01/16/2025
ধর্ম মানে আপনি নিজে কি ধারন করছেন ? শুধু রিচূয়াল পালনই যথেষ্ট নয় । আবার শুধু বিজ্ঞান চর্চায় ব্যস্ত থাকার নামই জ্ঞান নয়। একজন মানুষ চিন্তা চেতনা এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের মধ্যে কতটা শান্ত , কতটা পবিত্র , কতটা ধৈর্য্য ধারণ করেন, কতটা মানবিক কথা বার্তায় তার নাম ধর্ম । ইসলাম মানে শান্তি এবং মুসলমান মানে যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । যা সমগ্র মানব জাতির জন্য প্র্যযোজ্য। শুধু জন্মালে আর বিশ্বাস করলেই হবে না । জ্ঞান খুব জরুরী সে যে ধর্মের মানুষ হোক না কেন? জ্ঞান যখন কথা বলে তখন আল্লাহ ঈশ্বর ভগবান গড যা ডাকবেন সে এসে কথা বলবে আপনার সাথে । অন্ধ বিশ্বাস তো আল্লাহও পছন্দ করেন না।উনি সব সময় বলেছেন , জানো । জানতে চাইলে আমি খুলে খুলে বলবো।
অন্য ধর্মের মানুষ যদি পবিত্র রূহ নিয়ে পৃথিবীতে আসে বা মুক্ত হয় তবে সেও যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফেরত যাবে। সূরা বাকারার ৬২- থেকে ৬৫ নং আয়াত বুঝে শুনে পড়ুন এবং চিন্তা করুন যে আল্লাহ আপনাকে কি বলছেন যারা ইব্রাহিম ( আঃ) , ইসহাক( আঃ) , ঈসা( আঃ) , দাউদ (আঃ) এর বংশধর এবং অগ্নিপূজারী তাঁদের ব্যাপারে? তিনি তো স্পষ্টভাবে বলেছেন তারাও তাঁদের সুফল ভোগ করবেন। “তোমরা বেশি জান , না আমি জ্ঞানী”আবারও বলেছেন ১৩৫-১৪০ নং পর্যন্ত দেখবেন যারা এসব নিয়ে তর্ক বিতর্ক করবে তাঁদেরই জবাব দেয়া হবে। তবে এগুলো গভীর চিন্তা ছাড়াও প্রকাশিত হবে না। প্রশ্ন করেছেন, ঘৃণা করেছেন তো মরেছেন এবং মরবেন সময় এবং শূন্যতার মধ্যে । চিন্তা করুন একবার আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি থিওরির কথা।
সুতরাং মানুষকে মানুষ ভাবার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। ধর্মীয় জ্ঞান নিবেন জ্ঞান আহরণের জন্য । আল্লাহকে ঘুষ দেওয়ার জন্য নয়। মন যাতে উল্টা পাল্টা চিন্তা যাতে না করে এ জন্য তসবিহ এসেছে। মন মুখ বন্ধ করার ক্ষমতা না থাকলে সব কিছু বাংলায় এফার্মেশন করেন। মন ক্লিন হওয়া জরুরী । আমি মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছি। তবে কথা কি মনের খবর আল্লাহ ছাড়া কারো এখতিয়ারে নেই । এটা আমার স্পিরিচূয়াল নলেজ দিয়েছে। মনোবিজ্ঞানের আওতায় থেকেও অনেকে আত্মহত্যা করে কেন করে? কিন্তু কোনো স্পিরিচূয়াল কারো আন্ডারে কেউ থাকলে সে ভালো মানুষ হয়ে উঠবে গ্রান্টেড । দিস ইজ দ্যা পাওয়ার অব নলেজ যা সরাসরি ঈশ্বরের তরফ থেকে আসে। মানুষ পুতুল মাত্র , রোবট মাত্র, ভেহিকল মাত্র । বো ডাউন করুন । ভদ্র হোন , জ্ঞানের অধিকারী হোন।
আমার কথা ধর্মীয় গুরুদের মত মনে হয় তবে আমি তাই । জ্ঞান যদি জন্মে আমার কিছু করার নেই । আমি সবাইকে বলি যার যার ধর্মীয় গ্রন্থ ঘুম থেকে উঠে একবার পড়ুন । এটা এডাপটেশনের বিষয় ।তারপর স্মার্ট দুনিয়ার সাথে যুক্ত হোন। কোনো সনস্যা নেই । আমি আফগান, প্যালেস্টাইন পরিবারের সাথে এক সপ্তাহ করে কাটিয়েছি জ্ঞান অর্জনের জন্য। আমরা যে ভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করি তাঁদের সাথে অনেক ব্যবধান। এই ব্যবধান তো বাঙালিদের ঘরে ঘরে। আসোল কথা তো আল্লাহ আপনার মাধ্যমে বলছেন কিন্তু সে মাধ্যম যদি ক্লিন না হয় সেখানে ইবলিশের বলার সম্ভাবনা বেশি। সব বলতে চাই না। শুধু বলি ধ্যন করেন নিজের সাথে সংযোগ তৈরী করেন ।বাংলায় বা ইংরেজিতে অর্থ বুঝে পড়েন । হাবিজাবি অজস্র বই পড়েছেন অথচ যে সব বইয়ে সৃষ্টির সব রহস্য সে সব পড়তেই সমস্যা ? এনি রিলিজিয়সা নলেজ ইজ ভ্যালুএবল। আমার তো মনে হয় নাওয়া খাওয়া বন্ধ রেখে পড়ি । পড়েন যার যার ধর্ম মতে বা বাড়তি সব জ্ঞান। যে মায়ের একের বেশি সন্তান সে কি তার পুরনোগুলো কে বাতিল করে দেয় ? দেয় না। স্রষ্টাও জ্ঞান রিফাইন করেছেন শুধু আমাদের কাজে লাগানোর জন্য । এগুলো ছাড়াও অসংখ্য বই আছে। লেখক সমাজ শান্ত শিষ্ট কেন ? কারণ তাঁরা অন্যের জ্ঞান দ্বারা সব সময় এবাইড থাকেন । কিন্তু পিওর নলেজ ইজ পিওর নলেজ যা গ্রহ নক্ষত্রের মত আমাদের শিরা উপশিরায় যুক্ত করে । আমাদের ভেতরে আরেক বিশ্বভ্রমান্ড যা পূর্ণ হয় না সঠিক জ্ঞান ছাড়া।তৃপ্ত হয় না মন। এ তৃপ্তির অভাবই পুরুষকে করে টাকার জন্য ঘর ছাড়া নারীকে করে মোহের জন্য তাড়া।
যে হিন্দু তাঁকে হিন্দু ঘরে আল্লাহ পাঠিয়েছেন। আমার এক হিন্দু বন্ধু ডাক্তার সে অনেক ধার্মিক পরিবারের। সে বলেছে কিছু মানুষ মুসলিম হতে বলে। আমাকে সব ধর্ম থেকে আহ্বান করেছে। তবে এটা হলো ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা । আপনি আপনার নিজের ধর্ম বা অন্যের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল তা পরীক্ষা করা হয়। কেউ একান্ত কঠিন পরিস্থিতিতে যদি ধর্ম বদল করে সেটা তাঁর ব্যাপার। যেমন এ আর রহমান । তাছাড়া ইসলাম রিফাইন হয়ে এসেছে সুতরাং কেউ যদি তাঁর জ্ঞান যাচাই বাছাই করে জয়েন করে সেটাও তাঁর বিষয়। আমি তো সোজা বলতাম,”আমি আমার ধর্মের চর্চা করি এবং সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি । সুতরাং আমার বদলের কিছু নেই । বদলাতে হলে আল্লাহ আমাকে অন্য ঘরে পাঠাতো । জ্ঞান খুব জরুরী । “
আমার বেশ ভূষার সাথে এসব কথা মানায় না ঠিক। কোরানের কথা বললে মাথায় কাপড় দিয়ে বলতে হয় । আমি তো সারা জীবন লুকিয়ে ইবাদত করেছি । আমার রোকেয়া হলের মেয়েরা জানতো যারা রুম মেট ছিল। ওরা বলতোনা আপা আপনাকে তো বোঝা যায় না। কারণ আমি অনেক ফ্যাশনেবল ছিলাম। যদিও লুকিয়ে ইবাদত করাই স্রষ্টার বেশি পছন্দ । এক সময় মা নানীরা বেশি ইবাদত করতেন তাই ঘরে সে বাতাস , বাতাবরণের ভাইব্রেশন ছিল। পুরুষ আয় রোজগারের ধান্দায় থাকতো তবু শুক্রবার দেয়া হয়েছিল যে একদিন হলেও যাও কোনো পবিত্র স্থানে বো ডাউন করো । সেও নিজের মঙ্গলের জন্য। কারণ আমরা যদি নিজের সাথে সংযোগ না করি অনেক কিছু দেখবো না।
যাই হোক জ্ঞানের কথা না বলাও অন্যায়। আমার একবার অসুখ হয়েছিল । তাঁর পর আমি যখনই কোরান পড়তাম, বুকে ধরে বলতাম যে , “আল্লাহ তুমি বলো যে আমি ভালো হয়ে গেছি । “এবং আমি ভালো ছিলাম এবং এখনও আছি । আমি কষ্ট পেয়েছি যখন আমার ভাগ্নি অসময়ে চলে যায় । তাঁর কাজই ছিল গুগল ঘেঁটে কি হলে কি হয় ? এসব ভাবনা। যা বর্তমান বিশ্বকে আরো নীচে নামিয়ে দিচ্ছে । মানুষ যদি নিজের জ্ঞান ব্যবহার না করে তাহলে এভাবে অন্যের জ্ঞান দ্বারা গুমরাহ হবে । মরার আগে মরে যাবে। যাকে বলে লস্ট । আমাদের অবস্থা পি কে মুভির পিকের মত । আমরাও হারিয়ে গেছি । এক সময় আমাদের রিমোট ছিল দাদী নানী মায়েদের হাতে। আমরা নাদান হলেও তাদের শক্তি আমারদের শক্তি যুগিয়েছে । এখন কোথায় সে রকম নানী , দাদী , আর মা ? তার সাথে আছে সন্তানদের সম্পর্ক ?
সেলিনা আক্তার
আটলান্টা
01.15.25