06/01/2025
নিউইয়র্ক সিটির মতো পুরো নিউইয়র্ক স্টেট জুড়ে ঈদের দিনকে সরকারি ছুটির অন্তর্ভুক্ত করা সহ মোট ৯টি গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে সরব হয়েছে বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসি গ্রুপ (বাগ)। গত ২৭ মে, মঙ্গলবার আলবেনীতে অনুষ্ঠিত ১১তম মুসলিম অ্যাডভোকেসি লেজিসলেটিভ ডে-তে উত্থাপিত এই দাবিগুলো মুসলিম আমেরিকান সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস অব নিউ ইয়র্ক (কেয়ার)-এর সহ-আয়োজনে এই অ্যাডভোকেসি ডে অনুষ্ঠিত হয়। ৫০ জনেরও বেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের একটি প্রতিনিধি দল আলবেনিতে গিয়ে এই ঐতিহাসিক কার্যক্রমে অংশ নেয়। বাগের প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে এই দলে ছিলেন শাহানা মাসুম (সেক্রেটারি), ইঞ্জিনিয়ার রহিম (ট্রেজারার), মাহতাব খান (পার্লামেন্টারিয়ান), জুয়েল এম চৌধুরী (উপদেষ্টা), সাবুল উদ্দিন (বোর্ড সদস্য), দিলরুবা চৌধুরী, ও সামিরা নাজনীন। কমিউনিটি ব্যক্তিত্বদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মীর মাসুম আলী, শরফুদ্দিন চিশতী, ড. রফিকুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অব.) মোসাব্বির মিয়া, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক ফয়সাল আলম, হোম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এডমি রহিম, এমডি আলম, এমডি ফিরোজ, নাজরীন সুলতানা, নীলীমা বারী, ও শিরীন আক্তার রাখী। এবারের অ্যাডভোকেসি ডের আয়োজক ছিলেন অ্যাসেম্বলি মেম্বার জোহরান মামদানি, চার্লস ফলস, স্টেট সেনেটর জেসিকা রামোস, রবার্ট জ্যাকসন, ডেভিড ওয়েপরিন এবং অ্যাসেম্বলি মেম্বার ফারা ফরেস্ট।
মূল দাবিগুলো হলো:
নিউইয়র্ক সিটির মতো পুরো নিউইয়র্ক স্টেট জুড়ে ঈদের দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা, যার মধ্যে সব স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নিউইয়র্ক মুসলিম আমেরিকান এডভোকেসি কাউন্সিল গঠন করা।
স্কুল ও কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতা রক্ষা নিশ্চিত করা।
বন্দীদের ন্যায্য ও সাংবিধানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক ডিগনিটি নট ডিটেনশন অ্যাক্ট প্রস্তাব করা।
স্কুলে ধর্মীয় বৈষম্য দূর করতে প্রোটেকশন ফ্রম রিলিজিয়াস ডিসক্রিমিনিশন ইন স্কুল বিল প্রতিষ্ঠা করা এবং আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন করে শিক্ষায় সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা (বিশেষ করে মধ্য ও উত্তর আফ্রিকানদের)।
ব্যাংকিং খাতে ধর্মীয় বৈষম্য দূর করতে বিল অব রাইটস প্রতিষ্ঠা করা।
এছাড়াও, স্মল হোম ওনারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে, যা ভবিষ্যতে বিল আকারে উত্থাপনের চেষ্টা চলছে।