অপ্রমাদ অমৃতপদ

অপ্রমাদ অমৃতপদ "Hatred does not cease by hatred, but only by love; this is the eternal rule." - The Buddha

14/12/2025

থাইল্যান্ডের অপরূপ সুন্দর বুদ্ধবিম্ব

13/12/2025

বার্মার অপরূপ সুন্দর বুদ্ধবিম্ব

12/12/2025

আমি বুদ্ধের চরণ পাবো বলে মনে বড় আশা ছিলো

11/12/2025

মহাসঙ্ঘকে দান করছেন মহাউপাসিকা

10/12/2025

এক সাথে বহু ভিক্ষুকে পিণ্ডদান

09/12/2025

এক হাত ও দুই পা নেই তবু পুণ্যকর্মে অটল

08/12/2025

মানব জন্ম দুর্লভ জন্ম বহু পুণ্যর ফলে
তাও তুমি জন্ম পেলে বুদ্ধ সময় কালে

07/12/2025

প্রয়াত পরম পূজ্য সংঘরাজ ভানতের ছোয়াইং গ্রহণ

থাইল্যান্ডের অভিনেত্রীর পুণ্যকর্ম
07/12/2025

থাইল্যান্ডের অভিনেত্রীর পুণ্যকর্ম

বিশ্বের অতি আশ্চর্যজনকভাবে বার্মার চ্যাটিও জাদী  সৃষ্টির ইতিহাসঃ -বুদ্ধত্ব লাভ না করার পঞ্চাশ বছর অাগে করণ্ড প্রদেশকে সু...
06/12/2025

বিশ্বের অতি আশ্চর্যজনকভাবে বার্মার চ্যাটিও জাদী সৃষ্টির ইতিহাসঃ -

বুদ্ধত্ব লাভ না করার পঞ্চাশ বছর অাগে করণ্ড প্রদেশকে সুভিন্ননাগরের নিকটে মচ্চগীরিতে তিস্সধম্ম রাজা রাজত্ব করতেন। তার অগ্রমহিষী ছিলেন সীরিকপ্পাদেবী। রাজার দুই ছেলে তিস্স কুমার ও সীহ কুমার। রাজপুত্রদ্বয় ২৩বছর ও ২১ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করে ঋষি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। দুই ভাই মচ্চগীরি(জেং ছাইক টং) জঙ্গলে একসাথে ধর্মালাপ করতে করতে দিনাতিপাত করত। কিন্তু তারা যথেষ্ট ভাবনা করত না। একদিন বড় ভাই বলল আমাদের তেমন ভাবনা করা হচ্ছে না। ছোট ভাইকে বলল তুমি বন্ধবগীরি পর্বতে গিয়ে ভাবনা কর।

অতীত পারমী পরিপক্বতার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই উনারা ধ্যান বল লাভ করেন। বড় ভাই তিস্স (তিষ্য) ঋষি ছোট ভাই সীহঋষি নামে খ্যাতি লাভ করেন।

দুই ভাই ধ্যান-ভাবনা করার সময়ে এক বিদ্যাধর ও নাগকন্যার গোপন মিলন হলে নাগকন্যা গর্ভবতী হয়ে দুইটা ডিম পেড়ে ভোগবতী নাগরাজ্যে ফিরে যায়। তিষ্য ঋষি ফল অন্বেষণে গিয়ে ডিম দুইটি খুঁড়িয়ে অানে। একটা ডিম নিজের নিকট রেখে অন্যটা ছোট ভাইকে রাখতে দেন। সূর্য উদয় হওয়ার সময়ে বড় ভাইয়ের ডিমটা ফোটার কারণে নামকরণ করা হয় সূরিয়া কুমার। অার ছোট ভাইয়ের ডিমটা ফোটার সময়ে চাঁদ উদয় হওয়ার কারণে নামকরণ করা হয় চন্দ্রকুমার। দশ বছর বয়সে চন্দ্রকুমার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে মিথিলা রাজ্যের অতুল শ্রেষ্ঠীর কন্যার গর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন।

এভাবে দুই ভাই প্যাং টেং ও শোয়ে নান জেং, নাগসূজা নামে কন্যাদের লালন করতে থাকেন।

ইতিমধ্যে তিস্সধম্ম রাজার মৃত্যুর সময়ে সূরিয়া কুমারকে রাজ্যভার অর্পণ করেন। তার নাম দেওয়া হয় তিস্সধম্মসীহ রাজা। তার অগ্রমহিষী হয় নাগসূজা।
চন্দ্রকুমার মধ্য প্রদেশের মিথিলায় শ্রেষ্ঠী কন্যার গর্ভে জন্মগ্রহণ করে অতীত পারমী গুণে অাট বছর বয়সে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করে অর্হত্ব মার্গফলে অধিষ্ঠিত হন। তখন ঊনার নাম হয় গবংপতি অর্হৎ।

গবংপতি অর্হৎ তিষ্যঋষি ও সীহঋষিকে ধর্ম শ্রবণ করানোর মানসে বুদ্ধসহ পাঁচশত জন অর্হতকে ফাং করে সুবর্ণভূমিতে নিয়ে যান। বুদ্ধ সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করার পর যখন মধ্যপ্রদেশে ফিরে যাবেন তখন ঋষিদ্বয় শাসনের স্থিতি ও নিত্য পূজার জন্য বুদ্ধের নিকট কোন বস্তু প্রার্থনা করলে বুদ্ধ অধিষ্ঠান করে মাথায় স্পর্শ করার সাথে সাথে ছয়টা চুলধাতু উঠে অাসে এবং সেগুলো ঋষিদেরকে প্রদান করেন।
তিষ্যঋষি চুলধাতুকে খোঁপায় রেখে অনেক বৎসর পূজা করেন। যখন উনার বয়স ৮০ বছর হয় তখন উনি চিন্তা করলেন আমি জরাগ্রস্ত হয়েছি বুদ্ধের চুলধাতুকে জাদী বা চৈত্য তৈরি করে পূজা করলে ভাল হবে। উনার চিত্তসংকল্প দেবরাজ ইন্দ্র জ্ঞাত হয়ে তিস্সধম্মসীহ রাজা সহ ঋষির নিকট গিয়ে চুলধাতুর জাদী স্থাপনের জন্য প্রার্থনা করেন। তখন তিষ্যঋষি বলেন অামার মাথার মত যদি কোন পাথর পাওয়া যায় সেখানেই চুলধাতু জাদী স্থাপন করব। দেবরাজ ইন্দ্র পানি রক্ষক দেবকন্যা "মণি মেখলাকে" সমুদ্র থেকে ঋষির মাথার ন্যায় পাথর খোঁজ করার জন্য অাদেশ দেন। মণিমেখলা দেবকন্যা সমুদ্র হতে সেরকম একটি পাথর নিয়ে আসেন। দেবরাজ উক্ত পাথরকে চ্যাটিও ( চাইক টি ও) পর্বতের চূড়ার ঢালুতে দেবরাজের তলোয়ার দিয়ে কেটে একটা মুরগি দাঁড়াতে পারার স্থানে স্থাপন করেন।

তিষ্যঋষির পছন্দ হয়েছে জেনে দেবরাজ ইন্দ্র তলোয়ার দিয়ে পাথরের উপর অংশে চুলধাতু স্থাপনের জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাত ছিদ্র করেন।

তিস্সধম্মসীহ রাজাকে বলেন পুত্র এই চুলধাতুকে কল্পস্থিতি থাকা অবধি পূজা করার ব্যবস্থা কর।

রাজা সপ্তরত্ন খচিত রক্তিম পাথরের কৌটাতে চুলধাতু ফাং করে রাখেন। রাজাসহ সমস্ত রাজ্যবাসীগণ পূজা করার সময় চুলধাতুর পাত্র অাকাশে উঠে ষড়রশ্মি বিচ্ছুরণ করেন। তখন তিষ্যঋষি অধিষ্ঠান করেন এই স্থানে সাসন দীর্ঘকাল স্থিত থাকলে চুলধাতু স্বয়ং উক্ত পাথরে প্রবেশ করুক। তখন চুলধাতু ষড়রশ্মি বিচ্ছুরণ করেই পাথরে প্রবেশ করেন। দেবরাজ ইন্দ্র সেখানে স্বর্ণ ইট, রুপার ইটসহ সপ্তরত্নের ইট দ্বারা সাড়ে তিন হাত উচ্চতা সম্পন্ন চ্যাটিও বা চাইক টি ও জাদী স্থাপন করেন।

সকলেই সুখী হোক।
সকলেই অন্তরায় মুক্ত হোক।
সকলেই নির্বাণ লাভে সক্ষম হোক।

06/12/2025

বুদ্ধ শাসনে পুত্র দান কেন করবেন? পুত্র দানের সুফল কী কী?-------

স্বীয় ঔরস জাত পুত্রকে বুদ্ধশাসনের উপকার ও পুত্রের মুক্তির হেতু শ্রদ্ধার সহিত প্রব্রজিত করাইয়া দেওয়াকে পুত্রদান বলে। পুত্রদানের কিঞ্চিন্মাত্র হইলেও পুণ্য-ফল লাভের আশায় শাসন প্রতিরূপ দেশে সপ্তাহকালের জন্য হইলেও পুত্রকে প্রব্রজিত করাইয়া রাখে। এই প্রব্রজ্যা দ্বারা ভবিষ্যৎ জন্মে চির মুক্তির নিষ্ক্রমণের সংস্কার উৎপন্ন হয়।

বলা হয়েছে যদি কোন চক্রবর্তী রাজ স্বীয় ঋদ্ধি প্রভাবে জম্বুদ্বীপ প্রমাণ বিহার নির্মাণ করিয়া, তাহাতে বহু ভিক্ষু-সংঘ বাস করান, সেই ভিক্ষু-সঙ্ঘের ভরণ-পোষণের নিমিত্ত পূর্ববিদেহ, অপরগোয়ান ও উত্তরকুরু এই ত্রিমহাদ্বীপ প্রমাণ স্থানে ফসলাদি উৎপাদন করিয়া দান করেন ও সুমেরু পর্বত প্রমাণরাশি করিয়া ভিক্ষু-সঙ্ঘের চীবরাদি নানা প্রয়োজনীয় বস্তু দান করেন, তথাপি একটি পুণ্যের ষোলভাগের একভাগ পুণ্যও হয় না।

মহারাজ অশোক পাটলীপুত্রের সিংহাসনে অভিষিক্ত হওয়ার ছয় বৎসর পরেই বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। এই হইতে তিনি ভিক্ষুসঙ্ঘকে নানা প্রকারের পূজা সৎকার করিতে থাকেন। আশোকের পিতা বিম্বিসার অতিশয় ব্রাহ্মণ ভক্ত ছিলেন। তিনি প্রত্যহ ষাট হাজার ব্রাহ্মণকে আহার দান করিতেন। অশোক পিতার দান বন্ধ না করিয়া প্রত্যহ ব্রাহ্মণ ভোজন করাইতেন বটে, কিন্তু তাঁহারা অব্রহ্মচারী ও অসংযেতন্দ্রিয় ছিলেন। সুতরাং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংযম দেখিয়াই তিনি অতিশয় প্রীতি হইয়া প্রথমে বত্রিশজন ভিক্ষুকে ভিক্ষান্ন প্রদান করেন। ক্রমান্বয়ে সংখ্যা বাড়াইতে বাড়াইতে প্রত্যহ ৬০ হাজার ভিক্ষুকে অন্নাদি আহার্য বস্তু দান করিতে লাগিলেন। তাঁহান রাজ্যের ৮৪ হাজার নগরে ৮৪ হাজার বিহার ও ধাতু চৈত্য স্থাপন করেন। পাটলিপুত্রে অশোকারাম নামে এক মহাবিহার স্থাপন করিয়া তাহাতে সহস্রাধিক ভিক্ষুকে বাস করাইতেন এবং তাঁহাদের আবশ্যকীয় যাবতীয় ভরণ-পোষণ নির্বাহ করিতেন। অন্যান্য নগরে স্থাপিত বিহার সমূহে যে সকল ভিক্ষু বাস করিতেন, তাঁহাদিগকেও চতুর্প্রত্যয় দান করিতেন। তাঁহার রাজ্যের সর্বত্র বুদ্ধের উপদেশ বাক্য সমূহ প্রস্তরে ও পর্বতগাত্রে খোদাইয়া সদ্ধর্ম প্রচার ও সর্বসাধারণকে শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। ধর্মমহামন্ত্রী নামক একজন মন্ত্রী নিযুক্ত করিয়া বহু কর্মচারী সহ তাঁহাকে প্রজাদের মধ্যে ধর্ম প্রচার ও প্রচারিত ধর্ম প্রতিপালিত হইতেই কিনা, তাহা অনুসন্ধানে ভার দেওয়া হয়। পাটলীপুত্র নগরে ভিক্ষুদের মহাসভা আহ্বান করাইয়া বুদ্ধ-শাসন পবিত্র করিবার সুযোগ, বিশুদ্ধ ধর্মবিনয় স্থাপন এবং লঙ্কা, বার্মা, শ্যাম, কাশ্মীর গান্ধার প্রভৃতি দেশে অরহতগণকে পাঠাইয়া বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করিয়াছিলেন। তাঁহাকে জম্বুদ্বীপের একচ্ছত্র রাজাধিরাজ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। জম্বুদ্বীপের বাহিরেও তাহার রাজ্যে বি¯তৃত ছিল। তিনি এক সময় এক বড় রাজ্য বুদ্ধ-শাসনে দান করিয়া সাধারণ অবস্থায় বিহারে বাস করিতেন। ফল কথা-আমরা যে বৌদ্ধ ধর্মের এত বি¯তৃতি ও উন্নতির কথা শুনিতে পাই, ইহা কেবল মহারাজ ধর্মাশোকের ধর্মপ্রেরণারই একমাত্র নিদর্শন। সুতরাং, বুদ্ধ-শাসনের নিমিত্ত এত শ্রম, এত দান ও এত উদ্যোগ আর কেহ করেন নাই। পূর্বোক্ত ৮৪ হাজার চৈত্য, বিহার এবং অশোকারাম উৎসর্গ করিবার জন্য একটা দিন নির্দিষ্ট করিবেন।

সেই উৎসর্গ উপলক্ষে রাজ্যের সর্বত্র এক সপ্তাহ ব্যাপী মহোৎসব করিবার জন্য তিনি আদেশ প্রচার করিলেন। সেই উৎসব রাত্রে সমগ্র রাজ্য উজ্জ্বল আলোকে স্বর্গপুরী সদৃশ অপূর্ব শ্রী ধারণ করিয়াছিল। ইহাতে তাঁহার অনুপমা প্রীতি উৎপন্ন হইয়াছিল। তিনি প্রীতিপূর্ণ হৃদয়ে তখন ভিক্ষু সঙ্ঘের অধিনায়ক মোগ্গলি পুত্র তিসস্ মহাস্থবিরকে জিজ্ঞাসা করিলেন- “ভন্তে, দশবল বুদ্ধের শাসনে কে সর্বাপেক্ষা অধিক দান করিয়াছেন, কাহার দান সর্বাপেক্ষা অধিক? মহারাজ, বুদ্ধশাসনে প্রত্যয় দায়কদের মধ্যে আপনিই সর্বপ্রধান। আপনি যত দান করিয়াছেন। আর কেত এত দান করেন নাই। সুতরাং আপনিই প্রত্যয় দায়কগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। ভগবান বুদ্ধের জীবিতাবস্থায় ও এত বড় প্রত্যয়দায়ক কেহ ছিল না। এই কথা শুনিয়া মহারাজ ধর্মাশোক বলিলেন-আমি প্রত্যয় দানে বুদ্ধ-শাসন সজীব রাখিয়াছি। সুতরাং, আমার দানই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠরত। এই রূপ হইলেও আমি বুদ্ধ-শাসনের দায়াদ বা উত্তরাধিকারী হইলাম কিনা? অর্থাৎ আমি পিতৃরাজ্যের উত্তরাধিকার হইয়া যেমন সাসগরা জম্বুদ্বীপের উপর আধিপত্য ও সুখৈশ্বর্য্য ভোগ করিতেছি, সেইরূপ বুদ্ধ শাসনের বা ভগবানের ধর্ম রাজ্যের উত্তরাধিকারী হওয়ার আমি উপযুক্ত হইয়াছি কিনা? মোগলিপুত্র তিস্স মহাস্থবির বলিলেন- “মহারাজ আপনি প্রত্যয় দায়ক মাত্র। যদি পৃথিবী হইতে ব্রহ্মলোক পর্যন্তও উচ্চ রাশিকৃত দানীয় বস্তু সজ্জিত করিয়া মহাদান দেওয়া হয়, তথাপি সে প্রত্যয় দায়ক মাত্র। তবে যে কোন ধনী অথবা দরিদ্র ব্যাক্তি স্বীয় ঔরস জাত পুত্রকে বুদ্ধ-শাসনে প্রব্রজ্যা প্রদান করেন, উপসম্পদা দেন, তিনিই বুদ্ধ শাসনের প্রকৃত অধিকারী।
স্থবিরের এই কথা শুনিয়া মহারাজ অশোক ভাবিলেন-অহো, আমি এত দান করিয়াও বুদ্ধ-শাসনের উত্তরাধিকারী হইতে পারিলাম না। কিরূপে তাহা হইবে।এইরূপ ভাবিয়া উদ্ধিগ্ন চিত্তে এদিক ওদিক দেখিতে লাগিলেন। তখন তাঁহার প্রিয় পুত্র “মহেন্দ্র কুমার” সেই সভাতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পিতার মনোভাব জ্ঞাত হইয়া সোৎসাহে সভায় দাঁড়াইয়া আনন্দ গদগদ কণ্ঠে বলিলেন-আমি প্রব্রজা গ্রহণ করিব, আমাকে প্রব্রজ্যা দান করিয়া আপনি বুদ্ধ-শাসনের উত্তরাধিকারী হউন। রাজকুমার মহেন্দ্র খুল্লতাত তিস্স কুমারের ভিক্ষু হওয়ার দিন হইতে কুমার মহেন্দ্রের অন্তরে পোষণ করিয়া রাখিয়াছিলেন তিনিও ভিক্ষু হইবেন। তবে তিনি এতদিন পিতার আদেশের অপেক্ষায় ছিলেন। রাজকুমারী সঙ্ঘমিত্রার স্বামী অগ্নিব্রহ্মা কুমার তিস্স কুমারের সহিত ভিক্ষু হইয়াছিলেন। সেই হইতে সঙ্ঘমিত্রাও ভিক্ষুণী হইবার ইচ্ছা অন্তরে পোষণ করিয়া রাখিয়াছিরেন। অদ্যকার সভায় তিনিও এই দুর্লভ সুযোগ ছাড়িলেন না। মহেন্দ্রের কথার অবসানে কুমারী সঙ্ঘমিত্রাও দাঁড়াইয়া কহিলেন- পিতঃ আমিও ভিক্ষুণী ধর্ম গ্রহণ করিয়া আপানাকে বুদ্ধ-শাসনের উত্তরাধিকারী করিবার আমার একান্ত ইচ্ছা। পিতঃ আমাকে অনুমতি দান করুন।
মহারাজ অশোক পুত্র-কন্যার মনোভাব জ্ঞাত হইয়া সানন্দে সঙ্ঘনায়ককে অনুরোধ করিরেন-ভন্তে, আমার এই পুত্র-কন্যাকে প্রব্রজ্যা প্রদান করিয়া আমাকে শাসনের উত্তরাধিকারী করুণ। সেই শুভ-মুহূর্তে রাজকুমার ও রাজকুমারীকে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা প্রদান করা হইল। পরম সৌভাগ্যবান পুণ্যশ্লোক মহেন্দ্র ও পুণ্যশ্লোকা সঙ্ঘমিত্রা উপসম্পদা লাভের পর অরহত্ব পদে উন্নীত হইলেন। কালে তাঁহারা বুদ্ধ-শাসনের চিরস্থায়ী কামনায় প্রভূত কল্যাণকর কার্যের অনুষ্ঠানে ব্রতী হইয়াছিলেন। শাসনে পুত্রদানের ফল যে কত অপরীসম মহান, তাহা জ্ঞানীমাত্রেই সহজে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিবেন। তাই আমাদের উচিত যে কোন বন্ধের সময়ে (ষ্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা চাকুরীরত যারা তাদের) যারা পুত্রকে বুদ্ধ শাসনে দান করেননি তারা অচিরেই কাজটি সুসম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন।

ที่อยู่

France World Peace Buddhist Meditation Centre, 15 Avenue De La République
Ayutthaya
93120

เว็บไซต์

แจ้งเตือน

รับทราบข่าวสารและโปรโมชั่นของ অপ্রমাদ অমৃতপদผ่านทางอีเมล์ของคุณ เราจะเก็บข้อมูลของคุณเป็นความลับ คุณสามารถกดยกเลิกการติดตามได้ตลอดเวลา

ติดต่อ ธุรกิจของเรา

ส่งข้อความของคุณถึง অপ্রমাদ অমৃতপদ:

แชร์

ประเภท