09/24/2025
‘উলামা আস-সু’ সম্পর্কে বলতে গেলে, যখন তাদের শাসকেরা শক্তি অর্জন করে ও মানুষের উপর জুলুম করে, তারা তাদের আনুগত্য করার জন্য এবং তাদের অবাধ্য না হতে এবং তাদের বিরুদ্ধে জি/হা/দ না করতে ফাতওয়া প্রকাশ করে! অথচ তাদের এসকল শাসকেরা যতই কুফর, অত্যাচার, ভ্রান্তি ও দুর্নীতি ছড়াক না কেন এসব কিছুই না!
অতঃপর উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে যখন উম্মাহর সন্তানেরা এই জুলুমের মোকাবেলায় এগিয়ে আসেন, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে বিধানের দিকে আহ্বান করেন, তখন এসকল ‘উলামা আস-সু’ -দের রক্ত গরম হয়, তারা রাগে ফুঁসে ওঠে, তখন তারা তাদের পাকস্থলী থেকে বমি উদগিরণ করে ও ফাতওয়া প্রকাশ করে উম্মাহর সন্তানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ট্যাগিং, বিরোধিতা ও তাদেরকে ফিতনাহ হিসেবে আখ্যায়িত করে! অন্যদের আহ্বান করে, তাদের বর্জন করার জন্য ও তাদের মূল উৎপাটন করার জন্য!
অত্থচ মুসলিমদের রক্তের মূল্য, তাদের প্রতি ধ্বংসযজ্ঞ এক্ষেত্রে যেন কোন ব্যপারই না! এক্ষেত্রে তারা অনুমতি দেয় – এমনকি জোড়ালোভাবে সুপারিশ করে – এই ব্যাপারে কা/ফি/র/দের থেকে সাহায্য নেয়ার জন্য।
তদুপরি জালিমরা যখন মুসলিমদের হত্যা, অত্যাচার, ধ্বংস ও অত্যাচার যাই করুন না কেন, এই নামধারী আলিম নামক দরবারের দালালরা এই সম্পর্কে অন্ধ, বোবা ও বধির। এক্ষেত্রে কোন ফাতওয়া, নিন্দা ও সমালোচনা নেই!
অপরদিকে উম্মাহর সন্তানগণ যখনই জালিমদের আগ্রাসন প্রতিরোধ করে, তখন এসকল জ্ঞানের গর্দভরা চেঁচামেচি শুরু করে, কোন প্রকার লজ্জা ছাড়াই তারা এর বিরুদ্ধে সবাইকে জড়ো করে, তারা এর নিন্দা জানায়, সমালোচনা করে, কা/ফি/র-মু/র/তা/দ/দের প্রতি সমবেদনা জানায়, দুঃখ প্রকাশ করে ও বিলাপ করতে থাকে!
অথচ তাদের মনিব তা/ও/য়া/গ্বি/ত শাসকেরা ইসলাম ভঙ্গকারী কোন একটি কারণও তারা বাদ রাখেনি, বরং সবগুলো সম্পাদন করেছে আর ইল্মের সাথে খিয়ানতকারী এসকল আলিমরা তাদের রক্ষা করতে কোন একটি “প্রমাণও”বাদ রাখেনি, বস্তুত তারা সেগুলোর অর্থ পরিবর্তন করেছে, সেগুলোর রূপ বদলে দিয়েছে এবং বিকৃত করেছে!
আল্লাহর মুখলিস মু/জা/হি/দ বান্দাগণ যখনই শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, হারানো গৌরব খিলাফাহ পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলেন, আল্লাহর বিধান অনুযায়ী শাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেন অথবা অন্যদেরকে এর আহ্বান করেন তখনই এই দরবারী আলিমরা তাদের ভুল খুঁজে পায়, তাদেরকে কখনো ‘মানহাজী’ কখনো ‘খারেজী’ কিংবা ‘দায়েশী’ -ইত্যাদি ট্যাগিং দিয়ে গালাগালি করে, তাদের নিন্দা করে ও আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে সরিয়ে রাখার জন্য তারা নানা ধরণের সন্দেহ ছড়িয়ে দেয়।
এসকল ইল্মের গর্দভরা শব্দের অর্থ বদলে দিয়েছে এবং সত্যকে মিথ্যা দ্বারা পরিবর্তন করেছে। ইসলামের রহমতকে তারা কু/ফ/ফা/র, তা/ও/য়া/গ্বি/ত ও মু/শ/রি/কি/ন/দের সাথে মিত্রতা করা বানিয়েছে! মুসলিম ভূমির অভ্যন্তরে ঘাঁটি-পাতা আক্রমণকারী শত্রুদেরকে তারা আহলুদ-দিম্মাহ (যাদের চুক্তিভিত্তিক সুরক্ষা দেওয়া হয়) ও শরণার্থী বানিয়েছে! তারা শি/র/ক ও কু/ফ/রি/র গণতন্ত্রকে শু’রার একটি বৈধ পন্থা বানিয়েছে! তারা সত্যের ক্ষেত্রে নীরব থাকা এবং মিথ্যাকে অস্বীকার করতে যখন ভয় হয় তখন প্রশংসনীয় ধৈর্যের নাম করে মিথ্যাকে গ্রহণ করতে শিখিয়েছে! তারা মু/র/তা/দ শাসককে মিত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং এই জালিমদের উপর ভরসা করাকে হিকমাহ, আত্ম-সংযম এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি বানিয়ছে! কা/ফি/র, জালিম শাসকের বিরুদ্ধে হক্ব কথা বলাকে বানিয়েছে কর্তৃত্বশীলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তারা তা গোপন করেছো এবং জি/হা/দ/কে হারাম বানিয়েছে, জি/হা/দে/র প্রতি উৎসাহ প্রদানকে বানিয়েছে বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি! তারা দুশমন কুফফারদের হত্যা করাকে বানিয়েছে পবিত্র রক্তকে বৈধ করে নেয়া! তারা মু/জা/হি/দি/ন/দের, যারা সত্যপরায়ণ, তাদের বানিয়েছো গোমরাহ খাওয়ারিজ! তারা তাগ্বুতের উপর অবিশ্বাস করাকে বানিয়েছে বিশাল ফিতনাহ, আল-ওয়ালা ওয়াল বারা’আ একটি অপরাধ, তারা জালিম, কা/ফি/র, মুরতাদ শাসকদের বানিয়েছো হিদায়াতের ইমাম, ন্যায়-নিষ্ঠতার কর্তৃত্বশীল এবং মুসলিম শাসক!
তোমরা আল্লাহর কিতাবকে নিজেদের পিঠের পিছনে ছুঁড়ে মেরেছো, তাঁর আয়াত সমূহকে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করেছো এবং আল্লাহর আয়াত ও তাঁর দ্বীনকে অবাঞ্ছিত করেছো। হে দরবারের দালালেরা, তোমাদের উদাহরণ হলো কুকুরের মত এবং কিতাব বহনকারী গাধার মত। তোমরা হিদায়াতকে বিক্রি করেছ গোমরাহির বদলে এবং ক্ষমাশীলতাকে শাস্তির বদলে।
তোমাদের উপর আল্লাহ ﷻ, ফেরেশতা এবং সমস্ত মানবজাতির লা'নত।
Ummah Central