26/09/2025
# # # **পটভূমি**
প্রাচীনকালে অসুররাজ **মহিষাসুর** ভগবান ব্রহ্মার কাছে কঠিন তপস্যা করে একটি বর লাভ করে, যাতে তাকে কোন মানুষ, দেবতা বা পুরুষ হত্যা করতে না পারে। এই বর পাওয়ার পর মহিষাসুর অজেয় হয়ে ওঠে এবং স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল—তিন লোকেই তাণ্ডব শুরু করে। দেবতারা তাঁর কাছে পরাজিত হয়ে মহাশঙ্কিত হন।
---
# # # **দেবতাদের প্রার্থনা**
মহিষাসুরের অত্যাচার চরমে পৌঁছালে, সব দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করেন। তিন মহাদেব একত্র হয়ে তাঁদের শক্তির মিলন ঘটান। তাঁদের দেবশক্তি থেকে এক অসীম দীপ্তিময় রূপের আবির্ভাব ঘটে—সেটিই মা দুর্গা।
---
# # # **দেবী দুর্গার সৃষ্টি**
মা দুর্গার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ দেবতাদের শক্তি ও আশীর্বাদে গঠিত হয়—
* মহাদেব দেন ত্রিশূল
* বিষ্ণু দেন চক্র
* বরুণ দেন শঙ্খ
* অগ্নিদেব দেন অগ্নিশিখা
* বায়ুদেব দেন ধনুক ও বাণ
* ইন্দ্র দেন বজ্র
* অন্যান্য দেবতারা নানান অস্ত্র, অলঙ্কার ও সিংহ বাহন প্রদান করেন।
---
# # # **অসুরবধ**
দেবী দুর্গা সিংহে চড়ে মহিষাসুরের রাজ্যে প্রবেশ করেন। নয় রাত ও দশ দিন ধরে তীব্র যুদ্ধ হয়—যা পরে **শারদীয় নবরাত্রি** ও **দুর্গাপূজা** হিসেবে পালিত হয়। দশম দিনে মহিষাসুরের রূপ পরিবর্তন ক্ষমতা সত্ত্বেও, মা দুর্গা তাঁকে বধ করেন।
---
# # # **আগমনের কাহিনী (বাংলা লোকবিশ্বাস অনুযায়ী)**
বাংলা লোককথায় বিশ্বাস করা হয়—প্রতি বছর শরৎকালে মা দুর্গা কৈলাস থেকে তাঁর সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে নিয়ে পিতৃগৃহে—পৃথিবীতে—আসেন। এই আগমন চার ধরনের হতে পারে—
* **নৌকায়** (সৌভাগ্যের প্রতীক)
* **গজে** (শস্য-সমৃদ্ধির প্রতীক)
* **অশ্বে** (দুর্ভিক্ষ বা অশান্তির আশঙ্কা)
* **পালকিতে** (বিভিন্ন ঘটনার প্রতীক)
পুজোর পর বিজয়া দশমীতে তিনি আবার কৈলাসে ফিরে যান—এটাই তাঁর **বিদায়** বা **উমা ফিরে যাওয়া*