MCTV US

MCTV US We work for community development
(1)

11/26/2025

টাইটানিকের ঘড়ি: হারানো সময়ের দাম
১৮ ক্যারেট স্বর্ণের পকেট ঘড়ি। এটি কোনো সাধারণ ঘড়ি নয়। এটি ডুবে যাওয়া টাইটানিকের যাত্রী ইসিডর স্ট্রাউসের—যিনি ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কগামী জাহাজটিতে ওঠেন।
ইসিডরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী আইডা। তাকে লাইফবোটে উঠতে বলা হলেও আইডা স্বামীকে ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন। দম্পতি একসঙ্গে ডুবে যান। কয়েক দিন পর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ইসিডরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়—তাঁর সঙ্গে পাওয়া যায় সেই ঘড়িটি। যদিও আইডার মরদেহ আর পাওয়া যায়নি।
পরিবার চার প্রজন্ম ধরে এই ঘড়ি সংরক্ষণ করেছিল। শেষমেশ এটি বিক্রি হলো রেকর্ড দামে—১৭ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সংগ্রহযোগ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
ঘড়ি ছাড়াও নিলামে বিক্রি হলো—আইডা স্ট্রাউসের চিঠি, টাইটানিক যাত্রী তালিকা, আরএমএস কারপাথিয়ার ক্রুদের দেওয়া স্বর্ণপদক।
ঘড়ির সঙ্গে একই নিলামে টাইটানিকের আনুষ্ঠানিক কাগজে লেখা আইডার একটি চিঠি এক লাখ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। যাত্রীদের একটি তালিকা গেছে এক লাখ চার হাজার পাউন্ডে। এছাড়া উদ্ধারকৃত যাত্রীদের পক্ষ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ আরএমএস কারপাথিয়ার ক্রুদের দেওয়া একটি স্বর্ণের পদক বিক্রি হয়েছে ৮৬ হাজার পাউন্ডে।
কেউ হয়তো ভাবতে পারেন—একটা ঘড়ি, এক চিঠি, এক তালিকা… কিন্তু এই ছোট্ট জিনিসগুলোই ১০০ বছরের পুরনো সমুদ্রের গল্পকে জীবন্ত রাখে।
ঘড়িটি শুধু সময়ের সাক্ষী নয়—এ যেন স্মৃতিরও রক্ষক।
সমুদ্রের গভীরতাকে পিছনে ফেলে আজ সেটা নতুন হাতে গেল, কিন্তু তার কাঁটার ভেতর আটকে রইলো সেই রাতের বরফঠান্ডা ইতিহাস।

11/26/2025

কড়াইলে আবারও আগুন: মুহূর্তেই ছয় শতাধিক ঘর ছাই
কড়াইল বস্তি—যেখানে একসঙ্গে হাজারো পরিবারের বসবাস। অগ্নিকাণ্ড এখানে নতুন নয়। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় বড় বড় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই শত শত পরিবার হারিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই, নষ্ট হয়েছে জমানো মালপত্র, পুড়ে গেছে মানুষের স্বপ্ন।
কখনো শুষ্ক মৌসুমে, কখনো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে—আগুনের কারণ বিভিন্ন হলেও ক্ষতির চিত্র প্রায় একই।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আবার আগুন লাগে বস্তির বউবাজার এলাকার কুমিল্লা পট্টি, বরিশাল পট্টি ও ‘ক’ ব্লক অংশে। আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট, পরে আরও ৮টি ইউনিট যোগ হয়ে মোট ১৯টি ইউনিট কাজ শুরু করে আগুন নেভাতে। ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে স্থানীয় বাসিন্দারাও। টানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি চেষ্টা শেষে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষ এখন আশ্রয় নিয়েছেন খামারবাড়ি ঈদগাহ মাঠ, এরশাদ স্কুলমাঠ এবং মহাখালী টিঅ্যান্ডটি মাঠে। খোলা আকাশের নিচে বসে তারা রাত কাটাচ্ছেন নগণ্য কিছু মালপত্র নিয়ে।
বাচ্চারা ক্লান্ত, মা-বাবারা উদ্বিগ্ন—আগুনে হারানো ঘর কীভাবে আবার নতুন করে গড়ে তুলবেন, সেই ভাবনায় অস্থির সবাই।
কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড যেন একটি পুনরাবৃত্ত দুঃস্বপ্ন। একটির ক্ষত মুছতে না মুছতেই আরেকটি আগুন এসে সবকিছু নতুন করে ছাই করে দেয়।
এই ঘটনাটিও
তার ব্যতিক্রম নয়। তদন্তে আগুনের কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু বারবার আগুনে ক্ষতির মুখে পড়া মানুষের প্রশ্ন—কবে তারা নিরাপদ ছাদের নিশ্চয়তা পাবে?

11/25/2025

হোয়াইট হাউসে বৈঠক নাকি বেস্ট ফ্রেন্ডস রিইউনিয়ন?
হোয়াইট হাউসে শুক্রবার এক দারুণ চমক দেখা গেল। সবাই ভেবেছিল ট্রাম্প আর নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি মুখোমুখি বসে রাজনৈতিক কুস্তি শুরু করবেন। কিন্তু হলো উল্টো—দুজন বসে প্রায় বন্ধুত্বের মাস্টারক্লাস দিলেন।
সাংবাদিকরা যতই পুরোনো অপমান–দোষারোপ ঝালিয়ে তুলতে চাইলেন, তাঁরা দুজনই প্রশ্ন এড়িয়ে এমনভাবে হাসলেন যেন আগে থেকেই রিহার্সাল করা ছিল।
ট্রাম্প তো সরাসরিই বললেন—
“আমার মনে হচ্ছে, তাকে সাহায্যই করব; ক্ষতি নয়।”
রিপাবলিকানদের মুখের ভাষা অনুযায়ী যিনি “কমিউনিস্ট জিহাদি”, তাঁকে সাহায্য করবেন—এ ঘোষণা শুনে মনে হয় ক্যাপিটল হিলে অনেকেরই হালকা মাথা ঘুরে দাঁতে দাঁত লেগেছে।
মামদানিকে মনে করিয়ে দেওয়া হলো—তিনি নাকি আগে ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট বলেছিলেন? ট্রাম্পই তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন,
“হ্যাঁ বলে ফেলুন, ব্যাখ্যার ঝামেলা নেই।”
বলতেই হয়, এ এক নতুন ট্রাম্প—হয়তো দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর অটোকারেক্ট সেটিং বদলে গেছে।
মামদানিও কম যান না। গাজা, অভিবাসন, অ্যাক্টিভিস্ট লড়াই—সবকিছুর প্রশ্নই তিনি দক্ষতার সঙ্গে ঘুরিয়ে আনেন তাঁর প্রিয় বিষয়ের দিকে: জীবনযাত্রার খরচ।
সব মিলিয়ে বৈঠকটা ছিল রাজনীতির ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা—যেখানে দুই পক্ষের কেউই ঝগড়া করতে চাইল না, আর রাগারাগির আশা করা দর্শকরা শেষে হতাশ হয়ে টিভি বন্ধ করে চা বানাতে গেলেন।
সবশেষে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—
ট্রাম্প কি সত্যিই মামদানিকে এতটা পছন্দ করেন?
হয়তো করেন। কারণ, যাদের জয় দেখতে ভালো লাগে, ট্রাম্প তাঁদের সাধারণত সম্মান করেন। আর মামদানি তো নিউইয়র্কের কুইন্সেই জিতেছেন—ট্রাম্পের নিজের পুরোনো রাজ্য।
অবশ্য রিপাবলিকান পার্টির ভেতরে এখন হয়তো আরেকটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—
“এই এত বড় কমিউনিস্টকে যদি ট্রাম্প এত সহজে ছাড় দিতে পারেন, তাহলে আমাদের বাকি নাটকটা চলবে কীভাবে?”
রাজনীতিতে নাটক শেষ হয় না, শুধু স্ক্রিপ্ট বদলায়।
আর আজকের স্ক্রিপ্ট:
শত্রু–মৈত্রী, কমিউনিস্ট–রক্ষাকবচ, আর রিপাবলিকানদের হালকা মৃদু হার্টবার্ন।

11/25/2025

ইসলামী মূল্যবোধ ও ইনসাফ—বিএনপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নতুন গুরুত্ব
রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজকের দৃশ্যটা সহজভাবে বললে—রাজনীতি, ধর্মীয় আবেগ আর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির এক স্টেজ-শো। সম্মিলিত ইমাম-খতিব পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মূলত একটা বার্তাই দিলেন:
“ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ চাই? তাহলে দোয়া দিন, সমর্থন দিন।”
তারেক রহমান শুরুতেই মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার উদাহরণ তুলে ধরে বললেন—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র চালাবে ন্যায়পরায়ণতাকে মূলমন্ত্র করে। এরপরই আসল কথায় এলেন—আগামী নির্বাচনে ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন, আলেম–ওলামাদের দোয়া ও সমর্থন চান তিনি।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিলেন—বিএনপি সরকারে এলে ইমাম–মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানী ভাতা থাকবে, সার্ভিস রুল থাকবে, আর মসজিদ কমিটির ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর আর চাকরি নির্ভর করবে না।
সংক্ষেপে—ইমাম–খতিবদের চাকরিকে দেওয়া হবে "নিরাপত্তার ছাতা"।
একই মঞ্চে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান পুরো আলাপটিকে নিয়ে গেলেন আরও বড় আকারে। তাঁর মতে—
“ইমামরা যখন সমাজের আসল ইমাম হবেন, তখনই মুক্তি আসবে।”
এবং—বাংলাদেশের আইন চলবে কোরআনের বিধান অনুযায়ী।
এটা বলা মাত্রই সমাবেশের ভেতর একটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে—যেন নতুন রাষ্ট্র কাঠামোর দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বক্তৃতা দিলেন আরও সরাসরি ভঙ্গিতে—
আওয়ামী লীগ ইসলামবিরোধী, ভারতের দালাল; আর নতুন বাংলাদেশ হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানো, স্বাধীন, সার্বভৌম, ইনসাফের রাষ্ট্র।
তিনি সেই বিখ্যাত লাইনটিও বললেন—
“আমরা কারও দালালি নয়, নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজের পায়ে বাংলাদেশ গড়ে তুলব”
সব বক্তৃতার মিলটা সহজে বোঝা যায়—
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মীয় নেতৃত্ব, আধ্যাত্মিক প্রভাব ও জনমতের ধর্মীয় অংশকে কাছে টানা এখন একটি কৌশলগত লড়াই।
দোয়া, ইসলামী মূল্যবোধ, ন্যায়পরায়ণতা—সব শব্দই যেন নতুন রাজনৈতিক পুঁজি।
ইনসাফের বাংলাদেশ আসবে কি না জানা নেই,
তবে “ইনসাফ” শব্দটা আজকের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে—এটা নিশ্চিত।

11/23/2025

দেশজুড়ে পরপর ভূমিকম্প: পরাঘাত কতদিন চলতে পারে?
গত ৩১ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশ তিনবার কেঁপে উঠেছে। সবশেষ কম্পনটি অনুভূত হয়েছে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে—মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৩। দেশের মানুষ এখন প্রশ্নে প্রশ্নে বিভ্রান্ত—এটা কি শেষ কম্পন? নাকি সামনে আরও আসবে?
প্রশ্নের জবাব খোঁজার জন্য অনেকেই ভরসা করছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর। ঠিক এমন সময়ে এআই টুল “জেমিনি” ব্যাখ্যা দিয়েছে আফটার শক বা পরাঘাত নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
জেমিনি জানায়, মূল ভূমিকম্পে ভূ-ত্বক যখন হঠাৎ সরে যায়, তখন আশপাশে বিশাল চাপ জমে ওঠে। সেই চাপ একবারে মুক্ত হয় না—ধীরে ধীরে ছাড়তে থাকে। আর সেই ধীরে মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো আফটার শক। এগুলো ছোট কম্পন হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত বা দুর্বল ভবনের জন্য হতে পারে বড় ঝুঁকি।
আফটার শক কতদিন চলতে পারে—এটা নির্ভর করে প্রধান ভূমিকম্পের শক্তি, গভীরতা এবং ভূ-ত্বকের গঠনের ওপর। সাধারণভাবে এসব কম্পন কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরেও থাকতে পারে। প্রথম ৭২ ঘণ্টায় সংখ্যাও বেশি, তীব্রতাও তুলনামূলক বেশি।
তবে ভূমিকম্প যদি বড় মাত্রার হয়—৭.০ বা তার বেশি—তাহলে পরাঘাত কয়েক মাস, এমনকি কয়েক বছরও স্থায়ী হতে পারে। কারণ ভূ-ত্বক ধীরে ধীরে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে যায়।
বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে জেমিনি বলছে—কোনো অঞ্চলের কম্পনের হার আবার ভূমিকম্প-পূর্ব স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে এলে তবেই বলা যায় “আফটার শক পর্ব শেষ।” তার আগে দুর্বল ভবন, ফাটল ধরা কাঠামো কিংবা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সতর্ক থাকা জরুরি।
দেশজুড়ে যে পরপর কম্পনগুলো অনুভূত হচ্ছে—তা হয়তো আতঙ্কের, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরাঘাতই ভূ-ত্বককে আবার স্বস্তির দিকে ফেরায়। তবে সতর্কতা আর প্রস্তুতিই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন।

11/23/2025

রিভিউতে ‘ভবিষ্যতের তত্ত্বাবধায়ক’!দলগুলোর কৌশলী অবস্থান?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও ফিরে এসেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলোচনা। দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে এ ব্যবস্থার দাবি তুলেছিল বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভবিষ্যতের জন্য পুনর্বহাল করল, দেখা গেল—যে দলগুলো আগে থেকে জোরালো দাবি জানাচ্ছিল, তারাই এখন বলছে—এখন নয়, ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হোক। আর এই অবস্থান বদল ঘিরেই তৈরি হয়েছে নতুন প্রশ্ন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট হয়েছে—আগামী নির্বাচন নয়, বরং এর পরের চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর রিভিউ আবেদনে ‘প্রসপেকটিভ’, অর্থাৎ ভবিষ্যতের নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।
আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলছেন—এ মুহূর্তে সংসদ না থাকায় সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পথই নেই। নির্বাচন যে তিন মাসের ভিতরে করতে হয়, তাও সম্ভব নয় বর্তমান পরিস্থিতিতে। যদিও এটিকে দুর্বল যুক্তি বলছেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। তার মতে, যেসব দল এত বছর তত্ত্বাবধায়কের দাবি তুলে এসেছে, এখন তারা আইনগত অবস্থান থেকেই সরে গেছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে আন্দোলনের ফল হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে যুক্ত হয়েছিল, ২০১১ সালে সেই ব্যবস্থাকে আদালত ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে। এরপর থেকেই বিএনপি-জামায়াতসহ অনেক দল ফের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
কিন্তু রিভিউ আবেদনে তারা নিজেরাই ভবিষ্যতের জন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করায় এখন প্রশ্ন উঠছে, এই অবস্থান বদলের কারণ কী?
বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে; তাই এখনই তত্ত্বাবধায়ক দাবি করলে পরিস্থিতি জটিল হতো। উপরন্তু আদালত সংবিধানের যেসব ধারা পুনর্বহালের কথা বলেছে, সেগুলো বর্তমান সরকার বা সংসদ করতে পারবে না বলেও দাবি তার।
অন্যদিকে জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির মনে করেন—এখন যেন কোনো সাংবিধানিক বিতর্ক না তৈরি হয়, সে জন্যই আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সিদ্ধান্ত কেবল ভবিষ্যতের জন্যই প্রযোজ্য।
আইনজীবী মনজিল মোরশেদের মতে, দলগুলো যেহেতু যুক্তিতর্কেই বলেছে ‘হবে, তবে এখন নয়’, আদালতও সেই অবস্থানকেই রায়ে প্রতিফলিত করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর এই নতুন অবস্থান—ঠিক কেন এবং কার স্বার্থে—তা নিয়েই এখন চলমান আলোচনাই যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে।

11/20/2025

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আট দলের সমঝোতা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল একসাথে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, আমরা এতদিন একসাথে আন্দোলন করেছি, এখন নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নেবো।’’ তবে, আসন বন্টন বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। আযাদ জানিয়েছেন, বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তবে কোন দলের প্রতিনিধিরা কোন আসনে নির্বাচন করবেন এবং কতগুলো আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে, এসব বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি।
আট দল আরও জানিয়েছে, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য গণভোট আয়োজনের দাবি তাদের অপরাপর দাবির মধ্যে অন্যতম। তারা ৩০শে নভেম্বর থেকে ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ছাড়া অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।
এতদিন আন্দোলন চালানোর পর, সাত দফা কর্মসূচি নিয়ে তারা মাঠে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

11/20/2025
11/16/2025

একটির পর একটি গাড়ি বিস্ফোরণ! মৃত্যুর মিছিল সাজাচ্ছিল জঙ্গিরা

11/16/2025

হামাস নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক প্রস্তাব ও দ্বন্দ্ব: গাজার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তায় এখনো ধুলো উড়ছে, ভেঙে পড়া ভবনের ফাঁক দিয়ে ক্লান্ত মানুষের দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়। আর ঠিক সেই মুহূর্তে—গাজার ভবিষ্যৎ শাসনকাঠামোকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে। যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর এই ভূখণ্ড কে পরিচালনা করবে—তা নিয়ে যে সমঝোতার আশা ছিল, তা এখন দু’পক্ষের প্রস্তাবে আরও জটিল হয়ে উঠছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের কাছে যে খসড়া জমা দেয়, তাতে গাজায় ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কথা বলা হয়েছে, যার ম্যান্ডেট থাকবে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু রাশিয়া, চীনসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ এই প্রস্তাবে সরাসরি আপত্তি জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন অভিযোগ তুলেছে—তাদের প্রস্তাব নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি আছে, আবার ইসরায়েলও নতুন করে হামলা শুরু করতে পারে। এই হিসাবেই যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছে—নিরাপত্তা পরিষদ যেন দ্রুত তাদের প্রস্তাবে অগ্রগতি দেয়।
এদিকে রাশিয়া বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে একটি পাল্টা খসড়া জমা দিয়েছে। তাদের দাবি—এ প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি অনেক বেশি “ভারসাম্যপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য” এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সক্ষম। রাশিয়ার খসড়ায় আইএসএফ গঠনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে মহাসচিবকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও—যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ‘বোর্ড অব পিস’ নিয়ে একটিও শব্দ নেই। দুই প্রস্তাবের এই মৌলিক পার্থক্যই আলোচনাকে আটকে দিচ্ছে।
কিন্তু আলোচনার টানাপোড়েনের মাঝে মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন গল্প বলছে। যুদ্ধবিরতি শুরু হতেই ইসরায়েলের প্রত্যাহার করা এলাকাগুলোতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নেওয়া শুরু করেছে হামাস—মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে সিগারেট ও জ্বালানিতে ফি বসানো পর্যন্ত। স্থানীয়রা বলছেন, এটি স্পষ্টতই প্রশাসনিক কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। এর ফলে ‘ক্ষমতা হস্তান্তর’ নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি নতুন করে অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
অন্যদিকে গাজা নিয়ে পিএ–হামাস দ্বন্দ্ব, ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ছোট ছোট সশস্ত্র গোষ্ঠীর সক্রিয়তা—এসব মিলিয়ে যেন স্পষ্ট হয়ে উঠছে একটি বাস্তবতা: যুদ্ধ থামলেও গাজার ভবিষ্যৎ শাসন নিয়ে লড়াই কেবল শুরু হয়েছে।

11/15/2025

ড্রামে লাশ, বন্ধুর ফাঁদ!

11/14/2025

বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মামলার হুমকি

বক্তব্য ভুলভাবে সম্পাদনার ঘটনায় এবার বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর আইনজীবীরা ব্রিটিশ গণমাধ্যমটিকে ১৪ই নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন, তথ্যচিত্রটি ‘পূর্ণ ও ন্যায্যভাবে প্রত্যাহার’ করার জন্য। না হলে এক বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত বিবিসির ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্র নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের ভাষণের দুটি আলাদা অংশ জুড়ে দিয়ে দেখানো হয়েছে, যা দেখে মনে হয় তিনি মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলার সরাসরি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ঘটনার পর চাপে পড়ে পদত্যাগ করেছেন বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা প্রধান ডেবোরাহ টার্নেস। বিদায়ী টার্নেস জানিয়েছেন, বিবিসি “প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট নয়।”
ব্রিটিশ সংবাদপত্র টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক স্মারকলিপি থেকেই শুরু হয় এই বিতর্ক। এতে বিবিসির গাজা কভারেজ, ট্রাম্পবিরোধী পক্ষপাত, এমনকি ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে একতরফা রিপোর্টিংয়ের অভিযোগও আনা হয়।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ স্বীকার করেছেন, সম্পাদনার ক্ষেত্রে “বিচার-বিবেচনাগত ভুল” হয়েছে এবং তিনি জানিয়েছেন, বিবিসি ক্ষমা চাইবে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, এবং এখন তারা সেটা স্বীকারও করেছে। তাই আমি মনে করি, আমাকে মামলা করতেই হবে।”
বিবিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্পের আইনজীবীদের পাঠানো চিঠি পর্যালোচনা করা হচ্ছে, এবং যথাসময়ে সরাসরি জবাব দেওয়া হবে।

Address

7226 Roosevelt Avenue , Suite #201
New York, NY
11372

Telephone

+15168207118

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MCTV US posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MCTV US:

Share