি দিলো। এটাই শেষ হাসি। এই হাসি আমি সারাজীবন ভুলব না। এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ ওকে গুলি করে।

আজিমপুর মোড় থেকে তাড়া করে পুলিশ ছাত্রদেরকে সরকারি কোয়ার্টারের ভিতরে নিয়ে আসে। ও যেই বিল্ডিংয়ের নিচে বসে ছিল, সেই বিল্ডিংয়েও কিছু ছাত্র লুকায়। পুলিশ এসে গেইটের চাবি দিতে বলে। দুলাল শুধু এটুকুই বলে, চাবি আমার কাছে নাই। সেই মুহূর্তেই গুলি...

এর পরপর ও নিজেই আমাকে ফোন দেয়, আস্তে করে শুধু বলে, 'গুলি লাগছে'।

নিচে গিয়ে যতক্ষণে পৌছাই, ততক্ষণে রাস্তা রক্তে ভরে গেছে। ওর সাদা টিশার্টটা লাল। এত রক্ত আমার জীবনে আমি আর দেখি নাই। ও আমার দিকে তাকায়ে ছিল, মনে হচ্ছিল চোখের ভাষায় বলতেছে, 'তুমি আমাকে বারণ করছিলা'।

১৯ জুলাই সকালে, হসপিটালে ও মারা যায়। শরীরে রক্ত প্রায় ছিলই না, এত রক্ত গেছিল।

দুলাল গ্রামে একটা জায়গা কিনে রাখছিল। স্বপ্ন ছিল ওইখানে একদিন একটা বাড়ি করবে। ওর স্বপ্নের জায়গাতেই ওকে কবর দিয়ে আসছি।'

- ফারহানা রহমান
(শহিদ দুলাল মাহমুদের স্ত্রী)
Ever Green World



Address

Woodlands
Singapore
739522

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ever Green World posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share