DINESH MOJUMDER

DINESH MOJUMDER Social Activities

04/02/2024

যদি প্রশ্ন করা হয় আপনার দাদার বাপের নাম কি? বলতে পারবেন না। তার সাথে কি রবীন্দ্রনাথের বয়সের খুব পার্থক্য? আপনার মৃত্যুর তিন প্রজন্ম পর আপনার বংশের কারো কাছে আপনার নাম জনতে চাইলে বলতে না পারলেও রবীন্দ্রনাথ কে কবিগুরু হিসেবে পট পট করে নাম বলে দিবে৷

রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতা করে কি হবে?

শিল্পী জাহেদ রবিন ।

04/02/2024

বাংলাদেশের হিন্দু জমিদারদের বানানো কিছু স্কুল ও কলেজের নাম দিয়ে লেখাটা শুরু করি। সমস্ত তালিকা দিলে লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। কমেন্টে আপনার এলাকার এরকম পুরোনো স্কুল কলেজের নাম দিতে পারেন। তার আগে বলে নেই কেন এই লেখার অবতারণা। আমাদের মুসলিম লীগ ইতিহাস শিখিয়েছে ‘হিন্দু অত্যাচারি জমিদারদের’ হাত থেকে মুক্তি মিলেছে দেশভাগের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মুসলিম লীগের কমিউনিস্ট শাখা, মুসলিম লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শাখাও একই কথা বলে। এদেশে ইংরেজ আসার আগে শিক্ষা বিস্তারের বাদশাহ জাঁহাপনাদের কিছু করতে দেখা যায় না। ইংরেজ সরকার ও এই সময় শিক্ষিত হিন্দুরা স্কুল খুলেছে। এরা মূলত জমিদার শ্রেণী। বড় চাকুরে। ইংরেজ আসার আগে মুসলিম শাসনে শিক্ষার জন্য কোন কিছু চোখে পড়ে না। বৌদ্ধ আমলে বিহারগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা এতদূর সুনাম করেছিল যে দূর দেশ থেকে এখানে ছাত্ররা আসত পড়তে।

স্কুল কলেজের উদাহরণ স্বরূপ তালিকা:

বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
দিগপাইত ধরনী কান্ত উচ্চবিদ্যালয়, জামালপুর
মহাকালী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ময়মনসিংহ
পৌরীপুর আরকে (রামকৃষ্ণ) সরকারী উচ্চবিদ্যালয়
নেত্রকোণা দত্ত হাইস্কুল
কেন্দুয়া জয় হরি সরকারী উচ্চবিদ্যালয়
হরিশ দত্ত ন্যাশনাল স্কুল, নেত্রকোণা
আমিলাইষ কাঞ্চনা বঙ্গ চন্দ্র ঘোষ ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম
লক্ষ্মী নারায়ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ
জয় গোবিন্দ হাইস্কুল, নারায়াণগঞ্জ
অন্নদা গভর্নমেন্ট হাই স্কুল, সরাইল
অন্নদা গভর্নমেন্ট হাই স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার
রূপসীদি বৃন্দাবন উচ্চবিদ্যালয়
সরকারী তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ
হরে গঙ্গা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ
ব্রজনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, পাইল গাও
মঙ্গলচন্ডী নিশিকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট
রাজা জিসি হাই স্কুল, সিলেট
রাজশাহী লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়
উলিপুর মহারানী স্বর্ণময়ী উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়
জগন্নাথ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
নটরডেম কলেজ (খ্রিস্টান মিশনারীদের)
ভারতেশ্বরী হোমস
হলিক্রস কলেজ (খ্রিস্টান মিশনারী)
নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ
ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল
মদনমোহন কলেজ, সিলেট
মুরারিচাঁদ কলেজ, সিলেট
কারমাইকেল কলেজ রংপুর
আনন্দ মোহন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

লিস্ট আরো লম্বা। গোটা বাংলাদেশে শতবর্ষী যত কলেজ স্কুল আছে সবগুলো তৈরি হয়েছে “অত্যাচারি হিন্দু জমিদারদের” হাতে! একটা দেশকে তার শেকড় ভুলিয়ে দিলে যে পরজাছা জেনারেশন জন্ম নেয় এখন সোশাল মিডিয়াতে আমরা তাদেরকে দেখি। ‘দাদাদের’ তারা ধুতি খুলে নিতে চায়! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাল্পনিক নবাব সলিমুল্লাহকে জমিদাতা বানিয়ে প্রচার করে। তাদেরকেই এই লিস্টটি দেখালাম। তালিকা এত বড় যে সব নাম দিলে ফেইসবুক পোস্টই দেয়া সম্ভব নয়।

এই যে পোস্ট দিলাম এখন দেখবেন আমাকেই জ্ঞান দিতে আসছে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ করে কেন আমি এসব দেখাচ্ছি? এটাই মজা! দিনরাত যারা ‘মুসলিম মনীষী’ ‘মুসলিম গায়ক’ ‘মুসলিম নায়ক’ ‘মুসলিম কবি’ ‘মুসলিম বুদ্ধিজীবী’ ‘মুসলিম বিজ্ঞানী’ বলে বলে মুখে ফেনা তোলে, সে এসেও এখন জ্ঞান দিবে এভাবে শিক্ষা বিস্তারকে হিন্দু মুসলিম করাটা ঠিক না...!

নবাব সলিমুল্লাহকে মুসলিম হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিতা আর রবীন্দ্রনাথকে বিরোধীতাকারী দেখিয়ে এই যে ভাইরাল গেইম চলছে এরা কিন্তু তখন সাম্প্রদায়িকতার কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। এখন আসবে। অসাম্প্রদায়িকতা গান গাইবে। কেন বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িকতার সুশীতল বাতাসকে দূষিত করছি...

বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষিত প্রথম শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী ধরা হয় কাজি মোতাহার হোসেনকে। হিন্দুরা সেকালে গ্রাম গঞ্জে ইংরেজি স্কুল খুলেছিল বলেই সেখানে হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিম ছেলেরা ফ্রি পড়তে পেরেছিল। জন্ম হয়েছিল বাঙালি মুসলমান শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী। এই শ্রেণীটিই মূলত মুসলিম লীগের ধ্বজাধারী হয়েছিল। তারাই একটা মিথে বিশ্বাস করত হিন্দুরা তাদেরকে পিছিয়ে রেখেছে শত্রুতা বশত!

লেখাটা শেষ করছি একটি খবর জানিয়ে। চট্টগ্রামে ‘মুসলিম হাইস্কুল’ নামের প্রতিষ্ঠানটি ১১৪ বছর ধরে কোন অমুসলিম ছাত্রদের ভর্তি করত না। এটাই নাকি তাদের ঐতিহ্য! এ বছর সরকারের লটারী সিস্টেমের কারণে ছয়জন অমুসলিম ছাত্রকে ভর্তি করতে বাধ্য হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতেই স্কুলের সাবেক ছাত্র ও অভিভাবকরা চটেছেন! কেন তাদের মহান ঐতিহ্য ভাঙা হলো! এমন ঘৃণ্য যাদের ঐতিহ্য যা নিয়ে আজকের যুগেও তারা গৌরব করতে পারে তাদের কাছে এই লেখার কি মূল্য আছে? পাথরের হৃদয় কি গলাতে পারবে?

©সুষুপ্ত পাঠক

04/02/2024

'বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।'

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে কি না, ব্রাকে গালা নাইট হবে কিনা, নসুতে নাচ-গানের অনুষ্ঠান হবে কি না, ঢাকা কলেজে পলিটিক্যাল কমিটি হবে কিনা— সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ছাগলনাইয়ার আবুল, প্রবাসী মাসুদ প্লাম্বার, গাইবান্ধার কুদ্দুস, বরিশালের যদু ব্রো, আমি কালাম মুরগী বেঁচি, আদাবরের মোরগ মিলন, সুইজারল্যান্ড প্রবাসী কামরুজ্জামান কামরুজ্জামান, পুরানা পল্টনের রুহুল কবির রিজভী, পীরে কামেল পিনাকী ভটভটিয়া ফ্যান ক্লাব, মিরপুরের রজব আলী ইলেকট্রিশিয়ান, পাশের বাসার ভাবী, ধানমন্ডির জরিনা আন্টি, টুকটুকির আম্মু মর্জিনা, এবং বুয়েটে পড়া হিজবুত তাহরীর করা ছেলেটা। 🥴
আইডিয়া ফ্রম তারেক হাসান নির্ঝর

03/31/2024

পাকিস্তান আমলে যারা বঙ্গদেশে রবীন্দ্রনাথ কে নিষিদ্ধ করেছিলেন তারাও বলেননি রবীন্দ্রনাথের ঢাবি বিরোধীতার কথা । সেই বঙ্গভুমিতে এখন পাকিস্থানীর ডিএনএ বহনকারী প্রেতাত্মাদের আবির্ভাব হলো , যারা মিথ্যা দাবী করছে ?

03/31/2024

স্বাধীনতার নিত্যতার / যৌক্তিক সূত্র, যে কোন রাষ্ট্রে কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের খুব বেশি স্বাধীনতা থাকলে, অপর কাউকে কাউকে স্বাধীনতা হারাতে হয়।

03/31/2024

আধুনিক পৃথিবীতে ড্রামা প্যাকেজ বিক্রি করছে , হোক সে ধর্ম বা পন্য যে ড্রামা যত নিখুঁত , সেই ড্রামার দর্শক বেশি । অতএব যাই করুন নিখুঁত ভাবে করুন ।

03/31/2024

সমসাময়িক দুটি Paul Joseph Goebbelsian মিথ্যাচারিতার প্রতিবাদেঃ-
(১) নবাব সলিমুল্লাহ নাকি ৬০০ একর জমি দান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,মেডিকেল এবং বুয়েটকে।

এই কথাটা ব্যাপক ভাবে প্রচার চালাচ্ছে বাঙ্গু বকরীকূল।

আচ্ছা,এই দানের কোন ডকুমেন্ট কেউ দেখাতে পারবেন?
দান করার আগে এই সকল জমির মালিকানা কি নবাব সলিমুল্লাহর ছিল?? তিনি কার জমি দান করলেন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২১ সালে, নবাব সলিমুল্লাহ মারা যান ১৯১৫ সালে। তাহলে উনি কি কবর থেকে উঠে এসে জমি দান করেছেন??
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশের জমি দান করেছেন জমিদার জগন্নাথ রায় চৌধুরীর ছেলে কিশোরিলাল রায়, আর বাকীটা খাস জমি।
কিশোরিলালের পিতার নামেই আজকের জগন্নাথ হল।
শুধু ঢাবিই নয়, আজকের বুয়েট,মেডিকেল কলেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরা যায়গাই কিশোরিলাল রায়ের দান করা।
সত্য অস্বিকার করা সততা নয়।

এ বিষয়ক আরো কিছু তথ্য নীচে তুলে ধরলামঃ

অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক বলছেন-- এই তথ্য মোটেও ঠিক নয়। রমনার যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটি পুরোটাই ছিল খাস জমি। নবাব পরিবারের জমি এমনিতেই তেমন বেশি ছিল না। তারা জমি দেবে কোত্থেকে? কেউ ইন্টারেস্টেড হলে ঢাকা কালেক্টরেটে গিয়ে যাচাই করে আসার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক রাজ্জাক।
এমনকি 'সলিমুল্লাহ মুসলিম হল' প্রতিষ্ঠাতেও নবাব পরিবারের বিন্দুমাত্র আর্থিক অবদান নেই। রাজ্জাক সাহেবের ভাষায়-- 'আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী লেখাপড়ায় ব্রিলিয়ান্ট ছিল। এরা আহসান মঞ্জিলের টাকায় লেখাপড়া করেছে। এরা সলিমুল্লাহ-র মৃত্যুবার্ষিকী পালন করত। ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার প্রায় দশ বছর পরে তার একটা মৃত্যুবার্ষিকীতে তার নামে একটি ছাত্রাবাস করার প্রস্তাব এরা করেন। মুসলিম ছেলেদের জন্য হল তখন তৈরি হয়ে গেছে। আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী বললেন: এই হলকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল করা হোক।' সেই প্রস্তাব মেনেই হলের নামকরণ।
[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক-এর আলাপচারিতা।]

সংযুক্তি: যারা এই তথ্য বিশ্বাস করবেন না, তাদেরকে আমিও অধ্যাপক রাজ্জাক-এর মতো পরামর্শ দিই-- ঢাকা কালেক্টরেটে গিয়ে ভেরিফাই করে আসতে পারেন।

(২)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন মৌলানা আকরাম খাঁসহ অনেক মুসলমান ব্যক্তি। এই বিরোধিতাকারীদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম বঙ্গের মুসলমান ও পূর্ব বঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশের মুসলমান।

এক.
পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুসলমান মনে করেছিলেন, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কোনো লাভ নেই। পূর্ববঙ্গের মুসলমানদেরই লাভ হবে। তাদের জন্য ঢাকায় নয় পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটাই লাভজনক।

দুই.
পূর্ব বাংলার কিছু মুসলমান মনে করেছিলেন, পূর্ব বঙ্গের মুসলমানদের মধ্যে ১০০০০ জনের মধ্যে ১ জন মাত্র স্কুল পর্যায়ে পাশ করতে পারে। কলেজ পর্যায়ে তাদের ছাত্র সংখ্যা খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখানে মুসলমান ছাত্রদের সংখ্যা খুবই কম হবে।

পূর্ববঙ্গে প্রাইমারী এবং হাইস্কুল হলে সেখানে পড়াশুনা করে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়বে। আগে সেটা দরকার। এবং যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে মুসলমানদের জন্য যে সরকারী বাজেট বরাদ্দ আছে তা বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যয় হয়ে যাবে। নতুন করে প্রাইমারী বা হাইস্কুল হবে না। যেগুলো আছে সেগুলোও অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেজন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় চান নি।

মৌলানা আকরাম খাঁ (৭ জুন ১৮৬৮ - ১৮ আগস্ট ১৯৬৮) ছিলেন একজন বাঙালি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক এবং ইসলামী পণ্ডিত। তিনি বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকএবং মাসিক মোহাম্মদীর সম্পাদক ছিলেন।

মৌলানা আকরাম খাঁ আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করলে সাধারণ মুসলমানদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দানের ক্ষেত্রে অর্থের ব্যবস্থা করবেন না। মুসলমানদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অপেক্ষা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক) শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি গুরুত্ত্ব আরোপ করেন।

আবদুর রসুল (১০ এপ্রিল ১৮৭২ - ৩১ জুলাই ১৯১৭) ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ, আইনজীবী।
ব্যারিস্টার আবদুর রসুল আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় মুসলমানদের পক্ষে 'বিলাসিতা' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তার মতে কয়েকজন ভাগ্যবানের জন্য অর্থ ব্যয় না করে বেশিরভাগ মানুষের জন্য তা ব্যয় করা উচিৎ। মুসলমানদের মতে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান, ফলে বাংলার মুসলমানদের বিশেষ কিছু লাভ হবে না। বরং গরীব অথবা যোগ্য মুসলমান ছাত্রদের বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা এবং দু-একটি প্রথম শ্রেণীর কলেজ স্থাপন ইত্যাদি করলে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার সম্ভব হবে।

চবিবশ পরগণার জেলা মহামেডান অ্যাসোসিয়েশন ১৯১২-র ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করে। বলা হয়, এর ফলে সমগ্র প্রদেশের মুসলমানদের শিক্ষাগত স্বার্থে পক্ষপাতদুষ্ট প্রভাব পড়বে এবং তাদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি করবে। (সূত্র : দি মুসলিম পত্রিকা)।

মৌলানা মুহাম্মদ আলী কলকাতার দি কমরেড পত্রিকায় একটি প্রবন্ধে লিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবটির তীব্র প্রতিবাদ করেন। তিনি লেখেন, পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের জন্য যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তোলা হয়েছে, সেই দাবি পূর্ববঙ্গের মুসলমান নেতাদের প্রত্যাহার করা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি আঞ্চলিক মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে আলিগড়ে প্রস্তাবিত সর্বভারতীয় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিই বেশি যুক্তিসঙ্গত। প্রয়োজনে ঢাকায় পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি করা যেতে পারে। সে-কলেজটিও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে। মৌলানা মুহাম্মদ আলী আশ্বস্ত করেন যে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের সকল মুসলমানদের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন--
'কোন মুসলমান ধনীর কাছ থেকেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডাইরেক্টলি কোন ফাইনেন্সিয়াল কনট্রিবিউশন পায় নাই।

কথা ছিল গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া ঢাকা ইউনিভার্সিটি করবে। সেই জন্য ১৯১০ থেকে কিছু টাকা ইন্ডিয়া গভর্নমেন্ট আলাদা করে রাখত। ১৯২০-২১-এ এই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ লক্ষ। কিন্তু এই ৬০ লক্ষ টাকা বেঙ্গল গভর্নমেন্ট ডিড নট গিভ টু দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি। তারা সে টাকাটা পুরো নিয়ে নিল । সলিমুল্লাহ হল যে তৈরি হলো তা পুরোই সরকারের টাকায়। নওয়াব পরিবারের টাকায় নয়; নওয়াব পরিবারের জায়গাতেও নয়। রমনার যে জায়গায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি-এর পুরাই খাসমহল, সরকারের জমি। সেটলমেন্ট রিপোর্ট-এ তাই আছে। বরঞ্চ লাখেরাজ সম্পত্তি বললে রমনা কালীবাড়িকে বলা যায়। ঢাকা শহরে লাখেরাজ সম্পত্তি কি এ নিয়ে আলোচনা চলেছে ১৮১৫ কি ১৮২০ সাল থেকে। ঢাকার নওয়াবদের জমিজমা এসেছে প্রধানত একটি সূত্র থেকে।

ঢাকার স্থানীয় মুসলমানরা মৃত্যুর সময়ে কোন কোন সম্পত্তি নওয়াব আবদুল গনি ও আহসানউল্লাহকে ওয়াকফ করে দিয়ে যেত। ঢাকার নওয়াবদের জমির উৎস এই । তাও বেশিকিছু জায়গা জমি নয়। এটার ভেরিফিকেশন তো সোজা। যে কেউ ইন্টারেস্টেড, সে ঢাকা কালেক্টরেটে যেয়ে দেখে আসতে পারেন। কাজেই নওয়াব পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি দিবে, এমন জমি কোথায় ছিল ? আহসান মঞ্জিলের কোন জমি ছিল না।'
Kuluda Roy. to মাহবুব সোহেল

03/31/2024

ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেছিলেন, সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, আর রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করে বলেছিলেন, চাষাভুষাদের জন্য আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়!

একটা মিথ্যা বারবার বলতে বলতে সত্যের মত প্রতিষ্ঠা পায় সেটা বাংলাদেশে এসে না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। উপরের বাক্যগুলো আবার ফেইসবুকে ভাইরাল হচ্ছে। অথচ এই অসত্য তথ্যগুলো নিয়ে আমাদের মত অনেকেই অনেকবার লিখেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে তাও কথাগুলো সত্য কিনা জানতে যখন বহু পাঠক আমাকে ইনবক্স করেন তখন প্রশ্ন জাগে আমি যে এই বিষয় নিয়ে একাধিকবার লিখেছি সেগুলোর তাহলে কি হলো? আপনারা যারা পড়েছিলেন তারা কি আমাদের লেখাগুলো যথেষ্ঠ প্রচার করেননি? এই যে বলেন পাশে আছি ভাই, এই পাশে থাকার অর্থটা কি?

মুহাম্মদ কয়টা বিয়ে করেছে, তার শিশু বিয়ে, দাসী ছহবত- কেবল এগুলো জানলেই হবে না। রবীন্দ্রনাথ আর সলিমুল্লাহকে দাঁড় করিয়ে একজনের জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় বানানো আর অপরজনকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধীতাকারী বানিয়ে ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করতে পারলে একজন মুসলিম ব্যাকগ্রাউন্ডের নাস্তিককেও মুসলিম জাতীয়তাবাদী করানো যাবে। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই নাস্তিক ধর্মকর্মহীন ছিলেন কিন্তু মুসলিম জাতীয়তাবাদ ধারণ করেছিলেন এইরকম হিন্দু বিদ্বেষ থেকে। হিন্দুদের বাড়িতে মুসলমান গিয়ে দাঁড়ালে সেই জায়গাটা গঙ্গজলে ধুঁয়ে ফেলার মত কালচার থেকেও ধর্ম অবিশ্বাসী মুসলমান দেশভাগের প্রাককালে মুসলিম জাতীয়তাবাদী হয়েছিল। তাই সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ইতিহাস জানা ও নিজের বুদ্ধি দিয়ে যাচাই না করে নিলে বুদ্ধির মুক্তি ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ হওয়া সম্ভব হবে না।

সরদার ফজলুল করিম প্রশ্ন করেছিলেন প্রফেসর আবদুর রাজ্জাককে, স্যার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নাকি নবাব সলিমুল্লাহ অর্থ ও জমিদান করেছিলেন। সে কারণেই তার নামে একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ নাকি করা হয়েছিলো। প্রফেসর রাজ্জাক এই দাবী পুরোটাই নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আপনারা ঢাকা কালেক্টরেটে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন জমি দান করার মত জমি আহসান মঞ্জিলের ছিল না।

বর্তমানে মডারেট মুসলমান ও মৌলবাদী মুসলমানদের কাছে সলিমুল্লাহ খান জনপ্রিয়। সলিমুল্লাহর গুরু ছফা, ছফার গুরু রাজ্জাক। ফলে মডারেট সমাজ এই তথ্যদাতাকে অগ্রহণযোগ্য বলার কোন সুযোগ নেই। রাজ্জাক সাহেব বলেছেন, আহসান মঞ্জিলের বৃত্তিতে কিছু মুসলমান ছেলে লেখাপড়া করত। তাদের একজন আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী। কৃতজ্ঞ আবদুল্লাহ সাহেব সলিমুল্লার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করত। সলিমুল্লাহর মৃত্যুর দশ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রদের জন্য একটি ছাত্রাবাস তৈরি করা হলে তার নামকরণ সলিমুল্লাহ মুসলিম হল প্রস্তাব করেন আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী। (সূত্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক-এর আলাপচারিতা, সরদার ফজলুল করিম, পৃষ্ঠা ২০-২১)

এই হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নবাব সলিমুল্লাহর সম্পর্ক! আহসান মঞ্জিলের আসলে কোন জমি ছিল না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করার মত। ঢাকার নবাবদের জমির উত্স ছিল ওয়াকফ করা জমি। এসব জমি আসত মুসলমানদের কাছ থেকে। অনেক মুসলমান তাদের জমি ঢাকার নবাবদের ওয়াকফ করে দিতো। এসব জমিই মূলত নবাব পরিবার ভোগ করতো। ঢাকার নবাব ঋণে জর্জরিত ছিল। ফলে ১৯০৫ সালে ইংরেজদের কাছে এক লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে বঙ্গভঙ্গের আন্দোলনে যোগ দেয়। ইংরেজদের দালাল হিসেবে ঢাকার নবাবকে আমাদের ইতিহাস কোনদিন দায়ী করেনি কারণ এখানকার ইতিহাস আগাগোড়া মুসলিম জাতীয়তাবাদ থেকে লেখা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে সরকারের খাস জমিতে ও কিছু হিন্দু জমিদারের দান করা জমিতে। ঢাকায় শিক্ষা বিস্তারে ঢাকার হিন্দু জমিদারদের ভূমিকা আমাদের ইতিহাস হাইড করে ফেলে দেশভাগের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে। শতবর্ষী সমস্ত কলেজ স্কুলগুলোর প্রতিষ্ঠাতা হিন্দু জমিদার, উকিল, সরকারী চাকুরে ব্যক্তিবর্গ। বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরীর দানে তার পিতার নামে ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘জগন্নাথ কলেজ’ যা বর্তমানে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করেছে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের নিয়ে। এর স্বীকৃতি স্বরূপ কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সুপারিশে কলেজ দুটির নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ছাত্রাবাসের নাম করা হয় যথাক্রমে ‘জগন্নাখ হল’ ‘ঢাকা হল’। ফলে দেখা যাচ্ছে সাম্প্রদায়িকভাবে সলিমুল্লাহকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমিদাতা দেখিয়ে রবীন্দ্রনাথকে খলনায়ক করে যে ইতিহাস চর্চা এখানে হচ্ছে তার কোন অস্তিত্বই নেই।

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতার কোন ইতিহাস নেই। একটি প্রমাণ, দলিল আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারেনি। কোলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা করে যে সভা হয়েছিলো সেখানে রবীন্দ্রনাথ উপস্থিত ছিলেন না। তখন তিনি কুষ্টিয়ার শিলাইদহে। তাছাড়া ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হোক এটা মুসলমান নেতারাই চাচ্ছিলেন না। কারণ এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে তার সুফল মুসলমানদের হবে না। ছাত্র তো সব হিন্দু। মুসলমানরা তখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারত না। বিশ্ববিদ্যালয় হলে সরকারের শিক্ষা বাজেটের অনেক অংশ সেখানে চলে যাবে। ফলে স্কুলের ফান্ডে টান পড়বে। এমন কি আলীগড় পর্যন্ত ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হোক চায়নি। প্রফেসর রাজ্জাক সাহেব জানিয়েছেন, দেশভাগের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল শিক্ষকদের অভাবে। শিক্ষকদের ৯৯ জন ছিলেন হিন্দু। তারা চলে যাওয়ায় শিক্ষকের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঠেকাতে বিলেত থেকে শিক্ষক আমদানি করে আনতে হয়েছিল। মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষক হওয়ার মত তেমন শিক্ষিত শ্রেণীই গড়ে উঠেনি তখন পর্যন্ত! তাহলে চিন্তা করুন ১৯২১ সালে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হলে কাদের লাভ হওয়ার কথা? এটা কমনসেন্সের বিষয়।

রবীন্দ্রনাথ তার নোবেল পুরস্কার থেকে পাওয়া টাকার পুরোটা্ পূর্ববঙ্গে বিলিয়ে দেন। কৃষি ব্যাংক খুলে সমস্ত টাকা খুইয়ে দেন কৃষকদের ঋণ দিয়ে। এই ঋষিতুল্য মানুষটিকে নিয়ে বাংলাদেশে সলিমুল্লাহদের হাতে যেভাবে আক্রান্ত হোন তার স্বপক্ষে একটি যৌক্তিক কারণ কোথাও নেই। স্রেফ সাম্প্রদায়িক কারণে এই মহান কবি এখানে লাঞ্ছিত হোন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যখন এই রকম লেইম তথ্য শেয়ার করে তখন আমারই বলতে ইচ্ছে করে, মুসলমানদের জন্য আবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন, ওদের জন্য তো মাদ্রাসা আছে...!

© সুষুপ্ত পাঠক এর লেখা।

- প্রকৃত সত্য।
- ঢাকার নবাবরা মুর্শিদাবাদের মত নবাব ছিল না। এরা কাশ্মিরে মামলায় পড়ে সিলেটে এসে লবনের ব্যবসা করেন। সেখান থেকে ঢাকা। ব্যবসায় প্রচুর লাভ করেন। ভাষা ছিল উর্দু। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহে ইংরেজদের দালালী করতেন। বাংলার বিদ্রোহীদেরকে ভিক্টোরিয়া পার্কের গাছে গাছে ফাঁসি দিতে সহায়তা করেন। পুরস্কার স্বরূপ ইংরেজ নবাব উপাধি দেন। সুন্দর বনের জমি নামমাত্র মুল্যে কিনে বন কেটে বেশি দামে বেঁচেন। কোন কোন এলাকার জমিদারী নিলাম হলে তা কিনে লাভবান হন। পরে ঢাকা মিউনিসিপালিটির কর্মকর্তা হন। তখন মেডিকেল করাসহ কিছু প্রতিষ্ঠান ইংরেজ করতে সহায়তা দেন - এটুকু অবদান তাদের।
নবাব বাড়ীটাও তাদের করা না। জামালপুরের এক জমিদারের করা প্রমোদ ভবন। সে জমিদারকে মোগল ফৌজদার বিষ খাইয়ে হত্যা করে এক নাচনেওয়ালী জমিদার প্রেমিককে পাওয়ার জন্য। পায়নি। সে নাচনেওয়ালী আত্মহত্যা করেছিল ফৌজদারের হাতে না পড়তে। করুন সে কাহিনী। এরপর বাড়ীটা ফরাসি ও ইংরেজদের হাত হয়ে অনেক পরে নবাবরা কিনে নেয়। এরাই ভারতে মুসলিম লীগ করে। ভারত ভাগে কোলকাতা এ বঙ্গে পড়তো। সোহরাওয়ার্দী ও মুজিব দৃঢ় ছিল। নবাব খাজা নাজিমদ্দিনকে জিন্নাহ বাংলার প্রধানমন্ত্রী বানায় সেহরাওয়ার্দীকে সরিয়ে। খাজা নাজিমদ্দিন পিএম হয়েই সব দাবী বাদ দিয়ে ঢাকায় চলে আসে। (বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে দেখুন)। জিন্নাহ বাংলাকে বড় করতে চায়নি। আসাম, কোলকাতাসহ বড় হলে ক্ষমতা পুর্বপাকিস্তানে থাকার ভয়ে জিন্নাহ তা করে।
১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার দাবীতে গুলি করার অর্ডার এই নাজিমুদ্দিন দেয়। তখন তিনি করাচিতে পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল।
এরা বাঙালী বিরোধী ছিল প্রচন্ড। তাই ৭১ এর পর বাংলাদেশে থাকতে পারেনি। পাকিস্তানে চলে যায়। শেষ নবাবরা (ওয়াকফ ষ্টেট মালিক) পাকিস্তানে মারা যায়।
এরকম একটা পরিবারের পক্ষে কোন বাঙালী কথা বলাই পাপ। রাজাকাররা সে পাপ এখনো করছে। এদের বরং ধিক্কার দেয়ার ভাস্কর্য বানানো উচিৎ ঢাকা শহরে। এসব ইতিহাস গুগলেই আছে। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়েছিল এটা ১০০% মিথ্যা। গুগলে বা কোথাও নাই। এখন গুগলে দেখায় যা ডক্যুমেন্টেড না, সমসাময়িক বক্তব্য প্রেক্ষিত দেখায়। ইতিহাসে নাই। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।

সরদার আমিন, ৩১/০৩/২৪

03/31/2024

ইসলাম ও মুসলমান দুটো ভিন্ন সত্ত্বা । চর্ম চক্ষে যা দেখলাম বা বুঝলাম ইসলামের সাথে কোন মুসলমানের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই , একমাত্র মোল্লার ধর্ম সাথে মুসলমানের ১০০% সম্পর্ক ।

শুভ জন্মদিন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি গেরিলা শহীদ শাফী ইমাম রুমি বীর বিক্রম। স্যালুট ।
03/30/2024

শুভ জন্মদিন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি গেরিলা শহীদ শাফী ইমাম রুমি বীর বিক্রম। স্যালুট ।

03/30/2024

আজ বুঝেছি বাংলাদেশের শুধু সংখ্যালঘু হিন্দু না মুসলিম ও আছে । যাঁদের আর্তনাদ শুনছিলাম , তাদের আশংকা দেশটা আফগানিস্তানের মত হলে হিন্দুদের তো ভারতে যাওয়ার জায়গা আছে , তাঁরা সংখ্যালঘু মুসলিম কোথায় যাবে ?

শ@য়তান কে কি তাহলে কোনভাবেই বন্দি করা যাচ্ছে না ?
03/30/2024

শ@য়তান কে কি তাহলে কোনভাবেই বন্দি করা যাচ্ছে না ?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে আবারও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায়...

ঢাকা শহরের নামকরণে সঙ্গে জড়িয়ে আছে হিন্দু কিংবদন্তি। বল্লাল সেনের মা তীর্থ করতে গিয়ে এখানে ঢাকনার নিচে একটি দেবী মূর্তি ...
03/30/2024

ঢাকা শহরের নামকরণে সঙ্গে জড়িয়ে আছে হিন্দু কিংবদন্তি। বল্লাল সেনের মা তীর্থ করতে গিয়ে এখানে ঢাকনার নিচে একটি দেবী মূর্তি পেয়েছিলেন। তাই দেবীর নাম হয়ে যায় ঢাকেশ্বরী। সেখানে একটি মন্দির গড়ে বল্লাল মাতা। নাম হয়ে যায় ‘ঢাকেশ্বরী মন্দির’। সেই ঢাকেশ্বরী থেকেই ‘ঢাকা’ শব্দের জন্ম। সেটাই হয়ে যায় ঐ স্থানের নাম। বিস্তৃত হতে থাকে ঢাকার আকার। এই ইতিহাস বা কিংবদন্তি বাঙালি মুসলমানের কাছে আজ অস্বস্তিকর। তাই বরাংবার সুবে বাংলা, সুলতানী আমলের বাংলা বলেই আইডেন্টি তৈরি করতে চেয়েছে। বাংলা একাডেমির গবেষণা বইপত্র দেখলে সেটি বুঝা যায়। আমাদের মননের মধ্যে সমস্যা ছিল। ছিল ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ। ফলে বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়- সেটাই ঘটছে আমাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা জায়গায় নামাজ পড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চরিত্রের কোন বদল করা হয়নি। একটা সহিষ্ণু মাল্টি কালচারাল সোসাইটি, ঐতিহ্যের ধর্মনিরপেক্ষ লালনের কোন রকম মানসিকতা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না বলেই রমনার কালীমন্দিরের চূড়াকে আমার আর গড়তে দেইনি। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আমাদের সে সুযোগটা দিয়েছে। কেউ তো আর বলতে পারবে না রমনা কালীমন্দির আমরা ভেঙেছি!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা জায়গায় দলবেঁধে কাতার দিয়ে নামাজ পড়ার বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। যেখানে নামাজের চর্চা হয় সেখানে আধুনিকতা, প্রগতিশীলতার চর্চা হয় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জামে মসজিদ আছে। স্বাধীনতার পর বিশিষ্ট পন্ডিত লেখক ভিসি সৈয়দ আলী আহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ নির্মাণে বিরাট ভূমিকা রাখেন। জ্ঞান চর্চার জায়গায় মসজিদ বানালে সেখানে মুক্তচিন্তা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। সদ্য স্বাধীন দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ বানানোর কোন কারণই ছিল না। তখনই ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা হতো। ছত্রতত্র মসজিদে ছয়লাব।

স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশ আসলে কাদের ধারণ করবে, কাদের ধর্ম সংস্কৃতিকে আইকনিক করবে সেটি স্পষ্ট হয় যখন সরকারীভাবে রমনা কালীমন্দির তৈরি করতে বাঁধা দেয়া হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী রমনা কালী মন্দির গুড়িয়ে দিয়েছিল বোমাবর্ষণ করে। ঢাকায় অনেক দূর থেকে এই মন্দিরের চূড়া দেখা যেতো। রমনা কালীমন্দির ঢাকার একটি আইডেন্টি বলা চলে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাঙালি মুসলমানের একটা বড় উপকার করে গিয়েছে। নিজেদের কাঁধে দায় নিয়েছে তারা। নয়ত বাঙালি মুসলমানকে রমনা কালী মন্দিরের এতবড় চূড়া কি করে হজম করত?

আমরা দেখতে পাই দেশ স্বাধীনের পর রমনা কালীমন্দির আবার আগের মত গড়তে চাইলে সরকার বাঁধা দেয়। পরিস্কার হয়ে যায় বাংলাদেশ বাস্তবিক মুসলমানদের দেশ। পাঞ্জাবীদের কাছে অধিকার চাইতেই বাঙালী জাতীয়তাবাদের কথা বলতে হয়েছে। দেশ স্বাধীনের মাধ্যমে সে সংকট যেহেতু দূর হয়েছে তাই দ্রুত মুসলিম জাতীয়তাবাদে ফিরতে দেরি হয়নি...।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীলতার খুব বেশি উদাহরণ নেই। এমন কোন মুভমেন্টের ইতিহাস দেখাতে পারবেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্রও এক। তাহলে এরকম খোলা জায়গায় নামাজ পড়ছে কেন? কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছেলেমেয়েরা একত্রে আড্ডা দেয়, স্টাডি করে, এটাই সহ্য হচ্ছে না। আড্ডার জায়গায় এরকম নামাজ পড়লে অস্বস্তি তৈরি হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা মসজিদ বানিয়েছিল তারাই এই খোলা জায়গায় নামাজ পড়াদের পূর্ব পুরুষ। সৈয়দ আলী আহসান শিল্প সাহিত্য বিষয়ে পন্ডিত ছিলেন। তিনি যদি মনে করে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ দরকার, তাহলে অন্যরা কেন মনে করবে না বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়েদের একত্রে উঠাবসা বন্ধ করা দরকার। দুটোই ‘কান টানলে মাথা আসা’র বিষয়। নামাজ আপনাকে ছেলেমেয়েদের ‘ফ্রি মিক্সিং’ বিরোধী করে তুলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ধর্ম থাকলে সে কি করে প্রগতিশীলতার চর্চা করবে? যে রাষ্ট্র ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়, রমনা কালীমন্দিরের চূড়াকে আর সুউচ্চ করতে দেয় না, সেখানে যে মুসলিম আধিপত্যবাদ বিরাজ করে সেখান থেকেই তো কট্টর মুসলিম মানসিকতার নাগরিক বের হবে।

ঢাকা শহরের নামকরণে সঙ্গে জড়িয়ে আছে হিন্দু কিংবদন্তি। বল্লাল সেনের মা তীর্থ করতে গিয়ে এখানে ঢাকনার নিচে একটি দেবী মূর্তি পেয়েছিলেন। তাই দেবীর নাম হয়ে যায় ঢাকেশ্বরী। সেখানে একটি মন্দির গড়ে বল্লাল মাতা। নাম হয়ে যায় ‘ঢাকেশ্বরী মন্দির’। সেই ঢাকেশ্বরী থেকেই ‘ঢাকা’ শব্দের জন্ম। সেটাই হয়ে যায় ঐ স্থানের নাম। বিস্তৃত হতে থাকে ঢাকার আকার। এই ইতিহাস বা কিংবদন্তি বাঙালি মুসলমানের কাছে আজ অস্বস্তিকর। তাই বরাংবার সুবে বাংলা, সুলতানী আমলের বাংলা বলেই আইডেন্টি তৈরি করতে চেয়েছে। বাংলা একাডেমির গবেষণা বইপত্র দেখলে সেটি বুঝা যায়। আমাদের মননের মধ্যে সমস্যা ছিল। ছিল ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ। ফলে বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়- সেটাই ঘটছে আমাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা জায়গায় নামাজ পড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চরিত্রের কোন বদল করা হয়নি। একটা সহিষ্ণু মাল্টি কালচারাল সোসাইটি, ঐতিহ্যের ধর্মনিরপেক্ষ লালনের কোন রকম মানসিকতা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না বলেই রমনার কালীমন্দিরের চূড়াকে আমার আর গড়তে দেইনি। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আমাদের সে সুযোগটা দিয়েছে। কেউ তো আর বলতে পারবে না রমনা কালীমন্দির আমরা ভেঙেছি!

©সুষুপ্ত পাঠক

03/30/2024

খ্রিস্টানদের ভ্যাটিকান সিটি থাকবে, মুসলমানদের মক্কা-মদিনা থাকবে , ইহুদিদের জেরুজালেম থাকবে সব ঠিক আছে , শুধু হিন্দুর রাম রাজ্যে থাকলে সমস্যা !!

03/29/2024

সর্বদা এমন এক লড়াকুর সহিত লড় , যেন হেরে গেলেও লজ্জা নয় গর্ব করা যায় ।

03/29/2024

হিন্দুর ধার্মিকতার চুড়ান্ত রুপ সন্ন্যাস , বৌদ্ধের ধার্মিকতার চুড়ান্ত রুপ ভিক্ষু , খৃস্টানের ধার্মিকতার চুড়ান্ত রুপ পাদ্রী , মুসলমানের ধার্মিকতার চুড়ান্ত রুপ জেহাদী জ@ঙ্গি ।

03/29/2024

সংস্কৃতি হলো সমাজের সদস্য হিসেবে সে দেশের ভাষা , শিল্পকলা, নীতি, আদর্শ, আইন, প্রথা ইত্যাদির এক যৌগিক সমন্বয় হল সংস্কৃতি।বাংলা ভাষায় কথা বলা ছাড়া আপনি আর কোন বাঙালী সংস্কৃতির ধারক বাহক যে আপনি বাঙ্গালী ?

Address

New York, NY

Telephone

+13472828971

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DINESH MOJUMDER posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to DINESH MOJUMDER:

Share