20/08/2024
১ম পর্ব
আমি মেজর ডালিম বলছি
মেজর ডালিম
বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন
অসীম শ্রদ্ধা এবং প্রত্যয়ের সাথে এই ওয়েব সাইট বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের তাদেরকে
উৎসর্গ করলাম; যারা স্বাধীনতা, সত্য, ন্যায় এবং অধিকারের জন্য সংগ্রাম করার সাহস রাখবেন।
বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতার যুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছু লেখা হলেও পুরো সত্য এখনো উদঘাটিত
হয়নি। যারা প্রথম থেকেই ভারতীয় নীল নকশা সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং শেখ মুজিবের
বিরোধিতা করেছিলেন তাদের পক্ষে বিশ্বাস করা তেমন কঠিন ছিল না যে দেশের সার্বিক অবস্থা
ক্রমান্বয়ে চরম পরিণতির দিকেই ধাবিত হবে। কিন্ত যারা শেখ মুজিবের উপর অগাধ বিশ্বাস
রেখেছিলেন তাদের পক্ষে তেমনটি যে ঘটবেই সেটা মেনে নেয়া কিছুতেই সম্ভব ছিল না।
শেখ মুজিব সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন না। যে পদে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন সেটাও ছিল
অসাধারণ। সমভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টিও ছিল অত্যন্ত জটিল। সেদিক থেকে বিচার
করলে এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা প্রত্যেকটি ইস্যুই বিশদ বিশ্লেষনের দাবিদার।
আন্দোলনের সময় শেখ মুজিব ছিলেন অতি জনপ্রিয় একজন কাংখিত নেতা কিন্ত
স্বাধীনতান্তোরকালে তিনিই হয়ে উঠেন জনধিকৃত নিকৃষ্টতম এক স্বৈরাচারী শাসক। তার এই দুই
বিপরীত চরিত্রের মাঝে রয়েছে এক হারিয়ে যাওয়া যোগসূত্র। শেখ মুজিবের এই চারিত্রিক
দ্বৈততাকে এক সূত্রে বেরেছিল কোন একটি বিশেষ তাড়নায় -
রাজনীতি? আদর্শ? ভীতি? হীনমন্যতাঃ আত্মন্তরিতা? উচ্চাভিলাস? পাঠক বিষয়টিকে কিভাবে দেখবেন
তার উপরেই নির্ভর করবে এর জবাব। ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তগুলো & সমস্ত লোকদের জীবন
থেকে নেয়া যারা শুধুমাত্র নিষ্ক্রিয় নিরব দর্শক ছিলেন না। তারা সবাই ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে
প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা। তখনকার ঘটনাপ্রবাহ এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন
বাংলাদেশের রাজনাতির সাথেও তারা ছিলেন স্বাভাবক কারণে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে
জড়িত। তাই যুক্তি্গত কারণেই মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ সম্পর্কে কর্তৃত্বের সাথে কথা বলার অধিকার
রয়েছে তাদের। জনগণের একাংশের মাঝে & সমস্ত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যে অস্বচ্ছতা রয়েছে
তা দূর করার জন্য অনেক শ্রদ্ধেয়, পদস্থ, প্রতিষ্ঠিত এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বক্তব্য এবং মতামতও
এই ওয়েব সাইটে দেয়া হয়েছে। পাঠকের উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার অভিপ্রায়ে এই ওয়েব
সাইট প্রকাশ করা হয়নি। এর মূল লক্ষ্য হল পাঠকদের জন্য কিছু চিন্তার খোরাক যোগানো।
তখ্যবহুল ঘটনাসমূহের আলোকে তারা যেন সত্যকে খুঁজে নিতে পারেন।
যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি
পাকিস্তানের রাজনীতির পরিণাম -
স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং আমাদের সিদ্ধান্ত
জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের চুড়ান্ত পর্যায়েই শুরু হয়েছিল ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ
এ অঘটন এড়ানো সম্ভব ছিল।
পাকিস্তানের মত একটি বহুজাতিক দেশের জন্য শুরু থেকেই প্রয়োজন ছিল বিভিন্ন জাতিসত্বার
এলিট শ্রেণীর মধ্যে ব্রক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি কার্যকরী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ্ুক্যমত্যের
ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশল এবং পরিকল্পনা নির্ধারনের জন্য যে সহযোগিতা অতি আবশ্যক
ছিল তা নিশ্চিত করার জন্য নিম্মে বর্নিত বিষয়গুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা উচিত
ছিল জাতীয় পরিসরে :-
১, সব জাতীয় এলিট শ্রেণীর সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিত্বকারী সরকার কায়েম করা।
২. বিভিন্ন জাতিসত্বার মধ্যে ঁক্যমত্য এবং একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৩... সর্বক্ষেত্রে একতা ভিত্তিক সহজলভ্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
৪. জাতির লক্ষ্য এবং আশা-আকাগ্রা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন জাতিসত্বার এলিট শ্রেণীর
জনগণকে অনুপ্রানিত করার দায়িত্ব গ্রহণ করা।
যে কোন বিছিন্নবাদী প্রচেষ্টাকে অস্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়া; বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয়
এবং তা ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই।
৬... অর্থনৈতিক সুবিধাদি যাতে জনগণ পর্যন্ত পৌঁছে তা নিশ্চিত করা। আধুনিকীকরণ এবং
উন্নয়নের সুফল সমভাবে যাতে সব জাতিগোষ্ঠিই উপভোগ করতে পারে তার ব্যবস্থা
নিশ্চিত করা। জাতীয় এলিট শ্রেণীগুলো কর্তৃক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির জনগণের মাঝে
জাতীয় সম্পদ ও সুবিধাদির সুষম বন্টন নিশ্চিত করা।
এ ধরণের কৌশল এবং পরিকল্পনা সব সমস্যার সমাধান অবশ্যই ছিল না, কিন্ত এর
ফলে আশা করা যেত জাতায় রাজনোতক অবকাঠামোতে বর্জনের পরিবর্তে এঁক্যের
মাধ্যমে বহুজাতিক দেশের অখন্ডতা বজিয়ে রাখা।
ধারণা করা চলে, ন্যায্য অধিকার পাবার জন্য বিভিন্ন জাতিসত্বার জনগোষ্ঠি কিছুকাল হয়তো বা
প্রলম্বিত শিল্পায়নের পরিকল্পনা এবং স্তিমিত আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়াকেও মেনে নিত। যে কোন
ব্যক্তির পক্ষে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজে দরিদ্র হয়ে থাকাটা সহনীয় হয় তখনই যখন তার
পড়শীরা সমাজে অর্জিত ধন-সম্পদের বড়াই করার সুযোগ না পায়। একটি দেশ উন্নত হতে
পারে শুধুমাত্র শুক্যের ভিত্তিতে। বৈষম্য এবং বিভক্তি এক অথবা একাধিক জাতিগত রাষ্ট্রের জন্ম
দেয়। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠিরই হয় সমূহ ক্ষতি।
এ জন্যই বহুজাতিক একটি দেশের এলিট শ্রেণীদের ব্রক্যবদ্ধভাবে কাজ করা অপরিহার্য হয়ে
দাড়ায় শ্রেণী স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থ দু'টোই বজিয়ে রাখার জন্য। কোন এক বিশেষ পর্যায়ে
তারা অবশ্যই নিজ নিজ জাতি স্বার্থে একে অপরের সাথে দ্বন্দবে লিপ্ত হতে পারেন। কিন্ত
কোনক্রমেই তাদের একে অপরের সহ্যশক্তি ও বোঝাপড়ার ক্ষমতার প্রতি সন্দেহ পোষণ করা
উচিত নয়। তেমনটি হলে বিচ্ছিন্নবাদের বিপদসংকুল একতরফা রাস্তা অবশ্যই খুলে যাবে।
তথাকথিত ইসলাম ও ইসলামিক রাষ্ট্রের ধ্বজ্জাধারী পাঞ্জাবী-মোহাজের নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় সরকার
শুরু থেকেই বাঙ্গালীদের নিঃস্ব, হীনমনা এবং পশ্চাদমূথী জনগোষ্ঠি হিসাবে গন্য করে আসছিলেন।
তারা মনে করতেন বাঙ্গালী জনগোষ্ঠি পশ্চিম পাকিস্তানের উপর একটি বোবাস্বরূপ। তারা বিশ্বাস
করতেন পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদ এবং অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে বাঙ্গালীর জাতিগত চেতনা এবং
তাদের হিন্দুয়ানী মনোভাব সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
যাই হোক না কেন, এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে আইয়ুব খানের প্রণীত
অর্থনীতির ফলে পূর্ব পাকিস্তানে শিল্প উদ্যোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ₹ঁ সমস্ত
উদীয়মান শিল্প উদ্যোগীরা সরকারি মদদ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠা পশ্চিম পাকিস্তানী
শিল্পপতিদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ যারা
আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন তাদের সাথে হাত মেলান। সমস্তস বাঙ্গালী
শিল্পপতিরা ইস্পোর্ট লাইসেন্স এবং বৈদেশিক মুদ্রার কোটা বাড়াবার জন্য ৯ আন্দোলনকে কেন্দ্রের
উপর চাপ প্রয়োগকারী হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন। শেষ পর্যায়ে আঞ্চলিক
্বায়স্বশাসনের দাবি বাঙ্গালী জাতির বিভিন্ন শ্রেণীকে একক একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে উক্যবদ্ধ
করতে সক্ষম হয়। পশ্চিম পাকিস্তানী এলিট শাসক শ্রেণী অসঙ্গতভাবে তাদের বাঙ্গালী দোসরদের
হীনমন্য, পশ্চাদমূখী এবং হিন্দু মনোভাবাপন্ন বলে চিহিত করেন। এই ধরণের মনোভাব
বিচ্ছিন্নতাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তদপুরি শেখ মুজিবের বিচার
দেশের নাজুক শুঁক্যের উপর হানে চরম আঘাত। এখানে আবারও উল্লেখ করতে হয় মুজিবের ৬
দফায় কোন নতুন কিছু ছিল না। অতীতে বহুবার এ ধরণের দাবিসমূহ বাঙ্গালী সাংসদগন
কেন্দ্রীয় সংসদে উত্থাপন করেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্রে ঘোষণার সময়টি ছিল অতীব
গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘোষণাটি করা হয় এমন এক সময় যখন সারা দেশ জুড়ে এক জটিল রাজনৈতিক
সমস্যা বিরাজমান। দেশ জুড়ে জনগণ তখন আইয়ুব শাহীর নিষ্পেষন এবং স্বৈরাচারী শাসনের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে।
আইয়ুব শাহী আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণের কোন প্রচেষ্টাতো করেইনি বরং পাঞ্জাবী-মোহাজের
এলিট শ্রেণীর কায়েমী স্বার্থকে লালন করে তাদের আধিপত্যকে আরো সুসংহত করে তোলে।
সামরিক শাসনকালে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে বাঙ্গালীদের প্রতিনিধিত্ব একরকম ছিলনা বললেই চলে।
ষাটের দশকে যখন বাঙ্গালীদের ধৈর্যের বার্ধ প্রায় ভেঙ্গে পড়ছিল ঠিক তখনই পাকিস্তানের
কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠি কর্তৃক বাঙ্গালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিশ্বাসঘাতক এবং শক্রশক্তি ভারতের
দালাল হিসাবে আখ্যায়িত করার ফলে অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। বাংলাভাষী জনগণ যারা
্যার্থহীনভাবে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন তারা পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠির কাছ থেকে এ
ধরণের ব্যবহার কখনোই প্রত্যাশা করেনি। পাকিস্তানের সৃষ্টিতে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠি সবিশেষ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সত্যটিই অতি সহজে ভূলে গিয়েছিলেন পশ্চিমা শাসকগন।
যদিও বাহ্যিকভাবে মুজিবের দাবিগুলো ছিল চরম প্রকৃতির। পাকিস্তান তখনও ছিল অভিপ্রিয়
প্রতিটি বাঙ্গালীর কাছে। বাঙ্গালী জনগণ শুধু চেয়েছিল রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মত প্রকাশের
ন্যায্য অধিকার। তারা চেয়েছিল সাম্য ও সংহতির উপর একটি রাজনৈতিক কাঠামো।
তারা চাইছিল স্বৈরাচারী একনায়কত্বের পরিবর্তে একটি গণতান্ত্রিক সরকার। স্বৈরাচারী একনায়কন্ব
তাদের অতীতের হিন্দু আধিপত্য ও অত্যাচার এবং ওঁপনিবেশিক শোষণকেই জোরালোভাবে মনে
করিয়ে দিয়েছিল। এ থেকে এটাই পরিষ্কারভাবে বলা চলে, বাঙ্গালীরা সুচিন্তিত কতগুলো লক্ষ্যের
বাস্তবায়নের জন্যই মূলতঃ সংগ্রাম করছিল। কোন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করার জন্য নয়। এটা
জোর দিয়েই বলা চলে যে, আইয়ুব শাহীর পতনকালে পূর্ব পাকিস্তনের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াটা মোটেই
অবধারিত পরিণতি ছিল না। জাতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে বাঙ্গালীদের অংশদারিষ্বের
অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে ক্ষমতাধর শাসকচক্র বাঙ্গালী এলিট শ্রেণীকে জনগণের আন্দোলনের
প্রতিই ঠেলে দিয়েছিল এবং তাদের নৃতাস্বিক, সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত বৈষসম্যকে পূর্ন:জীবিত
করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে বাধ্য করেছিল জাতীয় এ্ঁক্যের বিরুদ্ধে। এ থেকে পরিশেষে এটাই
বলা চলে যে অসম উন্নয়নই বাধ্য করেছিল বাঙ্গালী এলিট শ্রেণীকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনগণের
সাথে প্রক্যবদ্ধ হতে এবং জাতায়তাবাদা চেতনার পারবতে বাঙ্গালাস্বকে উস্কে 1দতে।
বাঙ্গালীত্বের চেতনাই তখন আঠারমত বাঙ্গালী এলিট শ্রেণীকে জনগণের সাথে এক অটুট বন্ধনে
বের্েছিল। অসম উন্নয়ন, শোষণ, বঞ্চনা, এবং নৃতাত্বিক চেতনা & ধরণের লোভী জোঁক যা একে
অপরকে শুষে বেচে থাকে সেই সময় অব্দি যখন সশক্্র সংঘাত অথবা গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প
কোন পথই খোলা থাকে না। দুঃখজনক হলেও সত্য পাকিস্তানও ঠিক সেই সন্ধিষ্ষণে পৌঁছে
অপরিহার্য এক মহা বিপর্যয়ের অপেক্ষা করছিল ষাটের দশকের শেষে। অন্তিম অবস্থায় সামরিক
জান্তা রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান বন্দুকের জোরে করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরু হয় ২৫-২৬শে
মার্চ ১৯৭১ এর আর্মি ক্র্যাকভাউন। পাকিস্তান সেনা বাহিনী বাঙ্গালীদের আন্দোলন নস্যাৎ করার
জন্য বর্বরোচিত সশস্ত্র অভিযান শুরু করে সমগ্র বাঙ্গালী জাতির বিরুদ্ধে। এভাবেই অনিবার্য হয়ে
উঠে দেশ বিভক্তি।