আবদুল হামিদ খান ভাসানী

আবদুল হামিদ খান ভাসানী Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from আবদুল হামিদ খান ভাসানী, Newspaper, West Bengal Rajshahi Siraj gong, Atlanta, GA.

~মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগ এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও, তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আসাম বিধানসভার সদস্য~
কাজের মেয়াদ
১৯৩৬ – ১৯৪৬
প্রধানমন্ত্রী
মুহাম্মদ ছাদুল্লাহ
উত্তরসূরী
এম. এম. আবুল কাসেম
সংসদীয় এলাকা
ধুবড়ী (দক্ষিণ)
পাকিস্তানের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯

৫৪ – ১৯৫৫
গভর্নর
ইস্কান্দার মির্জা
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ এপ্রিল ১৯৭৩ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫
আওয়ামী লীগের ১ম সভাপতি
সাধারণ সম্পাদক
শামসুল হক
শেখ মুজিবুর রহমান
পূর্বসূরী
অফিস প্রতিষ্ঠিত
উত্তরসূরী
হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম
১২ ডিসেম্বর ১৮৮০
সিরাজগঞ্জ, বঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে রাজশাহী, বাংলাদেশ)
মৃত্যু
১৭ নভেম্বর ১৯৭৬ (বয়স ৯৫)
ঢাকা, বাংলাদেশ
সমাধিস্থল
সন্তোষ, বাংলাদেশ, টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ
জাতীয়তা
ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৮০–১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭–১৯৭১)
বাংলাদেশী (১৯৭১–১৯৭৬)
রাজনৈতিক দল
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (১৯৫৭ সাল থেকে)
আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৪৯–১৯৫৭)
মুসলিম লীগ (১৯৪৭–১৯৪৯)
নিখিল ভারত মুসলিম লীগ (১৯৩০–১৯৪৯)
স্বরাজ দল (১৯২৩–১৯৩০)
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (১৯১৭–১৯২৩)
দাম্পত্য সঙ্গী
আলেমা খাতুন
আকলিমা খাতুন
হামিদা খাতুন
সন্তান
আবু নাসের খান ভাসানী সহ ৮ জন
পিতামাতা
হাজ্বী শরাফত আলী খান (পিতা)
মোসাম্মৎ মজিরন বিবি (মাতা)
পুরস্কার
স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৭)
একুশে পদক (২০০২)
অন্য নাম
দ্য রেড মাওলানা, মাওলানা ভাসানী
ব্যক্তিগত তথ্য
ধর্ম
ইসলাম
আখ্যা
সুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্র
হানাফী (মাযহাব)
আন্দোলন
খিলাফত আন্দোলন
অসহযোগ আন্দোলন
বাংলা ভাষা আন্দোলন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
ফারাক্কা লং মার্চ
শিক্ষা
দারুল উলুম দেওবন্দ
শিক্ষক
আব্দুল বারী চিশতী
অন্য নাম
দ্য রেড মাওলানা, মাওলানা ভাসানী
মুসলিম নেতা
এর শিষ্য
সাইয়্যেদ নাসির আদ-দ্বীন আল-বাগদাদি
যার দ্বারা প্রভাবিত
আরবি নাম
ব্যক্তিগত (ইসম)
আব্দুল হামিদ
عبد الحميد
পৈত্রিক (নাসাব)
ইবনে শারাফাত ইবনে কারামাত আলী খান
إبن شرافة بن كرامة علي خان
উপাধি (লাক্বাব)
মজলুম জননেতা
مظلوم جننيتا
স্থানীয় (নিসবা)
আল-ভাসানী
الباشاني

08/19/2024

❝বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন ভন্ড স্বৈরাশাসক ❞

১৯৭৪, ঢাকা।

শেখ মুজিবের শাসন কাল।

অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক জন পিলজার একটা মেয়ের আঙুল ধরলেন। মানুষ তো জন্মের পর বড় হয়, তার মনে হলো, এই মেয়েটা জন্মের পর বড় হয়নি। বরং দিনদিন আরো ছোট হতে হতে মায়ের পেটের সাইজে ফিরে গেছে।

হাজার হাজার মহিলা অর্ধনগ্ন। বাংলাদেশের মতো কনজার্ভেটিভ একটা দেশে মেয়েদের গায়ের পোশাক কই? শুনলেন, এসব মানুষ খাবার কিনে খাওয়ার জন্য নিজের গায়ের কাপড় পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছে।

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মীরা ব্যস্ততার ঠেলায় চোখে দেখছেন না। আগে যেখানে কয়েকটা লাশ তাদের কুড়াতে হতো, এখন কুড়াতে হচ্ছে ৬০০। সবটাই অনাহারে মৃত্যু।

গায়ের কাপড় বিক্রি করে খাবার কিনে খেয়েছিলেন বাসন্তী। এরপর জাল দিয়ে জড়িয়ে নিজের লজ্জা নিবারণের চেষ্টা করলেন। সেই ছবি প্রকাশ হলো দৈনিক ইত্তেফাকে।

মানুষ ঘাস খেতে শুরু করলো।

কবি রফিক আজাদ লিখলেন, ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাবো।

যতটুকু যা সাহায্য আসতো, সব লুট করে ফেলতো আওয়ামীলীগের লোকজন। ফলাফল হলো, কোন দেশ সাহায্যও করতে চাইতো না আর।

মুজিব এসময় ঢং করে করে সবাই পেয়েছে সোনৃর খনি আমি পেলাম চোরের খনি টাইপের কথা বলার চেষ্টা করেন। তার মেয়ের মতোই ভিক্টিম কার্ড খেলার চেষ্টা করলেন। যাতে সবাই তাকে দোষী না ভেবে দোষী ভাবে অন্যান্য লোকজনকে।

কিন্তু সোনার খনি আসলে কোথায় ছিলো জানেন?

মুজিবের বাসায়। গণভবনে।

১৯৭৪ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত যে দেশের মহিলারা পরনের কাপড় বিক্রি করে ভাত কিনে খেলো, সেই দেশেই মুজিবের দুই ছেলের বিবাহ হলো সোনার মুকুট পরে।

না না। মেটাফোরিক না। আসলেই মুজিবের দুই ছেলে শেখ কামাল আর শেখ জামালের মাথায় সোনার মুকুট ছিলো।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর হুমায়ূন আহমেদ কী লিখেছেন, মনে আছে?

জিয়া মানুষটা সৎ ছিলেন। লোক দেখানো সৎ না। সত্যি সত্যি সৎ। মৃত্যুর পর সম্পদের খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল, জিয়া তাঁর পরিবারের জন্য কোন অর্থ সম্পদ রেখে যান নাই।

হুমায়ূন আহমেদ এখানে জিয়ার কথা বললেও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরের কথা এড়িয়ে গেছেন।

শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর তাঁর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিলো ৫০৩ ভরি সোনা। আর ৪ হাজার ভরি রূপা।
নগদ টাকা তো ছিলোই।

শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর জিয়াউর রহমান এই ৫০৩ ভরি সোনাই শেখ হাসিনার হাতে বুঝিয়ে দেন। শেখ হাসিনাও বুঝিয়া পাইলাম সাইন করে ৫০৩ ভরি সোনা আর ৪ হাজার ভরি রূপা বুঝে নেন জিয়াউর রহমানের কাছে থেকে।

শেখ মুজিবের সেই সময়কার বক্তব্য অনেকেই শেয়ার দেন। সবাই পেল সোনার খনি, আমি পেলাম চোরের খনি টাইপের চটুল বক্তব্য। শুনে অনেকেই গলে যান।

অথচ মুজিবও সোনার খনিই পেয়েছিলেন।

না হলে যেই সময়টাতে এই দেশের লাখ লাখ নারী তাদের পরনের কাপড় বিক্রি করে চাল কিনছেন, রংপুরের কবি রফিক আজাদ লিখলেন, ভাত দে হারামাজাদা, নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো।

ঐ সময় এই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসায় সোনার খনি কই থেকে আসে?

সময়টা ১৯৭৪রংপুরের বাসন্তী নামের এই নারীর ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। যেখানে বাসন্তী কে খাবার ও বস্ত্রের অভাবে ছেড়া জাল পড়ে থ...
08/18/2024

সময়টা ১৯৭৪
রংপুরের বাসন্তী নামের এই নারীর ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। যেখানে বাসন্তী কে খাবার ও বস্ত্রের অভাবে ছেড়া জাল পড়ে থাকতে হয়

কারো জানার থাকলে গুগল করতে পারেন

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটকচুয়াডাঙ্গা  (১৮-০৮-২০২৪): অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সম...
08/18/2024

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটক

চুয়াডাঙ্গা (১৮-০৮-২০২৪): অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় ফজলুল হক (৩৭) ও বুলবুল আহমেদ (৪০) নামে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন- ফজলুল হক রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার খাজুরা গ্রামের মনির হকের ছেলে ও কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার কাজিহাটা গ্রামের আশরাফুল আহমেদের ছেলে বুলবুল আহমেদ।

বিজিবি জানায়, রোববার দুপুরে দর্শনা সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইল পিলারের পাশ দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল এ দু'জন। এ সময় বিজিবির টহল দলের কাছে ধরা তারা পড়ে।

এ সময় তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা সবচে বেশি অহংকার করতো, "শেখ হাসিনা পালায় না।" কথাটা নিয়ে। আর তাচ্ছিল্য করতো তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দল পরি...
08/18/2024

শেখ হাসিনা সবচে বেশি অহংকার করতো, "শেখ হাসিনা পালায় না।" কথাটা নিয়ে। আর তাচ্ছিল্য করতো তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দল পরিচালনা করা নিয়ে।

নিয়তির কী নির্মম পরিহাস, শেখ হাসিনা নিজেও আজ পলাতক। তার ছেলে এখন বিদেশ থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে দল চালাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদেরের অহংকারটা ছিলো আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে।

তাচ্ছিল্য করতেন বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। মাঠে নামতে পারে না।

সেই ওবায়দুল কাদের নিজেও শুনেছি পালাতে যাইয়া ধরা খেয়ে কোন এক ক্যান্টনমেন্টে আছেন। সংগঠন তারে বাঁচাতে পারে নাই।

আনিসুল হকের একটা চেম্বার ছিলো। আপনার নামে যে মামলাই হোক, উনার চেম্বার যাইয়া টাকা দিয়ে আসলেই আপনার প্রবলেম সলভ।

সেই আনিসুল হক এখন জেলে আছেন। রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আইন বিভাগের একচ্ছত্র অধিপতি এই লোকটাকেও আইন কোন হেল্প করতে পারতেছে না।

অহংকার জিনিসটার সবচে বড় সৌন্দর্য কী জানেন? সব পাপের শাস্তি আখিরাতে হলেও অহংকারের শাস্তিটা হয় দুনিয়াতেই।

এন্ড এক্সাক্টলি যেই জিনিসটা নিয়ে আপনি সবচে বেশি অহংকার করবেন না? সেই জিনিসটা দিয়েই আপনাকে সবচে বেশি লজ্জিত করা হবে।

আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে সবচে বড় অহংকারের নাম ছিলো শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা সব পারে, সব ম্যানেজ করতে পারে টাইপ কথাবার্তা তো শুনেছেনই। সেই শেখ হাসিনাই এখন আওয়ামীলীগের কাছে সবচে বড় লজ্জা।

দেশের মানুষ তো দূরের কথা, ইভেন নিজের একটা নেতাকর্মীর কথাও না ভেবে পালাইয়া গেছেন।

শেখ হাসিনার আরো একটা অহংকার ছিলো তার বাবা। বাবাকে বড় করতে যাইয়া জিয়াকে রাজাকার বলেছেন, খালেদা জিয়ার ক্যারেক্টার নিয়েও ইভেন কথা বলেছেন।

বাট শেষে কী হলো?

মানুষ এখন মুজিবের কুকীর্তী আর হাসিনার চরিত্র নিয়েই কথা বলতেছে।

এক মহিলা টিভিতে নিজের নাম বলেননি কারণ তার নাম হাসিনা।

নিজেকে ১৫ বছর ধরে হাসিনা খোদা বানানোর চেষ্টা করে গেছেন, সেই হাসিনাকে জাস্ট ২ ঘন্টার মধ্যে আল্লাহ তাআলা শয়তান বানিয়ে ফেলেছেন।

যে শেখ মুজিব ৫ আগস্ট সকাল থেকেও দেবতার আসনে, সেই শেখ মুজিবকে এখন তুলনা করা হচ্ছে ইবলিসের সাথে। ক্যান ইউ ইমাজিন?

অহংকারের এমন করুণ পতন দেখতে পারাটাও কিন্তু একটা নিয়ামত।

ফেরাউন দেখার পর যেমন চাইলেও আরেকজন ফেরাউন হওয়া কঠিন।

তেমনি হাসিনা আর মুজিবের এই করুণ পরিণতি আশা করি আমাদেরকেও আরেকজন হাসিনা হওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে।

মুসলিম লীগ কি কি ভুল করেছিল তার একটা হিসাব নিলেই আমাদের পক্ষে সাবধান হওয়া সহজ হবে বলে নিম্নে আমার জ্ঞানবুদ্ধিমত মুসলিম ল...
08/18/2024

মুসলিম লীগ কি কি ভুল করেছিল তার একটা হিসাব নিলেই আমাদের পক্ষে সাবধান হওয়া সহজ হবে বলে নিম্নে আমার জ্ঞানবুদ্ধিমত মুসলিম লীগের ভুলগুলি একে একে বলছি।
প্রথমত : ক্ষমতা তাদের মাথা গুলিয়ে দিয়েছিল। তার প্রমাণ পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে চার কোটি লোকের মতামত না নিয়ে মুসলিম লীগ করাচীতে রাজধানী নিয়ে গেল, উর্দু রাষ্ট্রভাষা হবে বলে ঘোষণা করলো এবং সর্বোপরি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থ ও চাকুরি বণ্টনে বৈষম্যমূলক নীতি অনুসরণ করে চললো।
দ্বিতীয়ত : তাঁরা ব্যক্তিগত বা দলগত স্বার্থরক্ষার জন্য রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে আনলেন। নিছক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে যার জন্ম সেই মুসলিম লীগের দোষ ত্রুটির ন্যায্য সমালোচনাকে তাঁরা ইসলাম বিরোধিতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা প্রভৃতি আখ্যায় আখ্যায়িত করে জনমনে একটি ত্রাসের সঞ্চার করবার প্রচেষ্টায় মত্ত হলো।
তৃতীয়ত : মুসলিম লীগ নেতাদের অধিকাংশের ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামের কোন অনুশাসন রক্ষিত হওয়ার নামমাত্র চিহ্ন পরিলক্ষিত না হলেও, তাঁরা রাজনৈতিক সভা-সমিতিকে প্রধানত ধর্মমূলক ওয়াজ-নসীহতের জলসায় পরিণত করলেন।
চতুর্থত : মুসলমানের আল্লাহ্‌ এক, ধর্ম এক, রসুল এক এবং কেতাব এক এই যুক্তিতে রাজনৈতিক দলও হবে এক বলে প্রচার চালালেন তাঁরা। একই যুক্তিতে তাঁরা বলে যেতে লাগলেন- বিরোধী দলমাত্রই রাষ্ট্রদ্রোহী।
পঞ্চমত : মুসলিম লীগের কর্ণধারগণ পাকিস্তানকে তাদের ব্যক্তিগত জমিদারী মনে করে নিজেদের ব্যাঙ্ক-ব্যালেন্স এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি-বৃদ্ধির জন্য স্বজনপ্রীতিতে গা ভাসিয়ে দিলেন। এ অবস্থা যখন সরকারী কর্মচারিগণের চোখে ধরা পড়লো তখন তাদের অনেকে সম্পদ লুণ্ঠনের কার্য্যে অবতীর্ণ হলেন।
[কাগমারীতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে মওলানা ভাসানী, (৫-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭); সূত্রঃ আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষণ ও বিবৃতি]

মওলানার টুপিওয়ালা উঁচু মাথাটি যেনএক হারিয়ে যাওয়া পর্বতের স্মৃতি। আমি এই পর্বতের পাশে মাঝে মধ্যে যেতামস্নিগ্ধ, যেন নিজের ...
08/18/2024

মওলানার টুপিওয়ালা উঁচু মাথাটি যেন
এক হারিয়ে যাওয়া পর্বতের স্মৃতি।
আমি এই পর্বতের পাশে মাঝে মধ্যে যেতাম
স্নিগ্ধ, যেন নিজের মধ্যে সমাহিত এক বাতাসের ফুৎকার।
বলতেন, কবিতা দিয়ে কি হবে? আগে চাই স্বাধীনতা
তারপর ভাতকাপড়।
স্বাধীনতা আর ভাত কাপড়ের পর আপনার আর কী চাই মওলানা?
নিরুত্তর মওলানা আমার বোনের রেঁধে দেওয়া গলদা চিংড়ির
মালাইকারীর পেয়ালা উবুড় করে ঢেলে নিতেন পাতে
প্রাচীন অজগরের মতো নিঃশব্দ আহার
আহারের পর দাঁত আর দাড়িতে খেলাল।

বলুন এখন, এ অবস্থার মানুষের আর কি চাই—
—না, এবার তুমি আমাকে যা খুশি শোনাতে পারো
এমনকি তোমার ডায়রিটা খুলে
আবোল-তাবোল যা খুশি।

আমার খাতাটি খোলার আগেই তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন।
যেন রহস্যময় দূরাগত ভাঙনের শব্দ তার নাক দিয়ে
উপচে পড়ছে।
আর এক ঘুমন্ত পর্বতের পাশে
আমার পাণ্ডুলিপির সমস্ত শব্দমালা ফরফর করে
ফড়িংয়ের মতো ওড়াওড়ি করলো।

—মওলানা ভাসানীর স্মৃতি : আল মাহমুদ, শ্রেষ্ঠ কবিতা (২য় সংস্করণ), প্রকাশক আদর্শ, বইমেলা ২০১২।

ভাসানীর পায়ে ধরে সালাম করছেন বঙ্গবন্ধু। উপরেই ভালো ছিলো ভিতরে ছিলো ক্ষমতার লোভ অহংকার।
08/18/2024

ভাসানীর পায়ে ধরে সালাম করছেন বঙ্গবন্ধু। উপরেই ভালো ছিলো ভিতরে ছিলো ক্ষমতার লোভ অহংকার।

এই দেশের রত্ন হিরার টুকরা, যাদের বিনিময়ে এদেশে আছি অথচ আওয়ামীলীগ তাদের কে ইতিহাস মুছে দিয়ে বঙ্গবন্ধু নামটা ইতিহাসে রেখে ...
08/18/2024

এই দেশের রত্ন হিরার টুকরা, যাদের বিনিময়ে এদেশে আছি অথচ আওয়ামীলীগ তাদের কে ইতিহাস মুছে দিয়ে বঙ্গবন্ধু নামটা ইতিহাসে রেখে দিলো।যারা এই অখন্ড ভারতের জন্য লড়াই করে গেছে।
~শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক

মওলানা ভাসানী ও তার রাজনীতি১৯৪৭ সালের পরপরই পাকিস্তান রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক চেহারা প্রকাশ পেতে দেরি হয়নি। ধর্মীয় পরিচয়ে...
08/18/2024

মওলানা ভাসানী ও তার রাজনীতি

১৯৪৭ সালের পরপরই পাকিস্তান রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক চেহারা প্রকাশ পেতে দেরি হয়নি। ধর্মীয় পরিচয়ে রাষ্ট্রের জন্ম হলেও পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমান জনগোষ্ঠীর প্রতি কোনো সুবিচার করেনি পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি। জনগণের ভাষা, স্বায়ত্তশাসন, ভোটাধিকার ও অর্থনৈতিক প্রগতির প্রশ্নে শুরু থেকেই শাসকরা উদাসীন ছিল। রাষ্ট্রের নীতি প্রণয়নের সময় তারা গণতান্ত্রিক আচরণের কোনো পরোয়া করেনি। মুসলিম লীগকে জনগণের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পূর্ব বাংলার নেতা-কর্মীরা উদ্যোগ নিয়ে কায়েমি স্বার্থের কারণে ব্যর্থ হয়েছিলেন। নতুন রাষ্ট্রে নতুন ভাবনাচিন্তা থেকে সংগঠনকে সম্প্রসারিত করতে নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সংগঠনের গণভিত্তি দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন না। বরং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিত্তশালী ও সামন্তবাদী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।

মুসলিম লীগের গণবিরোধী চেহারা প্রকাশিত হলে ১৯৪৯ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে দেশে প্রথম বিরোধী রাজনীতি শুরু হয়। যে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিরোধিতা করার কাজটি সহজ ছিল না সে সময়। কিন্তু ভাসানী তা সম্ভব করেছিলেন। আসামে থাকাকালীন তিনি প্রাদেশিক সরকারের তরফ থেকে নানা বাধা পেয়েও রাজনৈতিক কাজ করে সফলতা পেয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে লাইন প্রথার বিরুদ্ধে বাঙালি কৃষকের সংগ্রাম যেমন সফল হয়েছিল তেমনিভাবে আসাম মুসলিম লীগ সংগঠিত হয়েছিল। সংগঠন ও সংগ্রাম, উভয় ক্ষেত্রে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা তাকে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাহস জুগিয়েছিল।

আবদুল হামিদ খানের নামের শেষে ‘ভাসানী’ পদবি কুড়িয়ে পাওয়া কোনো নাম নয়। ‘ভাসানী’ তার আসল নামের অংশও ছিল না। বাংলাদেশের কয়েকজন নেতার নামের সঙ্গে উপাধি হিসেবে কিছু শব্দ জড়িয়ে আছে। এ কে ফজলুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি করতে গিয়ে যথাক্রমে শেরেবাংলা ও বঙ্গবন্ধু উপাধি অর্জন করেছিলেন। আসামের ‘ভাসান’ চর থেকে ভাসানীর সংগ্রাম শুরুর সময় শব্দটা তার আসল নামের থেকে বড় হয়ে উঠেছিল। তার আরেকটা পদবি ‘মজলুম জননেতা’। শুধু তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের জন্যই নয়, বরং কৃষক-শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষের সামনে থেকে তাদের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে এই উপাধি তাকে দেয়া হয়েছে।

সমগ্র জীবনে মওলানা ভাসানী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেননি। তিনি জানতেন যে মানুষের সংগ্রামী চেতনা তাদের অধিকার আদায়ে একমাত্র অস্ত্র হতে পারে। এই উপলব্ধি তাকে পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা থেকে আলাদা করেছিল। আয়ুব খানের ডাকা গোলটেবিল বৈঠক সেই সময়ে মানুষের সংগ্রামকে ভুল পথে চালিত করতে পারে বুঝতে পেরে তিনি সেই বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভাসানীর ধারণাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল। গোলটেবিল আলোচনা থেকে কোনো ফল আসেনি। বরং এক সামরিক স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতা নতুন সামরিক স্বৈরাচারী শাসক ইয়াহিয়া খানের হাতে হস্তান্তরিত হয়েছিল।

ভাসানী তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এক মক্তবের শিক্ষক হিসেবে। তিনি মক্তবের শিক্ষক হিসেবে ঝামেলামুক্ত সুন্দর জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে আমৃত্যু এক সংগ্রামীর জীবনযাপন করে গেলেন। প্রথমে আসাম এবং পরে পূর্ব বাংলা ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে তার মধ্যেই কাটিয়ে দিতে পারতেন তার সময়। কিন্তু তিনি তার জীবন শুরুই করেছিলেন পুঁজিবাদবিরোধী হিসেবে। তাই সেই মানুষের কাছে সাধারণ আটপৌড়ে জীবন কখনোই কাম্য হতে পারে না।

১৯৪৭ সালের পরপরই পাকিস্তান রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক চেহারা প্রকাশ পেতে দেরি হয়নি। ধর্মীয় পরিচয়ে রাষ্ট্রের জন্ম হলেও পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমান জনগোষ্ঠীর প্রতি কোনো সুবিচার করেনি পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি। জনগণের ভাষা, স্বায়ত্তশাসন, ভোটাধিকার ও অর্থনৈতিক প্রগতির প্রশ্নে শুরু থেকেই শাসকরা উদাসীন ছিল। রাষ্ট্রের নীতি প্রণয়নের সময় তারা গণতান্ত্রিক আচরণের কোনো পরোয়া করেনি। মুসলিম লীগকে জনগণের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পূর্ব বাংলার নেতা-কর্মীরা উদ্যোগ নিয়ে কায়েমি স্বার্থের কারণে ব্যর্থ হয়েছিলেন। নতুন রাষ্ট্রে নতুন ভাবনাচিন্তা থেকে সংগঠনকে সম্প্রসারিত করতে নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সংগঠনের গণভিত্তি দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন না। বরং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিত্তশালী ও সামন্তবাদী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।

মুসলিম লীগের গণবিরোধী চেহারা প্রকাশিত হলে ১৯৪৯ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে দেশে প্রথম বিরোধী রাজনীতি শুরু হয়। যে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিরোধিতা করার কাজটি সহজ ছিল না সে সময়। কিন্তু ভাসানী তা সম্ভব করেছিলেন। আসামে থাকাকালীন তিনি প্রাদেশিক সরকারের তরফ থেকে নানা বাধা পেয়েও রাজনৈতিক কাজ করে সফলতা পেয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে লাইন প্রথার বিরুদ্ধে বাঙালি কৃষকের সংগ্রাম যেমন সফল হয়েছিল তেমনিভাবে আসাম মুসলিম লীগ সংগঠিত হয়েছিল। সংগঠন ও সংগ্রাম, উভয় ক্ষেত্রে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা তাকে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাহস জুগিয়েছিল।

আবদুল হামিদ খানের নামের শেষে ‘ভাসানী’ পদবি কুড়িয়ে পাওয়া কোনো নাম নয়। ‘ভাসানী’ তার আসল নামের অংশও ছিল না। বাংলাদেশের কয়েকজন নেতার নামের সঙ্গে উপাধি হিসেবে কিছু শব্দ জড়িয়ে আছে। এ কে ফজলুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি করতে গিয়ে যথাক্রমে শেরেবাংলা ও বঙ্গবন্ধু উপাধি অর্জন করেছিলেন। আসামের ‘ভাসান’ চর থেকে ভাসানীর সংগ্রাম শুরুর সময় শব্দটা তার আসল নামের থেকে বড় হয়ে উঠেছিল। তার আরেকটা পদবি ‘মজলুম জননেতা’। শুধু তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের জন্যই নয়, বরং কৃষক-শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষের সামনে থেকে তাদের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে এই উপাধি তাকে দেয়া হয়েছে।

সমগ্র জীবনে মওলানা ভাসানী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেননি। তিনি জানতেন যে মানুষের সংগ্রামী চেতনা তাদের অধিকার আদায়ে একমাত্র অস্ত্র হতে পারে। এই উপলব্ধি তাকে পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা থেকে আলাদা করেছিল। আয়ুব খানের ডাকা গোলটেবিল বৈঠক সেই সময়ে মানুষের সংগ্রামকে ভুল পথে চালিত করতে পারে বুঝতে পেরে তিনি সেই বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভাসানীর ধারণাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল। গোলটেবিল আলোচনা থেকে কোনো ফল আসেনি। বরং এক সামরিক স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতা নতুন সামরিক স্বৈরাচারী শাসক ইয়াহিয়া খানের হাতে হস্তান্তরিত হয়েছিল।

ভাসানী তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এক মক্তবের শিক্ষক হিসেবে। তিনি মক্তবের শিক্ষক হিসেবে ঝামেলামুক্ত সুন্দর জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে আমৃত্যু এক সংগ্রামীর জীবনযাপন করে গেলেন। প্রথমে আসাম এবং পরে পূর্ব বাংলা ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে তার মধ্যেই কাটিয়ে দিতে পারতেন তার সময়। কিন্তু তিনি তার জীবন শুরুই করেছিলেন পুঁজিবাদবিরোধী হিসেবে। তাই সেই মানুষের কাছে সাধারণ আটপৌড়ে জীবন কখনোই কাম্য হতে পারে না।

উল্লেখ করা দরকার, নিতান্ত পেশাগত কারণে মওলানা ভাসানী প্রথমে আসামে গেলেও কালক্রমে বাঙালি কৃষকদের অধিকারের পক্ষে তাদের সংগঠিত করতে গিয়ে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে উঠলেন। তার কোনো রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু ছিল না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা তাকে রাজনীতি শিক্ষা দিয়েছিল। একজন ভূমিহীন কৃষকের সন্তান হিসেবে তার পক্ষে কৃষকদের দৈনন্দিন জীবনের কষ্ট বোঝা খুবই স্বাভাবিক ছিল। তাই আসামে গিয়ে কৃষকদের সংগঠিত করে যে রাজনীতি শুরু করলেন তা পাকিস্তান যুগেও অব্যাহত রেখেছিলেন। কৃষকদের বাইরে অন্যান্য শ্রমজীবীর সঙ্গে তার ওঠা-বসা ছিল। তাদের রাজনীতি তাকে আকৃষ্ট করত। একসময় তিনি শ্রমিক সংগঠনে ভূমিকা রাখতে শুরু করলেন।

মুসলমান কৃষকদের কাছে মওলানা ভাসানীর ভাবমূর্তি ছিল এক ধর্মীয় নেতা, তথা পিরের। তাদের তিনি পানি পড়া দিতেন। তবে একই সঙ্গে তাদের চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শও দিতেন। এতে প্রমাণ হয় যে, তার পির পরিচয় থাকলেও তিনি নিজে পিরগিরিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। অধিকার আদায় করতে তাদের সংগঠনের ভেতর কাজ করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছিলেন। আসামে মুসলিম লীগের রাজনীতি তার হাতে সূত্রপাত হয়েছিল। কালক্রমে মুসলিম লীগকে এই অঞ্চলে সংগঠিত করার দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত হয়েছিল।

মওলানা ভাসানী সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদবিরোধী নেতা ছিলেন। এ কারণে নিজে কমিউনিস্ট না হয়েও কমিউনিস্টদের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি আওয়ামী লীগ গঠনে শীর্ষ নেতৃত্বের একজন হলেও রক্ষণশীল ও সাম্রাজ্যবাদের অনুগতদের সঙ্গে একই দলে থাকা অসম্ভব হওয়ায় তিনি প্রগতিশীল ও কমিউনিস্টদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কাগমারি সম্মেলনে ১৯৫৭ সালে তার দেয়া বক্তব্যে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদ অনুগত বিদেশনীতির সমালোচনা ছিল। ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি করার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যত কঠিন বাধা আসুক না কেন, আমি পাকিস্তানের জনগণের ভবিষ্যৎ কল্যাণের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির জন্য সংগ্রাম করে যাব’। কাগমারিতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিতর্কের ফলে দলে ভাঙন তৈরি হয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগের কমিউনিস্ট ও বামপন্থি কর্মীদের নিয়ে ন্যাপ গঠন করেছিলেন।

পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভেতর আঞ্চলিক বৈষম্যের বিষয়টি ভাসানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। ১৯৪৮ সালে ব্যবস্থাপক সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি পাট রপ্তানির টাকা থেকে পূর্ব বাংলাকে বঞ্চিত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন। তার সেই বক্তৃতায় তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, বাঙালিরা কি ‘গোলাম’ যে তাদের বঞ্চিত করা হবে? কাগমারি সম্মেলনে তিনি আঞ্চলিক বৈষম্যের প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, প্রয়োজনে বাঙালিরা পশ্চিম পাকিস্তানকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ জানাবে। তার এ উক্তির মধ্যে প্রয়োজনে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইঙ্গিত ছিল।

মওলানার রাজনৈতিক শত্রুরা তাকে ‘জ্বালাও-পোড়াও’ রাজনীতির প্রবর্তক বলেছেন। বিদেশি সাংবাদিকরা তাদের প্রতিবেদনে তাকে ‘প্রফেট অব ভায়োলেন্স’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি কি আদতে সহিংস নীতির পক্ষে ছিলেন? তার রাজনৈতিক সংগ্রামে কোনো আপস না করার নীতি তাকে এভাবে ভুল ব্যাখ্যা করার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের প্রাক্কালে কৃষকদের প্রতি হাট অবরোধ ও ঘেরাও করার আহ্বান-পরবর্তী সময়ের বিশাল আন্দোলনে ইন্ধন দিয়েছিল।

ভাসানী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারত সরকারের বাংলাদেশ নীতির কঠোর সমালোচক ছিলেন। গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য ভাগাভাগির দাবিতে তিনি অবিচল ছিলেন। মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগেও ফারাক্কা মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন একই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তাকে অনেকে ভারতবিরোধী বলে থাকেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনার প্রসঙ্গ উঠলে বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষ বিরোধিতাকারীদের সাম্প্রদায়িক ও ভারতবিরোধী বলতে কুণ্ঠিত হয় না।

মৃত্যুর পর ইতিহাসের পাতা থেকে মওলানা ভাসানীকে মুছে দেয়ার কিছু প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ভাসানী। অথচ সেই আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে না। মওলানা ভাসানীর রাজনীতির একসময়ের তরুণ সমর্থকদের একটা অংশ পরবর্তীকালে ক্ষমতাপ্রত্যাশী হয়ে তার আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এমনও লক্ষ করা যায় যে বিভিন্ন আলোচনা সভায় মওলানার রাজনীতির ইতিবাচক মূল্যায়নকারী বুদ্ধিজীবীরা বর্তমান রাষ্ট্রীয় কাঠামো টিকিয়ে রাখার উদ্যোগে শাসকদের ডাকে আলোচনায় সাড়া দেন!

লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদের সাবেক সভাপতি।

🗣️মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস 🌑এক নজরে দেখে নিন ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পর্যন্ত ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবল...
08/17/2024

🗣️মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস 🌑

এক নজরে দেখে নিন ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পর্যন্ত ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী।

১৯৪৭-১৯৭১: বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ পরিক্রমা
৩রা জুন , ১৯৪৭
ভারতে ব্রিটেনের সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নেতাদের সাথে এক বৈঠকে ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা সম্বলিত ‘হোয়াইট পেপার' বা 'শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করেন।

শ্বেতপত্রে ভারতবর্ষ বিভক্তির রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছিল। ওই বৈঠকে সব দলের নেতৃবৃন্দ পরিকল্পনা মেনে নেন।

~১৫ ই আগস্ট, ১৯৪৭

দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে দুইটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা হয়- ভারত এবং পাকিস্তান।

~করাচি, পাকিস্তান
১৭ ই আগস্ট, ১৯৪৭

মুসলিম লীগের প্রধান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হন, ১৭ই অগাস্ট পাকিস্তানের করাচিতে গভর্নর জেনারেল হিসেবে শপথ নেন।

ঢাকায় বিভিন্ন সড়কে সেদিন আতশবাজি পোড়ানো হয়েছিল,।

~৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭

পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগের পূর্ব পাকিস্তান সাংগঠনিক কমিটি তৈরি হয়।

কিন্তু পরে মুসলিম লীগের রাজনীতির বিপরীতে ক্রমে শক্তিশালী হতে থাকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি দল গঠনের আলোচনা, যার প্রেক্ষাপটে প্রথমে ছাত্রলীগ এবং পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়।

~ঢাকা
৪ঠা জানুয়ারি,১৯৪৮ সাল

ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে নতুন প্রতিষ্ঠিত দলের নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। ১৯৫৫ সালে এই নাম থেকে মুসলিম অংশটি বাদ দেয়া হয়েছিল।

~২৪শে মার্চ, ১৯৪৮ সাল

জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন ১২০০ কোটি টাকা দিয়ে কেনো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হইছে জান...
08/17/2024

জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন ১২০০ কোটি টাকা দিয়ে কেনো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হইছে জানলে আপনি চমকে উঠবেন ।

জিয়া আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের নতুন নাম করা হয়েছে হযরত শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর। আর্ন্তজাতিক নিয়ম অনুসারে সব বিমান

বন্দরকে সংকেতিক অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত নামে ডাকা হয়, পাইলটরাও নিজেদের
কথোপকথনে সেই কোড নেম ব্যবহার করেন।
নাম বদলের বিভিন্ন পোস্ট থেকে পাওয়া কিছু মজার তথ্য
কিরিটি রায় বলেছেন: Hazrat Shahjalal International Airport সংক্ষেপে
Hazrat = Ha , Shahjalal=S , International=In , Airport = A
অর্থাৎ কোড নেম = HASINA বাংলায় মানে হাসিনা ।
এবার আসুন পাইলটদের কথোপকথন শুনি
কন্ট্রোল টু ককপিট,

ইউ আর ক্লিয়ার টু ল্যান্ড অন হাসিনা।
কন্ট্রোল টু ককপিট, হাসিনা ইজ রেডি/ক্লিয়ার, ইউ আর অলসো

ক্লিয়ার টু এন্টার হাসিনা।

বৃষ্টির কারনে রানওয়ে ভেজা থাকলে পাইলট ও কন্ট্রোল এর

মধ্যে কথোপকথন শুনেন কন্ট্রোল টু ককপিট. প্লিজ এ্যপ্রোচ HASINA ফ্রম বিহাইন্ড, দ্যাট সাইড ইস ক্লিয়ার্ড ফর ইওর এ্যপ্রোচ। টু আদার ফ্লাইটস আর ।এ্যপ্রোচিং ফ্রম ফ্রন্ট। আনলোড এ্যস ফাস্ট এ্যস ইউ ক্যান এ্যন্ড ক্লিয়ার দা ওয়ে ফর দ্যা নেক্সট ফ্লাইট। ফোর আদার আর ওয়েটিং এ্যাট টুয়েনটি থাউসেন্ড ফিট এ্যান্ড উইল এ্যপ্রোচ এ্যাস সুন এ্যাস ইউ থ্রি ফিনিশড আনলোডিং।

আদার ফ্লাইটস হু আর ওয়েটিং, উই উইল বি ক্লোসিং HASINA ফর সাম

রেস্ট এ্যাস বোথ ফ্রন্ট এ্যান্ড রিয়ার রানওয়েস আর ওল্ড এ্যন্ড ক্যান নট

হ্যান্ডেল দিস মেনি এ্যপরোচেস ইন সাচ সর্ট টাইম। ইউ অল আর ডাইভার্টেড টু SAHARA (সাহারা) (ShAH Amanat Regional Airport or ShAH Amanat (RA.) airport ), বোথ ফ্রন্ট এ্যান্ড রিয়ার রানওয়েস সুড বি এ্যাভেইলেবল ফর এ্যপরোচ এ্যান্ড আনলোড।

আন্তর্জাতীক বিমানবন্দর হিসাবে জিয়া নামটা খুবই চমৎকার ছিল। কেননা বিমানবন্দরের নাম সংক্ষিপ্ত হওয়া ইটসেল্ফ এ্যা বেনিফিট।

আবার জিয়ার এই নাম পরিবর্তনে নাকি ১২০০ শত কোটি টাকা বাড়তি খরচ করতে হয়েছে যা দিয়ে দেশের সব কয়টি উপজেলা সহ প্রায় সারা দেশের সরকারী অফিসগুলোতে সোলার প্যানেল বসানো যেত। যেমন ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোলার পাওয়ার বসানো হয়েছে যাতে খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকা। সুতরাং বিমানবন্দরের নাম বদলের টাকা দিয়ে দেশের ১২০০ সরকারী অফিস সোলার সিস্টেমের আওতায় আনা যেত ।
সংগৃহীত

Address

West Bengal Rajshahi Siraj Gong
Atlanta, GA
6700

Telephone

+16785432178

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আবদুল হামিদ খান ভাসানী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আবদুল হামিদ খান ভাসানী:

Share

Category