Selina Akhter

Selina Akhter N/a

01/16/2025

ধর্ম মানে আপনি নিজে কি ধারন করছেন ? শুধু রিচূয়াল পালনই যথেষ্ট নয় । আবার শুধু বিজ্ঞান চর্চায় ব্যস্ত থাকার নামই জ্ঞান নয়। একজন মানুষ চিন্তা চেতনা এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের মধ্যে কতটা শান্ত , কতটা পবিত্র , কতটা ধৈর্য্য ধারণ করেন, কতটা মানবিক কথা বার্তায় তার নাম ধর্ম । ইসলাম মানে শান্তি এবং মুসলমান মানে যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । যা সমগ্র মানব জাতির জন‍্য প্র‍্যযোজ‍্য। শুধু জন্মালে আর বিশ্বাস করলেই হবে না । জ্ঞান খুব জরুরী সে যে ধর্মের মানুষ হোক না কেন? জ্ঞান যখন কথা বলে তখন আল্লাহ ঈশ্বর ভগবান গড যা ডাকবেন সে এসে কথা বলবে আপনার সাথে । অন্ধ বিশ্বাস তো আল্লাহও পছন্দ করেন না।উনি সব সময় বলেছেন , জানো । জানতে চাইলে আমি খুলে খুলে বলবো।

অন‍্য ধর্মের মানুষ যদি পবিত্র রূহ নিয়ে পৃথিবীতে আসে বা মুক্ত হয় তবে সেও যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফেরত যাবে। সূরা বাকারার ৬২- থেকে ৬৫ নং আয়াত বুঝে শুনে পড়ুন এবং চিন্তা করুন যে আল্লাহ আপনাকে কি বলছেন যারা ইব্রাহিম ( আঃ) , ইসহাক( আঃ) , ঈসা( আঃ) , দাউদ (আঃ) এর বংশধর এবং অগ্নিপূজারী তাঁদের ব‍্যাপারে? তিনি তো স্পষ্টভাবে বলেছেন তারাও তাঁদের সুফল ভোগ করবেন। “তোমরা বেশি জান , না আমি জ্ঞানী”আবারও বলেছেন ১৩৫-১৪০ নং পর্যন্ত দেখবেন যারা এসব নিয়ে তর্ক বিতর্ক করবে তাঁদেরই জবাব দেয়া হবে। তবে এগুলো গভীর চিন্তা ছাড়াও প্রকাশিত হবে না। প্রশ্ন করেছেন, ঘৃণা করেছেন তো মরেছেন এবং মরবেন সময় এবং শূন‍্যতার মধ‍্যে । চিন্তা করুন একবার আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি থিওরির কথা।

সুতরাং মানুষকে মানুষ ভাবার মধ‍্য দিয়ে চলতে হবে। ধর্মীয় জ্ঞান নিবেন জ্ঞান আহরণের জন‍্য । আল্লাহকে ঘুষ দেওয়ার জন‍্য নয়। মন যাতে উল্টা পাল্টা চিন্তা যাতে না করে এ জন‍্য তসবিহ এসেছে। মন মুখ বন্ধ করার ক্ষমতা না থাকলে সব কিছু বাংলায় এফার্মেশন করেন। মন ক্লিন হওয়া জরুরী । আমি মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছি। তবে কথা কি মনের খবর আল্লাহ ছাড়া কারো এখতিয়ারে নেই । এটা আমার স্পিরিচূয়াল নলেজ দিয়েছে। মনোবিজ্ঞানের আওতায় থেকেও অনেকে আত্মহত্যা করে কেন করে? কিন্তু কোনো স্পিরিচূয়াল কারো আন্ডারে কেউ থাকলে সে ভালো মানুষ হয়ে উঠবে গ্রান্টেড । দিস ইজ দ‍্যা পাওয়ার অব নলেজ যা সরাসরি ঈশ্বরের তরফ থেকে আসে। মানুষ পুতুল মাত্র , রোবট মাত্র, ভেহিকল মাত্র । বো ডাউন করুন । ভদ্র হোন , জ্ঞানের অধিকারী হোন।

আমার কথা ধর্মীয় গুরুদের মত মনে হয় তবে আমি তাই । জ্ঞান যদি জন্মে আমার কিছু করার নেই । আমি সবাইকে বলি যার যার ধর্মীয় গ্রন্থ ঘুম থেকে উঠে একবার পড়ুন । এটা এডাপটেশনের বিষয় ।তারপর স্মার্ট দুনিয়ার সাথে যুক্ত হোন। কোনো সনস‍্যা নেই । আমি আফগান, প‍্যালেস্টাইন পরিবারের সাথে এক সপ্তাহ করে কাটিয়েছি জ্ঞান অর্জনের জন‍্য। আমরা যে ভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করি তাঁদের সাথে অনেক ব‍্যবধান। এই ব‍্যবধান তো বাঙালিদের ঘরে ঘরে। আসোল কথা তো আল্লাহ আপনার মাধ‍্যমে বলছেন কিন্তু সে মাধ‍্যম যদি ক্লিন না হয় সেখানে ইবলিশের বলার সম্ভাবনা বেশি। সব বলতে চাই না। শুধু বলি ধ‍্যন করেন নিজের সাথে সংযোগ তৈরী করেন ।বাংলায় বা ইংরেজিতে অর্থ বুঝে পড়েন । হাবিজাবি অজস্র বই পড়েছেন অথচ যে সব বইয়ে সৃষ্টির সব রহস‍্য সে সব পড়তেই সমস‍্যা ? এনি রিলিজিয়সা নলেজ ইজ ভ‍্যালুএবল। আমার তো মনে হয় নাওয়া খাওয়া বন্ধ রেখে পড়ি । পড়েন যার যার ধর্ম মতে বা বাড়তি সব জ্ঞান। যে মায়ের একের বেশি সন্তান সে কি তার পুরনোগুলো কে বাতিল করে দেয় ? দেয় না। স্রষ্টাও জ্ঞান রিফাইন করেছেন শুধু আমাদের কাজে লাগানোর জন্য । এগুলো ছাড়াও অসংখ‍্য বই আছে। লেখক সমাজ শান্ত শিষ্ট কেন ? কারণ তাঁরা অন‍্যের জ্ঞান দ্বারা সব সময় এবাইড থাকেন । কিন্তু পিওর নলেজ ইজ পিওর নলেজ যা গ্রহ নক্ষত্রের মত আমাদের শিরা উপশিরায় যুক্ত করে । আমাদের ভেতরে আরেক বিশ্বভ্রমান্ড যা পূর্ণ হয় না সঠিক জ্ঞান ছাড়া।তৃপ্ত হয় না মন। এ তৃপ্তির অভাবই পুরুষকে করে টাকার জন‍্য ঘর ছাড়া নারীকে করে মোহের জন‍্য তাড়া।

যে হিন্দু তাঁকে হিন্দু ঘরে আল্লাহ পাঠিয়েছেন। আমার এক হিন্দু বন্ধু ডাক্তার সে অনেক ধার্মিক পরিবারের। সে বলেছে কিছু মানুষ মুসলিম হতে বলে। আমাকে সব ধর্ম থেকে আহ্বান করেছে। তবে এটা হলো ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা । আপনি আপনার নিজের ধর্ম বা অন‍্যের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল তা পরীক্ষা করা হয়। কেউ একান্ত কঠিন পরিস্থিতিতে যদি ধর্ম বদল করে সেটা তাঁর ব‍্যাপার। যেমন এ আর রহমান । তাছাড়া ইসলাম রিফাইন হয়ে এসেছে সুতরাং কেউ যদি তাঁর জ্ঞান যাচাই বাছাই করে জয়েন করে সেটাও তাঁর বিষয়। আমি তো সোজা বলতাম,”আমি আমার ধর্মের চর্চা করি এবং সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি । সুতরাং আমার বদলের কিছু নেই । বদলাতে হলে আল্লাহ আমাকে অন‍্য ঘরে পাঠাতো । জ্ঞান খুব জরুরী । “

আমার বেশ ভূষার সাথে এসব কথা মানায় না ঠিক। কোরানের কথা বললে মাথায় কাপড় দিয়ে বলতে হয় । আমি তো সারা জীবন লুকিয়ে ইবাদত করেছি । আমার রোকেয়া হলের মেয়েরা জানতো যারা রুম মেট ছিল। ওরা বলতোনা আপা আপনাকে তো বোঝা যায় না। কারণ আমি অনেক ফ‍্যাশনেবল ছিলাম। যদিও লুকিয়ে ইবাদত করাই স্রষ্টার বেশি পছন্দ । এক সময় মা নানীরা বেশি ইবাদত করতেন তাই ঘরে সে বাতাস , বাতাবরণের ভাইব্রেশন ছিল। পুরুষ আয় রোজগারের ধান্দায় থাকতো তবু শুক্রবার দেয়া হয়েছিল যে একদিন হলেও যাও কোনো পবিত্র স্থানে বো ডাউন করো । সেও নিজের মঙ্গলের জন্য। কারণ আমরা যদি নিজের সাথে সংযোগ না করি অনেক কিছু দেখবো না।

যাই হোক জ্ঞানের কথা না বলাও অন‍্যায়। আমার একবার অসুখ হয়েছিল । তাঁর পর আমি যখনই কোরান পড়তাম, বুকে ধরে বলতাম যে , “আল্লাহ তুমি বলো যে আমি ভালো হয়ে গেছি । “এবং আমি ভালো ছিলাম এবং এখনও আছি । আমি কষ্ট পেয়েছি যখন আমার ভাগ্নি অসময়ে চলে যায় । তাঁর কাজই ছিল গুগল ঘেঁটে কি হলে কি হয় ? এসব ভাবনা। যা বর্তমান বিশ্বকে আরো নীচে নামিয়ে দিচ্ছে । মানুষ যদি নিজের জ্ঞান ব‍্যবহার না করে তাহলে এভাবে অন‍্যের জ্ঞান দ্বারা গুমরাহ হবে । মরার আগে মরে যাবে। যাকে বলে লস্ট । আমাদের অবস্থা পি কে মুভির পিকের মত । আমরাও হারিয়ে গেছি । এক সময় আমাদের রিমোট ছিল দাদী নানী মায়েদের হাতে। আমরা নাদান হলেও তাদের শক্তি আমারদের শক্তি যুগিয়েছে । এখন কোথায় সে রকম নানী , দাদী , আর মা ? তার সাথে আছে সন্তানদের সম্পর্ক ?

সেলিনা আক্তার
আটলান্টা
01.15.25

03/02/2024

মানুষ যা চেয়েছে তাই পাচ্ছে। সমঅধিকার রক্ষায় পুরুষ নারীকে সাহায্য করছেন ঘরের কাজে। প্রায় সময় দেখা যায় বাচ্চা লালন পালন করছেন পুরুষরা । কাজের স্বাধীনতাও আছে। সময় পুরুষকে ঘরে বসে ফ্রিলেন্সিং, রিমোট কাজের সুযোগ করে দিয়েছে।আবার অফিস , ব্যবসা করেও অনেকে পরিবারকে সময় দেন। প্রতি বছর কোথাও নিয়ে যান। এতে পরিবারের শান্তি বেশি বজায় থেকে সংসারগুলো মজবুত থাকার কথা ছিল। তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে কেন? অসুখবিসুখ বাড়ছে কেন? দুর্ঘটনা বাড়ছে কেন?

প্রকৃতির তৈরী ডিজাইনের বাইরে গিয়ে কাজ করা সম্ভব, কিন্তু ডিজাইন ডিজাইনই । সেটা না মানলে যে কোনো নক্সায় বিকৃতি অনিবার্য । বাচ্চাদের লালন পালনের জন্য একজন মাই যথেষ্ট ।মা না থাকলে দুধ মা বা এধরনের কেউ । যা বিভিন্ন ধর্মের বার্তাবাহক ,নবীরসূলদের জীবনে আছে । অনেক রাজা বাদশাহর জীবনী আছে । লক্ষ্য করে দেখবেন নবজাতক মৃত্যু হার কমলেও একটা সময়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু সংসারকে আরো বেশি তছনছ করে দিচ্ছে। জীবন যখন সুখে টুইটুম্বর তখনই কেন হঠাৎ ঝড় আসে? অনেক কিছুই মেটার করে। মা বাবার সব প্রভাব বাচ্চাদের স্পর্শ করে। সেটা টাকা পয়সা হতে পারে, অন্যের প্রতি আচার ব্যবহার হতে পারে ।

আমি পর্যবেক্ষণ না করে কিছু বলি না। নিউ ইয়র্কে বেশ কয়েকটা পরিবারে দেখেছি , নাম বলছি না, বললে অনেকে চিনবেন। পুরুষ ভালোই আয়রোজগার করতেন কিন্তু যখন নারীরা আরো ইনকামের জন্য বাইরে বের হলেন, সেই পরিবারে এমন একটা ধাক্কা এলো যে নারীকে পুরো হাল ধরতে হলো। পুরুষ আপনা থেকে অকেজো হয়ে পড়েন। কয়েকজন বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়েছেন । নারী সক্রিয় হলে সে ঘরের পুরুষ অসুস্থ হতে শুরু করেন । এটা পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন।এটা হয়তো অনেকে সম্ভাবনা হিসেবে দেখেন যে ভালো তো দু'জনে মিলে বেশি রোজগার করবেন আরামে , সুখে থাকবেন।হাল ধরেছেন।”স্বামীর জান শেষ হয়ে যাচ্ছে কাজ করতে করতে " - এমন কথা যা মায়া এবং খুব স্বাভাবিক চিন্তা কিন্তু আধ্যাত্মিক জ্ঞান বলে নিয়ত যা নেতিবাচক চিন্তা । তাই দুর্ঘটনা অবশ্যই ঘটবে।

ঘরে লক্ষ্মী থাকার জন্য ঘরে মানুষের অবস্থান জরুরী । ভালো ভাইবস জরুরী। যা ধর্ম কর্মের মাধ্যমে আসে। ঘর শুধু রাতে এসে ঘুমানোর জন্য নয় বা অতিথি , পার্টি প্রোগ্রামের জন্য নয়। এখনতো মুরব্বী বলতেও খুব কম থাকেন সংস্পর্শে ।

মায়ের সাথে সম্পর্ক না থাকলে সন্তানদের অমঙ্গল অনিবার্য । একটা মা হাঁস দেখবেন পেছনে বাচ্চাদের নিয়ে হাঁটে ।নারীদের এরকম থাকার কথা । তাই বলে বলছি না , যে নারীরা কাজ করবেন না। আপনার যদি বাচ্চাকে মায়ের স্নেহ দেয়ার মত কেউ থাকে আপনি তাঁকে ছেড়ে দিতে পারেন তাঁর হাতে, সন্দেহ না করে। প্রকৃতি অনেক কিছু নিতে পারে না। পুরুষদের ডিজাইন করা হয়েছে বাহিরের যুদ্ধের জন্য । আয়রোজগার একটা বড় ধরনের যুদ্ধ ।বাচ্চাদের মঙ্গলের জন্য হলেও প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চলা ভালো।

মায়েরা বাচ্চাদের সময় দেন ।একান্ত যদি কাজ করতেই হয় এমনভাবে করেন যে তা যেন বাচ্চা বুঝতে না পারে যে মা নেই । সে একা । আমি নিজেও চাকুরী করেছি বাচ্চা রেখে । তবে চেষ্টা করেছি যাতে সে মিস না করে । ভাগ্য সহায় ছিল অনেক ক্ষেত্রে ।আসল স্মার্টনেস জিহ্বার নিচে এবং ঘরে থেকেও অনেক কিছু করা যায়। সেই অনেক কিছুর মূল হচ্ছে জীবনের উদ্দেশ্য কি সেটা খুঁজে বের করা। সেটার মধ্যে যা কাজ করে তা হচ্ছে ডিভাইন ফোর্স । সেটা না পেলে কাজ করে ডেভিল ফোর্স । আল্লাহ ভগবান মানেন আর না মানেন এই তৃতীয় পক্ষ স্থান দখল করে নেবে ।

এ জন্য অবশ্যই স্রষ্টার প্রতি প্রকৃত অর্থে ভয় ভক্তি থাকতে হবে তখন মানুষের জন্যও মন তা তৈরী করবে। ভক্তি ছাড়া প্রেম সম্ভব নয়। সে পতি বলেন পত্নী বলেন আর ঘরের অন্য মানুষ । টাকা পয়সার অবশ্যই প্রয়োজন তবে সেটা যোগাড় করতে গিয়ে যদি সব হাঁতের আঙ্গুল গলে পড়ে যায়, তাহলে ভাবনার বিষয়।

যদিও এসবের উত্তর অনেক বিশাল। নিজের গভীর মন দিয়ে না বুঝলে, বাহিরের মন সব উত্তর গ্রহন করার জন্য তৈরী নয় । হয়তো আমার কথা অযৌক্তিক মনে হবে। তারপরও যদি কোনো একজন মানুষের ভালো হয় ! তাই বলা।

সেলিনা আক্তার
০৩.০১.২৪

02/04/2024

#দীর্ঘায়ুঃ

আদম ( আঃ) একদিন আল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন যে উনার হায়াত বা আয়ু কত দিনের ? মানে কত দিন দুনিয়াতে বাঁচবেন? আল্লাহ তখন বললেন, হে আদম (আঃ) তোমার আয়ু ১০০০ বছর ।

তারপর তিনি বিভিন্ন রূহকে দেখিয়ে আল্লাহকে জিজ্ঞেস করতে থাকেন উনি কে ? ইনি কে? কে কত দিন বাঁচবেন ? আল্লাহ উনার প্রশ্নের জবাবে বললেন, এরা তোমার সন্তান এবং সবার নাম ও হায়াত বলে দিলেন। এভাবে উত্তর দিতে দিতে এক সময় এসে একজন কে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন উনি কে?
আল্লাহ বললেন, হে আদম ইনি তামার সন্তান দাউদ আঃ । উনার আয়ু ৪০ বছর ।

আদম ( আঃ) বললেন যে , এত কম কেন ? আপনি আমার ছেলের বয়স বাড়িয়ে দিন। আল্লাহ বললেন, না লেখা হয়ে গেছে এটা আর বদলানো যাবে না। কিন্তু আদম আর মানেন না। বলেন, না আরেকটু বাড়িয়ে দেন । আল্লাহ বলেন, না বাড়ানো যাবে না। আদম ( আঃ) নাছোড় বান্দার মত বলতে থাকেন , হায় আল্লাহ এত অল্প আয়ু নিয়ে আমার সন্তান চলে যাবে ? আপনি আমার কাছ থেকে নিয়ে হলেও তাঁর জীবন বাড়িয়ে দেন । আল্লাহ তখন ৬০ বছর বাড়িয়ে দিলেন । সুবহান আল্লাহ! দাউদ (আঃ) ১০০ বছর বেঁচে ছিলেন ।

মানে কি দাঁড়ালো ? আয়ু মেনিফেস্ট করা সম্ভব । এটা থেকে আমরা বুঝলাম যে মা বাবা যদি আল্লাহর কাছে চান তবে সন্তানের আয়ু বাড়ানো সম্ভব । তবে অবশ্যই এখানে শুধু নিজের মতামত বা চাওয়ার ওপর নির্ভর করলে হবে না। করতে হবে জ্ঞানের ওপর।

প্রসঙ্গত একটা কথা বলি , আমার আব্বা অনেক অসুস্থ থাকতেন মাঝেমধ্যে । আমার কাজ ছিল বিব্রতকর সব প্রশ্ন করা। একদিন আমার কোনো প্রশ্নের উত্তরে আমাকে বলেছেন যে ,আমি সব সময় বলি যে আল্লাহ যেন তোমাদের অসুখ বিসুখ না দেন । সব কষ্ট আমার হোক তবু তোমরা যেন সুস্থ থাকো । এ জন্য আমার অসুখ হয়। একথা কেউ বিশ্বাস হয়তো করবে না। তবে আমি করি । যদিও অসুস্থতা কামনা করাটা উনার ভুল ছিল। আব্বা ছিলেন এক মহীরূহের মত ফেরেশ্তা আদম সন্তান । তখন বোঝার মত বয়স ছিল না। এখন বুঝি। আমাদের মা বাবা খুব সম্মান নিয়ে চলে গেছেন ।আমাদের বেয়াদবী করার মত সাহস ছিল না। যাক এটা বললাম যেন মা বাবাকে কেউ কষ্ট না দেন।

তারপর আদম (আঃ) এর জীবন যখন ৯৪০ বছর তখন আজরাইল (আঃ) এলেন উনার জান নিয়ে যেতে । আদম ( আঃ)বলেন, না আমার এক হাজার (১০০০) বছর বাঁচার কথা । আমি এখন যাব না। এভাবে আজরাইল ( আঃ)আসা যাওয়া করলেন কয়েকবার কিন্তু আদম ( আঃ) মানেন না।

আল্লাহ তখন বললেন, কি আর করবে ? তাঁকে এক হাজার বছর বাঁচতে দাও । এ আদম জাতি হচ্ছে সবচেয়ে অকৃতজ্ঞ এবং বেইমান জাতি তাঁরা ভুলে যায় । এ জন্য অনেক মানুষের কথা বদলে যায় । ভুলে যায় । তবে এই ঘটনা থেকে এটা বোঝা যায় পিতা মাতা তাঁদের আয়ু চাইতে পারেন। কমবে না দিলেও ।আল্লাহ মহান।

বিজ্ঞানের ভাষায় ,নাল হাইপো থিসিস জিরো ধরে একটা অংক বসিয়ে দিবেন, যে “আমি সুস্থভাব্ ১০০ বছর বাঁচতে চাই ।” তবে মুখে অলুক্ষনে কথা বার্তা আনার আগে চিন্তা করতে হবে।প্রজেক্ট সফল করার জন্য সন্তান এবং নিজের মাঝে সে পরিমাণ পবিত্রতা ( ইনকাম হালাল, কেউ যাতে বদোয়া না দেয় ) নমনীয়তা , মমতার সেতু তৈরী করতে হবে ।

সন্তানকেও অভিশাপ বদোয়া না দেয়ার জন্য কোনো একটা সূরায় আল্লাহ নিজে মাতাপিতাকে অনুরোধ করেছেন । এ মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না। “ দূর হ আমার সামনে থেকে । “ “মরে না কেন? “এসব বলে গালি দিবেন না দয়া করে। এগুলো মেনিফেস্ট হয় । পরে আল্লাহকে দোষ দিয়ে লাভ নেই ।

জীবন এবং সময় খরচ করার আগে আমাদের ভাবতে হবে । জীবন ফ্যান্টাসি করার বিষয় নয় । আপনি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন । জীবন এক্সিডেন্টাল নয়। ভিড় ভাট্টা থেকে বের হয়ে একবার নিজেদের চেক করুন। জীবনে অসুস্থতা বা অন্য রকম কষ্ট এলে বুঝবেন এটা একটা ইউটার্ন নেয়ার সময় । এরপরও অনেকে সতর্ক হয় না। অসুস্থতার মাধ্যমে বড় রকমের ট্রান্সফরমেশন হয় মানব জীবনে । কিন্তু সুস্থ হয়ে যদি মনে হয় মৌজ মস্তির জন্য সুস্থ হয়েছেন তবে আবার বিপদ ঘটতে পারে ।

সেলিনা আক্তার
নিউ ইয়র্ক

ধন্যবাদ ।শেয়ার করতে পারেন ।মাবাবা সতর্ক হলে বাচ্চারা ভালো হয়ে যাবে । আমার লেখায় স্থানের নাম লিখি যাতে আমার লেখার ইতিহাসটা থাকে ।

12/06/2023

#নিজেকে_সময়_দিন

মার্কিনরা বলে, ‘তোমার তখনই একজন ভালো শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় হবে, যখন তোমার প্রয়োজন”।

‘আপনার ভেতরে, মনের তলদেশে আপনার মধ্যে, এমন জায়গায় যেখানে আপনি সবই জানেন, সেখানে আগুন, একটি আধ্যাত্মিক আগুন। এটি আপনার অনুপ্রেরণার উৎস। এটি জ্ঞানের আগুন, আপনার মধ্যে গভীর মন, চর্মের মতো জ্বলন্ত, আপনার ত্রুটিগুলো এবং ব্যথা গ্রাস করে, আপনাকে শুদ্ধ করে, আশীর্বাদ করে, আপনাকে পরিচালনা করে।’—এটি হলো আধ্যাত্মবাদের আগুন। সম্ভবত এ আগুনই আমার কাছে ছিল। কিন্তু আমি একে চিনতাম না, জানতাম না। একে চিনব কীভাবে, নিজেকেই তো জানতাম না। মানবপ্রেমে নিজেকে পুড়িয়েছি। কেঁদে কেঁদে সে আগুন নিভিয়েছি। জীবন অনেক দিয়েছে, অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। তারপর অনেক পাওয়ার পরও মনে হলো কী যেন নেই।

সেই কী যে কি! আমি নিজেই তো নিজেকে জানি না। মন যা চায়, তা হয় না। তখন আবার পুড়েছি মনের আগুনে। এ মনকে শান্ত রাখা কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজটা নিজের অজান্তে কখন জানি সহজ হতে শুরু করল। অভিযোগ আমার কোনো কালেই ছিল না। এ জন্য আশপাশের মানুষ দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এসে মানুষ টাকা-পয়সা উপার্জন করে, ক্যারিয়ার গড়ে। সবার একই চিন্তা ‘সপ্তাহে কত ডলার আয় করছি?। চিন্তা হবেই তো, এটি ছাড়া যে জীবন চলে না।

আমি আবিষ্কার করলাম, আমার অর্থের প্রতি স্পৃহা কমে যাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম যতটুকু না হলে নয়, ততটুকুর বাইরে যেতে পারিনি। কিছু একটা দেখার ভাবনা সমানে নিজেকে তাড়িত করেছে। যার ঠিকানা আকাশে-বাতাসে, সূর্যের আলো-আঁধারিতে, পূর্ণিমার চাঁদে। অমাবস্যার অন্ধকারে। পাহাড়ে-পর্বতে খুঁজেছি মনে মনে। নারী হয়ে জন্মাবার সীমাবদ্ধতা এখানেই। মন চাইলেই বোদ্ধা হওয়া যায় না। চাইলেই আঁধারে পা রাখা যায় না। চাইলেই গুরু ভেবে কারও সঙ্গী হওয়া যায় না। তবে সময় বদলেছে। জয় শেঠী সব সময় বলেন, ‘live like a monk’ মানে এক সন্ন্যাসীর মতো জীবনযাপন করো। করপোরেট দৌড় আর আধ্যাত্মিক জীবন দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত। কিন্তু বিশ্বের সব মেধাবী এখন আবেগীয় নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেদিন গুগল টকে বক্তারা বললেন, ২০৫০ সালে ইয়াং জেনারেশন ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রতি ঝুঁকবে।

মানুষের জীবনে যখন সমস্যা আসে, পৃথিবীতে মানুষ তখন ফেরেশতা খোঁজে। কোনো ফেরেশতা আসবে, সব সমস্যার সমাধান করে দেবে। আরেক হলো, মানুষ তুমি নিজেই ফেরেশতা হয়ে যাও। ফেরেশতা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন তার চেয়ে সহজ নিজে বনে যাওয়া। ফেরেশতা মানে এনজেল। আমরা জানি এনজেল উড়ে। তেমন উড়তে পারা। উড়া তখনই সম্ভব, যখন আপনি নিজেকে হালকা রাখতে পারবেন। মন থেকে ভারী পাথর সরিয়ে ফেলতে পারবেন। যাকে ইংরেজিতে বলে ‘light feelings’। স্পিরিচুয়ালিটি বলে ফেরেশতা বনে যাও। এর জন্য প্রয়োজন মনের পরিশুদ্ধতা। কী কী আমাদের মনকে ভারী করে, তা চেক করা প্রয়োজন।

সেলিনা আক্তার
নিউ ইয়র্ক

12/02/2023

ভোরে ওঠে আগে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরী করা প্রয়োজন । শুধু রিচূয়াল পালন করলে হবে না। বিশ্ব বড় বড় ঢেউয়ের সম্মূখীন হচ্ছে। ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমাতে যাওয়া মানে আল্লাহ কে ঘুষ দিয়ে শয়তানকে তপস্যার মত । মানবতা খুব জরুরী । শুধু নিজে ভালো থাকলে হবে না।

আমার এক বন্ধু কয় দিন আগে বলছে সিলেট শহরে সকাল ১১ টার আগে মানুষ দেখা যায় না । রহমত আসবে কোথা থেকে?

সবাই ভালো থাকুন নিরাপদ থাকুন ।

সেলিনা আক্তার
নিউ ইয়র্ক

Address

New York, NY
11432

Opening Hours

Monday 9am - 5pm
Tuesday 9am - 5pm
Wednesday 9am - 5pm
Thursday 9am - 5pm
Friday 9am - 5pm
Saturday 7pm - 3am

Telephone

+13477411543

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Selina Akhter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share